নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকার সদরঘাটে পন্টুনে বেঁধে রাখা লঞ্চের রশি ছিঁড়ে পাঁচ যাত্রী নিহতের ঘটনায় এমভি ফারহান–৬ ও এমভি তাসরিফ–৪ লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দুই লঞ্চের পাঁচ কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম খান আজকের পত্রিকাকে রুট পারমিট বাতিলের তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর এই দুই লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
অবশ্য অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল অধ্যাদেশ ১৯৭৬ অনুযায়ী, দুর্ঘটনাকবলিত নৌযানের ফিটনেস ও রুট পারমিট স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যায়।
অপরদিকে সদরঘাটে তাসরিফ–৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে সেই রশির আঘাতে পাঁচজনের প্রাণহানির ঘটনায় পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদরঘাট নৌ থানা–পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম।
পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে যাদের—এমভি ফারহান–৬ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার মো. আব্দুর রউফ হাওলাদার (৫৪), দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার মো. সেলিম হাওলাদার (৫৪) ও ম্যানেজার মো. ফারুক খাঁন (৭৬)। এই লঞ্চের ধাক্কাতেই লঞ্চ বাঁধার রশি ছিঁড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে। হেফাজতে নেওয়া বাকি দুজন হলেন—এমভি তাসরিফ–৪ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার মো. মিজানুর রহমান (৪৮) ও দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার মো. মনিরুজ্জামান (২৪)।
এর আগে বিকেল ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, এমভি তাসরিফ–৪ ও এমভি পূবালী–১ নামে দুটি লঞ্চ রশি দিয়ে পন্টুনে বাঁধা ছিল। দুটি লঞ্চের মাঝখান দিয়ে ফারহান–৬ নামে আরেকটি লঞ্চ পার্ক করার সময় এমভি তাসরিফ–৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে যায়। এতে বেশ পাঁচজন যাত্রী নিহত হন। নৌ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) গৌতম কুমার বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাসরিফ–৪ লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে ধাক্কায় পাঁচজন মারা গেছেন।’
নিহতরা হলেন—ঠাকুরগাঁও সদরের নিশ্চিতপুর এলাকার আব্দুল্লাহ কাফীর ছেলে মো. রবিউল (১৯) ; পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানার মাটিচোরা গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে বিল্লাল (২৫), তাঁর স্ত্রী মুক্তা (২৬) ও তাঁদের মেয়ে সাইমা (৩) এবং পটুয়াখালী জেলার জয়নাল আবেদিনের ছেলে রিপন হাওলাদার (৩৮)।
এদিকে এ ঘটনায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম খান জানান, তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন—বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (ক্রয় ও সংরক্ষণ) মো. রফিকুল ইসলাম কমিটির আহ্বায়ক, নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. আজগর আলী এবং বন্দর শাখার যুগ্ম পরিচালক মো. কবীর হোসেন কমিটির সদস্য। কমিটি আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে।
আরও পড়ুন:
ঢাকার সদরঘাটে পন্টুনে বেঁধে রাখা লঞ্চের রশি ছিঁড়ে পাঁচ যাত্রী নিহতের ঘটনায় এমভি ফারহান–৬ ও এমভি তাসরিফ–৪ লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দুই লঞ্চের পাঁচ কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম খান আজকের পত্রিকাকে রুট পারমিট বাতিলের তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর এই দুই লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
অবশ্য অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল অধ্যাদেশ ১৯৭৬ অনুযায়ী, দুর্ঘটনাকবলিত নৌযানের ফিটনেস ও রুট পারমিট স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যায়।
অপরদিকে সদরঘাটে তাসরিফ–৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে সেই রশির আঘাতে পাঁচজনের প্রাণহানির ঘটনায় পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদরঘাট নৌ থানা–পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম।
পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে যাদের—এমভি ফারহান–৬ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার মো. আব্দুর রউফ হাওলাদার (৫৪), দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার মো. সেলিম হাওলাদার (৫৪) ও ম্যানেজার মো. ফারুক খাঁন (৭৬)। এই লঞ্চের ধাক্কাতেই লঞ্চ বাঁধার রশি ছিঁড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে। হেফাজতে নেওয়া বাকি দুজন হলেন—এমভি তাসরিফ–৪ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার মো. মিজানুর রহমান (৪৮) ও দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার মো. মনিরুজ্জামান (২৪)।
এর আগে বিকেল ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, এমভি তাসরিফ–৪ ও এমভি পূবালী–১ নামে দুটি লঞ্চ রশি দিয়ে পন্টুনে বাঁধা ছিল। দুটি লঞ্চের মাঝখান দিয়ে ফারহান–৬ নামে আরেকটি লঞ্চ পার্ক করার সময় এমভি তাসরিফ–৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে যায়। এতে বেশ পাঁচজন যাত্রী নিহত হন। নৌ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) গৌতম কুমার বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাসরিফ–৪ লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে ধাক্কায় পাঁচজন মারা গেছেন।’
নিহতরা হলেন—ঠাকুরগাঁও সদরের নিশ্চিতপুর এলাকার আব্দুল্লাহ কাফীর ছেলে মো. রবিউল (১৯) ; পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানার মাটিচোরা গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে বিল্লাল (২৫), তাঁর স্ত্রী মুক্তা (২৬) ও তাঁদের মেয়ে সাইমা (৩) এবং পটুয়াখালী জেলার জয়নাল আবেদিনের ছেলে রিপন হাওলাদার (৩৮)।
এদিকে এ ঘটনায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম খান জানান, তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন—বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (ক্রয় ও সংরক্ষণ) মো. রফিকুল ইসলাম কমিটির আহ্বায়ক, নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. আজগর আলী এবং বন্দর শাখার যুগ্ম পরিচালক মো. কবীর হোসেন কমিটির সদস্য। কমিটি আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে।
আরও পড়ুন:
২০১৯ সালের গোড়ায় মডেল মসজিদের কাজ শুরু হয়। এখন ২০২৫ সালের মাঝামাঝি চলছে, প্রায় সাত বছর পার হলেও ৮০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। অথচ তিন বছরের চুক্তিতে কাজ শুরু হয়েছিল।”
৩৩ মিনিট আগেজমানো পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা ও মাছির জন্ম হয়ে পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। দ্রুত পৌর শহরের অর্ধলাখ মানুষকে রক্ষায় কালভার্ট ও ড্রেনেজ দখল করে স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ রয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ পানি নিস্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন
৩৬ মিনিট আগেসরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেউপজেলার বড়বিল-তুলাবিল-কালাপানি সড়কের পান্নাবিল এলাকায় একটি ব্রিজ সম্পূর্ণভাবে দেবে গেছে। এ ছাড়া একসত্যাপাড়া-বড়বিল, যোগ্যাছোলা-আছারতলী ও গচ্ছাবিল-চইক্যাবিল সড়কে চলমান কার্পেটিং প্রকল্পের ৪০-৫০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কংক্রিট-বালু দিয়ে প্রস্তুত সড়ক অংশ খরস্রোতে ভেসে গেছে।
১ ঘণ্টা আগে