Ajker Patrika

সদরঘাটে দুর্ঘটনা: দুই লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল, ৫ কর্মী পুলিশ হেফাজতে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২৪, ২১: ২০
সদরঘাটে দুর্ঘটনা: দুই লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল, ৫ কর্মী পুলিশ হেফাজতে

ঢাকার সদরঘাটে পন্টুনে বেঁধে রাখা লঞ্চের রশি ছিঁড়ে পাঁচ যাত্রী নিহতের ঘটনায় এমভি ফারহান–৬ ও এমভি তাসরিফ–৪ লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দুই লঞ্চের পাঁচ কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। 

আজ বৃহস্পতিবার নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম খান আজকের পত্রিকাকে রুট পারমিট বাতিলের তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর এই দুই লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। 

অবশ্য অভ‍্যন্তরীণ নৌ চলাচল অধ্যাদেশ ১৯৭৬ অনুযায়ী, দুর্ঘটনাকবলিত নৌযানের ফিটনেস ও রুট পারমিট স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যায়। 

অপরদিকে সদরঘাটে তাসরিফ–৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে সেই রশির আঘাতে পাঁচজনের প্রাণহানির ঘটনায় পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদরঘাট নৌ থানা–পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম। 

পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে যাদের—এমভি ফারহান–৬ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার মো. আব্দুর রউফ হাওলাদার (৫৪), দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার মো. সেলিম হাওলাদার (৫৪) ও ম্যানেজার মো. ফারুক খাঁন (৭৬)। এই লঞ্চের ধাক্কাতেই লঞ্চ বাঁধার রশি ছিঁড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে। হেফাজতে নেওয়া বাকি দুজন হলেন—এমভি তাসরিফ–৪ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার মো. মিজানুর রহমান (৪৮) ও দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার মো. মনিরুজ্জামান (২৪)। 

এর আগে বিকেল ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, এমভি তাসরিফ–৪ ও এমভি পূবালী–১ নামে দুটি লঞ্চ রশি দিয়ে পন্টুনে বাঁধা ছিল। দুটি লঞ্চের মাঝখান দিয়ে ফারহান–৬ নামে আরেকটি লঞ্চ পার্ক করার সময় এমভি তাসরিফ–৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে যায়। এতে বেশ পাঁচজন যাত্রী নিহত হন। নৌ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) গৌতম কুমার বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাসরিফ–৪ লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে ধাক্কায় পাঁচজন মারা গেছেন।’ 

নিহতরা হলেন—ঠাকুরগাঁও সদরের নিশ্চিতপুর এলাকার আব্দুল্লাহ কাফীর ছেলে মো. রবিউল (১৯) ; পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানার মাটিচোরা গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে বিল্লাল (২৫), তাঁর স্ত্রী মুক্তা (২৬) ও তাঁদের মেয়ে সাইমা (৩) এবং পটুয়াখালী জেলার জয়নাল আবেদিনের ছেলে রিপন হাওলাদার (৩৮)। 

এদিকে এ ঘটনায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম খান জানান, তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন—বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (ক্রয় ও সংরক্ষণ) মো. রফিকুল ইসলাম কমিটির আহ্বায়ক, নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. আজগর আলী এবং বন্দর শাখার যুগ্ম পরিচালক মো. কবীর হোসেন কমিটির সদস্য। কমিটি আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে।

আরও পড়ুন: 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাগরে ইঞ্জিন বিকল ট্রলারে ভাসছিলেন ২৪ জেলে, উদ্ধার করল নৌবাহিনী

খুলনা প্রতিনিধি
ট্রলারসহ ২৪ জেলেকে উদ্ধার করে নৌবাহিনী। ছবি: সংগৃহীত
ট্রলারসহ ২৪ জেলেকে উদ্ধার করে নৌবাহিনী। ছবি: সংগৃহীত

নৌবাহিনী গভীর সমুদ্রে অভিযান চালিয়ে একটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়া ট্রলার থেকে ২৪ জেলেকে উদ্ধার করেছে। আজ সোমবার নৌবাহিনী জাহাজ ‘বানৌজা অপরাজেয়’ নিয়মিত টহলকাজে থাকার সময় তাঁদের উদ্ধার করে।

নৌবাহিনীর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ট্রলারটিকে মোংলা ফেয়ারওয়ে বয়া থেকে প্রায় ২৯ মাইল দক্ষিণে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায় নৌবাহিনীর টহলরত জাহাজ বানৌজা অপরাজেয়। এ সময় নৌবাহিনীর জাহাজ রাডারের মাধ্যমে ট্রলারটিকে ইঞ্জিন বিকল হয়ে বিপদগ্রস্ত বলে শনাক্ত করে এবং দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। জাহাজটি মাছ ধরার ট্রলারের কাছে পৌঁছালে জেলেরা জানান, ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ায় গভীর সমুদ্রে ভাসছেন তাঁরা। তাঁদের কাছে যোগাযোগ করার মতো যন্ত্রপাতি নাই। এ কারণে তাঁরা কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। পরে নৌবাহিনীর সদস্যরা ট্রলারসহ জেলেদের উদ্ধার করে। জেলেদের প্রয়োজনীয় খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয় নৌবাহিনী।

জানা গেছে, দুর্ঘটনাকবলিত ট্রলারটি গত ২৯ অক্টোবর মাছ ধরার জন্য কুতুবদিয়া থেকে সাগরে গিয়েছিল এবং যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ইঞ্জিন বিকল হয়ে এটি গভীর সমুদ্রে ভাসতে থাকে। প্রচণ্ড ঢেউ ও বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও নৌবাহিনীর জাহাজ উদ্ধার করা জেলেসহ ট্রলারটিকে টোয়িং করে ৩৫ মাইল সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে নিরাপদে সুন্দরবন-সংলগ্ন হিরণপয়েন্টে নিয়ে আসে এবং পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের কাছে তাঁদের হস্তান্তর করে। ট্রলারে থাকা ২৪ জন জেলেই বর্তমানে সুস্থ আছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাসপাতাল থেকে তুলে নেওয়া হয় ছাত্রলীগ নেতাকে, থানায় দিতে গিয়ে ৩ অপহরণকারী গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
তিন অপহরণকারী গ্রেপ্তার। ছবি: সংগৃহীত
তিন অপহরণকারী গ্রেপ্তার। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল থেকে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতাকে প্রকাশ্যে তুলে নিয়ে রাতভর রেখে পরদিন থানায় তুলে দিতে গেলে অপহরণকারীদের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই নেতার বাবার করা মামলায় সোমবার তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পাঁচলাইশ থানার পুলিশ।

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ওই নেতার নাম মো. ফয়সাল মাহমুদ ফাহাদ। গত বছর ছাত্রলীগের সম্মেলনে তিনি কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ থানার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন। তবে পুলিশ বলেছে, ওষুধ কোম্পানি হেলথ কেয়ার ফার্মাসিটিক্যাল্সের সেলস্ অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন ফয়সাল।

পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার তিনজন হলেন-আশরাফুল আমিন (২৯), তারিক আসিফ (২৭) ও শাহাদাত হোসেন শান্ত (২০)। আসামি মোহাম্মদ আবুল সাজ্জাদ ওরফে আদর (৩২) ও আমিমুল এহসান ফাহিম (২৫) পলাতক রয়েছেন।

গত রোববার রাতে ‘মব’ সৃষ্টি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানাধীন বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালের ভেতর থেকে ফাহাদকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁকে রাউজানের একটি বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছিল।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, রাউজানে নেওয়ার পর ফাহাদের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ চাওয়া হয় এবং তাঁকে নির্যাতন করা হয়। একই সময় অপহরণের ঘটনার সিসিটিভির একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর পুলিশ তৎপরতা চালায়। পরে চাপের মুখে অপহরণকারীদের কয়েকজন ওই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে নাশকতা চেষ্টার অভিযোগ এনে সকালে পাঁচলাইশ থানার পুলিশের হাতে তুলে দিতে আসে। পুলিশ সবকিছু যাচাইয়ের পর অপহরণে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ফাহাদ চট্টগ্রামের পার্কভিউ হাসপাতালে তাঁর মাকে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন। এ সময় অপহরণের ঘটনাটি ঘটে। ওই ঘটনায় হাসপাতালে থাকা সিসিটিভি ফুটেজের একাধিক ভিডিওতে দেখা যায়, প্রকাশ্যে বিনা বাধায় সবার সমানে দিয়ে চার থেকে পাঁচজন তরুণ ফাহাদকে কলার ধরে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে যাচ্ছে। তাঁর দুই হাত দুই পাশ থেকে ধরে রাখা হয়েছিল।

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফাহাদ নামে ওই যুবককে পাঁচলাইশ থেকে তুলে নিয়ে রাউজান উপজেলার দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁকে অপহরণের সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

টেকনাফে সাবেক ইউপি সদস্য ইউনুছ হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফে সাবেক ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ইউনুছ সিকদার হত্যা মামলার আসামি মোহাম্মদ সিদ্দিককে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সামনে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জায়েদ নূর গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওসি জানান, ৬ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির স্ত্রী কহিনুর আক্তার (৪১) বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা করার পর থেকেই পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালায়।

ওসি জায়েদ নূর আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে আসামি। তাঁর বিরুদ্ধে এই হত্যাকাণ্ডসহ একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহীতে প্রার্থী পরিবর্তনের বিক্ষোভে ছাত্রদল নেতার শরীরে আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীতে প্রার্থী পরিবর্তনের বিক্ষোভে ছাত্রদল নেতার শরীরে আগুন। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহীতে প্রার্থী পরিবর্তনের বিক্ষোভে ছাত্রদল নেতার শরীরে আগুন। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী শফিকুল হক মিলনের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করার সময় ছাত্রদলের এক নেতার শরীরে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। পরে অন্য নেতা-কর্মীরা তাঁর গায়ে থাকা জার্সি খুলে আগুন নেভান।

আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাজশাহীর চৌদ্দপাই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ব্যক্তির নাম শহিদুল ইসলাম, তিনি জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। ঘটনার পর তাঁকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

শহিদুল ইসলাম সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কবির হোসেনের ছেলে নাসির হোসেন অস্থিরের সমর্থক। রাজশাহী-৩ আসনে শফিকুল হক মিলনের প্রাথমিক মনোনয়ন বাতিল করে নাসির হোসেন অস্থিরকে প্রার্থী করার দাবিতে এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়।

জানতে চাইলে নাসির হোসেন অস্থির বলেন, ‘আসনটিতে মনোনয়ন পেতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছি। দল মনোনয়ন না দিলে আমার সমর্থকেরা বিক্ষোভ করে। এ সময় টায়ারে আগুন দিতে গিয়ে শহিদুলের শরীরে আগুন ধরে যায়। পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’

এদিকে শফিকুল হক মিলনকে ‘বহিরাগত’ উল্লেখ করে মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিকেলে পবা উপজেলার আন্ধারকোটা এলাকায় বিক্ষোভ হয়েছে। জেলা বিএনপির সদস্য রায়হানুল আলম রায়হানের সমর্থকেরা এ বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ শেষে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তব্য দেন উপজেলার হুজরিপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব মুজিবুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন, হড়গ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, দামকুড়া ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম চুন্নু প্রমুখ।

বক্তারা অভিযোগ করেন, শফিকুল হক মিলন দলের মনোনয়ন পেলেও এলাকায় থাকেন না। তাঁর বাড়ি রাজশাহী মহানগর এলাকায়। শহরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে হয়। তাঁরা এমন প্রার্থী চান না। যিনি এলাকার ভোটার, তাঁরা তাঁকেই বিএনপির প্রার্থী হিসেবে চান।

উল্লেখ্য, শফিকুল হক মিলন রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি রাজশাহী-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত