প্রতিনিধি, কাপাসিয়া (গাজীপুর)
বিবাহ বিচ্ছেদের পর স্ত্রীকে পুনরায় ফিরিয়ে নিতে ব্যর্থ হন মেয়ের জামাই। শাশুড়িকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই আগুনে পুড়ে বিধবার বসতঘর পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মেয়ের জামাইয়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আগুন পুড়ে ছাই হয়ে যায় বিধবার ঘরের ভেতর থাকা সকল আসবাবপত্র, টাকা-পয়সাসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র। হুমকি পাওয়ার পর পাশের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন শাশুড়ি মোছা. খোরশেদা বেগম (৬৫। ফলে প্রাণে বেঁচে যান নাতীসহ বিধবা ওই নারী।
গতকাল সোমবার উপজেলার সনমানিয়া ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামে দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ ওঠে।
বিধবা খোরশেদার মেয়ে রহিমা জানান, তাঁদের চার বোনেরই বিয়ে হয়েছে। তাঁদের কোনো ভাই নেই। প্রায় ৯ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে তাঁর ছোট বোন সুরভী আক্তারের বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার দত্তেরগাঁও ভিটিপাড়া এলাকার রাজমিস্ত্রি রাশেদ খানের (৩০) সঙ্গে। বিয়ের পর রাশেদ-সুরভী দম্পতির ঘরে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু সুরভীর স্বামী রাশেদ মাদকাসক্ত হওয়ায় প্রায়ই সংসারে অশান্তি ও ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকত। স্বামীর অত্যাচারের মাত্রা বেশি হওয়ায় প্রায় দুই বছর আগে কন্যা মারিয়াকে স্বামীর কাছে রেখেই বাপের বাড়ি চলে আসে সুরভী। দীর্ঘ সময় পার হলেও কোনো পরিবর্তন না হওয়ায় একপর্যায়ে সুরভী স্বামীকে ডিভোর্স দেন। পরে সুরভী গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন এবং অন্যত্র বিয়ে করেন।
অপরদিকে সাবেক স্বামী রাশেদও অন্যত্র বিয়ে করেন। সৎ মায়ের ঘরে নিজের মেয়ের নিরাপত্তার কথা ভেবে সুরভী গেল কোরবানির ঈদে মেয়েকে নিজের কাছে আনেন। এরপর সুরভী তাঁর মায়ের কাছে রেখে চাকরিতে যান। এরপর রাশেদের হুমকিতে একপর্যায়ে সুরভি মেয়েকে নিজের কাছে নিয়ে যান। এরই মধ্যে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গেও বিবাহ বিচ্ছেদ হয় রাশেদের। এরপর তিনি পুনরায় সুরভীকে ফিরিয়ে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন।
রহিমা আরও জানান, গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে রাশেদ সুরভীকে ফোন দিয়ে বলেন, `তোদের বাড়িতে যাচ্ছি আর আগুন লাগিয়ে দিয়ে সবকিছু ছারখার করে দিবো।' সুরভি তখনই তাঁর মাকে বিষয়টি জানালে বৃদ্ধা মা পার্শ্ববর্তী মোশারফদের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন। রাত ১টার দিকে রাশেদ সুরভীকে ফোন করে বলেন, `মাত্র তোদের বাড়িতে আগুন লাগিয়েছি, প্রয়োজনে তোদের সবাইকে খুন করব।' এ সময় সুরভী ফোনে বিষয়টি তাঁর মাকে জানালে তাঁর মা ও প্রতিবেশীদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে দেখেন বসতঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে সনমানিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও প্রতিবেশী চুনি লাল দাশ জানান, পূর্বের ঘটনা ও মোবাইল ফোনে দেওয়া হুমকিতে সুরভীর সাবেক স্বামী রশেদই এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে মনে হচ্ছে। অভিভাবকহীন এ পরিবারটির সবকিছুই শেষ করে দেওয়ায় বিধবা খোরশেদা এখন আশ্রয়হীন হয়ে পড়লেন।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহাদাত হোসেন মাস্টার জানান, খবর পেয়ে সকালেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ বিষয়টি আমাকে ভীষণভাবে মর্মাহত করেছে।
খবর পেয়ে সকালে আড়াল তদন্ত কেন্দ্রের এস আই ইকবাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, পরিবারের লোকজন এবং এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে ঘটনাটি বিধবার মেয়ের জামাই রাশেদই ঘটিয়েছেন।
এ বিষয়ে আড়াল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. অহিদুজ্জামান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এখনো ওই পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিবাহ বিচ্ছেদের পর স্ত্রীকে পুনরায় ফিরিয়ে নিতে ব্যর্থ হন মেয়ের জামাই। শাশুড়িকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই আগুনে পুড়ে বিধবার বসতঘর পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মেয়ের জামাইয়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আগুন পুড়ে ছাই হয়ে যায় বিধবার ঘরের ভেতর থাকা সকল আসবাবপত্র, টাকা-পয়সাসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র। হুমকি পাওয়ার পর পাশের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন শাশুড়ি মোছা. খোরশেদা বেগম (৬৫। ফলে প্রাণে বেঁচে যান নাতীসহ বিধবা ওই নারী।
গতকাল সোমবার উপজেলার সনমানিয়া ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামে দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ ওঠে।
বিধবা খোরশেদার মেয়ে রহিমা জানান, তাঁদের চার বোনেরই বিয়ে হয়েছে। তাঁদের কোনো ভাই নেই। প্রায় ৯ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে তাঁর ছোট বোন সুরভী আক্তারের বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার দত্তেরগাঁও ভিটিপাড়া এলাকার রাজমিস্ত্রি রাশেদ খানের (৩০) সঙ্গে। বিয়ের পর রাশেদ-সুরভী দম্পতির ঘরে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু সুরভীর স্বামী রাশেদ মাদকাসক্ত হওয়ায় প্রায়ই সংসারে অশান্তি ও ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকত। স্বামীর অত্যাচারের মাত্রা বেশি হওয়ায় প্রায় দুই বছর আগে কন্যা মারিয়াকে স্বামীর কাছে রেখেই বাপের বাড়ি চলে আসে সুরভী। দীর্ঘ সময় পার হলেও কোনো পরিবর্তন না হওয়ায় একপর্যায়ে সুরভী স্বামীকে ডিভোর্স দেন। পরে সুরভী গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন এবং অন্যত্র বিয়ে করেন।
অপরদিকে সাবেক স্বামী রাশেদও অন্যত্র বিয়ে করেন। সৎ মায়ের ঘরে নিজের মেয়ের নিরাপত্তার কথা ভেবে সুরভী গেল কোরবানির ঈদে মেয়েকে নিজের কাছে আনেন। এরপর সুরভী তাঁর মায়ের কাছে রেখে চাকরিতে যান। এরপর রাশেদের হুমকিতে একপর্যায়ে সুরভি মেয়েকে নিজের কাছে নিয়ে যান। এরই মধ্যে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গেও বিবাহ বিচ্ছেদ হয় রাশেদের। এরপর তিনি পুনরায় সুরভীকে ফিরিয়ে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন।
রহিমা আরও জানান, গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে রাশেদ সুরভীকে ফোন দিয়ে বলেন, `তোদের বাড়িতে যাচ্ছি আর আগুন লাগিয়ে দিয়ে সবকিছু ছারখার করে দিবো।' সুরভি তখনই তাঁর মাকে বিষয়টি জানালে বৃদ্ধা মা পার্শ্ববর্তী মোশারফদের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন। রাত ১টার দিকে রাশেদ সুরভীকে ফোন করে বলেন, `মাত্র তোদের বাড়িতে আগুন লাগিয়েছি, প্রয়োজনে তোদের সবাইকে খুন করব।' এ সময় সুরভী ফোনে বিষয়টি তাঁর মাকে জানালে তাঁর মা ও প্রতিবেশীদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে দেখেন বসতঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে সনমানিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও প্রতিবেশী চুনি লাল দাশ জানান, পূর্বের ঘটনা ও মোবাইল ফোনে দেওয়া হুমকিতে সুরভীর সাবেক স্বামী রশেদই এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে মনে হচ্ছে। অভিভাবকহীন এ পরিবারটির সবকিছুই শেষ করে দেওয়ায় বিধবা খোরশেদা এখন আশ্রয়হীন হয়ে পড়লেন।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহাদাত হোসেন মাস্টার জানান, খবর পেয়ে সকালেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ বিষয়টি আমাকে ভীষণভাবে মর্মাহত করেছে।
খবর পেয়ে সকালে আড়াল তদন্ত কেন্দ্রের এস আই ইকবাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, পরিবারের লোকজন এবং এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে ঘটনাটি বিধবার মেয়ের জামাই রাশেদই ঘটিয়েছেন।
এ বিষয়ে আড়াল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. অহিদুজ্জামান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এখনো ওই পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, রাধানগর গ্রামের রাখাল চন্দ্র রায় নামে এক ব্যক্তি ১৯৭৩ সালে ৩৩ শতাংশ জমি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য দান করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৮ সালে তার নাতি অরূপ রায় ওই জমিতে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। অবশিষ্ট ৫৫ শতাংশ জমি সরকারি নথিতে খেলার মাঠ হিসেবে উল্লেখ করা আছে। ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়কর
২ মিনিট আগেজানা যায়, জনদুর্ভোগ কমাতে গত ১৬ এপ্রিল উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেতুর দুই পাশে দুটি সাইনবোর্ড লাগানো হয়। এতে সেতুর ওপর সব ধরনের দোকানপাট ও যানবাহন রাখা নিষেধ বলে সতর্ক করা হয়। ২০১১ সালে নির্মিত এই নতুন সেতুতে যানজট এড়াতে একসময় ট্রাফিক পুলিশ রাখা হলেও কয়েক মাস পর তাদের তুলে নেওয়া হয়।
১৮ মিনিট আগে২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে পর্যন্ত রফিকুল আলমকে বিএনপির কোনো কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। সেই সময় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মোহাম্মদ নদভীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা ও ব্যবসা ছিল। অভিযোগ আছে, গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের শাসনামলে তিনি ওইসব নেতাদের সঙ্গে মিলে নির্বিঘ্নে ব্যবসা চালিয়ে
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে পুরানো জাহাজের সরঞ্জাম বিক্রির দুটি দোকান ও একটি অক্সিজেন সিলিন্ডারের দোকানসহ মোট তিনটি দোকান পুড়ে গেছে। এ ছাড়া, মার্কেটের আরও কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মাদামবিবিরহাট চেয়ারম্যান
১ ঘণ্টা আগে