Ajker Patrika

সমন্বয়কদের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি ও মিথ্যা মামলা, দুদকের দ্বারস্থ সারজিস-হাসনাত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সমন্বয়কদের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি ও মিথ্যা মামলা, দুদকের দ্বারস্থ সারজিস-হাসনাত

সমন্বয়কদের নাম ভাঙিয়ে মিথ্যা মামলা ও চাঁদাবাজির চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ নিয়ে দুদকে গিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবগত করতে যান এই দুই সমন্বয়ক। পাশাপাশি নিরপরাধ কাউকে হয়রানি না করার জন্যও চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেন তারা। 

বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে যান দুই সমন্বয়ক। দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর সঙ্গে দেখা করেন। পরে সোয়া ১টার দিকে তারা বেরিয়ে যান। 

এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের সারজিস বলেন, ‘একটা গোষ্ঠী মিথ্যা মামলা ও চাঁদাবাজির চেষ্টা করছে। এই দুইটি সমস্যা খুবই প্রকট। কেউ যদি আমাদের নাম ভাঙিয়ে বা না ভাঙিয়ে মিথ্যা মামলা বা চাঁদাবাজির চেষ্টা করে; তাদের বিরুদ্ধে কমিশন যেন কঠোরভাবে অবস্থান নেয়। যদি কোনো সমস্যা হয়, তাহলে যেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করে ও সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দুদকে স্পষ্ট বার্তা দিতে এসেছি, আমরা কখনো চাঁদাবাজি ও মিথ্যা মামলা সমর্থন করি না। যারা এইগুলো করে, তাদেরকে যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত তুলে দেওয়া হয়।’ 

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা দুদকে এসেছি। আমরা খবর পেয়েছি-আমাদের নাম ব্যবহার করে চাঁদা চাওয়া হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। স্বাক্ষর নকল করে মামলা দেওয়া হচ্ছে। এসব বিষয়ে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নাই। আমাদের নাম ব্যবহার করে অসাধু উপায়ে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা এ বার্তাটি স্পষ্ট করতে এসেছি। আমাদের লিগ্যাল কোনো অথোরিটি নাই। আমাদের নাম ব্যবহার করে বিশেষ কোনো সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার ও দেওয়ার এখতিয়ার আমরা রাখি না।’ 

সিস্টেম সিস্টেমের মত চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা দুদকের কাছে এই অনুরোধটি নিয়ে এসেছি। দুদকের যে আইন রয়েছে, তা অনুযায়ী সবকিছু চলবে। আমাদের নাম ব্যবহার করে কেউ যেন কোনো সুযোগ-সুবিধা আদায় করতে না পারে, এই বার্তাটি আমরা স্পষ্ট করতে এসেছি।’ 

হাসনাত বলেন, ‘সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় সমন্বয়ক পরিচয়ে আমাদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে মামলা দেওয়া হচ্ছে, হয়রানি করা হচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যেহেতু নিজেদের পরিচয় ব্যবহার করে তাদের স্বার্থ হাসিল করতে পারছে না, আমাদের বিতর্কিত করার অভিপ্রায়ে আমাদের নাম ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। সমন্বয়ক পরিচয়ে আমরা বিশেষ কোনো সুযোগ-সুবিধা দাবি করতে পারি না। যারা দাবি করছে-তাদের আইনে সোপর্দ করে দেবেন।’ 

বিভিন্ন জায়গায় জোর করে পদত্যাগ করানো হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক মতাদর্শের পার্থক্যকে পুঁজি করে, জোর করে কিংবা বাধ্য করে পদত্যাগ করানো হচ্ছে। পদত্যাগের একটি প্রক্রিয়া রয়েছে। আহ্বান জানাব-গণদাবির মুখে পদত্যাগ না করে, আপনাদের যে বিদ্যমান প্রক্রিয়া রয়েছে তা অনুসরণ করুন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত