Ajker Patrika

ঢাবি শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ, শিক্ষক ড. নাদিরকে বাধ্যতামূলক ছুটি 

ঢাবি প্রতিনিধি
ঢাবি শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ, শিক্ষক ড. নাদিরকে বাধ্যতামূলক ছুটি 

শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দপ্তরের এক চিঠিতে তাঁকে তিন মাসের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এর আগে এই অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়। অধ্যাপক নাদিরের শাস্তি দাবিতে বিভাগের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনেও নামে।

সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দপ্তর থেকে চিঠিটি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল মনসুর আহাম্মদের কাছে পাঠানো হয়। পরে নিজ কক্ষের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সামনে তিনি তা পড়ে শোনান।

চিঠিতে বলা হয়, ‘বিভাগের শিক্ষার্থীদের গতকাল রোববারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে আপনাকে (ড. নাদির জুনাইদ) সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য আজ থেকে তিন মাসের জন্য ছুটি দেওয়া হলো। আপনার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের যথাযথ অনুসন্ধান ও তদন্ত করার জন্য বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় উপস্থাপন করা হবে এবং সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে আনীত যৌন হয়রানির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতির দাবি জানিয়ে গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি অপরাজেয় বাংলার সামনে মানববন্ধন ও বিভাগের করিডোর দিনভর অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল একই দাবিতে অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদের কক্ষ ও শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুলানো, উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি, গণস্বাক্ষর কর্মসূচি ও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

গত বুধবার বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা তাঁর (নাদির) বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে স্নাতকোত্তরের ফলাফল ধসিয়ে দিয়েছেন মর্মে উপাচার্যকে অভিযোগ দেন। এরইমধ্যে শনিবার এক ছাত্রী প্রক্টরের কাছে তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ দেন। এতে ফুঁসে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। পরে ওই শিক্ষার্থী উপাচার্যের কাছেও লিখিত অভিযোগ দেন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনমাসের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত