জুলাই আন্দোলন
অর্চি হক, ঢাকা
রাজধানীর বাড্ডার আওলাতুন্নেছা উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র রিফাত হাওলাদার। ভালো ফুটবলার হিসেবে পাড়ায় নাম ছিল তার। কিন্তু গত এক বছরে ফুটবলে পা ছোঁয়ানো হয়নি রিফাতের। তার ডান পা কেটে ফেলা হয়েছে হাঁটুর ওপর থেকে।
জুলাই আন্দোলনের সময় গত বছরের ১৯ জুলাই রাজধানীর বাড্ডায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পায়ে গুলিবিদ্ধ হয় রিফাত। উপায়ান্তর না পেয়ে চিকিৎসকেরা শেষ পর্যন্ত তার পা কেটে ফেলার সিদ্ধান্তই নেন। সেখানে এখন সংযোজন করা হয়েছে কৃত্রিম পা। ফুটবলার হতে চাওয়া ছেলেটি এখন জীবনসংগ্রামে টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে এই কৃত্রিম পা সঙ্গী করে।
গত বছর দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল রিফাত হাওলাদার। চলছিল এসএসসি পরীক্ষার জোর প্রস্তুতি। দক্ষিণ বাড্ডার একটি কোচিং সেন্টারে পড়ত সে। গত বছর ১৫ জুলাই কোটা আন্দোলন যখন দানা বাঁধছে, তখন সেই কোচিং সেন্টারের একজন শিক্ষকের ডাকে সাড়া দিয়ে আন্দোলনে যোগ দেয় এই কিশোর।
এক বছর আগের দুঃসহ সেই দিনের স্মৃতিচারণা করে আজকের পত্রিকাকে রিফাত জানায়, পরিস্থিতি তখন দিনকে দিন খারাপ হচ্ছিল। ১৯ জুলাই সকালে এক বন্ধু বাসা থেকে ডেকে নেয়। ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। কিছু জানা যাচ্ছিল না। তাই রাস্তার পরিস্থিতি দেখতে বের হয় তারা।
রিফাতের বর্ণনায়, ‘বাড্ডা এলাকার ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সামনে যাওয়ার পর দেখি কিছু মানুষ পেট্রল পাম্প ভাঙচুর করতেছে। তাদের থামাতে যাই। কিন্তু থামতেছিল না। ছাত্র ভাইয়েরা বেশি ছিল না তখন। তখনো গুলি নিক্ষেপ শুরু হয় নাই। হাতে ময়লা, হাত ধুইতে সামনে আগাই। রামপুরা ব্রিজের দিকে লেবুর শরবত ছিল৷ ওইখানে শরবত খাওয়ার জন্য যাচ্ছিলাম। আমার বন্ধু আগেই চলে গেছে। হঠাৎ একটা শব্দ। এরপর দেখি, আমার ডান পা-টা আর চলতেছে না। তাকায় দেখি, ব্লিডিং হচ্ছে।’
বর্তমানে ব্র্যাকের লিম্ব অ্যান্ড ব্রেস সেন্টারে (বিএলবিসি) চিকিৎসা নিচ্ছে রিফাত। সংযোজন করা হয়েছে কৃত্রিম পা। কৃত্রিম এই অঙ্গ সঙ্গী করে নতুন করে স্বপ্ন বুনছে রিফাত। নতুন করে চলছে তার জীবনসংগ্রাম। জুলাই আন্দোলনে রিফাতের মতো অঙ্গ হারানো ১৮৪ জনকে চিকিৎসা দিয়েছে বিএলবিসি।
গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নির্বিচার গুলিবর্ষণে বহু প্রাণ ঝরে যায়, অনেকে স্থায়ীভাবে প্রতিবন্ধিত্বের শিকার হন। আহতদের বেশির ভাগই ছিলেন তরুণ এবং নিম্ন আয়ের পরিবারের সদস্য। তাঁদের কেউ শিক্ষার্থী, কেউ শ্রমজীবী, আবার কেউ পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। অনেক আহত ব্যক্তির পরিবার চিকিৎসার খরচ কীভাবে চালাবে তা নিয়ে ছিল ভীষণ চিন্তিত।
এমন প্রেক্ষাপটে তাঁদের পাশে বন্ধু হয়ে দাঁড়ায় ব্র্যাক লিম্ব অ্যান্ড ব্রেস সেন্টার। ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, নিটোরসহ দেশের ১৪টির বেশি হাসপাতালে জুলাই আন্দোলনে আহতদের শনাক্তের কাজ শুরু করে বিএলবিসি। এ পর্যন্ত সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে ৩৪ জনের শরীরে কৃত্রিম অঙ্গ সংযোজন করেছে তারা। চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে ১৮৪ জনকে। আগামী পাঁচ বছর বিনা মূল্যে এই সেবা দেবে বিএলবিসি। শুধু কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপন বা ব্রেস প্রদান নয়, ২৫০ জন আহতকে চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের সহায়তাও দেবে বিএলবিসি। এ ছাড়া জুলাই আন্দোলনে আহত ৪১৬ জনকে প্রাথমিকভাবে ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তাও দিয়েছে তারা।
রাজধানীর বাড্ডার আওলাতুন্নেছা উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র রিফাত হাওলাদার। ভালো ফুটবলার হিসেবে পাড়ায় নাম ছিল তার। কিন্তু গত এক বছরে ফুটবলে পা ছোঁয়ানো হয়নি রিফাতের। তার ডান পা কেটে ফেলা হয়েছে হাঁটুর ওপর থেকে।
জুলাই আন্দোলনের সময় গত বছরের ১৯ জুলাই রাজধানীর বাড্ডায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পায়ে গুলিবিদ্ধ হয় রিফাত। উপায়ান্তর না পেয়ে চিকিৎসকেরা শেষ পর্যন্ত তার পা কেটে ফেলার সিদ্ধান্তই নেন। সেখানে এখন সংযোজন করা হয়েছে কৃত্রিম পা। ফুটবলার হতে চাওয়া ছেলেটি এখন জীবনসংগ্রামে টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে এই কৃত্রিম পা সঙ্গী করে।
গত বছর দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল রিফাত হাওলাদার। চলছিল এসএসসি পরীক্ষার জোর প্রস্তুতি। দক্ষিণ বাড্ডার একটি কোচিং সেন্টারে পড়ত সে। গত বছর ১৫ জুলাই কোটা আন্দোলন যখন দানা বাঁধছে, তখন সেই কোচিং সেন্টারের একজন শিক্ষকের ডাকে সাড়া দিয়ে আন্দোলনে যোগ দেয় এই কিশোর।
এক বছর আগের দুঃসহ সেই দিনের স্মৃতিচারণা করে আজকের পত্রিকাকে রিফাত জানায়, পরিস্থিতি তখন দিনকে দিন খারাপ হচ্ছিল। ১৯ জুলাই সকালে এক বন্ধু বাসা থেকে ডেকে নেয়। ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। কিছু জানা যাচ্ছিল না। তাই রাস্তার পরিস্থিতি দেখতে বের হয় তারা।
রিফাতের বর্ণনায়, ‘বাড্ডা এলাকার ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সামনে যাওয়ার পর দেখি কিছু মানুষ পেট্রল পাম্প ভাঙচুর করতেছে। তাদের থামাতে যাই। কিন্তু থামতেছিল না। ছাত্র ভাইয়েরা বেশি ছিল না তখন। তখনো গুলি নিক্ষেপ শুরু হয় নাই। হাতে ময়লা, হাত ধুইতে সামনে আগাই। রামপুরা ব্রিজের দিকে লেবুর শরবত ছিল৷ ওইখানে শরবত খাওয়ার জন্য যাচ্ছিলাম। আমার বন্ধু আগেই চলে গেছে। হঠাৎ একটা শব্দ। এরপর দেখি, আমার ডান পা-টা আর চলতেছে না। তাকায় দেখি, ব্লিডিং হচ্ছে।’
বর্তমানে ব্র্যাকের লিম্ব অ্যান্ড ব্রেস সেন্টারে (বিএলবিসি) চিকিৎসা নিচ্ছে রিফাত। সংযোজন করা হয়েছে কৃত্রিম পা। কৃত্রিম এই অঙ্গ সঙ্গী করে নতুন করে স্বপ্ন বুনছে রিফাত। নতুন করে চলছে তার জীবনসংগ্রাম। জুলাই আন্দোলনে রিফাতের মতো অঙ্গ হারানো ১৮৪ জনকে চিকিৎসা দিয়েছে বিএলবিসি।
গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নির্বিচার গুলিবর্ষণে বহু প্রাণ ঝরে যায়, অনেকে স্থায়ীভাবে প্রতিবন্ধিত্বের শিকার হন। আহতদের বেশির ভাগই ছিলেন তরুণ এবং নিম্ন আয়ের পরিবারের সদস্য। তাঁদের কেউ শিক্ষার্থী, কেউ শ্রমজীবী, আবার কেউ পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। অনেক আহত ব্যক্তির পরিবার চিকিৎসার খরচ কীভাবে চালাবে তা নিয়ে ছিল ভীষণ চিন্তিত।
এমন প্রেক্ষাপটে তাঁদের পাশে বন্ধু হয়ে দাঁড়ায় ব্র্যাক লিম্ব অ্যান্ড ব্রেস সেন্টার। ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, নিটোরসহ দেশের ১৪টির বেশি হাসপাতালে জুলাই আন্দোলনে আহতদের শনাক্তের কাজ শুরু করে বিএলবিসি। এ পর্যন্ত সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে ৩৪ জনের শরীরে কৃত্রিম অঙ্গ সংযোজন করেছে তারা। চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে ১৮৪ জনকে। আগামী পাঁচ বছর বিনা মূল্যে এই সেবা দেবে বিএলবিসি। শুধু কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপন বা ব্রেস প্রদান নয়, ২৫০ জন আহতকে চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের সহায়তাও দেবে বিএলবিসি। এ ছাড়া জুলাই আন্দোলনে আহত ৪১৬ জনকে প্রাথমিকভাবে ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তাও দিয়েছে তারা।
গত ২৮ জুলাই নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের লিখিত, মৌখিক ও প্রেজেন্টেশন পরীক্ষায় তারা উত্তীর্ণ হন। পরে নিয়ম অনুযায়ী ডোপ টেস্টে অংশ নিলে দুজনের শরীরে গাঁজা জাতীয় মাদকের উপস্থিতি মেলে।
২ মিনিট আগেমুফিজুল হক সিকদার দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। শুক্রবার (৮ আগস্ট) আসরের নামাজের পর রাউজান উপজেলার নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের ফতেহনগর গ্রামের ফতেহ মোহাম্মদ সিকদার বাড়ি জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
৭ মিনিট আগেসুনামগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ শিক্ষার্থীসহ ৩ জনের প্রাণ কেড়ে নেওয়া ঘাতক বাসচালককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত জাকির আলম (৩৫) সিলেটের বিশ্বনাথের...
১ ঘণ্টা আগেমাদারীপুর সদর, রাজৈর, কালকিনি, শিবচর ও ডাসার উপজেলায় কাগজে-কলমে ১৭টি নদনদী থাকলেও বর্তমানে দৃশ্যমান ১০টি। এর মধ্যে পদ্মা, পালরদী, আড়িয়াল খাঁ, ময়নাকাটা, বিষারকান্দি ও কুমার নদ উল্লেখযোগ্য। এসব নদনদী ঘিরে জেলার ৫ উপজেলায় ৩৪টি স্লুইস গেট নির্মাণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে ২৯টি পুরোপুরি অকেজো, আর বাকি ৫টিও
১ ঘণ্টা আগে