নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মুদি দোকানদার সাইফুল ইসলাম ওরফে টুটুল ও চা দোকানি তৈয়ব আলীর নেতৃত্বে রাজধানীর বাড্ডা থানার লিংক রোডে গড়ে তোলেন রিক্রুটিং এজেন্সির তিনটি প্রতিষ্ঠান। আর এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে লোভনীয় চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশে লোক পাঠাত তারা।
তাদের ফাঁদে পা দিয়ে বিদেশে গেলে জিম্মি করে আদায় করা হতো লাখ লাখ টাকা। আবার বিদেশে পাঠানোর নামে অগ্রিম টাকা হাতিয়ে নিয়ে দিনের পর দিন ঘোরানো হতো। এই চক্রের মাধ্যমে এক তরুণীকে জর্ডানে পাঠানোর পরে জিম্মি করে রাখার অভিযোগে মূল হোতা টুটুল ও তাঁর প্রধান সহযোগীসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক।
র্যাবের হাতে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-সাইফুল ইসলাম ওরফে টুটুল, তৈয়ব আলী, শাহ্ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন লিমন, মারুফ হাসান, জাহাঙ্গীর আলম, লালটু ইসলাম, আল আমিন হোসাইন, আব্দল্লাহ আল মামুন।
অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক বলেন, অল্প সময়ে বেশি আয়ের লোভে মুদি দোকানি সাইফুল ইসলাম টুটুল ও তাঁর প্রধান সহযোগী তৈয়ব আলী রাজধানীর বাড্ডায় গড়ে তোলেন টুটুল ওভারসিজ, লিমন ওভারসিজ ও লয়াল ওভারসিজ নামে তিনটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এই প্রতিষ্ঠানের সরকারি কোনো ধরনের অনুমোদন ছিল না।
র্যাব-৪ এর অধিনায়ক বলেন, মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যরা টুটুল ও তৈয়বের নির্দেশে দেশের বেকার ও অসচ্ছল যুবক-যুবতীদের প্রলোভন দেখিয়ে সৌদি আরব, জর্ডান ও লেবাননসহ বিভিন্ন দেশের বাসাবাড়িতে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নিত। এ পর্যন্ত চক্রটি ৫০ জনের বেশি মানুষকে অবৈধভাবে বিদেশে পাচার ও বিক্রি করে আসছিল তারা। এ ছাড়াও শতাধিক মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মোজাম্মেল হক বলেন, টুটল ও তৈয়ব তাদের অফিসে ভুক্তভোগীদের বিদেশে বাসাবাড়িতে কাজের নামে পাঠানোর উদ্দেশ্যে ভুয়া মানি রিসিট দিতেন। তারা প্রতি জনের কাছ থেকে ২-৫ লাখ টাকা করে নিত। প্রতারণার উদ্দেশ্যে এই পাচারকারী চক্রের কয়েকজন সদস্য নিজেদেরকে উচ্চশিক্ষিত বলে পরিচয় দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করা ভুক্তভোগীদেরকে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের বাসাবাড়িতে কাজের প্রশিক্ষণ দিয়ে সেখান থেকেও টাকা নিতেন।
ভুক্তভোগীদের পাসপার্টসহ অন্যান্য কাগজপত্র সংগ্রহ করত। এতে করে ভুক্তভোগীদের মনে কোন সন্দেহ থাকত না। এই চক্রের কিছু সদস্য পাসপোর্ট অফিসের দালালদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ভিকটিমদের পাসপোর্ট তৈরি করে দিত।
চক্রটি বিক্রির উদ্দেশ্যেও ভুক্তভোগীদের বিদেশে পাচার করত উল্লেখ করে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, সকল প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে নারীদের বিদেশে বাসাবাড়িতে কাজের কথা বলে বিক্রি এবং পুরুষ ভুক্তভোগীদের অমানবিক কাজে নিয়োজিত করার উদ্দেশ্যে সৌদি আরবের জেদ্দা ও রিয়াদ, জর্ডান ও লেবাননে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করত।
এতে অনেকেই বিদেশ গিয়ে আর তাতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারত না। যাদেরকে বিদেশে পাঠাতে পারত না তারা টাকা ফেরতের আশায় অফিসে যোগাযোগ করলে তাদেরকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের টাকা না দিয়ে আত্মসাৎ করে আসছিল চক্রের মুলহোতা টুটুল ও তৈয়ব।
টুটুল ও তৈয়বের উত্থান
র্যাব জানায়, এইচএসসি পাশ টুটুল মেহেরপুরের গাংনী থানাধীন কামন্দী গ্রামে মুদি দোকানদার হিসেবে কাজ করতা। মাঝে মাঝে ঢাকায় আসত। অল্পসময়ে অধিক টাকার মালিক হওয়ার লাভে ধীরে ধীরে মানবপাচারকারী কোন চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে এবং চক্রের দালাল হিসেবে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশে লোক পাঠানোর কাজ করতে থাকে। পরবর্তীতে নিজেই রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় প্রতারণামূলকভাবে তিনটি ওভারসিজ এজেন্সির অফিস খুলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বেকার ও শিক্ষিত বহু নারী ও পুরুষকে বিদেশে পাঠানোর নামে প্রতারণা শুরু করে। আর টুটুলের এই প্রতারণার কাজে অন্যতম দালাল বা সহযোগী ছিলেন আবু তৈয়ব। সে কোন পড়াশোনা জানে না। চায়ের দোকানদারী করত। টুটুলের প্ররোচনায় মানব পাচারকারী চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে এবং বহু লোককে প্রতারণামূলকভাবে বিদেশে প্রেরণ এবং দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়। এই চক্রের হাতে এখন পর্যন্ত দেশ ও দেশের বাইরে মিলিয়ে শতাধিক মানুষ প্রতারিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা ২০-২৫ জন ভুক্তভোগী পেয়েছি।
গ্রেপ্তার চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে মানব পাচার ও প্রতারণা আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
মুদি দোকানদার সাইফুল ইসলাম ওরফে টুটুল ও চা দোকানি তৈয়ব আলীর নেতৃত্বে রাজধানীর বাড্ডা থানার লিংক রোডে গড়ে তোলেন রিক্রুটিং এজেন্সির তিনটি প্রতিষ্ঠান। আর এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে লোভনীয় চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশে লোক পাঠাত তারা।
তাদের ফাঁদে পা দিয়ে বিদেশে গেলে জিম্মি করে আদায় করা হতো লাখ লাখ টাকা। আবার বিদেশে পাঠানোর নামে অগ্রিম টাকা হাতিয়ে নিয়ে দিনের পর দিন ঘোরানো হতো। এই চক্রের মাধ্যমে এক তরুণীকে জর্ডানে পাঠানোর পরে জিম্মি করে রাখার অভিযোগে মূল হোতা টুটুল ও তাঁর প্রধান সহযোগীসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক।
র্যাবের হাতে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-সাইফুল ইসলাম ওরফে টুটুল, তৈয়ব আলী, শাহ্ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন লিমন, মারুফ হাসান, জাহাঙ্গীর আলম, লালটু ইসলাম, আল আমিন হোসাইন, আব্দল্লাহ আল মামুন।
অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক বলেন, অল্প সময়ে বেশি আয়ের লোভে মুদি দোকানি সাইফুল ইসলাম টুটুল ও তাঁর প্রধান সহযোগী তৈয়ব আলী রাজধানীর বাড্ডায় গড়ে তোলেন টুটুল ওভারসিজ, লিমন ওভারসিজ ও লয়াল ওভারসিজ নামে তিনটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এই প্রতিষ্ঠানের সরকারি কোনো ধরনের অনুমোদন ছিল না।
র্যাব-৪ এর অধিনায়ক বলেন, মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যরা টুটুল ও তৈয়বের নির্দেশে দেশের বেকার ও অসচ্ছল যুবক-যুবতীদের প্রলোভন দেখিয়ে সৌদি আরব, জর্ডান ও লেবাননসহ বিভিন্ন দেশের বাসাবাড়িতে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নিত। এ পর্যন্ত চক্রটি ৫০ জনের বেশি মানুষকে অবৈধভাবে বিদেশে পাচার ও বিক্রি করে আসছিল তারা। এ ছাড়াও শতাধিক মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মোজাম্মেল হক বলেন, টুটল ও তৈয়ব তাদের অফিসে ভুক্তভোগীদের বিদেশে বাসাবাড়িতে কাজের নামে পাঠানোর উদ্দেশ্যে ভুয়া মানি রিসিট দিতেন। তারা প্রতি জনের কাছ থেকে ২-৫ লাখ টাকা করে নিত। প্রতারণার উদ্দেশ্যে এই পাচারকারী চক্রের কয়েকজন সদস্য নিজেদেরকে উচ্চশিক্ষিত বলে পরিচয় দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করা ভুক্তভোগীদেরকে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের বাসাবাড়িতে কাজের প্রশিক্ষণ দিয়ে সেখান থেকেও টাকা নিতেন।
ভুক্তভোগীদের পাসপার্টসহ অন্যান্য কাগজপত্র সংগ্রহ করত। এতে করে ভুক্তভোগীদের মনে কোন সন্দেহ থাকত না। এই চক্রের কিছু সদস্য পাসপোর্ট অফিসের দালালদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ভিকটিমদের পাসপোর্ট তৈরি করে দিত।
চক্রটি বিক্রির উদ্দেশ্যেও ভুক্তভোগীদের বিদেশে পাচার করত উল্লেখ করে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, সকল প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে নারীদের বিদেশে বাসাবাড়িতে কাজের কথা বলে বিক্রি এবং পুরুষ ভুক্তভোগীদের অমানবিক কাজে নিয়োজিত করার উদ্দেশ্যে সৌদি আরবের জেদ্দা ও রিয়াদ, জর্ডান ও লেবাননে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করত।
এতে অনেকেই বিদেশ গিয়ে আর তাতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারত না। যাদেরকে বিদেশে পাঠাতে পারত না তারা টাকা ফেরতের আশায় অফিসে যোগাযোগ করলে তাদেরকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের টাকা না দিয়ে আত্মসাৎ করে আসছিল চক্রের মুলহোতা টুটুল ও তৈয়ব।
টুটুল ও তৈয়বের উত্থান
র্যাব জানায়, এইচএসসি পাশ টুটুল মেহেরপুরের গাংনী থানাধীন কামন্দী গ্রামে মুদি দোকানদার হিসেবে কাজ করতা। মাঝে মাঝে ঢাকায় আসত। অল্পসময়ে অধিক টাকার মালিক হওয়ার লাভে ধীরে ধীরে মানবপাচারকারী কোন চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে এবং চক্রের দালাল হিসেবে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশে লোক পাঠানোর কাজ করতে থাকে। পরবর্তীতে নিজেই রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় প্রতারণামূলকভাবে তিনটি ওভারসিজ এজেন্সির অফিস খুলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বেকার ও শিক্ষিত বহু নারী ও পুরুষকে বিদেশে পাঠানোর নামে প্রতারণা শুরু করে। আর টুটুলের এই প্রতারণার কাজে অন্যতম দালাল বা সহযোগী ছিলেন আবু তৈয়ব। সে কোন পড়াশোনা জানে না। চায়ের দোকানদারী করত। টুটুলের প্ররোচনায় মানব পাচারকারী চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে এবং বহু লোককে প্রতারণামূলকভাবে বিদেশে প্রেরণ এবং দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়। এই চক্রের হাতে এখন পর্যন্ত দেশ ও দেশের বাইরে মিলিয়ে শতাধিক মানুষ প্রতারিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা ২০-২৫ জন ভুক্তভোগী পেয়েছি।
গ্রেপ্তার চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে মানব পাচার ও প্রতারণা আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
১ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
২ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
২ ঘণ্টা আগে