সাইফুল মাসুম, ঢাকা
‘অনেক বছর ধরে ব্যবসা করতাছি, উচ্ছেদও করছে কয়েকবার। এখনো আতঙ্ক লাগে। তবে মাস গেলেই নানা গ্রুপকে মাসোহারা দিয়া এখনো টিইক্যা আছি।’ আবুল কাশেমের এমন কথায় রাজধানীর সব হকারের অবস্থাই যেন উঠে এল।
আজকের পত্রিকাকে কাশেম জানান, ২০ বছর ধরে মহাখালীর অস্থায়ী দোকানে ব্যবসা করে আসছেন। অধিকাংশ সময় গার্মেন্টসের প্যান্ট বিক্রি করলেও শীত মৌসুমে সোয়েটার ও কম্বল বিক্রি করেন কাশেম।
ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) এক গবেষণায় বলা হয়েছে, রাজধানীর উত্তর-দক্ষিণে দুই অংশে ফুটপাতের দৈর্ঘ্য ৪৩০ কিলোমিটার। ফুটপাত দখল করে অবৈধ পথে চলছে হকারদের ব্যবসা। হকার রয়েছেন আড়াই লাখের বেশি। ফুটপাতে বসতে একজন হকারকে এলাকাভেদে দৈনিক ৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত মাসোহারা দিতে হয়। লাইনম্যানদের মাধ্যমে এই টাকার ভাগ চলে যায় রাজনৈতিক নেতা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ বিভিন্ন মহলে।
গবেষণায় আরও বলা হয়, হকারদের কাছ থেকে তোলা চাঁদার পরিমাণ বছরে প্রায় এক হাজার ৮২৫ কোটি টাকা। এই টাকার পুরো অংশই চলে যাচ্ছে অদৃশ্য নিয়ন্ত্রকদের পকেটে।
বেসরকারি সংস্থা বিআইজিডির এ তথ্য ২০১৬ সালের হলেও সেই অবস্থা অনেকটাই অপরিবর্তিত রয়ে গেছে।
ফুটপাতে অব্যবস্থাপনা দূর করতে এবং চাঁদাবাজি বন্ধ করতে প্রায় দেড় বছর আগে একটি বিশেষ প্রকল্পের ঘোষণা দিয়েছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
তখন বলা হয়েছিল, এই প্রকল্পের আওতায় বৈধভাবে ব্যবসা করার সুযোগ পাবেন হকাররা। তাঁদের হয়রানি ও চাঁদা দেওয়া বন্ধ হবে। বৈধ লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করায় উল্টো রাজস্ব বাড়বে সিটি করপোরেশনের।
হকার নেতারা বলছেন, তাঁরা স্বল্প পুঁজি নিয়ে বৈধভাবে ব্যবসা করতে চান। লাইসেন্স পেলে নিয়ম মেনে সরকারকে দিতে চান রাজস্ব। তবে হকারদের ট্রেড লাইসেন্স কবে দেওয়া শুরু হবে তা নিয়ে কোনো দৃশ্যমান কার্যক্রম না থাকায় প্রকল্প নিয়ে অনেকের মধ্যে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে কি না—এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে বাংলাদেশ বহুমুখী শ্রমজীবী ও হকার সমিতির সভাপতি বাচ্চু ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা দাবি জানিয়েছি, বিকল্প ব্যবস্থার আগে হকারদের উচ্ছেদ করা যাবে না। কিন্তু তারপরও আমরা বিভিন্ন সময় হামলা, মামলা ও উচ্ছেদের শিকার হয়েছি। আমাদের বৈধভাবে ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়া হলে, তাহলে হকারদের লাইনম্যান, পুলিশ আর মাস্তানদের টাকা দিতে হবে না। তবে এ বিষয়ে সিটি করপোরেশন থেকে কিছু বলা হচ্ছে না।’
বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল হাসেম কবির বলেন, ‘আমরা বারবার চাঁদা দিতে পারব না। লাইসেন্স নিয়ে যা দেওয়ার সিটি করপোরেশনের রাজস্ব খাতে দেব।’
এ বিষয়ে ডিএনসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (উপসচিব) মোহাম্মদ আবদুল হামিদ মিয়া বলেন, ‘এটা প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা বলতে পারবেন। দোকান বানাবেন চিফ ইঞ্জিনিয়ার, বরাদ্দ দেবেন সম্পত্তি কর্মকর্তা। আমাদের কাছে ট্রেড লাইসেন্স চাইলে, আমরা সঙ্গে সঙ্গে তা দিয়ে দেব।’ এদিকে প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন প্রকল্পের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
আবার হকারদের নিয়ে বড় পরিকল্পনার কথা জানালেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা। তিনি বলেন, ‘হকার নিয়ে আমাদের অনেক বড় পরিকল্পনা আছে। তাঁদের নিবন্ধনের আওতায় এনে স্ট্রিট মার্কেট করে দিতে চাই। করোনায় কার্যক্রম থেমে গেছে।’
নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব বলেন, ‘ফুটপাত শুধু পথচারীর। তবে তাঁদের সঙ্গে হকারদের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। এখন প্রয়োজন ফুটপাতকে অবমুক্ত করে, বিভিন্ন রকমের পদ্ধতিতে রাস্তাগুলোকে ব্যবহার করা। হকারদের নিবন্ধিত করার মাধ্যমে দিনের বিভিন্ন সময় ফুটপাতকে লিজ দেওয়া। এটি বাস্তবায়নে এখনো নীতিমালা হয়নি তবে কাজ চলছে।’
‘অনেক বছর ধরে ব্যবসা করতাছি, উচ্ছেদও করছে কয়েকবার। এখনো আতঙ্ক লাগে। তবে মাস গেলেই নানা গ্রুপকে মাসোহারা দিয়া এখনো টিইক্যা আছি।’ আবুল কাশেমের এমন কথায় রাজধানীর সব হকারের অবস্থাই যেন উঠে এল।
আজকের পত্রিকাকে কাশেম জানান, ২০ বছর ধরে মহাখালীর অস্থায়ী দোকানে ব্যবসা করে আসছেন। অধিকাংশ সময় গার্মেন্টসের প্যান্ট বিক্রি করলেও শীত মৌসুমে সোয়েটার ও কম্বল বিক্রি করেন কাশেম।
ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) এক গবেষণায় বলা হয়েছে, রাজধানীর উত্তর-দক্ষিণে দুই অংশে ফুটপাতের দৈর্ঘ্য ৪৩০ কিলোমিটার। ফুটপাত দখল করে অবৈধ পথে চলছে হকারদের ব্যবসা। হকার রয়েছেন আড়াই লাখের বেশি। ফুটপাতে বসতে একজন হকারকে এলাকাভেদে দৈনিক ৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত মাসোহারা দিতে হয়। লাইনম্যানদের মাধ্যমে এই টাকার ভাগ চলে যায় রাজনৈতিক নেতা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ বিভিন্ন মহলে।
গবেষণায় আরও বলা হয়, হকারদের কাছ থেকে তোলা চাঁদার পরিমাণ বছরে প্রায় এক হাজার ৮২৫ কোটি টাকা। এই টাকার পুরো অংশই চলে যাচ্ছে অদৃশ্য নিয়ন্ত্রকদের পকেটে।
বেসরকারি সংস্থা বিআইজিডির এ তথ্য ২০১৬ সালের হলেও সেই অবস্থা অনেকটাই অপরিবর্তিত রয়ে গেছে।
ফুটপাতে অব্যবস্থাপনা দূর করতে এবং চাঁদাবাজি বন্ধ করতে প্রায় দেড় বছর আগে একটি বিশেষ প্রকল্পের ঘোষণা দিয়েছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
তখন বলা হয়েছিল, এই প্রকল্পের আওতায় বৈধভাবে ব্যবসা করার সুযোগ পাবেন হকাররা। তাঁদের হয়রানি ও চাঁদা দেওয়া বন্ধ হবে। বৈধ লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করায় উল্টো রাজস্ব বাড়বে সিটি করপোরেশনের।
হকার নেতারা বলছেন, তাঁরা স্বল্প পুঁজি নিয়ে বৈধভাবে ব্যবসা করতে চান। লাইসেন্স পেলে নিয়ম মেনে সরকারকে দিতে চান রাজস্ব। তবে হকারদের ট্রেড লাইসেন্স কবে দেওয়া শুরু হবে তা নিয়ে কোনো দৃশ্যমান কার্যক্রম না থাকায় প্রকল্প নিয়ে অনেকের মধ্যে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে কি না—এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে বাংলাদেশ বহুমুখী শ্রমজীবী ও হকার সমিতির সভাপতি বাচ্চু ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা দাবি জানিয়েছি, বিকল্প ব্যবস্থার আগে হকারদের উচ্ছেদ করা যাবে না। কিন্তু তারপরও আমরা বিভিন্ন সময় হামলা, মামলা ও উচ্ছেদের শিকার হয়েছি। আমাদের বৈধভাবে ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়া হলে, তাহলে হকারদের লাইনম্যান, পুলিশ আর মাস্তানদের টাকা দিতে হবে না। তবে এ বিষয়ে সিটি করপোরেশন থেকে কিছু বলা হচ্ছে না।’
বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল হাসেম কবির বলেন, ‘আমরা বারবার চাঁদা দিতে পারব না। লাইসেন্স নিয়ে যা দেওয়ার সিটি করপোরেশনের রাজস্ব খাতে দেব।’
এ বিষয়ে ডিএনসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (উপসচিব) মোহাম্মদ আবদুল হামিদ মিয়া বলেন, ‘এটা প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা বলতে পারবেন। দোকান বানাবেন চিফ ইঞ্জিনিয়ার, বরাদ্দ দেবেন সম্পত্তি কর্মকর্তা। আমাদের কাছে ট্রেড লাইসেন্স চাইলে, আমরা সঙ্গে সঙ্গে তা দিয়ে দেব।’ এদিকে প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন প্রকল্পের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
আবার হকারদের নিয়ে বড় পরিকল্পনার কথা জানালেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা। তিনি বলেন, ‘হকার নিয়ে আমাদের অনেক বড় পরিকল্পনা আছে। তাঁদের নিবন্ধনের আওতায় এনে স্ট্রিট মার্কেট করে দিতে চাই। করোনায় কার্যক্রম থেমে গেছে।’
নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব বলেন, ‘ফুটপাত শুধু পথচারীর। তবে তাঁদের সঙ্গে হকারদের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। এখন প্রয়োজন ফুটপাতকে অবমুক্ত করে, বিভিন্ন রকমের পদ্ধতিতে রাস্তাগুলোকে ব্যবহার করা। হকারদের নিবন্ধিত করার মাধ্যমে দিনের বিভিন্ন সময় ফুটপাতকে লিজ দেওয়া। এটি বাস্তবায়নে এখনো নীতিমালা হয়নি তবে কাজ চলছে।’
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট বাজারে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার এক মাস যেতে না যেতেই উঠে যাচ্ছে সড়কের আরসিসি ঢালাই। এ ছাড়া সড়কটির সম্প্রসারণ জয়েন্টগুলোতে আঁকাবাঁকা ফাটল দেখা দিয়েছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে সংশ্লিষ্টরা তাড়াহুড়া করে বিটুমিন দিয়ে ফাটল বন্ধের চেষ্টা চালিয়েছেন বলে জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেতিন পার্বত্য জেলার মধ্যে আগে থেকেই চিকিৎসাসেবায় পিছিয়ে খাগড়াছড়ি। তার ওপর বছরের পর বছর চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারী ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকট থাকায় খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা।
৩ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার দুর্গাপুরে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় (২৪) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান...
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর খিলগাঁওয়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তবে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই আগুন নিভে গেছে। এতে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
৫ ঘণ্টা আগে