ঢামেক প্রতিবেদক
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে আহত কারিমুল ইসলাম (২২) নামের এক যুবক মারা গেছেন। আজ সোমবার ভোর সোয়া ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুরোনো বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে তিনি মারা যান। সেই হিসাবে ৫৬ দিন পর মারা গেলেন তিনি।
ঢাকা মেডিকেলে নিহত কারিমুলের খালু আজিজুল ইসলাম জানান, তাদের বাড়ি হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার কাচারহাটি গ্রামে। স্ত্রী ময়না আক্তারকে নিয়ে যাত্রাবাড়ী কুতুবখালী নূর মসজিদের সামনের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন কারিমুল এবং যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজারে লেবুর আড়তে শ্রমিকের কাজ করতেন। চার ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় কারিমুল। এক বছর আগে বিয়ে করেছিলেন তিনি। স্ত্রী ময়না বর্তমানে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
আজিজুল ইসলাম জানান, ৫ আগস্ট বেলা ৩টার দিকে কয়েকজন ছাত্র তাঁকে ফোন দিয়ে জানান কারিমুল যাত্রাবাড়ী থানার সামনে পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছেন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে তাঁরা ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে গিয়ে কারিমুলকে আহত অবস্থায় দেখতে পান।
তিনি আরও জানান, এরপর থেকে সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। বুকে, থুতনিতে এবং ডান হাতে গুলি লেগেছিল তার। কয়েক দফায় তাঁর অস্ত্রোপচারও হয়েছিল। তবে বুকের গুলিটি বের করা সম্ভব হয়নি। গত ১০-১২ দিন আগ থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। পরে আইসিইউতে নেওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে তিনি মারা গেছেন।
আন্দোলনের দিন কারিমুলের সঙ্গে থাকা বন্ধু নুর উদ্দিন জানান, ৫ আগস্ট সকাল থেকে তাঁরা যাত্রাবাড়ী এলাকায় আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। দুপুরের পর যখন যাত্রাবাড়ী থানা চারদিক থেকে আন্দোলনরতরা ঘিরে ফেলেন, তখনো একসঙ্গেই ছিলেন কারিমুল ও নুর উদ্দিন। হঠাৎ থানার ভেতর থেকে সব পুলিশ সদস্য একযোগে বের হয়ে ফ্লাইওভারের নিচে থাকা অসংখ্য আন্দোলনকারীর ওপর নির্মমভাবে গুলি চালাতে থাকেন। তখন নুর উদ্দিন কাজলার দিকে দৌড় দেন আর কারিমুল দৌড় দেন যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তার দিকে। এরপর মূলত দুজন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। কয়েক ঘণ্টা পর খবর পান, কারিমুল গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কারিমুলের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে আহত কারিমুল ইসলাম (২২) নামের এক যুবক মারা গেছেন। আজ সোমবার ভোর সোয়া ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুরোনো বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে তিনি মারা যান। সেই হিসাবে ৫৬ দিন পর মারা গেলেন তিনি।
ঢাকা মেডিকেলে নিহত কারিমুলের খালু আজিজুল ইসলাম জানান, তাদের বাড়ি হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার কাচারহাটি গ্রামে। স্ত্রী ময়না আক্তারকে নিয়ে যাত্রাবাড়ী কুতুবখালী নূর মসজিদের সামনের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন কারিমুল এবং যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজারে লেবুর আড়তে শ্রমিকের কাজ করতেন। চার ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় কারিমুল। এক বছর আগে বিয়ে করেছিলেন তিনি। স্ত্রী ময়না বর্তমানে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
আজিজুল ইসলাম জানান, ৫ আগস্ট বেলা ৩টার দিকে কয়েকজন ছাত্র তাঁকে ফোন দিয়ে জানান কারিমুল যাত্রাবাড়ী থানার সামনে পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছেন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে তাঁরা ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে গিয়ে কারিমুলকে আহত অবস্থায় দেখতে পান।
তিনি আরও জানান, এরপর থেকে সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। বুকে, থুতনিতে এবং ডান হাতে গুলি লেগেছিল তার। কয়েক দফায় তাঁর অস্ত্রোপচারও হয়েছিল। তবে বুকের গুলিটি বের করা সম্ভব হয়নি। গত ১০-১২ দিন আগ থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। পরে আইসিইউতে নেওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে তিনি মারা গেছেন।
আন্দোলনের দিন কারিমুলের সঙ্গে থাকা বন্ধু নুর উদ্দিন জানান, ৫ আগস্ট সকাল থেকে তাঁরা যাত্রাবাড়ী এলাকায় আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। দুপুরের পর যখন যাত্রাবাড়ী থানা চারদিক থেকে আন্দোলনরতরা ঘিরে ফেলেন, তখনো একসঙ্গেই ছিলেন কারিমুল ও নুর উদ্দিন। হঠাৎ থানার ভেতর থেকে সব পুলিশ সদস্য একযোগে বের হয়ে ফ্লাইওভারের নিচে থাকা অসংখ্য আন্দোলনকারীর ওপর নির্মমভাবে গুলি চালাতে থাকেন। তখন নুর উদ্দিন কাজলার দিকে দৌড় দেন আর কারিমুল দৌড় দেন যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তার দিকে। এরপর মূলত দুজন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। কয়েক ঘণ্টা পর খবর পান, কারিমুল গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কারিমুলের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে নরসিংদীর রায়পুরায় শোকসভা করার অভিযোগে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
৯ মিনিট আগেদগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন ওই ভবনের বাসাভাড়া নিয়ে থাকা গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলার বান্ধাবাড়ী গ্রামের সবুজ শেখ (৪২), দুই ছেলে রবিউল শেখ (১৯), রমজান শেখ (১৩), দুই মেয়ে তাসনিয়া (৬) তাসফিয়া (২) ও বোন ঝুমুর বেগম (৩৮) এবং ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার চরনাজিমউদ্দিন গ্রামের আব্বাস উদ্দীন (৩৯)।
১৮ মিনিট আগেভোলাগঞ্জের পর জাফলংয়েও লুট হওয়া পাথর উদ্ধারে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গত দুই দিন উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৮ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করেছে। পরে সেগুলো জাফলং জিরো পয়েন্টে প্রতিস্থাপন করা হয়।
২৩ মিনিট আগেসিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর লুটপাটের পর সেগুলো ভোলাগঞ্জ ও ধোপাগুল এলাকায় ক্রাশার মেশিনে ভাঙার জন্য স্তূপ করে রাখা হয়। পরে যখন অভিযান শুরু হয়, তখন সেগুলো ওই ব্যবসায়ীরা বালু ও মাটি দিয়ে ঢেকে ফেলেন। আজ শুক্রবার সেখানে অভিযান চালিয়ে পথরগুলো উদ্ধার করা হয়।
৪১ মিনিট আগে