রাজধানীর বাজারদর
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তিন-চার দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। এতে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। তবে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি, প্রতি কেজির দাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। অন্যদিকে ডিমের বাজারে দেখা যাচ্ছে উল্টো চিত্র।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর খুচরা বাজারে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতিটি ৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০ টাকায়। মাসখানেক আগেও প্রতিটি ডিমের দাম ছিল ১১ টাকা থেকে ১১ টাকা ২৫ পয়সা। পাইকারিতে দাম আরও কম। প্রতিটি ডিমের দাম নেমেছে ৮ টাকা থেকে ৮ টাকা ৮০ পয়সায়।
ব্যবসায়ী ও বিক্রেতারা বলছেন, ডিমের দামের সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতাও অনেক কমে গেছে। আগে যাঁরা প্রতিদিন ৪-৫ হাজার ডিম বিক্রি করতে পারতেন, এখন তাঁদের বিক্রি আড়াই থেকে ৩ হাজারে নেমেছে।
খামারিরা বলছেন, বাচ্চার দাম কমে আসায় ডিমের বাণিজ্যিক চাহিদা কমে গেছে। অনেক বড় খামার বাচ্চা উৎপাদন না করে সেই ডিমগুলো বাজারে ছাড়ছে। এতে ডিমের দাম কমেছে। এ ছাড়া ফলের মৌসুম হওয়ায় অনেকেই সকালের নাশতায় ডিম না খেয়ে ফল খাচ্ছেন। এতেও বাজারে চাহিদা কমতে পারে।
বাজার তথ্য বলছে, গত বছরের জুলাই-আগস্টে ডিমের দাম কিছুটা কমই ছিল। তখন প্রতিটি ডিম ৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি হতো। সেপ্টেম্বরে এসে হঠাৎ তিন দফায় দাম প্রতিটি ডিমে আড়াই থেকে ৩ টাকা বেড়ে ১২ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত ওঠে।
তারপর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও পোলট্রি খাতসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের মতামতের ভিত্তিতে গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতি ডজন ডিমের দাম ১৪২ টাকা (প্রতিটি খুচরায় ১১ টাকা ৮৫ পয়সা) নির্ধারণ করে। যদিও এই দামের মধ্যে সব সময় আটকে থাকেনি, মাঝে মাঝে কিছুটা বেড়েছে।
জানতে চাইলে সেগুনবাগিচা বাজারের ডিমের ব্যবসায়ী নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘ডিমের দাম কোরবানির ঈদের আগে থেকে কমতে শুরু করে। কয়েক দফায় কমে এখন খুচরায় প্রতি ডজন ১২০ টাকায় নেমেছে। পরিচিত কাস্টমারদের কাছে আরও কমে বিক্রি করে দিই। কারণ এখন ক্রেতা অনেক কম। প্রতিদিন আমি ১ গাড়ি (৫ হাজার) ডিম বিক্রি করতে পারতাম। এখন এক গাড়ি বিক্রি করতে দুই দিন লাগে।’
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডিমের দাম বাজারে বেশি কমে গেলে খামারিদের লোকসান হয়। এতে অনেক খামারি ঝরে যায়। আর খামারি ঝরে গেলে বাজারে চাহিদামতো ডিমের সরবরাহ থাকে না। তখন আবার দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। এমন ভারসাম্যহীন বাজারব্যবস্থায় কোনো পক্ষই লাভবান হতে পারে না। কোনো শিল্পও টিকে থাকতে পারে না।
গাজীপুরের আজিরন পোলট্রি ফার্মের স্বত্বাধিকারী মো. তোফাজ্জাল বলেন, ‘সাধারণত বর্ষাকালে ডিমের চাহিদা ও দাম বেশি থাকে। গত বছর এই সময় ডিম ছিল ১১ টাকা করে। কিন্তু এবার বিপরীত চিত্র। আজকে আমি প্রতিটি ডিম বিক্রি করেছি ৮ টাকায়। অথচ আমাদের উৎপাদন খরচ ১০ টাকার ওপরে। এভাবে লোকসান দিয়ে কত দিন চলা যায়। তার পরও চাহিদামতো ডিম বিক্রি হচ্ছে না। ঈদুল আজহার পর এক সপ্তাহ ডিমই বিক্রি করতে পারিনি। এখনো চাহিদা অনেক কম।’
গত বছর সেপ্টেম্বরে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকায় দাম বেঁধে দিয়েছিল কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৭০-১৮০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ২০ টাকা বেশি। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছিল ১৫০-১৬০ টাকা কেজি। সোনালি জাতের মুরগি বিক্রি হয়েছে ৩০০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ২৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
এদিকে চাল, ডাল, আটা, ময়দা, তেলসহ প্রায় সব মুদিপণ্যের দাম আগের মতোই রয়েছে। এ ছাড়া আদা, রসুন, পেঁয়াজসহ মসলাজাতীয় পণ্যের দামও স্থির।
বৃষ্টির কারণে বাজারে বেশ কিছু সবজির দাম বেড়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। গতকাল রাজধানীর বাজারগুলোতে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি। চার থেকে পাঁচ দিন আগেও কাঁচা মরিচের দাম ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি।
রাজধানীর মালিবাগ বাজারের সবজি বিক্রেতা আনোয়ার বলেন, ‘পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচসহ কিছু সবজির সরবরাহ অনেক কম। তাই দাম হঠাৎ বেড়েছে। পাইকারিতে বাড়লে আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হয়।’
কাঁচা মরিচের মতো টমেটোর দামও বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি টমেটো ১৪০-১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা এক সপ্তাহ আগে ১২০-১৩০ টাকা ছিল।
অন্যান্য সবজির মধ্যে করলা ৮০-৯০ টাকা, আলু ৩০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৫০ টাকা, কাঁকরোল ৭০-৮০ টাকা, কচুর লতি ৭০-৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এসব সবজির দামও ৫-১০ টাকা বেড়েছে।
তিন-চার দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। এতে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। তবে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি, প্রতি কেজির দাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। অন্যদিকে ডিমের বাজারে দেখা যাচ্ছে উল্টো চিত্র।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর খুচরা বাজারে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতিটি ৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০ টাকায়। মাসখানেক আগেও প্রতিটি ডিমের দাম ছিল ১১ টাকা থেকে ১১ টাকা ২৫ পয়সা। পাইকারিতে দাম আরও কম। প্রতিটি ডিমের দাম নেমেছে ৮ টাকা থেকে ৮ টাকা ৮০ পয়সায়।
ব্যবসায়ী ও বিক্রেতারা বলছেন, ডিমের দামের সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতাও অনেক কমে গেছে। আগে যাঁরা প্রতিদিন ৪-৫ হাজার ডিম বিক্রি করতে পারতেন, এখন তাঁদের বিক্রি আড়াই থেকে ৩ হাজারে নেমেছে।
খামারিরা বলছেন, বাচ্চার দাম কমে আসায় ডিমের বাণিজ্যিক চাহিদা কমে গেছে। অনেক বড় খামার বাচ্চা উৎপাদন না করে সেই ডিমগুলো বাজারে ছাড়ছে। এতে ডিমের দাম কমেছে। এ ছাড়া ফলের মৌসুম হওয়ায় অনেকেই সকালের নাশতায় ডিম না খেয়ে ফল খাচ্ছেন। এতেও বাজারে চাহিদা কমতে পারে।
বাজার তথ্য বলছে, গত বছরের জুলাই-আগস্টে ডিমের দাম কিছুটা কমই ছিল। তখন প্রতিটি ডিম ৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি হতো। সেপ্টেম্বরে এসে হঠাৎ তিন দফায় দাম প্রতিটি ডিমে আড়াই থেকে ৩ টাকা বেড়ে ১২ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত ওঠে।
তারপর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও পোলট্রি খাতসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের মতামতের ভিত্তিতে গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতি ডজন ডিমের দাম ১৪২ টাকা (প্রতিটি খুচরায় ১১ টাকা ৮৫ পয়সা) নির্ধারণ করে। যদিও এই দামের মধ্যে সব সময় আটকে থাকেনি, মাঝে মাঝে কিছুটা বেড়েছে।
জানতে চাইলে সেগুনবাগিচা বাজারের ডিমের ব্যবসায়ী নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘ডিমের দাম কোরবানির ঈদের আগে থেকে কমতে শুরু করে। কয়েক দফায় কমে এখন খুচরায় প্রতি ডজন ১২০ টাকায় নেমেছে। পরিচিত কাস্টমারদের কাছে আরও কমে বিক্রি করে দিই। কারণ এখন ক্রেতা অনেক কম। প্রতিদিন আমি ১ গাড়ি (৫ হাজার) ডিম বিক্রি করতে পারতাম। এখন এক গাড়ি বিক্রি করতে দুই দিন লাগে।’
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডিমের দাম বাজারে বেশি কমে গেলে খামারিদের লোকসান হয়। এতে অনেক খামারি ঝরে যায়। আর খামারি ঝরে গেলে বাজারে চাহিদামতো ডিমের সরবরাহ থাকে না। তখন আবার দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। এমন ভারসাম্যহীন বাজারব্যবস্থায় কোনো পক্ষই লাভবান হতে পারে না। কোনো শিল্পও টিকে থাকতে পারে না।
গাজীপুরের আজিরন পোলট্রি ফার্মের স্বত্বাধিকারী মো. তোফাজ্জাল বলেন, ‘সাধারণত বর্ষাকালে ডিমের চাহিদা ও দাম বেশি থাকে। গত বছর এই সময় ডিম ছিল ১১ টাকা করে। কিন্তু এবার বিপরীত চিত্র। আজকে আমি প্রতিটি ডিম বিক্রি করেছি ৮ টাকায়। অথচ আমাদের উৎপাদন খরচ ১০ টাকার ওপরে। এভাবে লোকসান দিয়ে কত দিন চলা যায়। তার পরও চাহিদামতো ডিম বিক্রি হচ্ছে না। ঈদুল আজহার পর এক সপ্তাহ ডিমই বিক্রি করতে পারিনি। এখনো চাহিদা অনেক কম।’
গত বছর সেপ্টেম্বরে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকায় দাম বেঁধে দিয়েছিল কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৭০-১৮০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ২০ টাকা বেশি। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছিল ১৫০-১৬০ টাকা কেজি। সোনালি জাতের মুরগি বিক্রি হয়েছে ৩০০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ২৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
এদিকে চাল, ডাল, আটা, ময়দা, তেলসহ প্রায় সব মুদিপণ্যের দাম আগের মতোই রয়েছে। এ ছাড়া আদা, রসুন, পেঁয়াজসহ মসলাজাতীয় পণ্যের দামও স্থির।
বৃষ্টির কারণে বাজারে বেশ কিছু সবজির দাম বেড়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। গতকাল রাজধানীর বাজারগুলোতে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি। চার থেকে পাঁচ দিন আগেও কাঁচা মরিচের দাম ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি।
রাজধানীর মালিবাগ বাজারের সবজি বিক্রেতা আনোয়ার বলেন, ‘পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচসহ কিছু সবজির সরবরাহ অনেক কম। তাই দাম হঠাৎ বেড়েছে। পাইকারিতে বাড়লে আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হয়।’
কাঁচা মরিচের মতো টমেটোর দামও বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি টমেটো ১৪০-১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা এক সপ্তাহ আগে ১২০-১৩০ টাকা ছিল।
অন্যান্য সবজির মধ্যে করলা ৮০-৯০ টাকা, আলু ৩০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৫০ টাকা, কাঁকরোল ৭০-৮০ টাকা, কচুর লতি ৭০-৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এসব সবজির দামও ৫-১০ টাকা বেড়েছে।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। তবে বয়স ২৩-২৪-এর আশপাশে। এখনো জ্ঞান ফেরেনি তাঁর। এ বিষয়ে আঞ্জুমানে রহমানিয়া ট্রাস্টের (জুলুস আয়োজক) মিডিয়া টিমের সমন্বয়ক আবু তালেব বলেন, ‘মানুষের ভিড়ের মধ্যে গরমে অসুস্থ হয়ে বেশ কয়েকজন নিচে পড়ে যান।
৬ ঘণ্টা আগে‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের পৈতৃক সম্পত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মালিক। আমরা জমিদার, জমিদারের ওপর কেউ হস্তক্ষেপ করবে, এটা আমরা মেনে নেব না।’ সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম-৫ আ
৬ ঘণ্টা আগেবান্দরবান শহরের পুলিশ লাইনসের চারতলা ভবন থেকে লাফ দিয়ে রাশেদুল ইসলাম (২৮) নামে এক পুলিশ সদস্য আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
৭ ঘণ্টা আগেক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানসহ গ্রেপ্তার ৯ জনকে সিসা বার পরিচালনার অভিযোগের মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
৭ ঘণ্টা আগে