রাশেদ নিজাম, ঢাকা
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। নিয়োগ, দুর্নীতি, বেতন-ভাতা। এবার নিজের নিয়োগপত্রে ঘষা মাজারও অভিযোগ এসেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চলছে তিন হাজার দু শ কোটি টাকা নয়-ছয়ের অনুসন্ধান। এসব বিষয় নিয়ে বুধবার কারওয়ান বাজারে ওয়াসা ভবনে আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি রাশেদ নিজাম মুখোমুখি হন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানের।
আজকের পত্রিকা: আপনার নিয়োগপত্রে নাকি ঘষামাজা করা হয়েছিল?
তাকসিম এ খান: রিট করার অধিকার সবারই আছে। আদালতের বিষয় যেহেতু এটা খারিজ হয়ে গেছে তাই বলতে পারি। আমার নিয়োগ অবশ্যই সঠিক ছিল। ২০২০ সালেও নিয়োগের বৈধতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল তাও খারিজ হয়েছে। যে প্রশ্ন তুলেছে, ২০০৯ সালে নিয়োগের সময় ঘষামাজা ছিল। ঘষামাজা তো নিয়োগপত্রে থাকে না। ওখানে একটা অনুশাসন দেওয়া ছিল। সেই অনুশাসন তো আমাকে না, যারা নিয়োগ কর্তৃপক্ষ তাদের সরকার একটা নির্দেশনা দিয়েছে। আমার সঙ্গে এটার কোনো সম্পর্ক নেই। ওখানে কোনো আইনের ব্যত্যয় হয় নাই। কোথাও কোনো জায়গায় ঘষামাজা নাই। তারা (রিটকারী) বলতে চেয়েছেন, ওয়াসায় কোনো উন্নতি হয় নাই, দুর্নীতি আছে। এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে বলেছেন সেই দুর্নীতির সঙ্গে আমি জড়িত। এটার তো কোনো প্রমাণ নাই। আমার আইনজীবী সেটা বলেছেন। এক সময় পানির জন্য ঢাকায় কলসি মিছিল হতো, এখন তো হয় না। ৬০ ভাগ মানুষ পানি পেতেন। এখন ১০০ ভাগ পান। এসব তথ্য আদালতে আইনজীবী জানিয়েছেন। ৩০০ কোটির আয় বেড়ে এখন ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আয় বাড়া কি সুস্থতার লক্ষণ না অসুস্থতার লক্ষণ?
আজকের পত্রিকা: দুদকে তো আপনার এবং ওয়াসার দুর্নীতির নানা বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।
তাকসিম এ খান: দুদকে তো বহু সময়, বহু বিষয় নিয়ে অনুসন্ধান হয়। কিছু নিয়োগের বিষয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, তা সঠিক ছিল কি না। আমার জানামতে, সবাইকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কোনো কিছু পাওয়া যায়নি। অভিযোগ থাকলেই তো হবে না। তা প্রমাণিত হতে হবে। তাই যদি হয়, ১২ বছরে তো অনেক অভিযোগ ছিল। তো কই? একটা অভিযোগ কি ১২ বছরে প্রমাণিত হইতে পারল না? বলাতে কারও কোনো ট্যাক্স নাই। বলতে পারছে তাই বলে দিচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: অনেকেই মনে করেন, আপনার মাথায় ওপর মহলের আশীর্বাদের কারণে আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলেও প্রমাণ হয় না।
তাকসিম এ খান: ভালো। অভিযোগগুলো তাহলে বলেন। আমার কাছে তো উত্তর আছে। আপনি উত্তরে কনভিন্স হন কি না আপনি দেখেন। ওপর মহলের আশীর্বাদে প্রমাণ হয় নাই, কোনটা? বলা হচ্ছে, কোনো প্রজেক্টের মূল্য হচ্ছে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা, সেখান থেকে এক হাজার কোটি আত্মসাৎ করা হয়েছে। একটা প্রজেক্ট কীভাবে হয়, পুরো প্রক্রিয়াটা জানতে হবে। হাস্যকর হচ্ছে, এখানে এমডির ন্যূনতম অংশগ্রহণ নেই। পুরোটাই সরকারের চিন্তা থেকে আসে। আমাদের কোনো প্রজেক্টই নিজেদের পয়সায় না। কোনো না কোনো দাতা সংস্থার অর্থায়নে। বিশ্বব্যাংক যখন পয়সা দেয়, তখন কত-শত শর্ত তার মধ্যে থাকে। কে না জানে এটা। তাদের প্রথম শর্ত হচ্ছে, আপনি বিশ্বব্যাংকের মতামত ছাড়া একটা পদক্ষেপ নিতে পারবেন না। পরামর্শক-ঠিকাদার নিয়োগ করে তারা। মূল্যায়ন করে কমিটি। তারপর নানা মন্ত্রণালয় এবং দপ্তর আছে। এখানে ঢালাওভাবে বলে দিলে তো হবে না। ধারণার কোনো দরকার নাই। প্রমাণ দেন।
আজকের পত্রিকা: ২০১৮ সালে পরিচালক পদে সালে আবুল কাশেম এবং এ কে এম সহিদ উদ্দিনের নিয়োগে যথাযথ আইন মানা হয়নি বলে স্থানীয় সরকার বিভাগের এক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। ওই সিদ্ধান্তের সময় ৫ জন বোর্ড সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন।
তাকসিম এ খান: আইনের যদি ব্যত্যয় হয়ে থাকে, তাহলে এত দিন ধরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হলো না কেন? উত্তরটা হচ্ছে, কোনো জায়গায় আইন ভাঙা হয় নাই। আইনেই বলা আছে, বোর্ড নিয়োগ দেবে। তারা দুজন এখানে বহু বছর ধরে কাজ করছেন, দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন নাই। তাই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কোরামের বাইরে যদি সিদ্ধান্ত হয়, মন্ত্রণালয় তো বাতিল করে দেবে। দেয় নাই তো। নিশ্চয়ই অনেকে অনুপস্থিত ছিলেন কিন্তু কোরাম তো হয়েছে।
আজকের পত্রিকা: ওয়াসার নানা প্রকল্পে ৩ হাজার ২৪১ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দুদক তদন্ত করছে বলে আদালতে জানিয়েছে।
তাকসিম এ খান: টোটালি অসত্য। তিন হাজার থেকে ১ হাজার কোটি টাকা চলে গেছে কিন্তু প্রজেক্ট বহাল তবিয়তে আছে। এটাতো পিসিআর (প্রজেক্ট কমপ্লিশন রিপোর্ট) হয়েছে। সরকারের নানা দপ্তর আছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় কি করল? তারা কীভাবে পিসিআর দিল, যেখানে এক হাজার কোটি টাকার খবর নাই? এই প্রজেক্টগুলো নিয়ে যা বলা হচ্ছে, এটা সবৈর্ব অসত্য। আমার যুক্তি হচ্ছে, যদি এটা হয়েই থাকে, তাহলে অনুসন্ধান করে কি করলেন আপনারা (দুদক) ? এটা তো আজকের না। পদ্মা-যশোলদিয়া নিয়ে অভিযোগ ২০১৫ সালের। সাত বছরে তদন্ত এবং মামলা তো দূরের কথা। অনুসন্ধানই তো কোনো জায়গায় প্রমাণ হলো না। বলতে পারেন, ঢাকায় তো এমন ৭৬টি প্রতিষ্ঠানের এমডি, সিইও আছে। কিন্তু আমাকে নিয়ে বারবার হয় কেন। এর চেয়েও জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান আছে, ওখানে এমন শুনি না কেন? উত্তর সহজ। ওয়াসার দুর্নীতিবিরোধী যাত্রায় বহু লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করা হয়েছে। তারা কি আমার ওপরে খুব সন্তুষ্ট থাকবে? পারলে তো আমাকে খুন করবে (নাউজুবিল্লা)। হায়াতের মালিক আল্লাহ। আমি যেন না থাকি এই চেষ্টা করবে। তার প্রথম টার্গেটই তো হবে কী করে আমাকে সরানো যায়। তারা যত রকম ভাবে পারে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করবে।
আজকের পত্রিকা: এই গ্রুপটা কারা?
তাকসিম এ খান: আমরা পাঁচটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছি। যার পাঁচ নম্বর হল ভেস্টেট ইন্টারেস্টেড (স্বার্থান্বেষী মহল) গ্রুপ। আমি তো বললাম, চৌষট্টি পার্সেন্ট আমার রাজস্ব আয় হতো বাকি ছত্রিশ ভাগ গায়েব। জানি না কোথায়। এখন আমার ১০০ ভাগ আয় হয়। তাইলে ওই যে এখন আর ছত্রিশ ভাগ গায়েব হচ্ছে না। তার মানেটা কী? যে বা যারা গায়েবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল তার তো সেই পথ বন্ধ হয়ে গেল। সে বা তারা কী চাইবে আমি বহাল তবিয়তে এখানে থাকি? যাতে করে বাকিদেরও এটা বন্ধ হয়ে যাক। আর যে বললেন দুর্নীতি। আমি তো এখানে ১২ বছর। আমার ডিক্লারেশন হচ্ছে, আমি জীবনে কোনো দিন এক টাকা হারাম খাইনি। আমি গর্বের সঙ্গে, আনন্দের সঙ্গে এটা বলতে পারি। তো কাজেই এখন যতই অভিযোগ আসুক, এগুলো তো আমি জানি। কাজেই আমার ভয়েরই বা কী আছে, লজ্জারই বা কী আছে। সো ট্রুথ ইজ ট্রুথ।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। নিয়োগ, দুর্নীতি, বেতন-ভাতা। এবার নিজের নিয়োগপত্রে ঘষা মাজারও অভিযোগ এসেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চলছে তিন হাজার দু শ কোটি টাকা নয়-ছয়ের অনুসন্ধান। এসব বিষয় নিয়ে বুধবার কারওয়ান বাজারে ওয়াসা ভবনে আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি রাশেদ নিজাম মুখোমুখি হন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানের।
আজকের পত্রিকা: আপনার নিয়োগপত্রে নাকি ঘষামাজা করা হয়েছিল?
তাকসিম এ খান: রিট করার অধিকার সবারই আছে। আদালতের বিষয় যেহেতু এটা খারিজ হয়ে গেছে তাই বলতে পারি। আমার নিয়োগ অবশ্যই সঠিক ছিল। ২০২০ সালেও নিয়োগের বৈধতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল তাও খারিজ হয়েছে। যে প্রশ্ন তুলেছে, ২০০৯ সালে নিয়োগের সময় ঘষামাজা ছিল। ঘষামাজা তো নিয়োগপত্রে থাকে না। ওখানে একটা অনুশাসন দেওয়া ছিল। সেই অনুশাসন তো আমাকে না, যারা নিয়োগ কর্তৃপক্ষ তাদের সরকার একটা নির্দেশনা দিয়েছে। আমার সঙ্গে এটার কোনো সম্পর্ক নেই। ওখানে কোনো আইনের ব্যত্যয় হয় নাই। কোথাও কোনো জায়গায় ঘষামাজা নাই। তারা (রিটকারী) বলতে চেয়েছেন, ওয়াসায় কোনো উন্নতি হয় নাই, দুর্নীতি আছে। এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে বলেছেন সেই দুর্নীতির সঙ্গে আমি জড়িত। এটার তো কোনো প্রমাণ নাই। আমার আইনজীবী সেটা বলেছেন। এক সময় পানির জন্য ঢাকায় কলসি মিছিল হতো, এখন তো হয় না। ৬০ ভাগ মানুষ পানি পেতেন। এখন ১০০ ভাগ পান। এসব তথ্য আদালতে আইনজীবী জানিয়েছেন। ৩০০ কোটির আয় বেড়ে এখন ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আয় বাড়া কি সুস্থতার লক্ষণ না অসুস্থতার লক্ষণ?
আজকের পত্রিকা: দুদকে তো আপনার এবং ওয়াসার দুর্নীতির নানা বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।
তাকসিম এ খান: দুদকে তো বহু সময়, বহু বিষয় নিয়ে অনুসন্ধান হয়। কিছু নিয়োগের বিষয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, তা সঠিক ছিল কি না। আমার জানামতে, সবাইকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কোনো কিছু পাওয়া যায়নি। অভিযোগ থাকলেই তো হবে না। তা প্রমাণিত হতে হবে। তাই যদি হয়, ১২ বছরে তো অনেক অভিযোগ ছিল। তো কই? একটা অভিযোগ কি ১২ বছরে প্রমাণিত হইতে পারল না? বলাতে কারও কোনো ট্যাক্স নাই। বলতে পারছে তাই বলে দিচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: অনেকেই মনে করেন, আপনার মাথায় ওপর মহলের আশীর্বাদের কারণে আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলেও প্রমাণ হয় না।
তাকসিম এ খান: ভালো। অভিযোগগুলো তাহলে বলেন। আমার কাছে তো উত্তর আছে। আপনি উত্তরে কনভিন্স হন কি না আপনি দেখেন। ওপর মহলের আশীর্বাদে প্রমাণ হয় নাই, কোনটা? বলা হচ্ছে, কোনো প্রজেক্টের মূল্য হচ্ছে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা, সেখান থেকে এক হাজার কোটি আত্মসাৎ করা হয়েছে। একটা প্রজেক্ট কীভাবে হয়, পুরো প্রক্রিয়াটা জানতে হবে। হাস্যকর হচ্ছে, এখানে এমডির ন্যূনতম অংশগ্রহণ নেই। পুরোটাই সরকারের চিন্তা থেকে আসে। আমাদের কোনো প্রজেক্টই নিজেদের পয়সায় না। কোনো না কোনো দাতা সংস্থার অর্থায়নে। বিশ্বব্যাংক যখন পয়সা দেয়, তখন কত-শত শর্ত তার মধ্যে থাকে। কে না জানে এটা। তাদের প্রথম শর্ত হচ্ছে, আপনি বিশ্বব্যাংকের মতামত ছাড়া একটা পদক্ষেপ নিতে পারবেন না। পরামর্শক-ঠিকাদার নিয়োগ করে তারা। মূল্যায়ন করে কমিটি। তারপর নানা মন্ত্রণালয় এবং দপ্তর আছে। এখানে ঢালাওভাবে বলে দিলে তো হবে না। ধারণার কোনো দরকার নাই। প্রমাণ দেন।
আজকের পত্রিকা: ২০১৮ সালে পরিচালক পদে সালে আবুল কাশেম এবং এ কে এম সহিদ উদ্দিনের নিয়োগে যথাযথ আইন মানা হয়নি বলে স্থানীয় সরকার বিভাগের এক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। ওই সিদ্ধান্তের সময় ৫ জন বোর্ড সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন।
তাকসিম এ খান: আইনের যদি ব্যত্যয় হয়ে থাকে, তাহলে এত দিন ধরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হলো না কেন? উত্তরটা হচ্ছে, কোনো জায়গায় আইন ভাঙা হয় নাই। আইনেই বলা আছে, বোর্ড নিয়োগ দেবে। তারা দুজন এখানে বহু বছর ধরে কাজ করছেন, দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন নাই। তাই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কোরামের বাইরে যদি সিদ্ধান্ত হয়, মন্ত্রণালয় তো বাতিল করে দেবে। দেয় নাই তো। নিশ্চয়ই অনেকে অনুপস্থিত ছিলেন কিন্তু কোরাম তো হয়েছে।
আজকের পত্রিকা: ওয়াসার নানা প্রকল্পে ৩ হাজার ২৪১ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দুদক তদন্ত করছে বলে আদালতে জানিয়েছে।
তাকসিম এ খান: টোটালি অসত্য। তিন হাজার থেকে ১ হাজার কোটি টাকা চলে গেছে কিন্তু প্রজেক্ট বহাল তবিয়তে আছে। এটাতো পিসিআর (প্রজেক্ট কমপ্লিশন রিপোর্ট) হয়েছে। সরকারের নানা দপ্তর আছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় কি করল? তারা কীভাবে পিসিআর দিল, যেখানে এক হাজার কোটি টাকার খবর নাই? এই প্রজেক্টগুলো নিয়ে যা বলা হচ্ছে, এটা সবৈর্ব অসত্য। আমার যুক্তি হচ্ছে, যদি এটা হয়েই থাকে, তাহলে অনুসন্ধান করে কি করলেন আপনারা (দুদক) ? এটা তো আজকের না। পদ্মা-যশোলদিয়া নিয়ে অভিযোগ ২০১৫ সালের। সাত বছরে তদন্ত এবং মামলা তো দূরের কথা। অনুসন্ধানই তো কোনো জায়গায় প্রমাণ হলো না। বলতে পারেন, ঢাকায় তো এমন ৭৬টি প্রতিষ্ঠানের এমডি, সিইও আছে। কিন্তু আমাকে নিয়ে বারবার হয় কেন। এর চেয়েও জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান আছে, ওখানে এমন শুনি না কেন? উত্তর সহজ। ওয়াসার দুর্নীতিবিরোধী যাত্রায় বহু লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করা হয়েছে। তারা কি আমার ওপরে খুব সন্তুষ্ট থাকবে? পারলে তো আমাকে খুন করবে (নাউজুবিল্লা)। হায়াতের মালিক আল্লাহ। আমি যেন না থাকি এই চেষ্টা করবে। তার প্রথম টার্গেটই তো হবে কী করে আমাকে সরানো যায়। তারা যত রকম ভাবে পারে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করবে।
আজকের পত্রিকা: এই গ্রুপটা কারা?
তাকসিম এ খান: আমরা পাঁচটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছি। যার পাঁচ নম্বর হল ভেস্টেট ইন্টারেস্টেড (স্বার্থান্বেষী মহল) গ্রুপ। আমি তো বললাম, চৌষট্টি পার্সেন্ট আমার রাজস্ব আয় হতো বাকি ছত্রিশ ভাগ গায়েব। জানি না কোথায়। এখন আমার ১০০ ভাগ আয় হয়। তাইলে ওই যে এখন আর ছত্রিশ ভাগ গায়েব হচ্ছে না। তার মানেটা কী? যে বা যারা গায়েবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল তার তো সেই পথ বন্ধ হয়ে গেল। সে বা তারা কী চাইবে আমি বহাল তবিয়তে এখানে থাকি? যাতে করে বাকিদেরও এটা বন্ধ হয়ে যাক। আর যে বললেন দুর্নীতি। আমি তো এখানে ১২ বছর। আমার ডিক্লারেশন হচ্ছে, আমি জীবনে কোনো দিন এক টাকা হারাম খাইনি। আমি গর্বের সঙ্গে, আনন্দের সঙ্গে এটা বলতে পারি। তো কাজেই এখন যতই অভিযোগ আসুক, এগুলো তো আমি জানি। কাজেই আমার ভয়েরই বা কী আছে, লজ্জারই বা কী আছে। সো ট্রুথ ইজ ট্রুথ।
রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেন, ‘এ দেশের মানুষ ১৭ বছর ধরে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। দেশ একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে আছে। অন্তর্বর্তী সরকার যদি জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ব্যবস্থা করে, তাহলে দেশ আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে। যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। আমর
৪ মিনিট আগেবগুড়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের উপস্থিতিতে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শহরের শহীদ টিটু মিলনায়তনের বাইরে এ ঘটনা ঘটে। এতে দুজন ছুরিকাহতসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
১১ মিনিট আগেজাটকা রক্ষায় দুই মাসের (মার্চ-এপ্রিল) অভয়াশ্রম শেষে ইলিশ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বরিশাল, চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদী পাড়ের জেলেরা। ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে জেলেদের জাল ও নৌকার মেরামতকাজ। আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) মধ্যরাতে পদ্মা–মেঘনা নদীতে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ ধরতে নামবেন জেলেরা। ইলিশ পাওয়ার সম্ভাবনার কথাও
১৪ মিনিট আগেচট্টগ্রামে অপরিচিত ব্যক্তিদের ধাওয়া খেয়ে একটি মার্কেটের নিচে আশ্রয় নিয়েছিলেন নুরুল ইসলাম চৌধুরী (৬৩)। পাশেই টহল দিচ্ছিল কোতোয়ালি থানা-পুলিশের একটি দল। খবর পেয়ে পুলিশ নুরুল ইসলামকে হেফাজতে নেয়। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আশ্রয়ে যাওয়া ব্যক্তির কাছে মিলল বিদেশ থেকে অবৈধভাবে
৪০ মিনিট আগে