Ajker Patrika

বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যা: ঘাতকদের জবানবন্দিতে নৃশংসতার বর্ণনা

আশরাফ-উল-আলম, ঢাকা 
আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৫, ১৪: ১৫
বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যা: ঘাতকদের জবানবন্দিতে নৃশংসতার বর্ণনা

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরেবাংলা হল থেকে উদ্ধার হয় তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের মরদেহ। অমানবিক, নিষ্ঠুর ও পৈশাচিক কায়দায় নির্যাতন করে হত্যা করা হয় আবরারকে। ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তারদের জবানবন্দিতে উঠে এসেছে নৃশংসতার চিত্র।

মামলার আসামি অনিক সরকার, মুজাহিদুর রহমান, মেহেদী হাসান রবিন, ইফতি মোশারফ, মেফতাউল ইসলাম জিয়ন, মনিরুজ্জামান মনির, এ এস এম নাজমুস সাদাত ও খন্দকার তাবাখ্খারুল ইসলাম তানভীরের জবানবন্দি থেকে জানা যায়, ছাত্র শিবির সন্দেহে আবরারকে শায়েস্তা করার জন্য বুয়েট ছাত্রলীগের সদস্যরা সভা করে সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর ৬ অক্টোবর রাতে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে নির্মম নির্যাতন করা হয়। ওই কক্ষে আবরারকে আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের নামে দফায় দফায় ক্রিকেট স্টাম্প ও স্কিপিং রোপ দিয়ে আঘাত করেন আসামিরা।

শিবির সন্দেহে সভা, তারপর জিজ্ঞাসাবাদ:

শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন আবরার। আসামিদের দেওয়া ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তির তথ্য অনুযায়ী, আবরার হত্যার মূল হোতা বা সূচনাকারী হিসেবে তাঁর রুমমেট মিজানুর রহমানকে চিহ্নিত করে পুলিশ। বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে রবিনকে মিজানুরই বলেছিলেন, আবরারকে তাঁর শিবির বলে সন্দেহ হয়।

পরে রবিন বুয়েটের শেরে বাংলা হল ছাত্রলীগের ১৫ ও ১৬তম ব্যাচের ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপে এ কথা জানান। পরদিন ৫ অক্টোবর হলের গেস্টরুমে কয়েকজন মিলে সভা করেন। এরপর ৬ অক্টোবর রাতে আবরারকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তাঁরা।

একজনই ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে শতবার আঘাত করেন:

অনিক সরকার। বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৫তম ব্যাচের ছাত্র। শেরেবাংলা হল শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ছিলেন তিনি।

১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে অনিক বলেন, ‘সেদিন হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ইফতি মোশাররফ আবরারকে একটা ভাঙা ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে পেটাচ্ছিল। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আমিও আবরারের হাতে ও পায়ে ৪০ থেকে ৫০ বার করে ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে শতাধিকবার আঘাত করি। রাত ১টা ২০ মিনিটে রবিন আমাকে জানায়, আবরার বমি করছে।’

স্কিপিং রোপ দিয়েও মারা হয়:

ইফতি মোশাররফ নিহত আবরারের কক্ষেরই আবাসিক ছাত্র। তিনি বুয়েটের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। ইফতি আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেন, আবরার শিবির করে কিনা তা নিয়ে সবাই প্রশ্ন করতে থাকেন। তার কাছ থেকে কথা বের করার জন্য ইফতি ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে ৪ থেকে ৫টি বাড়ি মারেন। স্টাম্পটি ভেঙে যায়। পরে ভাঙা স্টাম্প দিয়ে অনিক সরকার ও অন্যরা দফায় দফায় পেটাতে থাকেন। স্কিপিং রোপ দিয়ে মুজাহিদ মারা শুরু করেন। অন্যরাও স্কিপিং রোপ দিয়ে মারতে থাকেন।

সর্বশক্তি দিয়ে পেটানো হয় আবরারকে:

বুয়েটের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়তেন মেহেদী হাসান রবিন। আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে মেহেদী বলেন, আবরারকে কিল, ঘুষি, চড়, থাপ্পড়, ক্রিকেট স্টাম্প ও স্কিপিং রোপ দিয়ে মারা হয়। সর্বশক্তি দিয়ে পিটিয়ে আবরারের হাত, কনুই, পায়ের পাতা, হাঁটু, পিঠ, পাঁজর ও বুকে আঘাত করে সবাই।

বাঁচার জন্য কাকুতি মিনতি করেন আবরার:

মেহেদী হাসান রবিন ও অন্যরা জবানবন্দিতে বলেন, আবরারকে দফায় দফায় নিষ্ঠুর নির্যাতন করার সময় তিনি বাঁচার জন্য চিৎকার করে কাকুতি-মিনতি করেছিলেন। কিন্তু তার দিকে কেউ ভ্রুক্ষেপ করেননি। কাকুতি-মিনতি করার পর নির্যাতনের হার আরও বেড়ে যায়। তাকে মোশাররফ লাথি মারতে থাকেন।

পানি চেয়েও পাননি আবরার:

মুজাহিদুর রহমান বুয়েটের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। তিনি তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের ছাত্র ছিলেন। মুজাহিদ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, অনবরত পিটুনির একপর্যায়ে আবরার মাটিতে শুয়ে পড়েন। তখনো অনিক আবরারকে মারতে থাকেন। একপর্যায়ে আবরার প্রস্রাব করে দেন। বমিও করেন। আবরার পানি চাইলে মোর্শেদ তখন পানি দিতে যান। তখন অনিক বলেন, ‘তুই পানি দিতে গেলে তোকেও মারব।’ অনিক আবরারকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকেন। একপর্যায়ে আবরার নিস্তেজ হয়ে পড়েন। মুজাহিদ তাঁর জবানবন্দিতে নিজেও ক্রিকেট স্টাম্প ও স্কিপিং রোপ দিয়ে পেটানোর কথা স্বীকার করেন।

রাত ৮টা থেকে ১টা পর্যন্ত চলে নির্যাতন:

মেফতাউল ইসলাম জিয়ন জবানবন্দিতে বলেন, সেদিন রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে রবিন তাঁকে ফোন দিয়ে জানান, শিবিরের এক ছেলেকে আটক করা হয়েছে। তিনি যেন হলের নিচে নামেন। পরে তিনি হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে যান। ওই কক্ষে গিয়ে প্রায় ১৫ জন ছাত্রকে দেখেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে রবিন আবরারের গালে চড় মেরে মারধর শুরু করেন। এরপর একে একে ক্রিকেট স্টাম্প, স্কিপিং রোপ দিয়ে মারতে থাকে। যে যেভাবে পারে কিল, ঘুষি, লাথি, চড়-থাপ্পড় মেরেও মারতে থাকে আবরারকে।

জবানবন্দিতে জিয়ন আরও বলেন, আবরারকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয় ছিল, তিনি শিবির করেন কিনা এবং হলে আর কে কে শিবির করেন। এসব বিষয়ে আবরার চুপ ছিলেন। প্রথমদিকে তিনি চুপ ছিলেন। পরে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে চিৎকার করে কাকুতি-মিনতি করতে থাকেন।

এছাড়া বুয়েট ছাত্র মনিরুজ্জামান মনির, এ এস এম নাজমুস সাদাত এবং খন্দকার তাবাখ্খারুল ইসলাম তানভীরও জবানবন্দিতে একই ধরনের কথা বলেন।

আবরার খুন হওয়ার পর দিন তাঁর বাবা বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দেওয়ার পর বিচার শেষে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। হাইকোর্টের রায় বিচারিক আদালতের রায় বহাল রাখা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আগে চাঁদা শামীম ওসমানের লোকেরা নিত, এখন অন্য কেউ: নুর

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জে যুব ও ছাত্র অধিকার পরিষদের সমাবেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
নারায়ণগঞ্জে যুব ও ছাত্র অধিকার পরিষদের সমাবেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

আগে চাঁদা শামীম ওসমানের লোকেরা নিত; এখনো কেউ না কেউ নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিবিরোধী যুব ও ছাত্র অধিকার পরিষদের তারুণ্য সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নুরুল হক নুর বলেন, ‘৫ আগস্টের আগে যে স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা নিয়ে জীবন বাজি রেখে রাজপথে নেমেছি, তা গণ-অভ্যুত্থানের পরের ১৫ মাসেও পূরণ হয়নি। আগামীতে বাংলাদেশ কোন দিকে এবং কীভাবে পরিচালিত হবে, তার ফয়সালা হবে এই নির্বাচনে।

‘তাই ছাত্র-জনতাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে—আপনারা নির্বাচনে কাদের ভোট দেবেন। ভালো মানুষকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে দেশের ভালো হবে। পেশিশক্তি, কালোটাকার মাফিয়া ও দুর্বৃত্তদের পেছনে স্লোগান দিয়ে রাজনীতি করার দিন শেষ।’

নুর আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জে অসংখ্য সংগ্রামী ও সাহসী তরুণ রয়েছেন, যাঁরা শামীম ওসমানদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে হাসিনার পতনের জন্য লড়াই করেছেন। মানুষের সমর্থন পেলে তাঁরাই আগামী দিনের জনপ্রতিনিধি হবেন।

রাজনৈতিক নেতাদের সমালোচনা করে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘আমাদের বিভিন্ন দলের নেতারা মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকে, কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই মাদকের ব্যবসা-বাণিজ্য চলে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায়। শুধু ব্যক্তি পাল্টায়, দৃশ্যপট পাল্টায় না।

‘নারায়ণগঞ্জের কলকারখানা ও শিল্পমালিকদের কাছ থেকে আগে শামীম ওসমানের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের লোকেরা চাঁদা নিত। এখনো কেউ না কেউ চাঁদা নিচ্ছে। চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সন্ত্রাস বন্ধে রাজনৈতিক কমিটমেন্ট দরকার। কিন্তু কেউ সেটি চায় না। কারণ, সবাই ভোটকেন্দ্র দখল করার জন্য, গুন্ডামি, মাস্তানি করার জন্য তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করতে চায়।’

এখন পর্যন্ত গণঅধিকার পরিষদ কারও সঙ্গে নির্বাচনী জোট করেনি জানিয়ে নুরুল হক বলেন, ‘রাষ্ট্রব্যবস্থা ও দেশের পরিবর্তনের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা বিবেচনার পর আমরা জোটের কথা ভাবব।’

নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি শেখ সাব্বিরের সভাপতিত্বে ও ছাত্র অধিকারের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান রাজের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মঞ্জুর মোর্শেদ মামুন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৬ নেতা গ্রেপ্তার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ছয়জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মৎস্যজীবী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও মহানগর উত্তর আওয়ামী যুবলীগের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ক্রীড়া সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন (৪৪), চাঁদপুর সদরের চান্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান মো. খান জাহান আলী ওরফে কালু পাটোয়ারী (৫৫), ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মো. মশিউর রহমান (৩২), খুলনা জেলার খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কাজী ফয়েজ আহমেদ (৫২), ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উপগ্রন্থাগার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক এবং মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের কর্মসংস্থানবিষয়ক সম্পাদক আলিম আল তারিফ (২৮) এবং আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. টিপু সুলতান (৪৫)।

ডিবি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে ডিবি-তেজগাঁও বিভাগ তেজগাঁও থানাধীন মণিপুরিপাড়া এলাকা থেকে মো. শাহাদাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সন্ধ্যায় খিলগাঁও থানাধীন নন্দীপাড়া ব্রিজসংলগ্ন এলাকা থেকে মো. খান জাহান আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই দিন রাতে পশ্চিম আগারগাঁও এলাকা থেকে মো. মশিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-লালবাগ বিভাগ।

ডিবি-সাইবার বিভাগের আরেকটি দল বৃহস্পতিবার রাতে বসুন্ধরা এলাকা থেকে কাজী ফয়েজ আহমেদকে এবং ডেমরা থানা এলাকা থেকে মো. টিপু সুলতানকে গ্রেপ্তার করে। একই দল ওই দিবাগত রাতে লালবাগ থানা এলাকা থেকে আলিম আল তারিফকে গ্রেপ্তার করে। ডিবি জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেটে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, আটক ১

সিলেট প্রতিনিধি
সিলেটে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল। ছবি: সংগৃহীত
সিলেটে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল। ছবি: সংগৃহীত

সিলেটে ঝটিকা মিছিল করেছে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। আজ শুক্রবার সকালে সিলেট নগরের মির্জাজাঙ্গাল এলাকায় সিলেট জেলা ছাত্রলীগের ব্যানারে এ মিছিল হয়। মিছিলের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। মিছিলে ১৫-২০ জন নেতা-কর্মীকে অংশ নিতে দেখা গেছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি দিলওয়ার হোসেন রাহী আজ শুক্রবার বিকেলে তাঁর ফেসবুক আইডিতে প্রথম মিছিলের ভিডিও প্রকাশ করেন। মিছিলে নেতৃত্ব দেন রাহী। মিছিলে অংশ নেওয়া দু-তিনজন ছাড়া অধিকাংশ নেতা-কর্মীর মুখে কালো মাস্ক ও মাথায় হেলমেট ছিল। মিছিলে এমসি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক টেলেন্ট কান্তি দাশকে দেখা যায়। আর বাকিদের চেনা যায়নি। মিছিলের ব্যানারে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট রনজিত সরকারের ছবি চোখে পড়ে। রাহী ও টেলেন্ট রনজিত সরকারের গ্রুপের নেতা ছিলেন।

এ বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই মিছিলের পরে আমরা একজনকে আটক করেছি। বাকিদের ধরতে অভিযানে রয়েছি আমরা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নুর না মামুন—বিতর্কে আবারও সংঘর্ষে বিএনপি–গণঅধিকার, আহত ৩১

গলাচিপা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা
নুরুল হক নুর ও হাসান মামুন। ছবি: সংগৃহীত
নুরুল হক নুর ও হাসান মামুন। ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর গলাচিপায় গণঅধিকারের নুরুল হক নুর নাকি বিএনপির হাসান মামুন—বিতর্কে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়েছেন দুই দলের নেতা-কর্মীরা। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩১ জন আহত হয়েছেন। তবে ঘটনার পর উভয় দলের নেতারা পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গলাচিপা উপজেলার দক্ষিণ কপালবেড়া খলিফা বাড়ির সামনের চৌরাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার চরশিবা ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস রাঢ়ী, সদস্য সবুজ রাঢ়ী, নূরনবী রাঢ়ী, হাসান রাঢ়ী, কুদ্দুস ব্যাপারী, ইয়াকুব রাঢ়ী, ওমর রাঢ়ী, রাহান রাঢ়ী ও সলেমান রাঢ়ী; তাঁরা সবাই বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

অপর দিকে যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. সোহেল খলিফা, আজমীর খলিফা, শাহাবুল খলিফা, আমেনা বেগম, নাঈম খলিফা ও নবীন খলিফা আহত হয়েছেন। তাঁরা গণঅধিকার পরিষদের কর্মী-সমর্থক। দুই পক্ষের অন্য আহত ব্যক্তিরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি চলে যান।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চরশিবা সাংগঠনিক ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে কমিটি গঠন উপলক্ষে গতকাল সন্ধ্যায় কপালবেড়া বাজারে গণঅধিকারের সভা ছিল। সভায় বিভিন্ন স্থান থেকে নেতা-কর্মীরা মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে অংশ নেন। অন্যদিকে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে মিছিল বের করেন ইউনিয়ন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

কর্মসূচি শেষে উভয় দলের নেতা-কর্মীরা বাড়ি ফিরছিলেন। পথে দক্ষিণ কপালবেড়া চৌরাস্তা বাজারে দুই দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সভায় লোক উপস্থিত হওয়া নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এ সময় বিএনপির নমিনেশন হাসান মামুন পাবেন না গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নুর পাবেন—এ বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে তর্ক হয়। একপর্যায়ে দুই দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

আহত যুবদল নেতা মো. ইলিয়াস রাঢ়ী বলেন, ‘শুক্রবার হাসান মামুন ভাইয়ের প্রোগ্রাম উপলক্ষে রাতে আমরা কপালবেড়া বাজারে শুভেচ্ছা মিছিল করি। মিছিল শেষে বাড়ি ফেরার সময় গণঅধিকার পরিষদের কর্মীরা আমাদের লোকজনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।’

ইলিয়াস রাঢ়ী আরও বলেন, ‘আমরা তাদের বলেছি, ৭ নভেম্বরের প্রোগ্রামে হাসান মামুন ভাই যে নির্দেশনা দেবেন, আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করব। কিন্তু তারা বলে, হাসান মামুন নমিনেশন পাবেন না, গণঅধিকারের নুরুল হক নুরকে নমিনেশন দেওয়া হয়েছে। এই কথা বলেই তারা আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালায়।’

আহত আজমীরের মা আমেনা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে মোটরসাইকেলচালক। কিছুদিন আগে বিএনপির সভায় গাড়ি নিয়ে যেতে বলেছিল, সে যায় নাই। কিন্তু আজ গণঅধিকার পরিষদের সভায় যায়। সভা শেষ করে বাসায় ফেরার পথে চৌরাস্তায় বিএনপির লোকজন তাকে ধরে মারধর করে। আমার বাসার সামনেই ঘটনা ঘটে। আমি ছেলেকে বাঁচাতে দৌড়ে গেলে আমাকেও মারধর করে।’

আজমীরের বাবা শাহাবুল খলিফা বলেন, ‘আমরা গণঅধিকার পরিষদ করি। এর আগে চরবিশ্বাসে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের মারামারির ঘটনার পর চরশিবায় পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে তারা। আগে থেকেই ক্ষোভ ছিল তাদের এবং আজকে গণঅধিকারের সভায় লোকজন যাওয়ার কারণে মারধর করে।’

যুব অধিকার নেতা সোহেল খলিফা বলেন, ‘দুপক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হলে বিএনপির লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে হামলা করে। আমরা প্রতিহত করার চেষ্টা করি, এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারিতে বেশ কয়েকজন আহত হয়।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৩ নভেম্বর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭টি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। তবে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা–দশমিনা) আসনে প্রার্থী ঘোষণা স্থগিত রাখে দলটি।

এ নিয়ে সাধারণ মানুষ, বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাগ্‌যুদ্ধ শুরু হয়। পৌর শহর ও বিভিন্ন ইউনিয়নে বিএনপির নেতা-কর্মীরা দলীয় প্রতীকে হাসান মামুনের মনোনয়ন চেয়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ-মিছিল করেছেন। তাঁরা দলীয় প্রার্থীর বাইরে বিকল্প কোনো প্রার্থীকে মেনে নিতে নারাজ।

এর ধারাবাহিকতায় উপজেলার চরশিবা সাংগঠনিক ইউনিয়নের চর কপালবেড়া নামের স্থানে দুই দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এরপর সংঘর্ষের খবর ছড়িয়ে পড়ে।

সংঘর্ষের পর চর কপালবেড়াসহ পুরো চর কাজল ইউনিয়নে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাতেই ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে অবস্থান নেয়।

এ ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নুরুল হক নুরের ভাই ও ঢাকা মহানগর উত্তর যুব অধিকার পরিষদের সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম নুর বলেন, ‘আমি এলাকায় ছিলাম না। তবে বিষয়টি হলো, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চর কপালবেড়ায় ওয়ার্ড কমিটি গঠন নিয়ে গণঅধিকারের একটি সভা ছিল। অন্যদিকে ৭ নভেম্বর উপলক্ষে বিএনপির লোকজন মিছিল করে। মিছিল শেষে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর তারা হামলা করেছে। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।’

আমিনুল ইসলাম বলেন, হাসান মামুন নমিনেশন না পাওয়ার কারণে বিএনপির লোকজন উচ্ছৃঙ্খলতা শুরু করেছে। এলাকায় একটা ভয়ভীতি ও ত্রাসের রাজনীতি করতে চায়, যাতে গণঅধিকারে কেউ যোগ না দেয়।

এদিকে ঘটনার পরে রাত ১২টার দিকে আহত ব্যক্তিদের দেখতে গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন। এ সময় উভয় দলের আহত ব্যক্তিদের তিনি চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। তিনি সবাইকে ধৈর্য ও শান্তি বজায় রাখার জন্য অনুরোধ জানান।

এ সময় বিএনপি নেতা হাসান মামুন বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি সম্পর্কে শুনেছি, তবে এখনো বিস্তারিত জানতে পারিনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এখানে রয়েছেন। তাঁরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। আমরাও প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা করছি।’

হাসান মামুন আরও বলেন, ‘শুক্রবার আমাদের দলের একটি র‍্যালি রয়েছে, সে কারণেই নেতা-কর্মীরা সংগঠিত হচ্ছিলেন। সেই প্রোগ্রাম ব্যাহত করার উদ্দেশ্যে হয়তো এ ধরনের তৎপরতা চালাতে পারে। আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করব, সঠিকভাবে তদন্ত করে সত্য উদ্‌ঘাটন করুন এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।’

মামুন বলেন, ‘একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনী পরিবেশ গড়ে উঠেছে। এই পরিবেশ রক্ষায় সব পক্ষকে শান্তি বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করব।’

সংঘর্ষের বিষয়ে গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশাদুর রহমান বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। দুই পরিবারের সদস্যরা দুই রাজনৈতিক দলের সমর্থক। তাঁদের আগে প্রভাব বিস্তার নিয়ে পারিবারিক বিরোধ রয়েছে।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এ নিয়ে সংঘর্ষ হতে পারে। সংঘর্ষে দুপক্ষই আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, এর আগেও দলীয় প্রভাব বিস্তার নিয়ে পটুয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলায় গণঅধিকার পরিষদ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত