নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পঞ্চগড় শহরের আহম্মদনগর এলাকায় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রধান নির্বাহী ড. ইফতেখারুজ্জামান।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। সংবাদ সম্মেলনে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলা পরিকল্পিত বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ৩ মার্চ এই হামলায় পুলিশের গুলিতে একজন ও বিক্ষোভকারীদের হামলায় দুজনের মৃত্যু হয়। আহত হয় শতাধিক ব্যক্তি। আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়, সেই সঙ্গে হামলা চালানো হয় ওই সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এমন ঘটনা কিন্তু নতুন নয়। এটা যে ঘটতে পারে, সেটাও অজানা ছিল না। আয়োজকদের পক্ষ থেকে আগেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো হয়েছিল। তাহলে প্রশ্ন ওঠে, কেন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হলো না।’
টিআইবির প্রধান বলেন, ‘মোটা দাগে এটা সবাইকে উদ্বিগ্ন করে যে, দেশে যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার চেতনা, আমাদের যে সংবিধান তার যে মৌলিক নীতিগুলো আছে তার সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।’ কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি অসাম্প্রদায়িক দেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম এবং দেখি। আর সেই জায়গা আমাদের সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে। সেই জায়গায় এমন একটি ঘটনা সবাইকে উদ্বিগ্ন করে। এর মাধ্যমে সংবিধানের চেতানা, স্বাধীনতার চেতনা পদদলিত করা হচ্ছে।’
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সমাজের সকল তথ্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কেন্দ্র করে এমন ঘটনা ঘটছে। আর প্রধান কারণ রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক তোষণ। একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এমন বিষয়গুলোকে উসকে দেওয়া হচ্ছে।’
নাগরিক উদ্যোগের নির্বাহী প্রধান জাকির হোসেন বলেন, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠদের সুপারম্যাসি প্রতিষ্ঠা করার চিন্তা চলছে। চারদিকে পুলিশ থাকবে আর ধর্ম পালন করতে হবে—এটা তো হতে পারে না। রাষ্ট্র যদি সঠিক পরিকল্পনা না নেয়, তাহলে এখান থেক বের হওয়া যাবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে এইচআরএফবির পর্যবেক্ষণে বলা হয়, হামলাকারীরা পরিকল্পিতভাবে ও সংঘবদ্ধভাবে হামলা, লুটপাট, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। জাহিদ ইসলাম নামে তরুণকে নির্যাতন করে হত্যার সময় পুলিশের ভূমিকা নীরব ছিল। হামলার আগে পতাকা দিয়ে বাড়ি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। জলসা নিয়ে আগে থেকে প্রশাসনকে বললেও তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করার পরেও এই হামলা ঘটে। প্রশাসনের অসতর্কতায় আরেক তরুণের মৃত্যু হয়। সামাজিক গণমাধ্যমে বা অফলাইনে নানা মিথ্যা প্রচারণা ও ঘৃণা ছড়িয়ে এই হামলা আরও সংগঠিত করা হয়।
মানবাধিকার ফোরাম থেকে পাঁচটি দাবি তুলে ধরা হয়। তা হলো—হামলায় জড়িতদের সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্তসাপেক্ষে চিহ্নিত করা ও বিচার করা। আহমদিয়াদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। অনলাইন, অফলাইনে যারা ঘৃণা ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। আগের সব হামলার বিচার করা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক মো. নূর খান, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনামসহ অন্যরা।
পঞ্চগড় শহরের আহম্মদনগর এলাকায় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রধান নির্বাহী ড. ইফতেখারুজ্জামান।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। সংবাদ সম্মেলনে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলা পরিকল্পিত বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ৩ মার্চ এই হামলায় পুলিশের গুলিতে একজন ও বিক্ষোভকারীদের হামলায় দুজনের মৃত্যু হয়। আহত হয় শতাধিক ব্যক্তি। আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়, সেই সঙ্গে হামলা চালানো হয় ওই সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এমন ঘটনা কিন্তু নতুন নয়। এটা যে ঘটতে পারে, সেটাও অজানা ছিল না। আয়োজকদের পক্ষ থেকে আগেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো হয়েছিল। তাহলে প্রশ্ন ওঠে, কেন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হলো না।’
টিআইবির প্রধান বলেন, ‘মোটা দাগে এটা সবাইকে উদ্বিগ্ন করে যে, দেশে যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার চেতনা, আমাদের যে সংবিধান তার যে মৌলিক নীতিগুলো আছে তার সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।’ কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি অসাম্প্রদায়িক দেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম এবং দেখি। আর সেই জায়গা আমাদের সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে। সেই জায়গায় এমন একটি ঘটনা সবাইকে উদ্বিগ্ন করে। এর মাধ্যমে সংবিধানের চেতানা, স্বাধীনতার চেতনা পদদলিত করা হচ্ছে।’
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সমাজের সকল তথ্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কেন্দ্র করে এমন ঘটনা ঘটছে। আর প্রধান কারণ রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক তোষণ। একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এমন বিষয়গুলোকে উসকে দেওয়া হচ্ছে।’
নাগরিক উদ্যোগের নির্বাহী প্রধান জাকির হোসেন বলেন, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠদের সুপারম্যাসি প্রতিষ্ঠা করার চিন্তা চলছে। চারদিকে পুলিশ থাকবে আর ধর্ম পালন করতে হবে—এটা তো হতে পারে না। রাষ্ট্র যদি সঠিক পরিকল্পনা না নেয়, তাহলে এখান থেক বের হওয়া যাবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে এইচআরএফবির পর্যবেক্ষণে বলা হয়, হামলাকারীরা পরিকল্পিতভাবে ও সংঘবদ্ধভাবে হামলা, লুটপাট, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। জাহিদ ইসলাম নামে তরুণকে নির্যাতন করে হত্যার সময় পুলিশের ভূমিকা নীরব ছিল। হামলার আগে পতাকা দিয়ে বাড়ি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। জলসা নিয়ে আগে থেকে প্রশাসনকে বললেও তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করার পরেও এই হামলা ঘটে। প্রশাসনের অসতর্কতায় আরেক তরুণের মৃত্যু হয়। সামাজিক গণমাধ্যমে বা অফলাইনে নানা মিথ্যা প্রচারণা ও ঘৃণা ছড়িয়ে এই হামলা আরও সংগঠিত করা হয়।
মানবাধিকার ফোরাম থেকে পাঁচটি দাবি তুলে ধরা হয়। তা হলো—হামলায় জড়িতদের সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্তসাপেক্ষে চিহ্নিত করা ও বিচার করা। আহমদিয়াদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। অনলাইন, অফলাইনে যারা ঘৃণা ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। আগের সব হামলার বিচার করা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক মো. নূর খান, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনামসহ অন্যরা।
ফেনীর দাগনভূঞার পানিতে ডুবে নাফিজ (৯) ও ইয়াছিন (৭) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে দাগনভূঞা উপজেলার চণ্ডীপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী মিঝি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নাফিজ একই বাড়ির মো. নেজামের ও ইয়াছিন মো. সাইফুলের ছেলে। এদিকে একই বাড়ির দুই শিশুর মৃত্যুতে পরিবারসহ এলাকায় শোকের
৩ মিনিট আগেসাতক্ষীরার তালা উপজেলায় আগুনে পুড়ে সানজিদা আক্তার তুলি (১৮) নামের এক কলেজছাত্রীর মারা যাওয়ার ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা হয়েছে।
৮ মিনিট আগেমুন্সিগঞ্জ সদরে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধের জেরে একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটছে। ২৮ বছর ধরে চলা এই রক্তারক্তির সর্বশেষ শিকার হয়েছেন একজন গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে। মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের মাকাহাটি এলাকায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে একজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
১৩ মিনিট আগেরাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় গ্যাস–সংকট নিরসনের দাবিতে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর ঘণ্টাব্যাপী ধলপুর-সায়েদাবাদ সড়ক অবরোধ করে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় অত্র এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
৩৭ মিনিট আগে