নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জালিয়াতির অভিযোগ তুলে ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে। আজ রোববার ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এই রিট দায়ের করেন। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চে আবেদনের বিষয়ে সোমবার শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন সুমন।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ২০০৯ সালে নিয়োগ পরীক্ষার নম্বরপত্রে ঘষা-মাজা করা হয়েছিল। জালিয়াতি করে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওয়াসার এমডি হওয়ার জন্য পয়োনিষ্কাশন বিষয়ে ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। অথচ তাঁর কোনো অভিজ্ঞতা নেই। নিয়োগবিধি অনুযায়ী যে যোগ্যতার কথা বলা হয়েছিল, সেটাও তাঁর নেই। তার পরও তিনি বহাল তবিয়তে আছেন। বিষয়গুলো তদন্ত হওয়া দরকার।
সুমন আরও বলেন, ওয়াসার এমডি হিসেবে তাকসিম এ খান ১৩ বছর ধরে পদে আছেন। ১৩ বছরে ৬ টাকা থেকে ১৫ টাকা হয়েছে পানির ইউনিট। হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ গণমাধ্যমে উঠে এসেছে।
এর আগে এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে তাকসিম এ খান গত ১৩ বছর বেতন-বোনাসসহ কত টাকা নিয়েছেন তার হিসাব চান হাইকোর্ট। এসব হিসাব জানাতে ওয়াসা বোর্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয় গত ১৭ আগস্ট। সেই সঙ্গে রুলও জারি করেন আদালত। তাকসিম এ খানকে এমডির পদ থেকে অপসারণে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং অপসারণের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।
পরে হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী ঢাকা ওয়াসা থেকে ২৯ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। যাতে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান গত ১৩ বছরে বেতন-ভাতা হিসেবে ৫ কোটি ৭৯ লাখ ৯৩ হাজার ৭৯৩ টাকা নিয়েছেন। প্রতিবেদন অনুসারে ৫ কোটি ৭৯ লাখ ৯৩ হাজার ৭৯৩ টাকার মধ্যে মূল বেতন ২ কোটি ১৯ লাখ ৪৬ হাজার ৯০৩ টাকা। বাড়িভাড়া ৪২ লাখ ৪ হাজার ৩২ টাকা, নববর্ষ বোনাস ৩ লাখ ৫ হাজার ৮২০, চিকিৎসা ভাতা ৩৬ লাখ ৬৯ হাজার ৩৪৭, বিশেষ ১ কোটি ৭৭ লাখ ১৩ হাজার ৩৪০ টাকা।
এ ছাড়া আপ্যায়ন ব্যয় বাবদ ৩৬ লাখ ৪৪ হাজার ৩৪৭, উৎসব বোনাস ৩১ লাখ ১৩ হাজার ৮২৪, পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড ৩০ লাখ ৯০ হাজার ৯৯০, অন্যান্য ভাতা ১ লাখ ৩০ হাজার ১৯০ এবং মহার্ঘ্য ভাতা ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে বাড়িভাড়া, কোয়ার্টার মেরামত, আয়করসহ অন্যান্য খাতে মোট ১ কোটি ২৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৭৭ টাকা কর্তন করা হয়েছে। কর্তন বাদে তিনি পেয়েছেন ৪ কোটি ৫১ লাখ ৬ হাজার ৫১৬ টাকা।
আরও পড়ুন:
জালিয়াতির অভিযোগ তুলে ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে। আজ রোববার ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এই রিট দায়ের করেন। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চে আবেদনের বিষয়ে সোমবার শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন সুমন।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ২০০৯ সালে নিয়োগ পরীক্ষার নম্বরপত্রে ঘষা-মাজা করা হয়েছিল। জালিয়াতি করে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওয়াসার এমডি হওয়ার জন্য পয়োনিষ্কাশন বিষয়ে ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। অথচ তাঁর কোনো অভিজ্ঞতা নেই। নিয়োগবিধি অনুযায়ী যে যোগ্যতার কথা বলা হয়েছিল, সেটাও তাঁর নেই। তার পরও তিনি বহাল তবিয়তে আছেন। বিষয়গুলো তদন্ত হওয়া দরকার।
সুমন আরও বলেন, ওয়াসার এমডি হিসেবে তাকসিম এ খান ১৩ বছর ধরে পদে আছেন। ১৩ বছরে ৬ টাকা থেকে ১৫ টাকা হয়েছে পানির ইউনিট। হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ গণমাধ্যমে উঠে এসেছে।
এর আগে এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে তাকসিম এ খান গত ১৩ বছর বেতন-বোনাসসহ কত টাকা নিয়েছেন তার হিসাব চান হাইকোর্ট। এসব হিসাব জানাতে ওয়াসা বোর্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয় গত ১৭ আগস্ট। সেই সঙ্গে রুলও জারি করেন আদালত। তাকসিম এ খানকে এমডির পদ থেকে অপসারণে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং অপসারণের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।
পরে হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী ঢাকা ওয়াসা থেকে ২৯ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। যাতে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান গত ১৩ বছরে বেতন-ভাতা হিসেবে ৫ কোটি ৭৯ লাখ ৯৩ হাজার ৭৯৩ টাকা নিয়েছেন। প্রতিবেদন অনুসারে ৫ কোটি ৭৯ লাখ ৯৩ হাজার ৭৯৩ টাকার মধ্যে মূল বেতন ২ কোটি ১৯ লাখ ৪৬ হাজার ৯০৩ টাকা। বাড়িভাড়া ৪২ লাখ ৪ হাজার ৩২ টাকা, নববর্ষ বোনাস ৩ লাখ ৫ হাজার ৮২০, চিকিৎসা ভাতা ৩৬ লাখ ৬৯ হাজার ৩৪৭, বিশেষ ১ কোটি ৭৭ লাখ ১৩ হাজার ৩৪০ টাকা।
এ ছাড়া আপ্যায়ন ব্যয় বাবদ ৩৬ লাখ ৪৪ হাজার ৩৪৭, উৎসব বোনাস ৩১ লাখ ১৩ হাজার ৮২৪, পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড ৩০ লাখ ৯০ হাজার ৯৯০, অন্যান্য ভাতা ১ লাখ ৩০ হাজার ১৯০ এবং মহার্ঘ্য ভাতা ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে বাড়িভাড়া, কোয়ার্টার মেরামত, আয়করসহ অন্যান্য খাতে মোট ১ কোটি ২৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৭৭ টাকা কর্তন করা হয়েছে। কর্তন বাদে তিনি পেয়েছেন ৪ কোটি ৫১ লাখ ৬ হাজার ৫১৬ টাকা।
আরও পড়ুন:
২০১৯ সালের গোড়ায় মডেল মসজিদের কাজ শুরু হয়। এখন ২০২৫ সালের মাঝামাঝি চলছে, প্রায় সাত বছর পার হলেও ৮০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। অথচ তিন বছরের চুক্তিতে কাজ শুরু হয়েছিল।”
২৩ মিনিট আগেজমানো পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা ও মাছির জন্ম হয়ে পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। দ্রুত পৌর শহরের অর্ধলাখ মানুষকে রক্ষায় কালভার্ট ও ড্রেনেজ দখল করে স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ রয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ পানি নিস্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন
২৬ মিনিট আগেসরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
৩৭ মিনিট আগেউপজেলার বড়বিল-তুলাবিল-কালাপানি সড়কের পান্নাবিল এলাকায় একটি ব্রিজ সম্পূর্ণভাবে দেবে গেছে। এ ছাড়া একসত্যাপাড়া-বড়বিল, যোগ্যাছোলা-আছারতলী ও গচ্ছাবিল-চইক্যাবিল সড়কে চলমান কার্পেটিং প্রকল্পের ৪০-৫০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কংক্রিট-বালু দিয়ে প্রস্তুত সড়ক অংশ খরস্রোতে ভেসে গেছে।
৪১ মিনিট আগে