Ajker Patrika

ধাওয়া করলে পাকিস্তানে পালানোর পথ পাবে না অধ্যাপক আসিফ নজরুল: ছাত্রলীগ সভাপতি

প্রতিনিধি, ঢাবি
ধাওয়া করলে পাকিস্তানে পালানোর পথ পাবে না অধ্যাপক আসিফ নজরুল: ছাত্রলীগ সভাপতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলকে পাকিস্তান চলে যেতে বললেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা দেশে সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত কালো পতাকা মিছিল ও এক মিনিট নীরবতা পালন অনুষ্ঠানে আজ (বুধবার) তিনি এ বক্তব্য দেন। 

অধ্যাপক আসিফ নজরুলের উদ্দেশ্যে জয় বলেন, 'আমরা শিক্ষকদের সম্মান করি। কিন্তু আপনি বারবার সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য বাসায় বসে ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য দেন। আপনার যদি পাকিস্তানে যাওয়ার ইচ্ছা থাকে তাহলে পাসপোর্ট করে পাকিস্তান চলে যান। দেশের উন্নয়নের পক্ষে অবস্থান না নিয়ে আপনি যদি নুরু গং, শিবির গং ও জঙ্গিগোষ্ঠীর পক্ষে অবস্থান নেন তাহলে মনে রাখবেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ৫০ লাখ নেতা–কর্মীর সংগঠন। বাংলাদেশে অবস্থান করে দেশের বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মেনে নেবে না। আমরা যদি ধাওয়া করি তাহলে পাকিস্তান পালানোর জায়গা পাবেন না।' 

ছাত্রলীগ সভাপতি আরও বলেন, 'দেশের যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কাজ করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ তার কন্যা শেখ হাসিনা করে যাচ্ছে। তাঁর পক্ষে অবস্থান না নিয়ে কেউ দেশবিরোধী কোন ষড়যন্ত্র করলে গণধোলাই দিয়ে পাকিস্তান পাঠিয়ে দেওয়া হবে।' 

সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মধুর ক্যানটিনে এক মিনিট নীরবতা পালন করে কালো পতাকা মিছিল করে। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনার গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এতে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সঞ্চালনা ও আল নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।

সভায় লেখক ভট্টাচার্য বলেন, শিক্ষকেরা জাতির বিবেক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে আমরা দেশপ্রেম, প্রগতিশীলতার চর্চা শিখেছি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাই অগণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য ছাত্রলীগের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে রাজপথে থাকেন। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল শিক্ষক নামের কলঙ্ক। তিনি বিভিন্ন সময় জামায়াত শিবির এবং জঙ্গিবাহিনী নিয়ে উসকানিমূলক কথাবার্তা বলেন। তালেবানি আদর্শপুষ্ট বিএনপি জামায়াতের দালালি করার জন্য এই শিক্ষক ফেসবুকে দুঃসাহস দেখিয়েছে। এর আগেও সে এক বক্তৃতায় বলেছে, কেউ শিবির করলে কী হয়েছে? শিবির হলেই তাকে মারতে হবে? আমরা বলতে চাই, কোন ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠী বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার রাখে না। শিবির করলেই তাকে মারতে হবে। গণধোলাই দিয়ে আসিফ নজরুল গংদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটি থেকে বিতাড়িত করা হবে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রতি আমাদের আহ্বান, যেকোনো মূল্যে এই আসিফ নজরুলকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিতাড়িত করার ব্যবস্থা করুন। আপনারা যদি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করেন তাহলে আমরাই দায়িত্ব হাতে তুলে নিব। আমরা জানি কীভাবে এদের শায়েস্তা করতে হয়। এর থেকে অনেক বড় রাঘব বোয়ালরা লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে। সুতরাং, দুঃসাহস দেখানোর কোন অবকাশ নেই। আমরাই তাদের রুখে দাঁড়াবে। 

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের শীর্ষ ৪ নেতার মধ্যে দুজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী। এরা হলেন, ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খায় জয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিৎ চন্দ্র দাস এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের ‘সন্ত্রাসী খেল’ ফাঁস করে দিলেন জঙ্গিগোষ্ঠী জইশের সদস্য

বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে আসিফ নজরুলের পুরোনো ফেসবুক পোস্ট নতুন করে ভাইরাল করলেন হাসনাত

নিজের বিচারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি কলেজশিক্ষকের

‘সোহরাব-রুস্তম’ সিনেমায় ইলিয়াস কাঞ্চনের নায়িকার জীবনের করুণ অবসান!

৫ ইসলামি ব্যাংকে বসছে প্রশাসক, একীভূতকরণে লাগবে দুই বছর: বাংলাদেশ ব্যাংক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত