Ajker Patrika

মোসারাতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন, হত্যার অভিযোগ স্বজনদের

ঢামেক প্রতিবেদক
মোসারাতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন, হত্যার অভিযোগ স্বজনদের

রাজধানীর গুলশানে উদ্ধার মোসারাত জাহান মুনিয়ার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ময়নাতদন্ত করেন ঢামেক ফরেনসিক চিকিৎসক ডা. দিপিকা। মৃত্যুর বিষয়ে কোন কথা বলেননি তিনি।

ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের লোকজন মৃতদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যায়। মুনিয়ার বোন জামাই মিজানুর রহমান মর্গে সাংবাদিকদের জানায়, মুনিয়ার মৃতদেহ গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা সদর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে নেওয়া হবে। সেখানে মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে মুনিয়াকে।

মিজানুর রহমান মর্গে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, মুনিয়া ইচ্ছাকৃত ভাবে আত্মহত্যা করেনি। তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। কারণ আত্মহত্যার কোন আলামত গুলশানের বাসায় ছিল না। বিছানার ওপর একটি টুল ছিল। তবে সেটা দাঁড়ানো অবস্থায় ছিল। গলায় ফাঁস দিলেতো টুল পরে যাওয়ার কথা। আমি এর বিচার চাই। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করবো।

মিজানুর বলেন, মুনিয়ার বাবা মুক্তযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম গত ২০১৭ সালে মারা যায়। মা সেতারা বেগম ২০১৮ সালে মারা যায়। এরপর বোন নুসরাত জাহানের কাছেই থাকত মুনিয়া। কুমিল্লা থেকে মিরপুর বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ট্রান্সফার হয়ে দশম শ্রেনীতে ভর্তি হয় মুনিয়া। থাকতো একটি মেসে। সেখান থেকে এসএসসি পাশ করে ২০১৯ সালে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয় মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে। সেখান থেকে ফেসবুকে পরিচয় হয় বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের সাথে।

মিজানুর আরও বলেন, পরিচয়ের পর তাদের সাথে সম্পর্ক হয়। পরে মুনিয়াকে বনানীতে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করে দেয়। বিষয়টি জানতে পরে আনভিরের পরিবার। তখন মুনিয়াকে আনভিরের মা হুমকি দেয় এবং ঢাকা থেকে চলে যেতে বলে। মুনিয়া তখন কুমিল্লা চলে যায়। আবারও মুনিয়ার সাথে যোগাযোগ করে আনভীর। গত দুই মাস আগে এক লক্ষ টাকায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করে দেয়। এবং সেখানে যাতায়াত করে আনভীর।

গত ২৩ এপ্রিল মুনিয়ার বাসায় বাড়িওয়ালাসহ ইফতার করে এবং ছবি তুলে। সেই ছবি ফেসবুকে আপলোড করে বাড়িওয়লার স্ত্রী। এই ছবি দেখে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে আনভীর। ফোনে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। পরে মুনিয়াকে ৫০ লাখ টাকা চুরির অভিযোগ করে আনভীর। দেখে নেওয়ার হুমকিও দেন তিনি। বিষয়টি মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহানের সাথে শেয়ার করে। গতকাল সোমবার সকাল ৯টার দিকে মুনিয়া বড় বোন নুসরাতকে ফোন দেয় এবং ঢাকায় আসতে বলে।

মিজানুর বলেন, গতকাল ইফতারের কিছু আগে গুলশানের বাসায় আসেন নুসরাত। সেখানে গিয়ে মুনিয়ার ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পায়। পরে বাড়ির দারোয়ানের সাহায্যে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে গিয়ে দেখে ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে ঝুলছে। পরে পুলিশে খবর দেয়।

গুলশান থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. শামিম হোসেন সুরতহাল রিপোর্টে উল্লেখ করেন, মৃতদেহের গলার বাম পাশে অর্ধচন্দ্রাকৃতির দাগ আছে। জিহবা হাফ ইঞ্চি বের হয়েছিল। এছাড়া শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মৃত মুনিয়া ধর্ষিত হয়েছে কিনা? বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে কিনা তা জানার জন্য নমুনা ফরেনসিকে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত