Ajker Patrika

পদ্মায় বিলীন আজিমনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ভাঙনের মুখে ইউনিয়ন স্কুল

মাহিদুল মাহি, হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ)
পদ্মায় বিলীন আজিমনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ভাঙনের মুখে ইউনিয়ন স্কুল

পদ্মা ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের চর এলাকা আজিমনগর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন। শনিবার দিবাগত রাতে ভবনটি বিলীন হয়ে যায়। 

জানা যায়, ২০০৮ সালে হরিরামপুরের চরাঞ্চলে আজিমনগর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মিত হয়। ভাঙন রোধে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল হোসেন উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে একাধিকবার জানিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইসরাত জাহান পানি উন্নয়ন বোর্ডকে একাধিকবার প্রতিবেদন পাঠালেও ভাঙন রোধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এদিকে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য আজিমনগর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় ভবনও ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। বর্তমানে স্কুল ভবন থেকে নদী তীরের দূরত্ব মাত্র ১৫০ মিটার। 

আজিমনগর ইউনিয়নের হালুয়াঘাট এলাকার মো. নাসির উদ্দিন বলেন, পদ্মা ভাঙনে হুমকির মুখে আজিম নগর ইউনিয়নের ৬,৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড। এই চারটি ওয়ার্ডে আজিমনগর ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার মধ্যে চর অঞ্চলের একমাত্র এমপিওভুক্ত আজিমনগর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়, ৫৭ নম্বর হারুকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাতিঘাটা আশ্রয়ণ প্রকল্প, ইব্রাহিমপুর জামে মসজিদ ও মাদ্রাসা। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে পদ্মায় বিলীন হয়ে যাবে। আমরা চরাঞ্চলের লোকজন ত্রাণ চাই না, ভাঙন রোধে স্থায়ী বেড়িবাঁধ চাই। 

আজিমনগর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চৌধুরী আওলাদ হোসেন বিপ্লব বলেন, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আমার স্কুল ভবনটিও চলে যাবে। 

আজিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পদ্মা যখন ২০০ থেকে ৩০০ গজ দূরে তখন একাধিকবার উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি। ইউএনও মহোদয়ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানিয়েছেন। তবে এখনো কাজ শুরু হয়নি। ভবনটি ভেঙে পদ্মায় চলে গেছে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'আজিমনগর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনসহ আজিমনগরে পদ্মার ভাঙন রক্ষায় একাধিকবার পানি উন্নয়ন বোর্ডে প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নিজে গিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। তবে এখনো কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি'। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাইন উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'আজিমনগর এলাকায় পানির স্রোত বেশি থাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হলেও ভবনটি রক্ষা করা যেতো না। আর চরাঞ্চলে স্থায়ী বাঁধ দেওয়ারও সুযোগ নেই'। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রীকে বিদেশ যেতে বাধা

‘মেয়েরা যেন আমার মরা মুখ না দেখে’, চিরকুট লিখে ঠিকাদারের ‘আত্মহত্যা’

ফরিদপুরে পালিয়ে যাওয়া আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার, থানার ওসিকে বদলি

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় ভারতের উদ্বেগ

কাতারের রাজপরিবারের দেওয়া বিলাসবহুল বিমান না নেওয়াটা বোকামি: ট্রাম্প

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত