গোপালগঞ্জ ডেন্টাল কলেজ
জাবেরুল ইসলাম বাঁধন, গোপালগঞ্জ
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠীর দন্তসংশ্লিষ্ট চিকিৎসাসেবা ও চিকিৎসক তৈরির জন্য নেই বিশেষায়িত কোনো সরকারি কলেজ ও হাসপাতাল। এই অভাব দূর করার জন্য সরকার ২০১৪ সালে গোপালগঞ্জে একটি পূর্ণাঙ্গ ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপনের প্রকল্প নেয়; কিন্তু এখনো সেই প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। এতে দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে মেয়াদ ও নির্মাণ ব্যয়।
কাজ শেষ না হওয়ায় অনুমোদন পেয়েও শুরু করা সম্ভব হয়নি কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম। আর হাসপাতাল চালু না হওয়ায় দাঁতের সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয় জনগণ। এই অবস্থার জন্য জমি অধিগ্রহণের জটিলতাকে দুষছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও গণপূর্ত বিভাগ।
গণপূর্ত বিভাগ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে সাড়ে ৭ একর জমিতে গোপালগঞ্জ ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মাণের অনুমোদন দেয় সরকার। ব্যয় ধরা হয় ৮৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। পরে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) দুবার সংশোধন করে নতুন ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ১৩৯ কোটি ৬৮ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। অর্থাৎ ব্যয় বাড়ানো হয় ৫১ কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয় ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত। পরে চার ধাপে তা বাড়ানো হয় ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এতেও কাজ সম্পন্ন করতে না পারায় নতুন মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য অধিদপ্তরে আবেদন পাঠানো হয়েছে। কাজটি বাস্তবায়ন করছে জিকেবিপিএল অ্যান্ড ডিসিএল নামে যৌথ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
গোপালগঞ্জ ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতালে ১৪টি ভবন থাকছে। যার মধ্যে রয়েছে আটতলা ফাউন্ডেশনসহ চারতলা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতাল বা একাডেমিক ভবন, অধ্যক্ষের বাসভবন, পুরুষ শিক্ষার্থীদের হোস্টেল, নারী শিক্ষার্থীদের হোস্টেল, পুরুষ ইন্টার্নি চিকিৎসকদের ডরমিটরি, নারী ইন্টার্নি চিকিৎসকদের ডরমিটরি, দুটি শিক্ষক ডরমিটরি, দুটি কর্মচারী বাসভবন ও নার্সদের ডরমিটরি। এ ছাড়া সাবস্টেশন, পাম্প, গ্যারেজ ও জেনারেটর রুম রয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঢালি কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের (ডিসিএল) জ্যেষ্ঠ প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. সোহেল রানা বলেন, ‘জমি অধিগ্রহণে জটিলতা, করোনা মহামারিসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে নির্মাণকাজ শেষ করতে সময় লেগেছে। আমাদের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। ইতিমধ্যে ৯৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করি, মেয়াদ বৃদ্ধি সাপেক্ষে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ কাজ শেষ করা যাবে।’
এ বিষয়ে কথা হলে গোপালগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বর্ণেন্দু শেখর মণ্ডল বলেন, ‘ডেন্টাল কলেজ স্থাপন প্রকল্পের পেছনের দিকে চারটি ভবনের জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয় ২০২২ সালের শেষের দিকে। মূলত জমি অধিগ্রহণে সময় বেশি লাগার কারণে প্রকল্প সাইটের মাটি ভরাট, রাস্তা নির্মাণ ও ভবন চারটির নির্মাণকাজ দেরিতে শুরু হওয়ায় সময়মতো শেষ করা সম্ভব হয়নি। আশা করি, চলতি বছরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।’
যোগাযোগ করা হলে প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, ডেন্টাল কলেজ স্থাপন প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতা ছিল। জমি অধিগ্রহণেই সময় লেগেছে প্রায় ৫ বছর। এ ছাড়া কয়েক দফায় মেয়াদ বাড়াতে কিছু সময় অতিবাহিত
হয়েছে। এর মধ্যে করোনা মহামারি ছিল। সে সময় প্রকল্পের কাজ
পুরোপুরি বন্ধ ছিল। প্রকল্পের অবশিষ্ট কার্যক্রম শেষ করতে মেয়াদ ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু না হওয়ার বিষয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, ডেন্টাল কলেজের একাডেমিক অনুমোদন পাওয়া গেলেও অবকাঠামো নির্মাণ এবং যন্ত্রপাতি না বসানো পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব নয়। নির্মাণকাজ শেষ হলে আগামী বছর থেকেই শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠীর দন্তসংশ্লিষ্ট চিকিৎসাসেবা ও চিকিৎসক তৈরির জন্য নেই বিশেষায়িত কোনো সরকারি কলেজ ও হাসপাতাল। এই অভাব দূর করার জন্য সরকার ২০১৪ সালে গোপালগঞ্জে একটি পূর্ণাঙ্গ ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপনের প্রকল্প নেয়; কিন্তু এখনো সেই প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। এতে দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে মেয়াদ ও নির্মাণ ব্যয়।
কাজ শেষ না হওয়ায় অনুমোদন পেয়েও শুরু করা সম্ভব হয়নি কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম। আর হাসপাতাল চালু না হওয়ায় দাঁতের সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয় জনগণ। এই অবস্থার জন্য জমি অধিগ্রহণের জটিলতাকে দুষছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও গণপূর্ত বিভাগ।
গণপূর্ত বিভাগ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে সাড়ে ৭ একর জমিতে গোপালগঞ্জ ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মাণের অনুমোদন দেয় সরকার। ব্যয় ধরা হয় ৮৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। পরে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) দুবার সংশোধন করে নতুন ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ১৩৯ কোটি ৬৮ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। অর্থাৎ ব্যয় বাড়ানো হয় ৫১ কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয় ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত। পরে চার ধাপে তা বাড়ানো হয় ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এতেও কাজ সম্পন্ন করতে না পারায় নতুন মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য অধিদপ্তরে আবেদন পাঠানো হয়েছে। কাজটি বাস্তবায়ন করছে জিকেবিপিএল অ্যান্ড ডিসিএল নামে যৌথ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
গোপালগঞ্জ ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতালে ১৪টি ভবন থাকছে। যার মধ্যে রয়েছে আটতলা ফাউন্ডেশনসহ চারতলা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতাল বা একাডেমিক ভবন, অধ্যক্ষের বাসভবন, পুরুষ শিক্ষার্থীদের হোস্টেল, নারী শিক্ষার্থীদের হোস্টেল, পুরুষ ইন্টার্নি চিকিৎসকদের ডরমিটরি, নারী ইন্টার্নি চিকিৎসকদের ডরমিটরি, দুটি শিক্ষক ডরমিটরি, দুটি কর্মচারী বাসভবন ও নার্সদের ডরমিটরি। এ ছাড়া সাবস্টেশন, পাম্প, গ্যারেজ ও জেনারেটর রুম রয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঢালি কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের (ডিসিএল) জ্যেষ্ঠ প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. সোহেল রানা বলেন, ‘জমি অধিগ্রহণে জটিলতা, করোনা মহামারিসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে নির্মাণকাজ শেষ করতে সময় লেগেছে। আমাদের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। ইতিমধ্যে ৯৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করি, মেয়াদ বৃদ্ধি সাপেক্ষে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ কাজ শেষ করা যাবে।’
এ বিষয়ে কথা হলে গোপালগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বর্ণেন্দু শেখর মণ্ডল বলেন, ‘ডেন্টাল কলেজ স্থাপন প্রকল্পের পেছনের দিকে চারটি ভবনের জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয় ২০২২ সালের শেষের দিকে। মূলত জমি অধিগ্রহণে সময় বেশি লাগার কারণে প্রকল্প সাইটের মাটি ভরাট, রাস্তা নির্মাণ ও ভবন চারটির নির্মাণকাজ দেরিতে শুরু হওয়ায় সময়মতো শেষ করা সম্ভব হয়নি। আশা করি, চলতি বছরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।’
যোগাযোগ করা হলে প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, ডেন্টাল কলেজ স্থাপন প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতা ছিল। জমি অধিগ্রহণেই সময় লেগেছে প্রায় ৫ বছর। এ ছাড়া কয়েক দফায় মেয়াদ বাড়াতে কিছু সময় অতিবাহিত
হয়েছে। এর মধ্যে করোনা মহামারি ছিল। সে সময় প্রকল্পের কাজ
পুরোপুরি বন্ধ ছিল। প্রকল্পের অবশিষ্ট কার্যক্রম শেষ করতে মেয়াদ ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু না হওয়ার বিষয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, ডেন্টাল কলেজের একাডেমিক অনুমোদন পাওয়া গেলেও অবকাঠামো নির্মাণ এবং যন্ত্রপাতি না বসানো পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব নয়। নির্মাণকাজ শেষ হলে আগামী বছর থেকেই শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে।
চট্টগ্রাম বন্দরে অফডকগুলোয় যখন-তখন কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন প্রাইম মুভার শ্রমিকেরা। এতে থেমে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের আমদানি-রপ্তানির চাকা। এদিকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ২৮ মের মধ্যে পোশাকশ্রমিকদের সব বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে হবে।
২ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদীর বিভিন্ন এলাকা থেকে অবাধে তোলা হচ্ছে পাথর। দুই মাস ধরে চলছে অবৈধভাবে পাথর তোলার এই মহোৎসব। স্থানীয়রা বলছেন, একটি প্রভাবশালী চক্র নদী থেকে অবৈধভাবে পাথর তুলে অন্যত্র বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা।
২ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করায় দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই অশান্ত হয়ে পড়েছে যমুনা। ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বিঘার পর বিঘা ফসলি জমি। জিও ব্যাগভর্তি বালুর বস্তা ফেলেও আটকানো যাচ্ছে না নদীর রুদ্ররূপ।
২ ঘণ্টা আগেরংপুর নগরীর গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল এলাকা সিটি বাজার ও কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল। নিরাপদ পারাপার ও নগরীর ট্রাফিক চাপ কমানোর জন্য এই দুই স্থানে তিন বছর আগে পৌনে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে