Ajker Patrika

ফি দিয়ে সদস্য হয়ে প্রশ্নপত্র নিতেন পরীক্ষার্থীরা: ডিবি  

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ফি দিয়ে সদস্য হয়ে প্রশ্নপত্র নিতেন পরীক্ষার্থীরা: ডিবি  

কোশ্চেন ব্যাংক, কোশ্চেন লিংক, অল এক্সাম হেলপিং জোন, এসএসসি ২০২১ অল বোর্ডসহ আরও বেশ কিছু ভুয়া ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপ, পেজ ও আইডি খুলে প্রশ্নপত্র পাওয়া যায় বলে পোস্ট ও শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত ইনবক্সে মেসেজ দেন তারা। পরে প্রশ্নপত্র পেতে আগ্রহী পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের কাছে থেকে প্রাথমিকভাবে ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়ে সদস্য করে নিত চক্রটি। 

গতকাল শনিবার রাতে ঢাকার উত্তরা, গাজীপুরের পুবাইল ও নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে এসএসসি প্রশ্ন ফাঁসের প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎকারী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ। 

রোববার বিকেলে রাজধানীর মিন্টু রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কমিশনার হাফিজ আক্তার। 

হাফিজ আক্তার বলেন, চক্রটির তিন সদস্য গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পরে তারা গ্রুপে মেসেজ করে প্রশ্নপত্রের গ্রাহকদের জানান আমাদের গ্রুপের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কয়েক দিন অপেক্ষা করেন প্রশ্ন দেওয়া হবে। না হলে টাকা ফেরত করা হবে। 

শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সতর্ক করে গোয়েন্দা পুলিশের কমিশনার হাফিজ আক্তার বলেন, যেই সব অভিভাবক ও ছাত্ররা এ সমস্ত লিংক খুঁজে কেনার পাঁয়তারা করছেন এখন থেকে পুলিশ তাদেরকেউ নজরদারিতে রাখবে। এ ছাড়া যারা প্রশ্নপত্র খুঁজবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-টঙ্গী সরকারি কলেজে ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রগ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-টঙ্গী সরকারি কলেজে ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র কারিমুল্লাহ, মোহনগঞ্জ সরকারি কলেজের মানবিকের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আল রাফি টুটুল ও হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজর অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আব্দুল্লাহ্ আল মারুফ তপু। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫টি মোবাইল,৬টি সিম কার্ড ও নগদ ১২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। 

ডিবি কমিশনার কেএম হাফিজ আক্তার বলেন, এই চক্রটির কোনো পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করার মত সক্ষমতা নেই। তারা সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারণা চালিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করে টাকা আত্মসাতের উদ্দেশে এসব করেছেন। এদের মধ্যে আল রাফি টুটুল পাবজি খেলায় পারদর্শী। এ ছাড়া সাইবার সংক্রান্ত বিভিন্ন অপরাধ বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান রাখে। 

হাফিজ আক্তার বলেন, ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের জন্য 'আলমগীর হোসেন' নামে একটি ভুয়া আইডি খোলেন রাফি। তারা কয়েক বছর ধরে এই কাজের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষার সময় কিছু অসাধু চক্র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য প্রশ্নপত্র ফাঁস করার চেষ্টা করে। এতে ব্যর্থ হলে প্রশ্ন ফাঁস করার নামে প্রতারণার জন্য বিভিন্ন প্যাকেজ নিয়ে ফেসবুক, মেসেঞ্জারসহ অন্যান্য মাধ্যমগুলোতে প্রচারণা চালায় তারা। 

ডিবির কাছে জিজ্ঞাসাবাদে চক্রটি স্বীকার করেছেন ভুয়া মেসেঞ্জার, ফেসবুক আইডি খুলে মেসেঞ্জারে ও ফেসবুকে শতভাগ নিশ্চয়তা সহকারে বিভিন্ন বোর্ডের সকল বিষয়ের প্রশ্ন ফাঁস করার বিজ্ঞাপন দেয়। 

গ্রেপ্তারকৃতরা বিভিন্ন পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বলত ঢাকা থেকে বিভিন্ন জেলায় এবং জেলা থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রশ্ন নিয়ে যাওয়ার সময় একজন কৌশলে প্রশ্নের ছবি তুলে পাঠিয়ে দেবেন। পরে এ ছবি তারা বিভিন্ন জনের মেসেঞ্জার, টেলিগ্রামসহ মেইলে পাঠিয়ে দেবেন। এসব প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা নগদ, বিকাশ, রকেটের মাধ্যমে পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে প্রতিটি প্রশ্নের জন্য ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা নিতেন। এ প্রতারক চক্রের বিভিন্ন পেজ এবং গ্রুপের ফলোয়ার সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার ৭০০ জন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইসরায়েলে ২০ লাখ রুশভাষীর বাস, রাশিয়াকে তাঁদের কথা ভাবতে হয়: পুতিন

হরমুজ প্রণালিতে প্রবেশ করে ইউটার্ন নিল দুটি জাহাজ

লাইভ-২ (২৩ জুন, ২০২৫) ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কাঁপল ইসরায়েল, তেহরানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ

চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি থেকে বিদায় নিচ্ছে সাইফ পাওয়ারটেক

গুমে জড়িত ছিল ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা: গুম কমিশনের প্রতিবেদন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত