Ajker Patrika

নিটারের প্রশাসনিক ভবনে দেড় শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী ২ দিন ধরে অবরুদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার
আপডেট : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩: ০৯
নিটারের প্রশাসনিক ভবনে দেড় শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী ২ দিন ধরে অবরুদ্ধ

সাভারের নয়ারহাটের জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (নিটার) দেড় শতাধিক শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুই দিন ধরে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। দুর্নীতির অভিযোগে এ শিক্ষকদের পদত্যাগসহ বিভিন্ন দাবিতে তাঁদের অবরুদ্ধ করে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ছয় শিক্ষক, তিন কর্মকর্তা ও পাঁচ কর্মচারীর পদত্যাগসহ বিভিন্ন দাবিতে শিক্ষার্থীরা গতকাল রোববার বেলা ৩টা থেকে আন্দোলন শুরু করেছেন। আজ সোমবার রাত সোয়া ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অবরোধ অব্যাহত ছিল। 

শিক্ষার্থীরা জানান, তাঁরা গতকাল রোববার রাতে খিচুড়ি খেয়ে রাত কাটিয়েছেন। এরপর আজ বেলা ২টার দিকে রুটি খেয়ে দিন পার করেছেন। আর অবরুদ্ধ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা খাবার খাচ্ছেন ক্যানটিন থেকে। ক্যানটিন প্রশাসনিক ভবনের ভেতরেই। 

শিক্ষার্থীরা বলেন, ছয় শিক্ষকসহ আট কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের পদত্যাগসহ আরও কিছু দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু শিক্ষকদের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের পদত্যাগের পরিবর্তে অব্যাহতির আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। 

তাঁরা জানান, আজ দুপুর ১২টার দিকে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) ও বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশনের (বিটিএমসি) কর্মকর্তারা এসেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কথা হয়েছে। তাঁরা শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু দাবির পক্ষে দাপ্তরিক কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় আন্দোলন অব্যাহত রাখা হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত দাবি পূরণ না হবে ততক্ষণ তাঁদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। 

জাতীয় প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যেসব শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন তাঁরা তার প্রমাণ চেয়েছেন। প্রমাণ ছাড়া কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী পদত্যাগ করবেন না। পদত্যাগ না করায় শিক্ষার্থীরা দুই দিন ধরে প্রতিষ্ঠানের দেড় শতাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে প্রশাসনিক ভবনে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তা চেয়েও সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত