সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী থাকা অবস্থায় বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় নৃত্য পরিবেশন করে এক ছাত্রী। এরপর বিদ্যালয়ের শরীরচর্চার শিক্ষক আক্তারুজ্জামানের কুনজরে পড়ে সে। দিন দিন এর মাত্রা বাড়তে থাকে, দিতে থাকে কুপ্রস্তাব। এভাবেই অষ্টম নবম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয় ওই ছাত্রী। এরপর পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয় মেয়েটির। ভালোই চলছিল সংসার।
কিন্তু শরীরচর্চার শিক্ষক আক্তারুজ্জামান খোঁজে নেয় মেয়েটির স্বামীর বাড়ির, সেখানে গিয়ে মেয়েটির স্বামী ও তার বন্ধুদের কাছে মেয়েটির সম্পর্ক একগাদা বানানো গল্প বলে আসে। মেয়েটির সংসারের ধরে ভাঙন। এমন অভিযোগ উঠেছে গাজীপুর শ্রীপুরে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের এক গ্রামে।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বাড়ি বরমী ইউনিয়নের এক গ্রামে। সে স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। অভিযুক্ত শরীরচর্চা শিক্ষক মো. আক্তারুজ্জামানের বাড়ি শ্রীপুর পৌর এলাকায়। তিনি একই উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রী অভিযোগ করে বলে, ‘তিন বছর ধরে স্কুলের শরীরচর্চা শিক্ষক আমাকে খারাপ নজরে দেখে আসছে। আমি আমার মা-বোনদের বিষয়গুলো জানিয়েছি। তাঁরা বলেছে, ‘‘এসব মুখ বুজে সহ্য করতে হয়। পড়াশোনা কর মন দিয়ে, একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে।’ ’ খারাপ নজরে দেখার পাশাপাশি স্কুল ছুটির পর বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয়। তবুও আমি কোনো প্রতিবাদ করিনি।’
ভুক্তভোগী ছাত্রী অভিযোগ করে বলে, ‘এরপর আমার বিয়ে হয়ে যায়, বিয়ের কয়েক মাস পর আমার স্বামীর গ্রামের বাড়ি আসে। আমার স্বামী ও তাঁর বন্ধুদের কাছে আমার চরিত্র নিয়ে বানোয়াট গল্প বলে যায়। এরপর থেকে আমার সাজানো-গোছানো সংসার ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। স্বামীকে বিশ্বাস করাতে পারি না যে এসব কথা মিথ্যা। এসব বোঝাতে গেলে আমার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন বলে, ‘‘ওনি শিক্ষক মানুষ কেন মিথ্যা বলবে।’ ’ তাই বাধ্য হয়ে বাবার বাড়ি এসে আমার পরিবারের সদস্যদের সব কথা খুলে বলি।’
ভুক্তভোগী ছাত্রীর বড় বোন জানায়, ‘একজন শিক্ষক হয়ে একজন ছাত্রীর এত বড় সর্বনাশ কি করে করতে পারে। এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আমার বোন আগে নানা অভিযোগ দিত। তাঁর অত্যাচারে সে স্কুলে যেতে চাইত না। কিন্তু আমরা চাপ দিয়ে স্কুলে পাঠাতাম। এসব নিয়ে দুইবার স্কুলে বিচারও হয়েছে। তবুও চরিত্র ভালো হয়নি ওই শিক্ষকের।’
ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বলেন, ‘মেয়ের শ্বশুর বাড়ি থেকে এসব বিষয় জানানোর পরপরই আমি বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের বিষয়টি জানিয়েছি। বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা ১০ বছরে আমার মেয়ের প্রতি অন্যায়ের একটি বিচারও করেনি। আমার মেয়ের চরিত্র নিয়ে বাজে কথা বলে আজ তার সংসারে ভাঙন ধরিয়েছে ওই শিক্ষক।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই শিক্ষক আমার মেয়েকে নিয়ে আগেও আপত্তিকর প্রস্তাব দিতে। আমরা গরিব মানুষ বলে প্রতিবাদ করতে সাহস পাইনি। আজ পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তাই প্রতিবাদ করতে বাধ্য হচ্ছি।’
অভিযুক্ত শরীরচর্চা শিক্ষক মো. আক্তারুজ্জামান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘মেয়েটির সঙ্গে এ ধরনের কিছুই হয়নি। সপ্তম শ্রেণিতে থাকাকালে নৃত্য নিয়ে একটি সমস্যা হয়েছিল। এ ছাড়া কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি। এই বিষয়গুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা।’
ওই উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘ইতিমধ্যে এ বিষয়ে ওই ছাত্রীর মা জানিয়েছেন। আমি বিদ্যালয়ের অনন্য সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করছি। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক, একজন শিক্ষকের চরিত্র এ রকম হলে কি করে চলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
ওই উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. সামসুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে আমাকে জানায়নি। তবে একজন অবহিত করেছেন। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে আমি আজই মেয়েটির শ্বশুরবাড়ি যাব।’ তিনি আরও জানান, তিন বছর পূর্বেও এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ উঠেছিল।
শ্রীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নূরুল আমিন বলেন, ‘এ বিষয় আমাকে এখন পর্যন্ত কেউ অবহিত করেনি। এই বিদ্যালয় নিয়ে আমি খুবই সমস্যায় আছি। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী থাকা অবস্থায় বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় নৃত্য পরিবেশন করে এক ছাত্রী। এরপর বিদ্যালয়ের শরীরচর্চার শিক্ষক আক্তারুজ্জামানের কুনজরে পড়ে সে। দিন দিন এর মাত্রা বাড়তে থাকে, দিতে থাকে কুপ্রস্তাব। এভাবেই অষ্টম নবম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয় ওই ছাত্রী। এরপর পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয় মেয়েটির। ভালোই চলছিল সংসার।
কিন্তু শরীরচর্চার শিক্ষক আক্তারুজ্জামান খোঁজে নেয় মেয়েটির স্বামীর বাড়ির, সেখানে গিয়ে মেয়েটির স্বামী ও তার বন্ধুদের কাছে মেয়েটির সম্পর্ক একগাদা বানানো গল্প বলে আসে। মেয়েটির সংসারের ধরে ভাঙন। এমন অভিযোগ উঠেছে গাজীপুর শ্রীপুরে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের এক গ্রামে।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বাড়ি বরমী ইউনিয়নের এক গ্রামে। সে স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। অভিযুক্ত শরীরচর্চা শিক্ষক মো. আক্তারুজ্জামানের বাড়ি শ্রীপুর পৌর এলাকায়। তিনি একই উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রী অভিযোগ করে বলে, ‘তিন বছর ধরে স্কুলের শরীরচর্চা শিক্ষক আমাকে খারাপ নজরে দেখে আসছে। আমি আমার মা-বোনদের বিষয়গুলো জানিয়েছি। তাঁরা বলেছে, ‘‘এসব মুখ বুজে সহ্য করতে হয়। পড়াশোনা কর মন দিয়ে, একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে।’ ’ খারাপ নজরে দেখার পাশাপাশি স্কুল ছুটির পর বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয়। তবুও আমি কোনো প্রতিবাদ করিনি।’
ভুক্তভোগী ছাত্রী অভিযোগ করে বলে, ‘এরপর আমার বিয়ে হয়ে যায়, বিয়ের কয়েক মাস পর আমার স্বামীর গ্রামের বাড়ি আসে। আমার স্বামী ও তাঁর বন্ধুদের কাছে আমার চরিত্র নিয়ে বানোয়াট গল্প বলে যায়। এরপর থেকে আমার সাজানো-গোছানো সংসার ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। স্বামীকে বিশ্বাস করাতে পারি না যে এসব কথা মিথ্যা। এসব বোঝাতে গেলে আমার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন বলে, ‘‘ওনি শিক্ষক মানুষ কেন মিথ্যা বলবে।’ ’ তাই বাধ্য হয়ে বাবার বাড়ি এসে আমার পরিবারের সদস্যদের সব কথা খুলে বলি।’
ভুক্তভোগী ছাত্রীর বড় বোন জানায়, ‘একজন শিক্ষক হয়ে একজন ছাত্রীর এত বড় সর্বনাশ কি করে করতে পারে। এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আমার বোন আগে নানা অভিযোগ দিত। তাঁর অত্যাচারে সে স্কুলে যেতে চাইত না। কিন্তু আমরা চাপ দিয়ে স্কুলে পাঠাতাম। এসব নিয়ে দুইবার স্কুলে বিচারও হয়েছে। তবুও চরিত্র ভালো হয়নি ওই শিক্ষকের।’
ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বলেন, ‘মেয়ের শ্বশুর বাড়ি থেকে এসব বিষয় জানানোর পরপরই আমি বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের বিষয়টি জানিয়েছি। বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা ১০ বছরে আমার মেয়ের প্রতি অন্যায়ের একটি বিচারও করেনি। আমার মেয়ের চরিত্র নিয়ে বাজে কথা বলে আজ তার সংসারে ভাঙন ধরিয়েছে ওই শিক্ষক।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই শিক্ষক আমার মেয়েকে নিয়ে আগেও আপত্তিকর প্রস্তাব দিতে। আমরা গরিব মানুষ বলে প্রতিবাদ করতে সাহস পাইনি। আজ পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তাই প্রতিবাদ করতে বাধ্য হচ্ছি।’
অভিযুক্ত শরীরচর্চা শিক্ষক মো. আক্তারুজ্জামান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘মেয়েটির সঙ্গে এ ধরনের কিছুই হয়নি। সপ্তম শ্রেণিতে থাকাকালে নৃত্য নিয়ে একটি সমস্যা হয়েছিল। এ ছাড়া কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি। এই বিষয়গুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা।’
ওই উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘ইতিমধ্যে এ বিষয়ে ওই ছাত্রীর মা জানিয়েছেন। আমি বিদ্যালয়ের অনন্য সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করছি। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক, একজন শিক্ষকের চরিত্র এ রকম হলে কি করে চলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
ওই উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. সামসুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে আমাকে জানায়নি। তবে একজন অবহিত করেছেন। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে আমি আজই মেয়েটির শ্বশুরবাড়ি যাব।’ তিনি আরও জানান, তিন বছর পূর্বেও এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ উঠেছিল।
শ্রীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নূরুল আমিন বলেন, ‘এ বিষয় আমাকে এখন পর্যন্ত কেউ অবহিত করেনি। এই বিদ্যালয় নিয়ে আমি খুবই সমস্যায় আছি। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
শিশুদের কলকাকলিতে মুখর আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার লা গ্যালারি। গ্যালারির দেয়ালজুড়ে সাজানো তাদেরই পছন্দের অনেক ছবি। বইয়ে যে ছবি দেখে পড়া শিখেছে, সেগুলোই ঝুলছিল দেয়ালে। কী নেই সেখানে! নানা নকশায় লেখা বাংলা বর্ণমালা। গাছের ছবি, প্রাণীর ছবি, ফুলের ছবি, পাখির ছবি। বাচ্চারা সেগুলো দেখছে, পরস্পর আলাপ করছে।
৬ ঘণ্টা আগেসংস্কার শুরু হয়েছে রাজশাহী মহানগরীর জামালপুর-চকপাড়া ও হড়গ্রাম এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার বাড়ির সামনের সড়ক। পুরোনো ইট-খোয়া সরিয়ে নতুন উপকরণ দিয়ে করার কথা কাজ। কিন্তু ঠিকাদার সড়ক দুটি খুঁড়ে পাওয়া পুরোনো ইট-খোয়া দিয়েই কাজ করছেন। এ নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করলেও পরিদর্শনেই যাননি
৬ ঘণ্টা আগেবান্দরবানের আলীকদম উপজেলা সদর ইউনিয়নে ভুয়া কাগজপত্রে ভোটার হচ্ছেন রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা ভুয়া নাগরিক সনদ ও ‘রোহিঙ্গা নয়’ মর্মে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
৬ ঘণ্টা আগেইতিহাস, ঐতিহ্য আর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বাংলাদেশ বেতারের পুরোনো সদর দপ্তর ভবন। রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত এই ভবনের অবস্থা এখন করুণ। বেতারের স্মৃতি-ঐতিহ্যের কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। প্রায় পরিত্যক্ত এই ভবন এখন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাবেক বিএসএমএমইউ/পিজি) জন্য কাজ করা আনসার সদস্যদের
৬ ঘণ্টা আগে