Ajker Patrika

নীলফামারীতে তিতুমীর এক্সপ্রেসে দুর্বৃত্তের ছোড়া পাথরে যাত্রী জখম 

নীলফামারী প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ মে ২০২৪, ২১: ১১
নীলফামারীতে তিতুমীর এক্সপ্রেসে দুর্বৃত্তের ছোড়া পাথরে যাত্রী জখম 

নীলফামারীতে চলন্ত ট্রেনে দুর্বৃত্তের ছোড়া পাথরে এক যাত্রী আহত হয়েছেন। রাজশাহীগামী আন্তনগর ‘তিতুমীর এক্সপ্রেস’ ট্রেনে আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। 

পরে ওই যাত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় সৈয়দপুর রেলস্টেশনে নামেন। এ সময় রেলওয়ে নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতালে জরুরি বিভাগ নিয়ে যান। 

আহত লায়লা বানু (৪৫) নীলফামারীর ডোমার পৌর এলাকার হাফিজুর রহমানের স্ত্রী। তিনি রংপুরে স্বামীর চিকিৎসার জন্য ডোমার থেকে সৈয়দপুর শহরে আসছিলেন। স্বামী হাফিজুর রহমান চিলাহাটি ডাকঘরের কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। 

হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, রংপুরে চিকিৎসার জন্য তিনি চিলাহাটি থেকে রাজশাহীগামী তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেনে সৈয়দপুরে আসছিলেন। এখানে নেমে তিনি বাসযোগে রংপুরে যেতেন। ডোমার স্টেশনে স্ত্রী লায়লা বানুকে তুলে নেন। ওই ট্রেনের ‘ক’ বগির ৪৫, ৪৬ নম্বর আসনে স্বামী-স্ত্রী বসেন। খোলা জানালার পাশের আসনে বসেন লায়লা খাতুন। ট্রেনটি নীলফামারী কলেজ-দারোয়ানী স্টেশনের মাঝামাঝি পৌঁছালে দুর্বৃত্তদের ছোড়া একটি পাথর সজোরে চোখের ওপরে আঘাত করে লায়লার। এতে সেই অংশ ফেটে রক্তক্ষরণ হয়। এ  অবস্থায় ট্রেনটি পৌঁছায় পরবর্তী স্টেশন সৈয়দপুরে। 

আহত গৃহবধূ লায়লা বানু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ট্রেনে পাথরের আঘাতে অনেকের চোখ নষ্ট এবং মাথা ফেটে যাওয়ার ঘটনা আমি শুনেছি। কিন্তু আজ আমার কপালেই এমনটি ঘটল। আমি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাই, আর কোনো যাত্রীর বেলায় এমনটি না ঘটে। যাত্রীদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব রেল কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই নিতে হবে।’ 

সৈয়দপুর স্টেশনের রেলওয়ের নিরাপত্তাকর্মী আনিছুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্টেশনে রক্তাক্ত ওই যাত্রীকে দেখতে পাই। পরে উদ্ধার করে দ্রুত সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করি।’ 

সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আনিছুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিকেল ৫টার দিকে চোখে আঘাতের ক্ষত নিয়ে একজন নারী ট্রেনযাত্রী চিকিৎসার জন্য জরুরি বিভাগে এসেছিলেন। ওই যাত্রীর ডান পাশের চোখের ওপরের অংশে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তিনি চিকিৎসা নিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন।’ 

সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম নুরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ব্যাপারে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত