Ajker Patrika

রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১০ 

রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২২, ২০: ২৪
রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১০ 

নরসিংদীর রায়পুরার আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ রোববার সকালে রায়পুরার দুর্গম চরাঞ্চল বাঁশগাড়ী ও মির্জাচর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তিরা হলেন মির্জাচরের মানিক মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া (৩২) এবং একই ইউনিয়নের হাবিব মিয়ার ছেলে মামুন মিয়া (৩০। রুবেল মির্জাচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ফারুকুল ইসলামের চাচাতো ভাই এবং মামুন মির্জাচর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল মানিকের লোক ছিলেন। 

গুলিবিদ্ধ হয়ে এক এবং হাতকাটা অবস্থায় একজনসহ মোট দুইজন নিহত হয়েছেন। 

বাঁশগাড়ীতে আধিপত্য বিস্তার ও গ্রামে ফেরাকে কেন্দ্র করে মির্জাচরে এ ঘটনায় আহত হয়েছে কমপক্ষে ১০ জন। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে নূরুল নামে একজনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে দুই এলাকাতেই উত্তেজনা বিরাজ করছে। খবর পেয়ে রায়পুরা থানা-পুলিশসহ অতিরিক্ত পুলিশ এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। 

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নরসিংদীর রায়পুরার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের সদ্য সাবেক আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান আশরাফুল হকের সঙ্গে বাঁশগাড়ী ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জাকির হোসেন রাতুলের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর আগেও তাঁদের মধ্যে একাধিকবার পাল্টাপাল্টি হামলা ও মামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব দ্বন্দ্বের জের ধরে তাঁদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

মির্জাচর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুকুল ইসলাম বলেন, ‘বাঁশগাড়ীর সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুলের লোকজনকে গ্রামে তুলে দিতে মির্জাচর থেকে লোকজন বাঁশগাড়ী যায়। সেখানে তাঁদের ধাওয়া দিয়ে মির্জাচর পাঠালে বাঁশগাড়ীর রাতুল চেয়ারম্যানের হয়ে মির্জাচরের মানিক চেয়ারম্যানের লোকজন তাঁদের ওপর হামলা চালায়। ওই সময় প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আমার চাচাতো ভাই রুবেল মারা যায়।’ 

অভিযোগ অস্বীকার করে মির্জাচর ইউপির চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল মানিক বলেন, ‘মূলত বাঁশগাড়ীর সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুল ও মির্জাচরের ফারুকুল ইসলাম এক গ্রুপের। তাঁরা একে অপরকে বরাবরই সহায়তা করে। রোববার আশরাফুলের লোকজনকে গ্রামে তুলে দিতে ফারুকুলের লোকজন লাঠিয়াল হিসেবে বাঁশগাড়ী যায়। সেখানে রাতুল চেয়ারম্যানের লোকজন তাঁদের বাধা দেয় এবং ধাওয়া দিয়ে মির্জাচর এনে গন্ডগোল করে। এতে আমার লোকজন বাধা দিতে এলে আমার সমর্থনকারী একজন নিহত হয়। এখানে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তবে এ ঘটনায় আমার ৭-৮ জন লোক আহত হয়েছে।’ 

রায়পুরা থানার ওসি গোবিন্দ সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রামে ফেরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। এই মুহূর্তে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পরবর্তী সহিংসতারোধে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইরানের ‘দানবীয় ক্ষেপণাস্ত্রের’ সামনে উন্মুক্ত ইসরায়েলের ‘অ্যাকিলিস হিল’

ভারতীয় বিমানবন্দরে ১১ দিন ধরে পড়ে আছে ব্রিটিশ এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, ঘনাচ্ছে রহস্য

মা-মেয়ের ত্রিভুজ প্রেম, বিয়ে ও একটি খুন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফল আজ, যেভাবে দেখবেন

পাকিস্তানের পরমাণু প্রকল্প ধ্বংসে ভারত-ইসরায়েলের যৌথ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় যেভাবে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত