Ajker Patrika

কান্তাবতী নদীতে বাঁধ দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি

  • যমুনা ও ইছামতী নদী সংযুক্ত কান্তাবতী নদীর মাঝে বাঁধ, পানিপ্রবাহ বন্ধ।
  • অবৈধভাবে নদীর মাটি কেটে মোটা অঙ্কের টাকায় বিক্রি।
ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি  
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে কান্তাবতী নদীতে বাঁধ দিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে মাটি। ছবি: আজকের পত্রিকা
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে কান্তাবতী নদীতে বাঁধ দিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে মাটি। ছবি: আজকের পত্রিকা

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে যমুনা ও ইছামতী নদী সংযুক্ত কান্তাবতী নদীর মাঝে বাঁধ দিয়ে পানিপ্রবাহ বন্ধ করে মাটি কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা বলছেন, রাজনৈতিক পরিচয়ে স্থানীয় একটি চক্র অবৈধভাবে নদীর মাটি কেটে অন্যত্র বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় এক মাস এমন কর্মকাণ্ড চলে আসছে। আর এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় চিহ্নিত এ চক্রের হাতে ইতিমধ্যে নাজেহাল হয়েছেন অনেকে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনকে জানিয়েও পাওয়া যায়নি কোনো প্রতিকার।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিবালয় উপজেলার উথলী-জাফরগঞ্জ সড়কের পাশে বাসাইল, কলাবাগান এলাকায় কান্তাবতী নদীতে বাঁধ দিয়ে বন্ধ করা হয়েছে পানিপ্রবাহ। এতে নদীপাড়ের হাজারো মানুষ ভুগছেন পানির সমস্যায়। আর রাতের আঁধারে নদীর বুক থেকে খননযন্ত্র (ভেকু) দিয়ে কাটা হচ্ছে মাটি, যা ভারী ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন স্থানে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, বর্তমানে বিএনপির ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড কমিটির পদ-পদবিতে থাকা কয়েক নেতা নদীর মাটি কেটে অন্যত্র বিক্রি করছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন উথলী ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি মো. ফজলুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মান্নান, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং আব্দুর রাজ্জাক নামের এক ব্যক্তি।

জানতে চাইলে উথলী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা নদীর মাঝের মাটি কাটছি না। নদীপাড়ের জমি কিনে সেখানের মাটি কেটে বিক্রি করছি।’ তিনি বলেন, ট্রাক পারাপারের জন্য নদীতে বাঁধ তৈরি করা হয়েছে। এ ব্যবসার সঙ্গে স্থানীয় ও রাজনৈতিক দলের অনেকেই সম্পৃক্ত।

উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন বলেন, দলের পদ-পদবি ব্যবহার ও নাম ভাঙিয়ে অপকর্মের কোনো সুযোগ নেই।

দলে শুদ্ধি অভিযান চলছে। এমন অপকর্মে জড়িতদের বিরুদ্ধে দল অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে।

শিবালয়য়ে ইউএনও মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘নদীতে বাঁধের বিষয়টি আমি ইতিমধ্যে অবগত হয়েছি। এসি ল্যান্ড ও নায়েব সাহেবকে সরেজমিনে রিপোর্ট করতে বলেছি। এখনো কোনো রিপোর্ট আমার কাছে পৌঁছায়নি। তবে দ্রুত এ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ ও বাঁধ অপসারণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিন বাহিনীর প্রধান

১৭ বছর খাইনি, এবার খাব—টেন্ডার জমা দেওয়া ঠিকাদারকে বললেন বিএনপি নেতা

দেশে এল স্টারলিংক: কতগুলো ডিভাইস যুক্ত করা যাবে, কীভাবে করবেন

যৌথ পরিবারে কোরবানি কার ওপর ওয়াজিব

মধ্যরাতে হাক্কানীর মালিকের বাসায় মবের হানা, আটক তিন সমন্বয়ককে ছাড়িয়ে নিলেন হান্নান মাসউদ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত