নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আসন্ন রমজান মাসে স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে পুরো রমজান মাস স্কুল বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন সচেতন অভিভাবক মহল। আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানান তাঁরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, স্কুলের বার্ষিক ছুটির তালিকায় পরিবর্তন এনে ১০ বা ১৫ রোজা পর্যন্ত স্কুল খোলার রাখা একটি হঠকারী সিদ্ধান্ত। বছরের শুরুতে স্কুল ছুটির তালিকায় পুরো রমজান মাসকে ছুটির আওতায় রাখা হয়েছিল। বিষয়টিতে আমরা খুবই আশ্বস্ত হয়েছিলাম যে, আমাদের সন্তানেরা রমজান মাসে ঠিকমতো সিয়াম সাধনা করতে পারবে। কিন্তু কিছুদিন আগে হঠাৎ করে ছুটি বাতিল করে বলা হলো, রমজানে স্কুল খোলা থাকবে। সিয়াম সাধনার মাসে এ ধরনের সিদ্ধান্ত অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মারাত্মক হতাশ করেছে।
মানববন্ধনে অভিভাবক মুহম্মদ জাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি আমার সন্তানকে ছোটবেলা থেকেই রোজা রাখতে উৎসাহিত করি। কারণ রোজা রাখার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে নৈতিক গুণাবলি তৈরি হয়। বর্তমান ডিজিটাল যুগে সন্তানদের চরিত্র গঠন করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই সময় সন্তানদের নৈতিকতা চর্চার সুযোগ করে দেওয়া খুব দরকার। এ ক্ষেত্রে রমজান মাস একটি বড় সুযোগ, কারণ রমজান মাসকে আল্লাহ তায়ালা দিয়েছেন তাকওয়া অর্জনের মাধ্যমে চরিত্র গঠনের জন্য। কিন্তু রমজান মাসে বাচ্চাদের নৈতিকতা চর্চার সুযোগ না দিয়ে যদি ক্লাস-পরীক্ষায় ব্যস্ত রাখা হয়, তবে তারা নৈতিকতা শিখবে কীভাবে?
জাইদুল ইসলাম আরও বলেন, রমজান মাস তাকওয়া অর্জনের মাস, ক্লাস-পরীক্ষার মাস না। আমরা বাচ্চাদের পড়ালেখা করিয়ে বিদ্বান করছি ঠিক, কিন্তু সজ্জন বা চরিত্রবান করতে পারছি না। ফলে তারা বিদ্বান হলেও এখন দুর্জন বা চরিত্রহীন থাকছে। নতুন প্রজন্ম রমজানে ক্লাস খুলে যতই পড়ালেখা করুক, তাদের নৈতিক চরিত্র যদি উন্নত না হয়, তবে তাদের দিয়ে দেশ ও জাতি কোনো উপকার পাবে না।
আরেক অভিভাবক মুহম্মদ ফারুক বলেন, রমজান মাসে আল্লাহ তায়ালা ইবলিশ শয়তানকে বন্দি রেখে মানুষকে ভালো কাজ করার সুযোগ দেন। একটি মাস ভালো কাজের ট্রেনিং নিয়ে বাকি ১১ মাস ঠিকমতো কাটাতে পারে। কিন্তু ভালো কাজের ট্রেনিংয়ের মাসে যদি কাউকে ভালো কাজ করতে না দিয়ে ক্লাস-পরীক্ষায় ব্যস্ত রাখা হয়, তবে সে চরিত্র গঠন করবে কীভাবে? আমাদের মধ্যে অনেককে বলতে শুনি, নতুন প্রজন্ম নাকি অসুস্থ প্রজন্ম হয়ে বেড়ে উঠছে। কথাটা ভুল নয়। শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা চর্চায় বাধা দেওয়া অসুস্থ প্রজন্ম তৈরির মূল কারণ।
অভিভাবক মুহম্মদ হাবীবুর রহমান বলেন, ‘যে বা যারাই রমজান মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে রাখতে চায়, তারা কখনোই শিক্ষার্থীদের ভালো চায় না। তারা চায় না নতুন প্রজন্ম নীতি-নৈতিকতা নিয়ে বেড়ে উঠুক, বরং তারা চায় আমাদের সন্তানেরা নীতি-নৈতিকতাবর্জিত হয়ে ইহকাল-পরকাল দুই কালেই ধ্বংস হয়ে যাক। রমজান মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা কখনোই ভালো চিন্তা থেকে আসতে পারে না। রমজান মাসে তাই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হোক, এটাই একজন অভিভাবক হিসেবে আমার দাবি।’
সংবিধানের কথা জানিয়ে হাবীবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের সাংবিধানিক রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। ধর্ম পালনের অধিকার জনগণের মৌলিক অধিকার, যা সংবিধান দ্বারা সংরক্ষিত। রোজায় স্কুল খোলা রেখে বাচ্চাদের ধর্ম পালনের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে, যা সংবিধানের ৪১ (১) ক ধারার পরিপন্থী। রাষ্ট্র তা কখনোই করতে পারে না। আমার সন্তান যেন সঠিক উপায়ে ধর্ম পালন করতে পারে, সেই সুযোগ রাষ্ট্রকেই করে দিতে হবে। সুতরাং রোজায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখে সিয়াম সাধনায় বাধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত অবশ্যই বাতিল করতে হবে।
আসন্ন রমজান মাসে স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে পুরো রমজান মাস স্কুল বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন সচেতন অভিভাবক মহল। আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানান তাঁরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, স্কুলের বার্ষিক ছুটির তালিকায় পরিবর্তন এনে ১০ বা ১৫ রোজা পর্যন্ত স্কুল খোলার রাখা একটি হঠকারী সিদ্ধান্ত। বছরের শুরুতে স্কুল ছুটির তালিকায় পুরো রমজান মাসকে ছুটির আওতায় রাখা হয়েছিল। বিষয়টিতে আমরা খুবই আশ্বস্ত হয়েছিলাম যে, আমাদের সন্তানেরা রমজান মাসে ঠিকমতো সিয়াম সাধনা করতে পারবে। কিন্তু কিছুদিন আগে হঠাৎ করে ছুটি বাতিল করে বলা হলো, রমজানে স্কুল খোলা থাকবে। সিয়াম সাধনার মাসে এ ধরনের সিদ্ধান্ত অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মারাত্মক হতাশ করেছে।
মানববন্ধনে অভিভাবক মুহম্মদ জাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি আমার সন্তানকে ছোটবেলা থেকেই রোজা রাখতে উৎসাহিত করি। কারণ রোজা রাখার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে নৈতিক গুণাবলি তৈরি হয়। বর্তমান ডিজিটাল যুগে সন্তানদের চরিত্র গঠন করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই সময় সন্তানদের নৈতিকতা চর্চার সুযোগ করে দেওয়া খুব দরকার। এ ক্ষেত্রে রমজান মাস একটি বড় সুযোগ, কারণ রমজান মাসকে আল্লাহ তায়ালা দিয়েছেন তাকওয়া অর্জনের মাধ্যমে চরিত্র গঠনের জন্য। কিন্তু রমজান মাসে বাচ্চাদের নৈতিকতা চর্চার সুযোগ না দিয়ে যদি ক্লাস-পরীক্ষায় ব্যস্ত রাখা হয়, তবে তারা নৈতিকতা শিখবে কীভাবে?
জাইদুল ইসলাম আরও বলেন, রমজান মাস তাকওয়া অর্জনের মাস, ক্লাস-পরীক্ষার মাস না। আমরা বাচ্চাদের পড়ালেখা করিয়ে বিদ্বান করছি ঠিক, কিন্তু সজ্জন বা চরিত্রবান করতে পারছি না। ফলে তারা বিদ্বান হলেও এখন দুর্জন বা চরিত্রহীন থাকছে। নতুন প্রজন্ম রমজানে ক্লাস খুলে যতই পড়ালেখা করুক, তাদের নৈতিক চরিত্র যদি উন্নত না হয়, তবে তাদের দিয়ে দেশ ও জাতি কোনো উপকার পাবে না।
আরেক অভিভাবক মুহম্মদ ফারুক বলেন, রমজান মাসে আল্লাহ তায়ালা ইবলিশ শয়তানকে বন্দি রেখে মানুষকে ভালো কাজ করার সুযোগ দেন। একটি মাস ভালো কাজের ট্রেনিং নিয়ে বাকি ১১ মাস ঠিকমতো কাটাতে পারে। কিন্তু ভালো কাজের ট্রেনিংয়ের মাসে যদি কাউকে ভালো কাজ করতে না দিয়ে ক্লাস-পরীক্ষায় ব্যস্ত রাখা হয়, তবে সে চরিত্র গঠন করবে কীভাবে? আমাদের মধ্যে অনেককে বলতে শুনি, নতুন প্রজন্ম নাকি অসুস্থ প্রজন্ম হয়ে বেড়ে উঠছে। কথাটা ভুল নয়। শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা চর্চায় বাধা দেওয়া অসুস্থ প্রজন্ম তৈরির মূল কারণ।
অভিভাবক মুহম্মদ হাবীবুর রহমান বলেন, ‘যে বা যারাই রমজান মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে রাখতে চায়, তারা কখনোই শিক্ষার্থীদের ভালো চায় না। তারা চায় না নতুন প্রজন্ম নীতি-নৈতিকতা নিয়ে বেড়ে উঠুক, বরং তারা চায় আমাদের সন্তানেরা নীতি-নৈতিকতাবর্জিত হয়ে ইহকাল-পরকাল দুই কালেই ধ্বংস হয়ে যাক। রমজান মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা কখনোই ভালো চিন্তা থেকে আসতে পারে না। রমজান মাসে তাই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হোক, এটাই একজন অভিভাবক হিসেবে আমার দাবি।’
সংবিধানের কথা জানিয়ে হাবীবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের সাংবিধানিক রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। ধর্ম পালনের অধিকার জনগণের মৌলিক অধিকার, যা সংবিধান দ্বারা সংরক্ষিত। রোজায় স্কুল খোলা রেখে বাচ্চাদের ধর্ম পালনের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে, যা সংবিধানের ৪১ (১) ক ধারার পরিপন্থী। রাষ্ট্র তা কখনোই করতে পারে না। আমার সন্তান যেন সঠিক উপায়ে ধর্ম পালন করতে পারে, সেই সুযোগ রাষ্ট্রকেই করে দিতে হবে। সুতরাং রোজায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখে সিয়াম সাধনায় বাধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত অবশ্যই বাতিল করতে হবে।
রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশন এলাকার নারীসহ সাত মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— মো. জয় (২০), খাদিজা (২১), আম্বিয়া (৪০), ফাতেমা (২১), পরিমনি (১৯), নাছরিন (২১) এবং সুমাইয়া (১৯)।
৪ ঘণ্টা আগেরিফাতের বাবা দুলাল শরীফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। আমার ছেলেকে যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে, জীবিত থাকতে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দেখে যেতে চাই। এত দিন হয়ে গেল, প্রধান আসামির ফাঁসির রায় এখনো কার্যকর করা হয়নি। আমি সরকারের কাছে প্রার্থনা জানাই, দ্রুত ফাঁসির রায় কার্যকর করার
৪ ঘণ্টা আগেপাহাড় ভ্রমণে পর্যটকদের মানতে হয় নানা নির্দেশনা। সঙ্গে জীবনরক্ষাকারী সামগ্রীর পাশাপাশি রাখতে হয় অভিজ্ঞ গাইড। আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে ঘর থেকে বের হওয়ার দায়িত্ব সত্ত্বেও অনেকে তা না মেনেই পরিবার নিয়ে বের হন। এতে তাঁরা নিজেদের বিপদই ডেকে আনছেন, অনেক সময় হারাচ্ছেন প্রাণ। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, নিয়ম ন
৫ ঘণ্টা আগেজানা গেছে, মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতের জন্য মিয়ানমারে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর অস্ত্র কেনার জন্য টাকা দরকার। সেই টাকা জোগাড় করতে এপারে বাংলাদেশ সীমান্তে থাকা রোহিঙ্গা ও দেশি মাদক কারবারিদের কাছে অল্প দামে বিভিন্ন ধরনের মাদক বিক্রি করছে তারা। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা বাড়ার সঙ্গে...
৫ ঘণ্টা আগে