শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

কড়া রোদ। রাজধানীর কাকরাইলে অডিট ভবনের সামনে জনাপঞ্চাশেক পুলিশ দাঁড়িয়ে। অনেকের হাতে আইসক্রিম। অডিট ভবনের ফটকের সামনের সড়কে তখন বিক্ষোভ করছেন দেড়-দুই শ কর্মকর্তা। তাঁরা ভবনে ঢুকতে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। সেখানে দায়িত্বে থাকা ডিএমপির একজন উপকমিশনার (ডিসি) বিক্ষুব্ধদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলেও তাতে গা করছিলেন না কোনো পুলিশ সদস্য। একপর্যায়ে সেই কর্মকর্তা পুলিশ সদস্যদের এমন আচরণ নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে আক্ষেপ করেন। তিনি বলেন, ‘এভাবে ফোর্স চালানো যায় না, স্যার। কেউ কথা শুনছে না। এভাবে পুলিশও চলতে পারে না।’ অবশ্য তাঁর আক্ষেপের জবাবে ফোনের ওপারে থাকা কর্মকর্তা কী বলেছেন, তা জানা যায়নি।
এ ঘটনা গতকাল রোববারের। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ঊর্ধ্বতনের নির্দেশ না মানার এমন ঘটনা পুলিশ বাহিনীতে নজিরবিহীন। কিন্তু গতকাল এমন ঘটনাই ঘটেছে। নিম্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা মনে করছেন, বিক্ষুব্ধদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা করা হলে একসময় তাঁরাও হয়তো ঝুঁকিতে পড়বেন। কারণ, পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাও এখনো হামলা-মারধরের শিকার হচ্ছেন। গত ৫ আগস্টের পর থেকে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে এ রকম নিরাপত্তাহীনতা ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে পুলিশের মতো শৃঙ্খলা বাহিনীতেও চেইন অব কমান্ড ঠিকমতো কাজ করছে না। ভেঙে পড়েছে পুলিশি ব্যবস্থা।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মুহাম্মদ নুরুল হুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভেঙে পড়া পুলিশি ব্যবস্থায় চেইন অব কমান্ড প্রতিষ্ঠা করা এখন সবচেয়ে জরুরি। তা না হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কাকরাইলে অডিট ভবনের সামনে গিয়ে দেখা যায়, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিএজি) কার্যালয়ের অডিটর পদের দেড়-দুই শ বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা স্লোগান দিয়ে ভবনের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছেন। পুলিশের বাধায় তাঁরা ভবনের ফটকের সামনের সড়কে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে কাকরাইল মোড় থেকে কাকরাইল মসজিদ পর্যন্ত সড়কের এক পাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষুব্ধরা অডিটর পদের দুই গ্রেডে বিদ্যমান বেতনবৈষম্য নিরসনের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, ১১ তম গ্রেডের আড়াই হাজারের বেশি কর্মকর্তা দীর্ঘদিন পদোন্নতিবঞ্চিত। এ নিয়ে আদালতের নির্দেশনাও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। এরই মধ্যে পিটিশন করা ৭৫২ জনের বেতন ১১ সেপ্টেম্বর বাড়ানো হয়, কিন্তু একই গ্রেডের আরও আড়াই হাজার অডিটরের বেতন বাড়েনি। অডিট ভবনের ফটকের সামনেই নিরাপত্তায় ছিলেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
সেখানে ডিএমপির রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) নাছের ও সহকারী কমিশনার শুভ্রর নেতৃত্বে পুলিশের ৬০-৭০ জন সদস্য রয়েছেন। ওই দুই কর্মকর্তা বেলা দেড়টা পর্যন্ত বিক্ষুব্ধদের বোঝানোর চেষ্টা করেন এবং তাঁদের সড়ক ছেড়ে দিতে বারবার অনুরোধ করেন। এরপরও তাঁরা সড়ক না ছাড়ায় সেখানে থাকা রমনা বিভাগের ডিসি সারওয়ার তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সড়ক থেকে বিক্ষুব্ধদের ছত্রভঙ্গ করার সিদ্ধান্ত নেন। এ জন্য সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যদের সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়াসহ অন্যান্য প্রস্তুতি নিতে বলেন তিনি। কিন্তু সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহারে কোনো সদস্যই এগিয়ে আসছিলেন না। এ সময় ডিসি সারওয়ার ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, কে কে তাঁর সঙ্গে সামনে যাবেন। না গেলে সেটাও জানাতে বলেন। কিন্তু পুলিশ সদস্যদের কেউ কিছু না বলে পেছনে সরে যান। ডিসি তখন রমনা মডেল থানার ওসি, এসি, এডিসি ও কয়েকজন উপপরিদর্শককে নিয়ে এক পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন।
বেলা আড়াইটার দিকে সেখানে আসেন ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) সানা শামীনুর রহমান। তিনিও পুলিশ সদস্যদের অগ্রসর করানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা দাঁড়িয়ে পুলিশের মুখোমুখি অবস্থান নেন। তাঁরা ৬০-৭০ জন পুলিশ সদস্যকে একরকম ঘিরে ফেলেন। এ সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য কর্মকর্তার উদ্দেশে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদেরকেই শুধু জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে।’
সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা সব পুলিশ সদস্যের চোখে-মুখে ছিল হতাশার ছাপ। ৫ আগস্টের পর পুলিশ সদস্যদের মধ্যে যে নিষ্ক্রিয়তা দেখা গেছে, গতকালের ঘটনাও তার ব্যতিক্রম নয়।
নির্দেশনা সত্ত্বেও সদস্যদের অভিযানে না যাওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার শামীনুর রহমান আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘ফোর্স কথা শুনবে না কেন? আমরা নিজেরাই একটু সময় নিচ্ছি।’ তবে এডিসি নাছের বলেন, ‘একটু সমস্যা তো আছেই। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সিএজি কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সড়কে এসে বিক্ষুব্ধদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং তাঁদের আলোচনার জন্য ডাকেন। এরপর বিক্ষুব্ধরা সড়ক ছেড়ে অডিট ভবনের অডিটরিয়ামের দিকে চলে যান। শেষ মুহূর্তে ঘটনাস্থলে আসেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ইসরাইল হাওলাদার। তিনি একাই বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে যান। উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারাও তখন এগিয়ে যান। ততক্ষণে বিক্ষোভকারীরা অবশ্য চলে যাচ্ছেন।
আরও খবর পড়ুন:

কড়া রোদ। রাজধানীর কাকরাইলে অডিট ভবনের সামনে জনাপঞ্চাশেক পুলিশ দাঁড়িয়ে। অনেকের হাতে আইসক্রিম। অডিট ভবনের ফটকের সামনের সড়কে তখন বিক্ষোভ করছেন দেড়-দুই শ কর্মকর্তা। তাঁরা ভবনে ঢুকতে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। সেখানে দায়িত্বে থাকা ডিএমপির একজন উপকমিশনার (ডিসি) বিক্ষুব্ধদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলেও তাতে গা করছিলেন না কোনো পুলিশ সদস্য। একপর্যায়ে সেই কর্মকর্তা পুলিশ সদস্যদের এমন আচরণ নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে আক্ষেপ করেন। তিনি বলেন, ‘এভাবে ফোর্স চালানো যায় না, স্যার। কেউ কথা শুনছে না। এভাবে পুলিশও চলতে পারে না।’ অবশ্য তাঁর আক্ষেপের জবাবে ফোনের ওপারে থাকা কর্মকর্তা কী বলেছেন, তা জানা যায়নি।
এ ঘটনা গতকাল রোববারের। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ঊর্ধ্বতনের নির্দেশ না মানার এমন ঘটনা পুলিশ বাহিনীতে নজিরবিহীন। কিন্তু গতকাল এমন ঘটনাই ঘটেছে। নিম্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা মনে করছেন, বিক্ষুব্ধদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা করা হলে একসময় তাঁরাও হয়তো ঝুঁকিতে পড়বেন। কারণ, পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাও এখনো হামলা-মারধরের শিকার হচ্ছেন। গত ৫ আগস্টের পর থেকে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে এ রকম নিরাপত্তাহীনতা ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে পুলিশের মতো শৃঙ্খলা বাহিনীতেও চেইন অব কমান্ড ঠিকমতো কাজ করছে না। ভেঙে পড়েছে পুলিশি ব্যবস্থা।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মুহাম্মদ নুরুল হুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভেঙে পড়া পুলিশি ব্যবস্থায় চেইন অব কমান্ড প্রতিষ্ঠা করা এখন সবচেয়ে জরুরি। তা না হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কাকরাইলে অডিট ভবনের সামনে গিয়ে দেখা যায়, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিএজি) কার্যালয়ের অডিটর পদের দেড়-দুই শ বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা স্লোগান দিয়ে ভবনের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছেন। পুলিশের বাধায় তাঁরা ভবনের ফটকের সামনের সড়কে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে কাকরাইল মোড় থেকে কাকরাইল মসজিদ পর্যন্ত সড়কের এক পাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষুব্ধরা অডিটর পদের দুই গ্রেডে বিদ্যমান বেতনবৈষম্য নিরসনের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, ১১ তম গ্রেডের আড়াই হাজারের বেশি কর্মকর্তা দীর্ঘদিন পদোন্নতিবঞ্চিত। এ নিয়ে আদালতের নির্দেশনাও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। এরই মধ্যে পিটিশন করা ৭৫২ জনের বেতন ১১ সেপ্টেম্বর বাড়ানো হয়, কিন্তু একই গ্রেডের আরও আড়াই হাজার অডিটরের বেতন বাড়েনি। অডিট ভবনের ফটকের সামনেই নিরাপত্তায় ছিলেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
সেখানে ডিএমপির রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) নাছের ও সহকারী কমিশনার শুভ্রর নেতৃত্বে পুলিশের ৬০-৭০ জন সদস্য রয়েছেন। ওই দুই কর্মকর্তা বেলা দেড়টা পর্যন্ত বিক্ষুব্ধদের বোঝানোর চেষ্টা করেন এবং তাঁদের সড়ক ছেড়ে দিতে বারবার অনুরোধ করেন। এরপরও তাঁরা সড়ক না ছাড়ায় সেখানে থাকা রমনা বিভাগের ডিসি সারওয়ার তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সড়ক থেকে বিক্ষুব্ধদের ছত্রভঙ্গ করার সিদ্ধান্ত নেন। এ জন্য সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যদের সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়াসহ অন্যান্য প্রস্তুতি নিতে বলেন তিনি। কিন্তু সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহারে কোনো সদস্যই এগিয়ে আসছিলেন না। এ সময় ডিসি সারওয়ার ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, কে কে তাঁর সঙ্গে সামনে যাবেন। না গেলে সেটাও জানাতে বলেন। কিন্তু পুলিশ সদস্যদের কেউ কিছু না বলে পেছনে সরে যান। ডিসি তখন রমনা মডেল থানার ওসি, এসি, এডিসি ও কয়েকজন উপপরিদর্শককে নিয়ে এক পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন।
বেলা আড়াইটার দিকে সেখানে আসেন ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) সানা শামীনুর রহমান। তিনিও পুলিশ সদস্যদের অগ্রসর করানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা দাঁড়িয়ে পুলিশের মুখোমুখি অবস্থান নেন। তাঁরা ৬০-৭০ জন পুলিশ সদস্যকে একরকম ঘিরে ফেলেন। এ সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য কর্মকর্তার উদ্দেশে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদেরকেই শুধু জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে।’
সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা সব পুলিশ সদস্যের চোখে-মুখে ছিল হতাশার ছাপ। ৫ আগস্টের পর পুলিশ সদস্যদের মধ্যে যে নিষ্ক্রিয়তা দেখা গেছে, গতকালের ঘটনাও তার ব্যতিক্রম নয়।
নির্দেশনা সত্ত্বেও সদস্যদের অভিযানে না যাওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার শামীনুর রহমান আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘ফোর্স কথা শুনবে না কেন? আমরা নিজেরাই একটু সময় নিচ্ছি।’ তবে এডিসি নাছের বলেন, ‘একটু সমস্যা তো আছেই। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সিএজি কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সড়কে এসে বিক্ষুব্ধদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং তাঁদের আলোচনার জন্য ডাকেন। এরপর বিক্ষুব্ধরা সড়ক ছেড়ে অডিট ভবনের অডিটরিয়ামের দিকে চলে যান। শেষ মুহূর্তে ঘটনাস্থলে আসেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ইসরাইল হাওলাদার। তিনি একাই বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে যান। উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারাও তখন এগিয়ে যান। ততক্ষণে বিক্ষোভকারীরা অবশ্য চলে যাচ্ছেন।
আরও খবর পড়ুন:
শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

কড়া রোদ। রাজধানীর কাকরাইলে অডিট ভবনের সামনে জনাপঞ্চাশেক পুলিশ দাঁড়িয়ে। অনেকের হাতে আইসক্রিম। অডিট ভবনের ফটকের সামনের সড়কে তখন বিক্ষোভ করছেন দেড়-দুই শ কর্মকর্তা। তাঁরা ভবনে ঢুকতে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। সেখানে দায়িত্বে থাকা ডিএমপির একজন উপকমিশনার (ডিসি) বিক্ষুব্ধদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলেও তাতে গা করছিলেন না কোনো পুলিশ সদস্য। একপর্যায়ে সেই কর্মকর্তা পুলিশ সদস্যদের এমন আচরণ নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে আক্ষেপ করেন। তিনি বলেন, ‘এভাবে ফোর্স চালানো যায় না, স্যার। কেউ কথা শুনছে না। এভাবে পুলিশও চলতে পারে না।’ অবশ্য তাঁর আক্ষেপের জবাবে ফোনের ওপারে থাকা কর্মকর্তা কী বলেছেন, তা জানা যায়নি।
এ ঘটনা গতকাল রোববারের। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ঊর্ধ্বতনের নির্দেশ না মানার এমন ঘটনা পুলিশ বাহিনীতে নজিরবিহীন। কিন্তু গতকাল এমন ঘটনাই ঘটেছে। নিম্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা মনে করছেন, বিক্ষুব্ধদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা করা হলে একসময় তাঁরাও হয়তো ঝুঁকিতে পড়বেন। কারণ, পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাও এখনো হামলা-মারধরের শিকার হচ্ছেন। গত ৫ আগস্টের পর থেকে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে এ রকম নিরাপত্তাহীনতা ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে পুলিশের মতো শৃঙ্খলা বাহিনীতেও চেইন অব কমান্ড ঠিকমতো কাজ করছে না। ভেঙে পড়েছে পুলিশি ব্যবস্থা।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মুহাম্মদ নুরুল হুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভেঙে পড়া পুলিশি ব্যবস্থায় চেইন অব কমান্ড প্রতিষ্ঠা করা এখন সবচেয়ে জরুরি। তা না হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কাকরাইলে অডিট ভবনের সামনে গিয়ে দেখা যায়, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিএজি) কার্যালয়ের অডিটর পদের দেড়-দুই শ বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা স্লোগান দিয়ে ভবনের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছেন। পুলিশের বাধায় তাঁরা ভবনের ফটকের সামনের সড়কে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে কাকরাইল মোড় থেকে কাকরাইল মসজিদ পর্যন্ত সড়কের এক পাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষুব্ধরা অডিটর পদের দুই গ্রেডে বিদ্যমান বেতনবৈষম্য নিরসনের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, ১১ তম গ্রেডের আড়াই হাজারের বেশি কর্মকর্তা দীর্ঘদিন পদোন্নতিবঞ্চিত। এ নিয়ে আদালতের নির্দেশনাও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। এরই মধ্যে পিটিশন করা ৭৫২ জনের বেতন ১১ সেপ্টেম্বর বাড়ানো হয়, কিন্তু একই গ্রেডের আরও আড়াই হাজার অডিটরের বেতন বাড়েনি। অডিট ভবনের ফটকের সামনেই নিরাপত্তায় ছিলেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
সেখানে ডিএমপির রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) নাছের ও সহকারী কমিশনার শুভ্রর নেতৃত্বে পুলিশের ৬০-৭০ জন সদস্য রয়েছেন। ওই দুই কর্মকর্তা বেলা দেড়টা পর্যন্ত বিক্ষুব্ধদের বোঝানোর চেষ্টা করেন এবং তাঁদের সড়ক ছেড়ে দিতে বারবার অনুরোধ করেন। এরপরও তাঁরা সড়ক না ছাড়ায় সেখানে থাকা রমনা বিভাগের ডিসি সারওয়ার তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সড়ক থেকে বিক্ষুব্ধদের ছত্রভঙ্গ করার সিদ্ধান্ত নেন। এ জন্য সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যদের সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়াসহ অন্যান্য প্রস্তুতি নিতে বলেন তিনি। কিন্তু সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহারে কোনো সদস্যই এগিয়ে আসছিলেন না। এ সময় ডিসি সারওয়ার ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, কে কে তাঁর সঙ্গে সামনে যাবেন। না গেলে সেটাও জানাতে বলেন। কিন্তু পুলিশ সদস্যদের কেউ কিছু না বলে পেছনে সরে যান। ডিসি তখন রমনা মডেল থানার ওসি, এসি, এডিসি ও কয়েকজন উপপরিদর্শককে নিয়ে এক পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন।
বেলা আড়াইটার দিকে সেখানে আসেন ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) সানা শামীনুর রহমান। তিনিও পুলিশ সদস্যদের অগ্রসর করানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা দাঁড়িয়ে পুলিশের মুখোমুখি অবস্থান নেন। তাঁরা ৬০-৭০ জন পুলিশ সদস্যকে একরকম ঘিরে ফেলেন। এ সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য কর্মকর্তার উদ্দেশে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদেরকেই শুধু জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে।’
সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা সব পুলিশ সদস্যের চোখে-মুখে ছিল হতাশার ছাপ। ৫ আগস্টের পর পুলিশ সদস্যদের মধ্যে যে নিষ্ক্রিয়তা দেখা গেছে, গতকালের ঘটনাও তার ব্যতিক্রম নয়।
নির্দেশনা সত্ত্বেও সদস্যদের অভিযানে না যাওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার শামীনুর রহমান আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘ফোর্স কথা শুনবে না কেন? আমরা নিজেরাই একটু সময় নিচ্ছি।’ তবে এডিসি নাছের বলেন, ‘একটু সমস্যা তো আছেই। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সিএজি কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সড়কে এসে বিক্ষুব্ধদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং তাঁদের আলোচনার জন্য ডাকেন। এরপর বিক্ষুব্ধরা সড়ক ছেড়ে অডিট ভবনের অডিটরিয়ামের দিকে চলে যান। শেষ মুহূর্তে ঘটনাস্থলে আসেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ইসরাইল হাওলাদার। তিনি একাই বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে যান। উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারাও তখন এগিয়ে যান। ততক্ষণে বিক্ষোভকারীরা অবশ্য চলে যাচ্ছেন।
আরও খবর পড়ুন:

কড়া রোদ। রাজধানীর কাকরাইলে অডিট ভবনের সামনে জনাপঞ্চাশেক পুলিশ দাঁড়িয়ে। অনেকের হাতে আইসক্রিম। অডিট ভবনের ফটকের সামনের সড়কে তখন বিক্ষোভ করছেন দেড়-দুই শ কর্মকর্তা। তাঁরা ভবনে ঢুকতে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। সেখানে দায়িত্বে থাকা ডিএমপির একজন উপকমিশনার (ডিসি) বিক্ষুব্ধদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলেও তাতে গা করছিলেন না কোনো পুলিশ সদস্য। একপর্যায়ে সেই কর্মকর্তা পুলিশ সদস্যদের এমন আচরণ নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে আক্ষেপ করেন। তিনি বলেন, ‘এভাবে ফোর্স চালানো যায় না, স্যার। কেউ কথা শুনছে না। এভাবে পুলিশও চলতে পারে না।’ অবশ্য তাঁর আক্ষেপের জবাবে ফোনের ওপারে থাকা কর্মকর্তা কী বলেছেন, তা জানা যায়নি।
এ ঘটনা গতকাল রোববারের। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ঊর্ধ্বতনের নির্দেশ না মানার এমন ঘটনা পুলিশ বাহিনীতে নজিরবিহীন। কিন্তু গতকাল এমন ঘটনাই ঘটেছে। নিম্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা মনে করছেন, বিক্ষুব্ধদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা করা হলে একসময় তাঁরাও হয়তো ঝুঁকিতে পড়বেন। কারণ, পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাও এখনো হামলা-মারধরের শিকার হচ্ছেন। গত ৫ আগস্টের পর থেকে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে এ রকম নিরাপত্তাহীনতা ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে পুলিশের মতো শৃঙ্খলা বাহিনীতেও চেইন অব কমান্ড ঠিকমতো কাজ করছে না। ভেঙে পড়েছে পুলিশি ব্যবস্থা।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মুহাম্মদ নুরুল হুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভেঙে পড়া পুলিশি ব্যবস্থায় চেইন অব কমান্ড প্রতিষ্ঠা করা এখন সবচেয়ে জরুরি। তা না হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কাকরাইলে অডিট ভবনের সামনে গিয়ে দেখা যায়, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিএজি) কার্যালয়ের অডিটর পদের দেড়-দুই শ বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা স্লোগান দিয়ে ভবনের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছেন। পুলিশের বাধায় তাঁরা ভবনের ফটকের সামনের সড়কে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে কাকরাইল মোড় থেকে কাকরাইল মসজিদ পর্যন্ত সড়কের এক পাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষুব্ধরা অডিটর পদের দুই গ্রেডে বিদ্যমান বেতনবৈষম্য নিরসনের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, ১১ তম গ্রেডের আড়াই হাজারের বেশি কর্মকর্তা দীর্ঘদিন পদোন্নতিবঞ্চিত। এ নিয়ে আদালতের নির্দেশনাও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। এরই মধ্যে পিটিশন করা ৭৫২ জনের বেতন ১১ সেপ্টেম্বর বাড়ানো হয়, কিন্তু একই গ্রেডের আরও আড়াই হাজার অডিটরের বেতন বাড়েনি। অডিট ভবনের ফটকের সামনেই নিরাপত্তায় ছিলেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
সেখানে ডিএমপির রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) নাছের ও সহকারী কমিশনার শুভ্রর নেতৃত্বে পুলিশের ৬০-৭০ জন সদস্য রয়েছেন। ওই দুই কর্মকর্তা বেলা দেড়টা পর্যন্ত বিক্ষুব্ধদের বোঝানোর চেষ্টা করেন এবং তাঁদের সড়ক ছেড়ে দিতে বারবার অনুরোধ করেন। এরপরও তাঁরা সড়ক না ছাড়ায় সেখানে থাকা রমনা বিভাগের ডিসি সারওয়ার তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সড়ক থেকে বিক্ষুব্ধদের ছত্রভঙ্গ করার সিদ্ধান্ত নেন। এ জন্য সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যদের সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়াসহ অন্যান্য প্রস্তুতি নিতে বলেন তিনি। কিন্তু সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহারে কোনো সদস্যই এগিয়ে আসছিলেন না। এ সময় ডিসি সারওয়ার ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, কে কে তাঁর সঙ্গে সামনে যাবেন। না গেলে সেটাও জানাতে বলেন। কিন্তু পুলিশ সদস্যদের কেউ কিছু না বলে পেছনে সরে যান। ডিসি তখন রমনা মডেল থানার ওসি, এসি, এডিসি ও কয়েকজন উপপরিদর্শককে নিয়ে এক পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন।
বেলা আড়াইটার দিকে সেখানে আসেন ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) সানা শামীনুর রহমান। তিনিও পুলিশ সদস্যদের অগ্রসর করানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা দাঁড়িয়ে পুলিশের মুখোমুখি অবস্থান নেন। তাঁরা ৬০-৭০ জন পুলিশ সদস্যকে একরকম ঘিরে ফেলেন। এ সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য কর্মকর্তার উদ্দেশে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদেরকেই শুধু জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে।’
সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা সব পুলিশ সদস্যের চোখে-মুখে ছিল হতাশার ছাপ। ৫ আগস্টের পর পুলিশ সদস্যদের মধ্যে যে নিষ্ক্রিয়তা দেখা গেছে, গতকালের ঘটনাও তার ব্যতিক্রম নয়।
নির্দেশনা সত্ত্বেও সদস্যদের অভিযানে না যাওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার শামীনুর রহমান আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘ফোর্স কথা শুনবে না কেন? আমরা নিজেরাই একটু সময় নিচ্ছি।’ তবে এডিসি নাছের বলেন, ‘একটু সমস্যা তো আছেই। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সিএজি কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সড়কে এসে বিক্ষুব্ধদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং তাঁদের আলোচনার জন্য ডাকেন। এরপর বিক্ষুব্ধরা সড়ক ছেড়ে অডিট ভবনের অডিটরিয়ামের দিকে চলে যান। শেষ মুহূর্তে ঘটনাস্থলে আসেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ইসরাইল হাওলাদার। তিনি একাই বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে যান। উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারাও তখন এগিয়ে যান। ততক্ষণে বিক্ষোভকারীরা অবশ্য চলে যাচ্ছেন।
আরও খবর পড়ুন:

ফরিদপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক কয়েদি মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রিজন সেলে স্থানান্তর করা হয়।
১৫ মিনিট আগে
ঝালকাঠিতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির স্মরণে দেয়াললিখন ও গ্রাফিতি আঁকা হয়েছে। ঝালকাঠি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে শহীদ হাদির আদর্শ ও লড়াই-সংগ্রামের ইতিহাস সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে এবং তাঁর হত্যার দ্রুত বিচারের দাবিকে আরও জোরালো করতে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
২৬ মিনিট আগে
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর শুধু বাণিজ্যিক কার্যক্রমেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং পুরো অঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। এ স্থলবন্দর চালুর ফলে স্থানীয় মানুষের জীবনমান উন্নত হবে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক ও টেকসই পরিবর্তন সূচিত হবে।
৩১ মিনিট আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে যোগ দিতে ঢাকায় যাওয়ার পথে খাইরুজ্জামান আলম মুন্সি (৪৫) নামে এক কৃষক দল নেতা মারা গেছেন। তিনি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক এবং উপজেলার দীঘলিয়া গ্রামের চেরাক আলী মুন্সির পুত্র। চিকিৎসক জানিয়েছেন, হার্ট অ্যাটাকে তাঁর মৃত্যু হয়
৩৬ মিনিট আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক কয়েদি মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রিজন সেলে স্থানান্তর করা হয়।
ওই কয়েদির নাম বিমল কুমার দাস (৬২)। কয়েদি নম্বর ২৫২৫। তিনি মাদারীপুর সদর উপজেলার কদমতলী আমিরাবাদ গ্রামের গৌরাঙ্গ চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি একটি চেক ডিজঅনার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে সাজা ভোগ করছিলেন।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে সুরতহাল করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের জেল সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, একটি চেক ডিজঅনার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে তিনি কারাগারে সাজা ভোগ করছিলেন। তিনি মাদারীপুর কারাগারে ছিলেন। ওই হাজতি ডায়াবেটিসসহ বয়সের বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। মাদারীপুর কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ২৩ ডিসেম্বর তাঁকে মাদারীপুর কারাগার থেকে ফরিদপুর কারাগারে আনা হয়। ফরিদপুরে আসামাত্রই তাঁকে হাসপাতালের প্রিজন সেলে স্থানান্তর করা হয়।
জেল সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, আগামীকাল শুক্রবার (আজ) সকালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

ফরিদপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক কয়েদি মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রিজন সেলে স্থানান্তর করা হয়।
ওই কয়েদির নাম বিমল কুমার দাস (৬২)। কয়েদি নম্বর ২৫২৫। তিনি মাদারীপুর সদর উপজেলার কদমতলী আমিরাবাদ গ্রামের গৌরাঙ্গ চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি একটি চেক ডিজঅনার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে সাজা ভোগ করছিলেন।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে সুরতহাল করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের জেল সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, একটি চেক ডিজঅনার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে তিনি কারাগারে সাজা ভোগ করছিলেন। তিনি মাদারীপুর কারাগারে ছিলেন। ওই হাজতি ডায়াবেটিসসহ বয়সের বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। মাদারীপুর কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ২৩ ডিসেম্বর তাঁকে মাদারীপুর কারাগার থেকে ফরিদপুর কারাগারে আনা হয়। ফরিদপুরে আসামাত্রই তাঁকে হাসপাতালের প্রিজন সেলে স্থানান্তর করা হয়।
জেল সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, আগামীকাল শুক্রবার (আজ) সকালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

কড়া রোদ। রাজধানীর কাকরাইলে অডিট ভবনের সামনে জনাপঞ্চাশেক পুলিশ দাঁড়িয়ে। অনেকের হাতে আইসক্রিম। অডিট ভবনের ফটকের সামনের সড়কে তখন বিক্ষোভ করছেন দেড়-দুই শ কর্মকর্তা। তাঁরা ভবনে ঢুকতে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। সেখানে দায়িত্বে থাকা ডিএমপির একজন উপকমিশনার
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ঝালকাঠিতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির স্মরণে দেয়াললিখন ও গ্রাফিতি আঁকা হয়েছে। ঝালকাঠি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে শহীদ হাদির আদর্শ ও লড়াই-সংগ্রামের ইতিহাস সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে এবং তাঁর হত্যার দ্রুত বিচারের দাবিকে আরও জোরালো করতে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
২৬ মিনিট আগে
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর শুধু বাণিজ্যিক কার্যক্রমেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং পুরো অঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। এ স্থলবন্দর চালুর ফলে স্থানীয় মানুষের জীবনমান উন্নত হবে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক ও টেকসই পরিবর্তন সূচিত হবে।
৩১ মিনিট আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে যোগ দিতে ঢাকায় যাওয়ার পথে খাইরুজ্জামান আলম মুন্সি (৪৫) নামে এক কৃষক দল নেতা মারা গেছেন। তিনি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক এবং উপজেলার দীঘলিয়া গ্রামের চেরাক আলী মুন্সির পুত্র। চিকিৎসক জানিয়েছেন, হার্ট অ্যাটাকে তাঁর মৃত্যু হয়
৩৬ মিনিট আগেঝালকাঠি প্রতিনিধি

ঝালকাঠিতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির স্মরণে দেয়াললিখন ও গ্রাফিতি আঁকা হয়েছে। ঝালকাঠি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে শহীদ হাদির আদর্শ ও লড়াই-সংগ্রামের ইতিহাস সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে এবং তাঁর হত্যার দ্রুত বিচারের দাবিকে আরও জোরালো করতে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দিনব্যাপী ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের সামনে দেয়ালে গ্রাফিতি আঁকা হয়। এর আগের দিন রাতে পৌর শহরের মিনি পার্কের পশ্চিম পাশে গ্রাফিতি আঁকা হয়। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তরুণ শিল্পী ও স্বেচ্ছাসেবকেরা এতে অংশ নেন।
আয়োজকেরা জানান, কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় ঝালকাঠি সরকারি কলেজ, সরকারি উচ্চবিদ্যালয়সহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ দেয়ালে পর্যায়ক্রমে গ্রাফিতি ও দেয়াললিখন হবে। এই উদ্যোগ স্থানীয় তরুণসমাজের মধ্যে প্রতিবাদী চেতনা জাগাবে এবং ন্যায়বিচারের আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করবে বলে মনে করেন আয়োজকেরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝালকাঠি জেলা কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, ‘এই গ্রাফিতি শুধু স্মরণ নয়, এটি প্রতিবাদ ও ন্যায়বিচারের আহ্বান। শহীদ ওসমান হাদির আদর্শ ও হত্যার বিচারের দাবিকে আমরা দেশজুড়ে ছড়িয়ে দিতে চাই। বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।’

ঝালকাঠিতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির স্মরণে দেয়াললিখন ও গ্রাফিতি আঁকা হয়েছে। ঝালকাঠি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে শহীদ হাদির আদর্শ ও লড়াই-সংগ্রামের ইতিহাস সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে এবং তাঁর হত্যার দ্রুত বিচারের দাবিকে আরও জোরালো করতে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দিনব্যাপী ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের সামনে দেয়ালে গ্রাফিতি আঁকা হয়। এর আগের দিন রাতে পৌর শহরের মিনি পার্কের পশ্চিম পাশে গ্রাফিতি আঁকা হয়। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তরুণ শিল্পী ও স্বেচ্ছাসেবকেরা এতে অংশ নেন।
আয়োজকেরা জানান, কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় ঝালকাঠি সরকারি কলেজ, সরকারি উচ্চবিদ্যালয়সহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ দেয়ালে পর্যায়ক্রমে গ্রাফিতি ও দেয়াললিখন হবে। এই উদ্যোগ স্থানীয় তরুণসমাজের মধ্যে প্রতিবাদী চেতনা জাগাবে এবং ন্যায়বিচারের আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করবে বলে মনে করেন আয়োজকেরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝালকাঠি জেলা কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, ‘এই গ্রাফিতি শুধু স্মরণ নয়, এটি প্রতিবাদ ও ন্যায়বিচারের আহ্বান। শহীদ ওসমান হাদির আদর্শ ও হত্যার বিচারের দাবিকে আমরা দেশজুড়ে ছড়িয়ে দিতে চাই। বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।’

কড়া রোদ। রাজধানীর কাকরাইলে অডিট ভবনের সামনে জনাপঞ্চাশেক পুলিশ দাঁড়িয়ে। অনেকের হাতে আইসক্রিম। অডিট ভবনের ফটকের সামনের সড়কে তখন বিক্ষোভ করছেন দেড়-দুই শ কর্মকর্তা। তাঁরা ভবনে ঢুকতে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। সেখানে দায়িত্বে থাকা ডিএমপির একজন উপকমিশনার
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ফরিদপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক কয়েদি মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রিজন সেলে স্থানান্তর করা হয়।
১৫ মিনিট আগে
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর শুধু বাণিজ্যিক কার্যক্রমেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং পুরো অঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। এ স্থলবন্দর চালুর ফলে স্থানীয় মানুষের জীবনমান উন্নত হবে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক ও টেকসই পরিবর্তন সূচিত হবে।
৩১ মিনিট আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে যোগ দিতে ঢাকায় যাওয়ার পথে খাইরুজ্জামান আলম মুন্সি (৪৫) নামে এক কৃষক দল নেতা মারা গেছেন। তিনি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক এবং উপজেলার দীঘলিয়া গ্রামের চেরাক আলী মুন্সির পুত্র। চিকিৎসক জানিয়েছেন, হার্ট অ্যাটাকে তাঁর মৃত্যু হয়
৩৬ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সীমান্ত বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর উদ্বোধন করেছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে দেশের ২৪তম স্থলবন্দর হিসেবে ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দরটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর চালুর মাধ্যমে সীমান্তবর্তী অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে। এ বন্দর সিলেট অঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে আরও গতিশীল করবে এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর শুধু বাণিজ্যিক কার্যক্রমেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং পুরো অঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। এ স্থলবন্দর চালুর ফলে স্থানীয় মানুষের জীবনমান উন্নত হবে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক ও টেকসই পরিবর্তন সূচিত হবে।
অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব নূরুন্নাহার চৌধুরী বলেন, ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল হিসেবে কাজ করবে।
সিলেট জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম বলেন, ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর চালুর ফলে স্থানীয় অর্থনীতি, যোগাযোগব্যবস্থা এবং সীমান্ত এলাকার সার্বিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
উদ্বোধন শেষে নৌপরিবহন উপদেষ্টা ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দরের বিভিন্ন স্থাপনা ও অবকাঠামো পরিদর্শন করেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মানজারুল মান্নানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সীমান্ত বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর উদ্বোধন করেছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে দেশের ২৪তম স্থলবন্দর হিসেবে ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দরটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর চালুর মাধ্যমে সীমান্তবর্তী অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে। এ বন্দর সিলেট অঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে আরও গতিশীল করবে এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর শুধু বাণিজ্যিক কার্যক্রমেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং পুরো অঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। এ স্থলবন্দর চালুর ফলে স্থানীয় মানুষের জীবনমান উন্নত হবে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক ও টেকসই পরিবর্তন সূচিত হবে।
অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব নূরুন্নাহার চৌধুরী বলেন, ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল হিসেবে কাজ করবে।
সিলেট জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম বলেন, ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর চালুর ফলে স্থানীয় অর্থনীতি, যোগাযোগব্যবস্থা এবং সীমান্ত এলাকার সার্বিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
উদ্বোধন শেষে নৌপরিবহন উপদেষ্টা ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দরের বিভিন্ন স্থাপনা ও অবকাঠামো পরিদর্শন করেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মানজারুল মান্নানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কড়া রোদ। রাজধানীর কাকরাইলে অডিট ভবনের সামনে জনাপঞ্চাশেক পুলিশ দাঁড়িয়ে। অনেকের হাতে আইসক্রিম। অডিট ভবনের ফটকের সামনের সড়কে তখন বিক্ষোভ করছেন দেড়-দুই শ কর্মকর্তা। তাঁরা ভবনে ঢুকতে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। সেখানে দায়িত্বে থাকা ডিএমপির একজন উপকমিশনার
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ফরিদপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক কয়েদি মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রিজন সেলে স্থানান্তর করা হয়।
১৫ মিনিট আগে
ঝালকাঠিতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির স্মরণে দেয়াললিখন ও গ্রাফিতি আঁকা হয়েছে। ঝালকাঠি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে শহীদ হাদির আদর্শ ও লড়াই-সংগ্রামের ইতিহাস সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে এবং তাঁর হত্যার দ্রুত বিচারের দাবিকে আরও জোরালো করতে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
২৬ মিনিট আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে যোগ দিতে ঢাকায় যাওয়ার পথে খাইরুজ্জামান আলম মুন্সি (৪৫) নামে এক কৃষক দল নেতা মারা গেছেন। তিনি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক এবং উপজেলার দীঘলিয়া গ্রামের চেরাক আলী মুন্সির পুত্র। চিকিৎসক জানিয়েছেন, হার্ট অ্যাটাকে তাঁর মৃত্যু হয়
৩৬ মিনিট আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে যোগ দিতে ঢাকায় যাওয়ার পথে খাইরুজ্জামান আলম মুন্সি (৪৫) নামে এক কৃষক দল নেতা মারা গেছেন। তিনি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক এবং উপজেলার দীঘলিয়া গ্রামের চেরাক আলী মুন্সির পুত্র। চিকিৎসক জানিয়েছেন, হার্ট অ্যাটাকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ঢাকার পূর্বাচলে আয়োজিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নিজ উপজেলা থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে রওনা হয়েছিলেন। যাত্রাপথে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ফরিদপুরের ভাঙ্গা গোলচত্বরে পৌঁছালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. আক্তারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বুধবার রাত ১২টার দিকে ওই কৃষক দল নেতাকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার তানজিরুল ইসলাম মামুন তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘দীর্ঘ ১৭ বছর পর আমাদের নেতা তারেক রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছেন। এ উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় যাওয়ার সময় বিভিন্ন জেলা থেকে নেতা-কর্মীদের গাড়িবহর ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে জড়ো হয়। এ সময় লোহাগড়া উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক খাইরুজ্জামান আলম মুন্সি গাড়িবহরে থাকা অবস্থায় হার্ট অ্যাটাক করেন। সঙ্গে সঙ্গে নেতা-কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে যোগ দিতে ঢাকায় যাওয়ার পথে খাইরুজ্জামান আলম মুন্সি (৪৫) নামে এক কৃষক দল নেতা মারা গেছেন। তিনি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক এবং উপজেলার দীঘলিয়া গ্রামের চেরাক আলী মুন্সির পুত্র। চিকিৎসক জানিয়েছেন, হার্ট অ্যাটাকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ঢাকার পূর্বাচলে আয়োজিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নিজ উপজেলা থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে রওনা হয়েছিলেন। যাত্রাপথে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ফরিদপুরের ভাঙ্গা গোলচত্বরে পৌঁছালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. আক্তারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বুধবার রাত ১২টার দিকে ওই কৃষক দল নেতাকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার তানজিরুল ইসলাম মামুন তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘দীর্ঘ ১৭ বছর পর আমাদের নেতা তারেক রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছেন। এ উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় যাওয়ার সময় বিভিন্ন জেলা থেকে নেতা-কর্মীদের গাড়িবহর ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে জড়ো হয়। এ সময় লোহাগড়া উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক খাইরুজ্জামান আলম মুন্সি গাড়িবহরে থাকা অবস্থায় হার্ট অ্যাটাক করেন। সঙ্গে সঙ্গে নেতা-কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’

কড়া রোদ। রাজধানীর কাকরাইলে অডিট ভবনের সামনে জনাপঞ্চাশেক পুলিশ দাঁড়িয়ে। অনেকের হাতে আইসক্রিম। অডিট ভবনের ফটকের সামনের সড়কে তখন বিক্ষোভ করছেন দেড়-দুই শ কর্মকর্তা। তাঁরা ভবনে ঢুকতে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। সেখানে দায়িত্বে থাকা ডিএমপির একজন উপকমিশনার
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ফরিদপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক কয়েদি মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রিজন সেলে স্থানান্তর করা হয়।
১৫ মিনিট আগে
ঝালকাঠিতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির স্মরণে দেয়াললিখন ও গ্রাফিতি আঁকা হয়েছে। ঝালকাঠি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে শহীদ হাদির আদর্শ ও লড়াই-সংগ্রামের ইতিহাস সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে এবং তাঁর হত্যার দ্রুত বিচারের দাবিকে আরও জোরালো করতে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
২৬ মিনিট আগে
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর শুধু বাণিজ্যিক কার্যক্রমেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং পুরো অঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। এ স্থলবন্দর চালুর ফলে স্থানীয় মানুষের জীবনমান উন্নত হবে এবং জাতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক ও টেকসই পরিবর্তন সূচিত হবে।
৩১ মিনিট আগে