Ajker Patrika

‘স্যার, কেউ কথা শুনছে না, এভাবে পুলিশ চলে না’

শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭: ৫৩
‘স্যার, কেউ কথা শুনছে না, এভাবে পুলিশ চলে না’

কড়া রোদ। রাজধানীর কাকরাইলে অডিট ভবনের সামনে জনাপঞ্চাশেক পুলিশ দাঁড়িয়ে। অনেকের হাতে আইসক্রিম। অডিট ভবনের ফটকের সামনের সড়কে তখন বিক্ষোভ করছেন দেড়-দুই শ কর্মকর্তা। তাঁরা ভবনে ঢুকতে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। সেখানে দায়িত্বে থাকা ডিএমপির একজন উপকমিশনার (ডিসি) বিক্ষুব্ধদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলেও তাতে গা করছিলেন না কোনো পুলিশ সদস্য। একপর্যায়ে সেই কর্মকর্তা পুলিশ সদস্যদের এমন আচরণ নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে আক্ষেপ করেন। তিনি বলেন, ‘এভাবে ফোর্স চালানো যায় না, স্যার। কেউ কথা শুনছে না। এভাবে পুলিশও চলতে পারে না।’ অবশ্য তাঁর আক্ষেপের জবাবে ফোনের ওপারে থাকা কর্মকর্তা কী বলেছেন, তা জানা যায়নি। 

এ ঘটনা গতকাল রোববারের। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ঊর্ধ্বতনের নির্দেশ না মানার এমন ঘটনা পুলিশ বাহিনীতে নজিরবিহীন। কিন্তু গতকাল এমন ঘটনাই ঘটেছে। নিম্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা মনে করছেন, বিক্ষুব্ধদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা করা হলে একসময় তাঁরাও হয়তো ঝুঁকিতে পড়বেন। কারণ, পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাও এখনো হামলা-মারধরের শিকার হচ্ছেন। গত ৫ আগস্টের পর থেকে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে এ রকম নিরাপত্তাহীনতা ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে পুলিশের মতো শৃঙ্খলা বাহিনীতেও চেইন অব কমান্ড ঠিকমতো কাজ করছে না। ভেঙে পড়েছে পুলিশি ব্যবস্থা। 

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মুহাম্মদ নুরুল হুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভেঙে পড়া পুলিশি ব্যবস্থায় চেইন অব কমান্ড প্রতিষ্ঠা করা এখন সবচেয়ে জরুরি। তা না হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। 

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কাকরাইলে অডিট ভবনের সামনে গিয়ে দেখা যায়, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিএজি) কার্যালয়ের অডিটর পদের দেড়-দুই শ বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা স্লোগান দিয়ে ভবনের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছেন। পুলিশের বাধায় তাঁরা ভবনের ফটকের সামনের সড়কে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে কাকরাইল মোড় থেকে কাকরাইল মসজিদ পর্যন্ত সড়কের এক পাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষুব্ধরা অডিটর পদের দুই গ্রেডে বিদ্যমান বেতনবৈষম্য নিরসনের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, ১১ তম গ্রেডের আড়াই হাজারের বেশি কর্মকর্তা দীর্ঘদিন পদোন্নতিবঞ্চিত। এ নিয়ে আদালতের নির্দেশনাও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। এরই মধ্যে পিটিশন করা ৭৫২ জনের বেতন ১১ সেপ্টেম্বর বাড়ানো হয়, কিন্তু একই গ্রেডের আরও আড়াই হাজার অডিটরের বেতন বাড়েনি। অডিট ভবনের ফটকের সামনেই নিরাপত্তায় ছিলেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। 

 অডিট ভবনের সামনে বিক্ষোভরত অডিটরদের ছত্রভঙ্গ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ডিএমপির উপকমিশনার। তবে সে নির্দেশ না মেনে দাঁড়িয়ে থাকেন পুলিশ সদস্যরা। গতকাল রাজধানীর কাকরাইলে। ছবি: আজকের পত্রিকা সেখানে ডিএমপির রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) নাছের ও সহকারী কমিশনার শুভ্রর নেতৃত্বে পুলিশের ৬০-৭০ জন সদস্য রয়েছেন। ওই দুই কর্মকর্তা বেলা দেড়টা পর্যন্ত বিক্ষুব্ধদের বোঝানোর চেষ্টা করেন এবং তাঁদের সড়ক ছেড়ে দিতে বারবার অনুরোধ করেন। এরপরও তাঁরা সড়ক না ছাড়ায় সেখানে থাকা রমনা বিভাগের ডিসি সারওয়ার তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সড়ক থেকে বিক্ষুব্ধদের ছত্রভঙ্গ করার সিদ্ধান্ত নেন। এ জন্য সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যদের সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়াসহ অন্যান্য প্রস্তুতি নিতে বলেন তিনি। কিন্তু সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহারে কোনো সদস্যই এগিয়ে আসছিলেন না। এ সময় ডিসি সারওয়ার ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, কে কে তাঁর সঙ্গে সামনে যাবেন। না গেলে সেটাও জানাতে বলেন। কিন্তু পুলিশ সদস্যদের কেউ কিছু না বলে পেছনে সরে যান। ডিসি তখন রমনা মডেল থানার ওসি, এসি, এডিসি ও কয়েকজন উপপরিদর্শককে নিয়ে এক পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন। 

বেলা আড়াইটার দিকে সেখানে আসেন ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) সানা শামীনুর রহমান। তিনিও পুলিশ সদস্যদের অগ্রসর করানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা দাঁড়িয়ে পুলিশের মুখোমুখি অবস্থান নেন। তাঁরা ৬০-৭০ জন পুলিশ সদস্যকে একরকম ঘিরে ফেলেন। এ সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য কর্মকর্তার উদ্দেশে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদেরকেই শুধু জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে।’ 

সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা সব পুলিশ সদস্যের চোখে-মুখে ছিল হতাশার ছাপ। ৫ আগস্টের পর পুলিশ সদস্যদের মধ্যে যে নিষ্ক্রিয়তা দেখা গেছে, গতকালের ঘটনাও তার ব্যতিক্রম নয়। 

নির্দেশনা সত্ত্বেও সদস্যদের অভিযানে না যাওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার শামীনুর রহমান আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘ফোর্স কথা শুনবে না কেন? আমরা নিজেরাই একটু সময় নিচ্ছি।’ তবে এডিসি নাছের বলেন, ‘একটু সমস্যা তো আছেই। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।’ 

বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সিএজি কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সড়কে এসে বিক্ষুব্ধদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং তাঁদের আলোচনার জন্য ডাকেন। এরপর বিক্ষুব্ধরা সড়ক ছেড়ে অডিট ভবনের অডিটরিয়ামের দিকে চলে যান। শেষ মুহূর্তে ঘটনাস্থলে আসেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ইসরাইল হাওলাদার। তিনি একাই বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে যান। উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারাও তখন এগিয়ে যান। ততক্ষণে বিক্ষোভকারীরা অবশ্য চলে যাচ্ছেন।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

সবচেয়ে বেশি বেতন-ভাতা পাওয়া সিইও এখন মাস্ক, পরিমাণ ১ ট্রিলিয়ন ডলার

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

ডিজিটাল জাকাত ক্যালকুলেটর ব্যবহারের বিধান

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পরকীয়ার জেরে চিতলমারীতে যুবকের পুরুষাঙ্গ কর্তন, স্ত্রী পলাতক

চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি 
পরকীয়ার জেরে চিতলমারীতে যুবকের পুরুষাঙ্গ কর্তন, স্ত্রী পলাতক

বাগেরহাটের চিতলমারীতে পরকীয়ার জেরে লিটন শেখ ওরফে লিটু (৩৭) নামের এক যুবকের পুরুষাঙ্গ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্ত্রী হাসনা বেগমের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার মহিলা কলেজ রোডের একটি ভাড়া বাসায় এই ঘটনা ঘটে। আহত লিটন বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার ঝালডাঙ্গা গ্রামের মো. নজরুল শেখের ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, পেশায় আইসক্রিম বিক্রেতা লিটন শেখ স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে মহিলা কলেজ রোডের ওই বাড়িতে বসবাস করতেন। ঘটনার পর থেকে গৃহবধূ হাসনা বেগম পলাতক রয়েছেন।

প্রতিবেশী ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, লিটন শেখ অন্য এক মহিলার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। স্ত্রী হাসনা বেগম এই পরকীয়া সহ্য করতে না পেরে ধারালো ব্লেড দিয়ে ঘুমন্ত স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেন। ঘটনার পর হাসনা বেগম তাঁর দুই সন্তান ও ঘরের মূল্যবান মালপত্র নিয়ে পালিয়ে যান। পরে আশপাশের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় লিটনকে উদ্ধার করে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. মুক্তি বিশ্বাস জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় লিটন শেখকে ভর্তি করা হয়েছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

সবচেয়ে বেশি বেতন-ভাতা পাওয়া সিইও এখন মাস্ক, পরিমাণ ১ ট্রিলিয়ন ডলার

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

ডিজিটাল জাকাত ক্যালকুলেটর ব্যবহারের বিধান

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নাশকতার প্রস্তুতির অভিযোগ: আগ্নেয়াস্ত্রসহ আওয়ামী লীগের ৩১ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

সাভার(ঢাকা) প্রতিনিধি
আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার রাব্বী সরদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার রাব্বী সরদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

নাশকতামূলক কার্যকলাপ এবং অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির প্রস্তুতির অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ৩১ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা জেলা পুলিশ। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা কমিটির সহসম্পাদক মো. রাব্বী সরদারের (২৫) কাছ থেকে একটি সচল রিভলবার উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আনিসুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল সন্ধ্যা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত এই অভিযান চলে। ঢাকা জেলার সকল থানা, অর্থাৎ সাভার, আশুলিয়া, ধামরাই, কেরানীগঞ্জ মডেল, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ ও দোহার থানায় এই অভিযান চালানো হয়।

পুলিশের বিশেষ অভিযানে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর গ্রেপ্তারটি হলো মো. রাব্বী সরদার (২৫)। গতকাল দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন উত্তর পানগাঁও এলাকার দোকানবাড়ি মোড় থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তল্লাশির পর তাঁর হেফাজত থেকে একটি দেশীয় তৈরি রিভলবার (সচল) জব্দ করে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার রাব্বী সরদার কয়েক মাস ধরে ঢাকা মেট্রোপলিটনের (ডিএমপি) বিভিন্ন থানা এলাকার মিছিলের অগ্রভাগে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছিলেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে শেখ হাসিনার পক্ষে ডিএমপিসহ বিভিন্ন জেলায় পোস্টার লাগানোর নেতৃত্ব দেন। পুলিশের তদন্তে আরও উঠে এসেছে, তাঁর মোবাইল ফোনে দেশ এবং বিদেশে অবস্থানরত ফ্যাসিস্টদের সঙ্গে যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেছে।

অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া ৩১ জনের মধ্যে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ এবং আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সাভার থানায় চারজন, আশুলিয়া থানায় তিনজন, ধামরাই থানায় একজন, কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় ছয়জন, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় আটজন, নবাবগঞ্জ থানায় সাতজন ও দোহার থানায় দুজন।

তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি তানজিরুল রহমান, বিরুলিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, ধামসোনা ইউনিয়ন যুবলীগের তথ্য সম্পাদক মো. ওবায়দুল ভূঁইয়া, ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপসম্পাদক মো. পারভেজ কবীর ওরফে শাকিব, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আবু তাহের মন্টু, কালিন্দী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সালাম, রুহিতপুর ১ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. সালমান, শুভাঢ্যা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম জুয়েল, নবাবগঞ্জ থানাধীন চূড়াইন ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শাফায়েত হোসেন শিপু, নবাবগঞ্জ থানাধীন কৈলাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আছিফ চাকলাদার, ঢাকা জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি রমজান আলী, দোহার থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আজাদ হোসেন খান।

ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আনিসুজ্জামান জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সবাই সক্রিয় কর্মী, মিছিল ও মিটিংয়ে অংশগ্রহণকারী। যেকোনো ধরনের নাশকতামূলক কার্যকলাপ কঠোরভাবে দমন করা হবে এবং এই চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

সবচেয়ে বেশি বেতন-ভাতা পাওয়া সিইও এখন মাস্ক, পরিমাণ ১ ট্রিলিয়ন ডলার

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

ডিজিটাল জাকাত ক্যালকুলেটর ব্যবহারের বিধান

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বগুড়ায় স্ত্রী ও ছেলের লাঠির আঘাতে স্বামী নিহত

বগুড়া প্রতিনিধি
নিহত মিলন রহমান ওরফে টাইগার মিলন। ছবি: সংগৃহীত
নিহত মিলন রহমান ওরফে টাইগার মিলন। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার কাহালুতে স্ত্রী ও ছেলের লাঠির আঘাতে স্বামী মিলন রহমান ওরফে টাইগার মিলন (৪৫) নিহত হয়েছেন। তিনি এক সপ্তাহ আগে কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়েছেন। ঘটনার পরপরই পুলিশ স্ত্রী মেঘনা বেগম ও তাঁর ছেলে শামিমকে গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে কাহালু উপজেলার পালপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিতাই চন্দ্র সরকার এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, তিন বছর আগে মিলন ও মেঘনা বিয়ের মাধ্যমে উভয়েই তৃতীয়বারের মতো সংসার শুরু করেন। বিয়ের পর থেকেই নানা বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। মিলন পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, মাদকসহ প্রায় ১০টি মামলা রয়েছে। সম্প্রতি মারামারির এক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে তিনি এক সপ্তাহ আগে জামিনে মুক্তি পান।

বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে মিলন ও মেঘনার মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। খবর পেয়ে মেঘনার প্রথম পক্ষের ছেলে শামিম সেখানে গিয়ে মা মেঘনার পক্ষ নিয়ে লাঠি দিয়ে মিলনের মাথায় একাধিক আঘাত করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার পরপরই পুলিশ মেঘনা ও তাঁর ছেলে শামিমকে গ্রেপ্তার করে।

কাহালু থানার ওসি নিতাই চন্দ্র সরকার বলেন, এই ঘটনায় নিহত ব্যক্তির মা মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে মেঘনা ও তাঁর ছেলে শামিমের নামে মামলা করেছেন। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদেরকে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

সবচেয়ে বেশি বেতন-ভাতা পাওয়া সিইও এখন মাস্ক, পরিমাণ ১ ট্রিলিয়ন ডলার

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

ডিজিটাল জাকাত ক্যালকুলেটর ব্যবহারের বিধান

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রাকচাপায় অটোরিকশার চালকসহ নিহত ২

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ট্রাকচাপায় অটোরিকশার চালকসহ দুজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সকালে সরাইল-নাসিরনগর আঞ্চলিক সড়কের বড্ডাবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন অটোরিকশার চালক মোহাম্মদ ইউসুফ (৫০) ও যাত্রী মুসলিম মিয়া (৫২)। তাঁদের বাড়ি সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের মৈন্দ গ্রামে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে মুসলিম মিয়া পাইকারি সবজি কেনার জন্য ইউসুফের অটোরিকশা নিয়ে সরাইল বাজারের উদ্দেশে রওনা হন। পথে বিপরীত দিক থেকে আসা নাসিরনগরগামী একটি মাছবাহী ট্রাক অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁদের দুজনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদুল আলম বলেন, এই ঘটনায় ট্রাক জব্দসহ ঘাতক চালককে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

সিএইচসিপি কারাগারে: ৫ দিন ধরে কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ, স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী

সবচেয়ে বেশি বেতন-ভাতা পাওয়া সিইও এখন মাস্ক, পরিমাণ ১ ট্রিলিয়ন ডলার

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

ডিজিটাল জাকাত ক্যালকুলেটর ব্যবহারের বিধান

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত