Ajker Patrika

দাম না পেয়ে মরিচ ফেলে দিচ্ছেন হরিরামপুরের চাষিরা

প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ জুন ২০২১, ১৫: ৩৪
দাম না পেয়ে মরিচ ফেলে দিচ্ছেন হরিরামপুরের চাষিরা

হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ): হরিরামপুরের ঝিটকা বাজারে পাইকারি আড়তে ৪-৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে মরিচ। হতাশায় অনেক কৃষক মরিচ বিক্রি না করে ফেলেও দিয়েছেন। এর আগে গত মাসে ১৫-২০ টাকা দরে মরিচ বিক্রি হয়। এতে খরচের টাকা কোনো রকম উঠছিল। এখন তো সেটিও হচ্ছে না।

সরেজমিনে ঝিটকা বাজার ঘুরে চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃষ্টির কারণে অনেক কৃষক ঠিকমতো মরিচ তুলতে না পারছেন না। যেটুকু তুলতে পারছেন তার দাম পাচ্ছেন না। অনেকে জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করেন, কিন্তু এভাবে ফসলের দাম না পেলে চাষাবাদ বন্ধ করে দিতে হবে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর হরিরামপুরে ১ হাজার ২৬৫ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। উপজেলার বাল্লা, গালা আর গোপীনাথপুর ইউনিয়নে মরিচের বেশি চাষ হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি চাষাবাদ হয়েছে উপজেলার বাল্লা ইউনিয়নে। 

উপজেলার বাল্লা ইউনিয়নের বাস্তা এলাকার মরিচচাষি শাহজাহান জানান, ১০ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। মাসখানেক আগে ১৫-২০ টাকা দরে মরিচ বিক্রি করলও এখন ৫ টাকা করে বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রতি কেজি মরিচ তুলতেই খরচ হচ্ছে ৫ টাকা। প্রতিদিন ২০০-২৫০ কেজি মরিচ বিক্রি করতে পারেন তিনি। কিন্তু দাম না থাকায় খরচের টাকাই ঠিকমতো ওঠে না।

ঝিটকা বাজারের প্রদীপ সরকার নামের এক মরিচ বিক্রেতা জানান, ৪০ কেজি মরিচ ২ টাকা করে বিক্রি করেছেন। কিন্তু মরিচ তুলতে ৫ টাকা আর পরিবহন খরচ ২ টাকাসহ কেজিতে ৭ টাকা খরচ পড়েছে তাঁর। এতে অনেক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান তিনি। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল গাফফার মুঠোফোনে জানান, এ বছর হরিরামপুরে ১ হাজার ২৬৫ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। আমাদের উপজেলায় মরিচের উৎপাদন অনেকগুণ বেড়েছে। কিন্তু দাম পাচ্ছেন না কৃষকেরা। যদি সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টের দিকে নজর দেওয়া হয়, তাহলে আমরা এ সমস্যা থেকে উতরাতে পারব বলেও জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত