Ajker Patrika

সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা: নথি গায়েবের রিটের শুনানি আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৩: ৩০
সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা: নথি গায়েবের রিটের শুনানি আজ

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার নথি গায়েব হওয়ার ঘটনায় হাইকোর্টে দায়ের করা রিটটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় এসেছে। আজ সোমবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের বেঞ্চে ৩৬ নম্বরে রয়েছে আবেদনটি। এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রিটটি দায়ের করেন। 

মামলার নথি কেন পাওয়া যাচ্ছে না এবং এর সঙ্গে কারা জড়িত, তা খুঁজে বের করতে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয় রিট আবেদনে। সেই সঙ্গে মামলার বিচার দ্রুত শেষ করতেও নির্দেশনা চাওয়া হয়। রিটে ‘দৈনিক আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলসহ সংশ্লিষ্ট ৬ জনকে বিবাদী করা হয়েছে রিটে। 

এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি নোটিশ দিয়েছিলেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া। নোটিশের জবাব না পেয়ে রিট করেন তিনি। আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, ‘এ রকম চাঞ্চল্যকর ঘটনার এত দিনেও বিচার না হওয়া দুঃখজনক। মনে হয় এর পেছনে একটি চক্র রয়েছে। আমরা চাই এই চক্রকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হোক।’ 

গত ২৩ জানুয়ারি দৈনিক আজকের পত্রিকায় ‘নায়ক খুনের মামলা গুম’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর বনানীর ক্লাব ট্রামসের নিচে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় তাঁর বড় ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ডিবি পুলিশ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ওই মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে বিচারের জন্য পাঠানো হয় ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি আদনান সিদ্দিকি ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন। 

বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর বেঞ্চ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেওয়া হয়। প্রত্যাহার করা হয় হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশও। কিন্তু সেই রায় আর নিম্ন আদালতে পৌঁছায়নি। সেই মামলার নথিও খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত