Ajker Patrika

রমনার ওসিসহ ৬ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা হবে কি না, আদেশের অপেক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২২, ১৬: ৫৫
রমনার ওসিসহ ৬ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা হবে কি না, আদেশের অপেক্ষা

সাড়ে চার বছর আগের পুলিশের নির্যাতনে রাজধানীর তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন মিলনের মৃত্যুর ঘটনায় ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে করা মামলার গ্রহণযোগ্যতার শুনানি হয়েছে।

আজ সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে রমনা মডেল থানার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং তৎকালীন শাহবাগ থানায় দায়িত্বরত ওসি মো. আবুল হাসানসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

বিচারক মো. আসাদুজ্জামান বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। তবে এর আদেশ পরে দেবেন বলে বিচারক জানান।

এর আগে গত ১৭ অক্টোবরও মামলার গ্রহণযোগ্যতা শুনানির দিন ধার্য ছিল। ওই দিন বিচারক ছুটিতে থাকায় শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়। 

নিহত জাকির হোসেন মিলনের চাচা অলিউল্লাহ বাদী হয়ে ২০১৩ সালের নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনের ১৫ (২) ধারায় গত ১২ অক্টোবর এই মামলা দায়ের করেন।

মামলায় অপর আসামিরা হলেন- ঘটনার সময়ে দায়িত্বরত রমনা মডেল থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম, শাহবাগ থানার এসআই সুজন কুমার রায়, এসআই সাইদুর রহমান মুন্সি, এসআই অমল কৃষ্ণ ও এসআই শাহরিয়ার রেজাসহ অজ্ঞাত আরও ৪ / ৫ পুলিশ সদস্য।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৮ সালের ৬ মার্চ প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধন শেষে মিছিল থেকে রমনা থানা-পুলিশ মিলনকে আটক করে নির্মমভাবে নির্যাতন করতে করতে থানায় নিয়ে যায়। পরে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করে পুলিশি কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা করে এবং সেখানেও নির্মম নির্যাতন করে। পরের দিন ৭ মার্চ মিলনকে জখম অবস্থায় আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।

অপরদিকে তাঁর আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তিন দিনের রিমান্ড দেন। পুলিশ ভ্যান থেকে নামানোর সময় বাদী তাঁর হাতে পায়ে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম দেখতে পায়। রিমান্ডে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মহানগর গোয়েন্দা সংস্থার দক্ষিণের একটি টিম। রিমান্ড শেষে মিলনকে আদালতে হাজির করা হয়। এদিন আসামিপক্ষের আইনজীবী ফের জামিন আবেদন করেন। কিন্তু আদালত তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। রিমান্ডের পর থেকেই তিনি প্রচণ্ড অসুস্থতাবোধ করছিলেন। কারা কর্তৃপক্ষ তাঁকে কারা হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে একজন সহকারী চিকিৎসক মিলনের শারীরিক পরীক্ষা করেন। অবস্থা খারাপ থাকায় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) পাঠান। ঢামেকে আনার পরপরই তাঁর মৃত্যু হয়। মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, পুলিশ সদস্যরা মিলনকে গ্রেপ্তারের পরে বেআইনিভাবে শারীরিক নির্যাতন চালায়, যে কারণে তাঁর মৃত্যু হয়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত