তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা (আরএসটিপি) ২০২৫-এর কাজ চলছে। মেট্রোর ৬টি লাইন নিয়ে নতুন প্রস্তাব থাকছে আরএসটিপিতে। নতুন এলাকা যুক্ত করতে সব মেট্রো লাইনের এক্সটেনশনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে নতুন মেট্রো লাইন না করারও প্রস্তাব আসতে পারে আরএসটিপিতে।
জানতে চাইলে সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা (আরএসটিপি) প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ রবিউল আলম আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘মেট্রোরেলের সবগুলো লাইনেরই অলটারনেটিভ চিন্তা করছি। এমআরটি লাইন-৫-এর নর্থ ও সাউথ যেগুলো হচ্ছে, সেগুলোর এক্সটেনশন (সম্প্রসারণ) হতে পারে। যেগুলো এখনো হয় নাই, সেগুলোর মডিফিকেশন (পরিবর্ধন) হবে। মেট্রোতে নতুন এলাকা যুক্ত করার জন্য রুট বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে। এমআরটি লাইন-২ এবং লাইন-৪ এখনো হয়নি। সেগুলো নতুন এবং ভালো কোনো অ্যালাইনমেন্টে করা যায় কি না, যাতে বেশি যাত্রী পরিবহন করা যাবে। এসব পরিকল্পনা সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনায় (আরএসটিপি) থাকবে।’
‘মিড টার্ম রিভিউ অব দ্য রিভাইজড স্ট্র্যাটেজিক ট্রান্সপোর্ট প্ল্যান (এমটিআর-আরএসটিপি) ফর ঢাকা’ শীর্ষক সমীক্ষা প্রকল্প চলছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ ডিটিসিএতে। এই প্রকল্পের অধীনে মেট্রোরেল পর্যালোচনা ও হালনাগাদ করা হচ্ছে।
বর্তমানে আরএসটিপির চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে। এই প্রতিবেদন-সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এমআরটি লাইন-৬ উত্তরা থেকে মতিঝিল কাজ অনেক আগেই শেষ। বর্তমানে ট্রেন চলছে। এটি কমলাপুর পর্যন্ত বাড়ানোর কাজ চলমান আছে। তবে নতুন করে উত্তরা থেকে টঙ্গী এবং টঙ্গীর পরে গাজীপুর পর্যন্ত লাইন-৬-এর রুট বাড়ানোর প্রস্তাব করা হতে পারে আরএসটিপিতে।
এমআরটি লাইন-৫ নর্দান রুট হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত। ২০২৩ সালে ৪ নভেম্বর এর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। এদিকে আরএসটিপিতে এমআরটি লাইন-৫ নর্দান রুট হেমায়েতপুর থেকে এক্সটেনশন করে নবীনগর বা বাইপাইল পর্যন্ত এবং ভাটারা থেকে জলসিঁড়ি বা ভুলতা পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব থাকতে পারে।
এমআরটি লাইন-৫ সাউদার্ন রুট গাবতলী থেকে আফতাবনগর পশ্চিম পর্যন্ত ১৩.১০ কিলোমিটার পাতাল এবং আফতাবনগর সেন্টার থেকে দাশেরকান্দি পর্যন্ত ৪.১০ কিলোমিটার উড়াল মোট ১৭.২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ১৫টি স্টেশন (পাতাল ১১টি এবং উড়াল ৪টি) বিশিষ্ট মেট্রোরেল নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা এবং নকশা সম্পন্ন হয়েছে। বিনিয়োগ প্রকল্পের ডিপিপি (খসড়া) অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে প্রক্রিয়াধীন। বর্তমানে প্রকল্পের ক্রয় নথি প্রস্তুতির কাজ চলছে। এদিকে আরএসটিপিতে এমআরটি লাইন-৫ সাউদান রুটের কোনো পরিবর্তন নাও হতে পারে। তবে এটার ফেজিং এবং প্রায়োরিটি কী হবে, সেটা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিষয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলার মদনপুর পর্যন্ত উড়াল ও পাতাল সমন্বয়ে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি লাইন-৪ নির্মাণে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করার জন্য উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ২০২৪ সালের ১৪ মে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিয়েছে। বর্তমানে তার সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ চলছে। তবে আরএসটিপিতে লাইন-৪-এর বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়নি।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত বাংলাদেশ রেলওয়ের ইলেকট্রিক ট্রাকশনের সমীক্ষা প্রকল্প চলছে। এই রুটে ইলেকট্রিক ট্র্যাকশন হলে এত টাকা খরচ করে আবার এমআরটি লাইনের প্রয়োজন আছে কি না, সেটা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
গাবতলী থেকে মোহাম্মদপুর-নিউমার্কেট-গুলিস্তান-কমলাপুর-সাইনবোর্ড হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা সদর পর্যন্ত সম্ভাব্য মেইন লাইন এবং গুলিস্তান থেকে সদরঘাট পর্যন্ত ব্রাঞ্চ লাইন সমন্বয়ে উড়াল ও পাতাল মিলিয়ে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি লাইন-২ নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করতে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা খোঁজা হচ্ছে। এদিকে আরএসটিপিতে এমআরটি লাইন-২-এর অলটারনেটিভ (বিকল্প) অ্যালাইনমেন্ট করা হয়েছে। তাতে এই লাইনটি পুরান ঢাকার দিকে যাবে অর্থাৎ বংশাল, লালবাগ ও বাবুবাজার ব্রিজ এলাকা দিয়ে যেন যায়, সেই প্রস্তাব রাখা হতে পারে আরএসটিপিতে।
এমআরটি লাইন-১ বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৯.৮৭২ কিলোমিটার পাতাল লাইন এবং নতুন বাজার থেকে পিতলগঞ্জ ডিপো পর্যন্ত ১১.৩৬৯ কিলোমিটার উড়াল লাইন। এই লাইনের নির্মাণকাজ ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে। আরএসটিপিতে এমআরটি লাইন-১-এর রুট বাড়িয়ে গাজীপুর পর্যন্ত করার প্রস্তাব করা হতে পারে। তবে গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত বিআরটি করিডর যদি কোনো কারণে না হয় বা বাদ যায়, তাহলে এমআরটি লাইন-১ বা লাইন-৬ দুটোরই গাজীপুর পর্যন্ত এক্সটেনশনের সুযোগ আছে।
এদিকে আরএসটিপি-২০২৫-এর খসড়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন নিয়ে আজ ২৯ এপ্রিল ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ ডিটিসিএতে অ্যাডভাইজরি কমিটির সভা হবে। সেখানে এই বিষয়সহ আরএসটিপির সব বিষয় তোলা হবে। আরএসটিপি অ্যাডভাইজরি কমিটিতে অনুমোদিত হলে এটি যাবে মন্ত্রণালয়ে। সেখান থেকে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য অ্যাডভাইজরি কেবিনেটে তোলা হবে।
প্রথম এসটিপি ২০০৫ সালে হয়। তখন এটাকে বলা হতো স্ট্র্যাটেজি ট্রান্সপোর্ট প্ল্যান (এসটিপি)। ২০১৫ সালে এসে এসটিপি রিভাইজ করা হয়। ২০২৫ সালে এসটিপি আবার রিভাইজ করা হচ্ছে। এটাকে বলা হচ্ছে আরএসটিপি ২০২৫। আরএসটিপির এই সমীক্ষা প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি বছরের জুনে।
আরও খবর পড়ুন:

সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা (আরএসটিপি) ২০২৫-এর কাজ চলছে। মেট্রোর ৬টি লাইন নিয়ে নতুন প্রস্তাব থাকছে আরএসটিপিতে। নতুন এলাকা যুক্ত করতে সব মেট্রো লাইনের এক্সটেনশনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে নতুন মেট্রো লাইন না করারও প্রস্তাব আসতে পারে আরএসটিপিতে।
জানতে চাইলে সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা (আরএসটিপি) প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ রবিউল আলম আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘মেট্রোরেলের সবগুলো লাইনেরই অলটারনেটিভ চিন্তা করছি। এমআরটি লাইন-৫-এর নর্থ ও সাউথ যেগুলো হচ্ছে, সেগুলোর এক্সটেনশন (সম্প্রসারণ) হতে পারে। যেগুলো এখনো হয় নাই, সেগুলোর মডিফিকেশন (পরিবর্ধন) হবে। মেট্রোতে নতুন এলাকা যুক্ত করার জন্য রুট বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে। এমআরটি লাইন-২ এবং লাইন-৪ এখনো হয়নি। সেগুলো নতুন এবং ভালো কোনো অ্যালাইনমেন্টে করা যায় কি না, যাতে বেশি যাত্রী পরিবহন করা যাবে। এসব পরিকল্পনা সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনায় (আরএসটিপি) থাকবে।’
‘মিড টার্ম রিভিউ অব দ্য রিভাইজড স্ট্র্যাটেজিক ট্রান্সপোর্ট প্ল্যান (এমটিআর-আরএসটিপি) ফর ঢাকা’ শীর্ষক সমীক্ষা প্রকল্প চলছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ ডিটিসিএতে। এই প্রকল্পের অধীনে মেট্রোরেল পর্যালোচনা ও হালনাগাদ করা হচ্ছে।
বর্তমানে আরএসটিপির চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে। এই প্রতিবেদন-সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এমআরটি লাইন-৬ উত্তরা থেকে মতিঝিল কাজ অনেক আগেই শেষ। বর্তমানে ট্রেন চলছে। এটি কমলাপুর পর্যন্ত বাড়ানোর কাজ চলমান আছে। তবে নতুন করে উত্তরা থেকে টঙ্গী এবং টঙ্গীর পরে গাজীপুর পর্যন্ত লাইন-৬-এর রুট বাড়ানোর প্রস্তাব করা হতে পারে আরএসটিপিতে।
এমআরটি লাইন-৫ নর্দান রুট হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত। ২০২৩ সালে ৪ নভেম্বর এর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। এদিকে আরএসটিপিতে এমআরটি লাইন-৫ নর্দান রুট হেমায়েতপুর থেকে এক্সটেনশন করে নবীনগর বা বাইপাইল পর্যন্ত এবং ভাটারা থেকে জলসিঁড়ি বা ভুলতা পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব থাকতে পারে।
এমআরটি লাইন-৫ সাউদার্ন রুট গাবতলী থেকে আফতাবনগর পশ্চিম পর্যন্ত ১৩.১০ কিলোমিটার পাতাল এবং আফতাবনগর সেন্টার থেকে দাশেরকান্দি পর্যন্ত ৪.১০ কিলোমিটার উড়াল মোট ১৭.২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ১৫টি স্টেশন (পাতাল ১১টি এবং উড়াল ৪টি) বিশিষ্ট মেট্রোরেল নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা এবং নকশা সম্পন্ন হয়েছে। বিনিয়োগ প্রকল্পের ডিপিপি (খসড়া) অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে প্রক্রিয়াধীন। বর্তমানে প্রকল্পের ক্রয় নথি প্রস্তুতির কাজ চলছে। এদিকে আরএসটিপিতে এমআরটি লাইন-৫ সাউদান রুটের কোনো পরিবর্তন নাও হতে পারে। তবে এটার ফেজিং এবং প্রায়োরিটি কী হবে, সেটা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিষয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলার মদনপুর পর্যন্ত উড়াল ও পাতাল সমন্বয়ে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি লাইন-৪ নির্মাণে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করার জন্য উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ২০২৪ সালের ১৪ মে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিয়েছে। বর্তমানে তার সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ চলছে। তবে আরএসটিপিতে লাইন-৪-এর বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়নি।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত বাংলাদেশ রেলওয়ের ইলেকট্রিক ট্রাকশনের সমীক্ষা প্রকল্প চলছে। এই রুটে ইলেকট্রিক ট্র্যাকশন হলে এত টাকা খরচ করে আবার এমআরটি লাইনের প্রয়োজন আছে কি না, সেটা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
গাবতলী থেকে মোহাম্মদপুর-নিউমার্কেট-গুলিস্তান-কমলাপুর-সাইনবোর্ড হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা সদর পর্যন্ত সম্ভাব্য মেইন লাইন এবং গুলিস্তান থেকে সদরঘাট পর্যন্ত ব্রাঞ্চ লাইন সমন্বয়ে উড়াল ও পাতাল মিলিয়ে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি লাইন-২ নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করতে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা খোঁজা হচ্ছে। এদিকে আরএসটিপিতে এমআরটি লাইন-২-এর অলটারনেটিভ (বিকল্প) অ্যালাইনমেন্ট করা হয়েছে। তাতে এই লাইনটি পুরান ঢাকার দিকে যাবে অর্থাৎ বংশাল, লালবাগ ও বাবুবাজার ব্রিজ এলাকা দিয়ে যেন যায়, সেই প্রস্তাব রাখা হতে পারে আরএসটিপিতে।
এমআরটি লাইন-১ বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৯.৮৭২ কিলোমিটার পাতাল লাইন এবং নতুন বাজার থেকে পিতলগঞ্জ ডিপো পর্যন্ত ১১.৩৬৯ কিলোমিটার উড়াল লাইন। এই লাইনের নির্মাণকাজ ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে। আরএসটিপিতে এমআরটি লাইন-১-এর রুট বাড়িয়ে গাজীপুর পর্যন্ত করার প্রস্তাব করা হতে পারে। তবে গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত বিআরটি করিডর যদি কোনো কারণে না হয় বা বাদ যায়, তাহলে এমআরটি লাইন-১ বা লাইন-৬ দুটোরই গাজীপুর পর্যন্ত এক্সটেনশনের সুযোগ আছে।
এদিকে আরএসটিপি-২০২৫-এর খসড়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন নিয়ে আজ ২৯ এপ্রিল ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ ডিটিসিএতে অ্যাডভাইজরি কমিটির সভা হবে। সেখানে এই বিষয়সহ আরএসটিপির সব বিষয় তোলা হবে। আরএসটিপি অ্যাডভাইজরি কমিটিতে অনুমোদিত হলে এটি যাবে মন্ত্রণালয়ে। সেখান থেকে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য অ্যাডভাইজরি কেবিনেটে তোলা হবে।
প্রথম এসটিপি ২০০৫ সালে হয়। তখন এটাকে বলা হতো স্ট্র্যাটেজি ট্রান্সপোর্ট প্ল্যান (এসটিপি)। ২০১৫ সালে এসে এসটিপি রিভাইজ করা হয়। ২০২৫ সালে এসটিপি আবার রিভাইজ করা হচ্ছে। এটাকে বলা হচ্ছে আরএসটিপি ২০২৫। আরএসটিপির এই সমীক্ষা প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি বছরের জুনে।
আরও খবর পড়ুন:

চট্টগ্রাম নগরের তিন থানা এলাকা ও রাউজানে কদিন পরপর প্রকাশ্যে গুলি করে মানুষ হত্যার ঘটনা ঘটছে। আন্ডারওয়ার্ল্ডে পুরোনো গ্যাংস্টাররা সক্রিয় হওয়া এবং দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীরা জনসমাগমপূর্ণ এলাকাতে প্রকাশ্যে এভাবে খুনোখুনিতে জড়িয়ে পড়ায় চট্টগ্রাম যেন ভয়ের জনপদে পরিণত হচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার কৈলাগ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কায়ছার-এ-হাবীব তিন মাস ধরে কার্যালয়ে আসছেন না। নিয়োগ দেওয়া হয়নি প্যানেল চেয়ারম্যানও। ফলে ওই ইউনিয়নের হাজারো মানুষ সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জন্ম-মৃত্যু, নাগরিক ও ওয়ারিশান সনদসহ বিভিন্ন জরুরি কাজ বন্ধ হয়ে আছে।
৩ ঘণ্টা আগে
পাবনার সাঁথিয়া ও বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাগেশ্বরী-ডি-২ ক্যানালের (কৈটলা পাম্প হাউস থেকে মুক্তার ধর পর্যন্ত খাল) প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকায় অন্তত ১০টি স্থানে অবৈধভাবে সুতি জালের বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। এতে পানিপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয়ে ক্যানাল পাড়ের জমিতে পানি জমে রয়েছে। ফলে পাকা ও আধা...
৩ ঘণ্টা আগে
ভোরের কুয়াশা কাটেনি তখনো। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার চকগোচর গ্রামের সরু পথে হাঁটলে দূর থেকে দেখা যায়—সারি সারি খেজুরগাছে ঝুলছে মাটির হাঁড়ি। গাছের মাথা থেকে ঝরছে রস। একটার পর একটা গাছে উঠে গাছিরা নামিয়ে আনছেন রসের হাঁড়ি।
৪ ঘণ্টা আগেআইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি
সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম নগরের তিন থানা এলাকা ও রাউজানে কদিন পরপর প্রকাশ্যে গুলি করে মানুষ হত্যার ঘটনা ঘটছে। আন্ডারওয়ার্ল্ডে পুরোনো গ্যাংস্টাররা সক্রিয় হওয়া এবং দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীরা জনসমাগমপূর্ণ এলাকাতে প্রকাশ্যে এভাবে খুনোখুনিতে জড়িয়ে পড়ায় চট্টগ্রাম যেন ভয়ের জনপদে পরিণত হচ্ছে।
গত এক বছরে চট্টগ্রাম নগরী ও রাউজানে প্রকাশ্যে গুলি করে ১৬টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তদন্তে দেখা যাচ্ছে, এসব খুনের ঘটনার অধিকাংশতেই পেছন থেকে আন্ডারওয়ার্ল্ডে পুরোনো গ্যাংস্টাররা পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে। ওই গ্যাংস্টারদের সহযোগীরাই একের পর এক এসব হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে। এসব হত্যার ঘটনায় কিছু রাজনৈতিক নেতাদেরও ইন্ধনের অভিযোগ উঠেছে।
একের পর এক এমন ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কারণ, খুনের সঙ্গে জড়িতরা গ্রেপ্তার হচ্ছে না। আবার হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রগুলোও উদ্ধার করতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বাকলিয়ায় জোড়া খুনের ঘটনায় ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যারা গ্রেপ্তার আছে, তারা মূলত পেশাদার সন্ত্রাসী। কোনো কিছুর বিনিময়ে তারা কিলিং মিশন পরিচালনা করছে। তাদের রাজনৈতিক কোনো পরিচয় নেই।
পুরোনো গ্যাংস্টারদের হাত
গত বছরের ২৯ আগস্ট অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়কে আওয়ামী লীগ নেতাসহ জোড়া খুন, একই বছরের ২১ অক্টোবর চান্দগাঁওতে ছাত্রলীগ কর্মী তাহসিন খুন; চলতি বছর ২৯ মার্চ বাকলিয়াতে প্রাইভেট কারে গুলি করে শিবিরের সাবেক ক্যাডার সরোয়ারের দুই সহযোগী বখতিয়ার হোসেন মানিক ও আবদুল্লাহ আল রিফাতকে হত্যা এবং গত ২৩ মে পতেঙ্গা সি বিচ এলাকায় নগর পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ঢাকাইয়া আকবরকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটে।
সর্বশেষ গত বুধবার সন্ধ্যায় বায়েজিদ থানাধীন চালিতাতলী এলাকায় বিএনপির ঘোষিত এমপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনী প্রচারে সন্ত্রাসীদের হামলায় এরশাদউল্লাহসহ পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ সরোয়ার হোসেন বাবলা নামে শিবিরের সাবেক এক ক্যাডার মারা যান। মূলত সরোয়ার হোসেন বাবলাকে টার্গেট করেই সন্ত্রাসীরা গুলি চালায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, নগরের চাঞ্চল্যকর এসব হত্যাকাণ্ডে নিহতদের অনেকে বাবলার অনুসারী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে শীর্ষ সন্ত্রাসী ঢাকাইয়া আকবর ও সরোয়ার হোসেন বাবলা কয়েক বছর আগে চট্টগ্রামের আন্ডারওয়ার্ল্ডে শীর্ষ সন্ত্রাসী দুবাইয়ে পলাতক সাজ্জাদ আলী খানের অনুসারী ছিলেন। সেখান থেকে বেরিয়ে দুজন পরস্পরের প্রতিপক্ষ হিসেবে আবির্ভূত হন। এর পর থেকে এলাকার আধিপত্য নিয়ে তাঁদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়।
চট্টগ্রামে সাম্প্রতিক অনেকগুলো খুনের ঘটনায় এইট মার্ডারে আলোচিত পুরোনো গ্যাংস্টার সাজ্জাদ আলী খান ও হাবিব খানের অনুগত সহযোগীরা জড়িত রয়েছে বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে। এসব ঘটনায় তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। তাদের মধ্যে উঠতি শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদসহ অনেকেই গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। আবার অনেকেই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে একের পর এক হত্যায় অংশ নিচ্ছে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের তথ্যে, চট্টগ্রামে রাউজানে গুলি করে ১৬টি হত্যাকাণ্ডের মধ্যে ১২টিই রাজনৈতিক। ওই ১২টি হত্যাকাণ্ডের মধ্যে অধিকাংশতেই বর্তমানে বাইরে দাপিয়ে বেড়ানো শীর্ষ সন্ত্রাসী রায়হানের নাম উঠে আসার কথা জানায় রাউজান থানা-পুলিশ।
বিভিন্ন সূত্রের তথ্যে, শীর্ষ সন্ত্রাসী রায়হান এইট মার্ডারে আলোচিত সাজ্জাদ আলী খানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত এবং কারাগারে থাকা ছোট সাজ্জাদ ওরফে বুড়ির নাতির সহযোগী। ছোট সাজ্জাদ ও রায়হান মিলে একাধিক কিলিং মিশনে অংশ নিয়েছিল। ছোট সাজ্জাদ গ্রেপ্তারের পর জেলে গেলে এই গ্যাংয়ের অস্ত্রভান্ডার এখন নিয়ন্ত্রণ করছে রায়হান।
বেশির ভাগ খুনের একই ধরন
চট্টগ্রাম নগর এবং রাউজান ও হাটহাজারীতে সংঘটিত সবগুলো হত্যাকাণ্ডেই সন্ত্রাসীদের অভিন্ন ধরন ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের আগে সন্ত্রাসীরা ভুক্তভোগীকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে একটা সময় বেঁধে দিচ্ছে। এরপর সুযোগ বুঝে হত্যা করছে। অনেকগুলো হত্যার ঘটনা ঘটেছে প্রকাশ্যে। সর্বশেষ সরোয়ার হোসেন বাবলা হত্যার ঘটনাও ঘটেছে একইভাবে।
গত ২৫ অক্টোবর উপজেলা রাউজানের চারাবটতল এলাকায় গুলি করে যুবদল কর্মীকে আলমগীর হোসেনকে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর আলমগীরের একটি পুরোনো ভিডিও রেকর্ড ভাইরাল হয়, যেখানে আলমগীর নিজেই একটি সভায় বলছেন, ‘আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’
বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বুধবারের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।
রাউজান-রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘অস্ত্র উদ্ধারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা ১৫টি এলজি, ২টি রিভলবার, ২টি রাইফেল, বিদেশি পিস্তল ৩টি, একনলা বন্দুক ১টি ও ২টি দোনলা বন্দুক উদ্ধার করেছি। তবে সুনির্দিষ্টভাবে কোনটি কোন হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়েছে, তা তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বলা মুশকিল।’

চট্টগ্রাম নগরের তিন থানা এলাকা ও রাউজানে কদিন পরপর প্রকাশ্যে গুলি করে মানুষ হত্যার ঘটনা ঘটছে। আন্ডারওয়ার্ল্ডে পুরোনো গ্যাংস্টাররা সক্রিয় হওয়া এবং দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীরা জনসমাগমপূর্ণ এলাকাতে প্রকাশ্যে এভাবে খুনোখুনিতে জড়িয়ে পড়ায় চট্টগ্রাম যেন ভয়ের জনপদে পরিণত হচ্ছে।
গত এক বছরে চট্টগ্রাম নগরী ও রাউজানে প্রকাশ্যে গুলি করে ১৬টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তদন্তে দেখা যাচ্ছে, এসব খুনের ঘটনার অধিকাংশতেই পেছন থেকে আন্ডারওয়ার্ল্ডে পুরোনো গ্যাংস্টাররা পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে। ওই গ্যাংস্টারদের সহযোগীরাই একের পর এক এসব হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে। এসব হত্যার ঘটনায় কিছু রাজনৈতিক নেতাদেরও ইন্ধনের অভিযোগ উঠেছে।
একের পর এক এমন ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কারণ, খুনের সঙ্গে জড়িতরা গ্রেপ্তার হচ্ছে না। আবার হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রগুলোও উদ্ধার করতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বাকলিয়ায় জোড়া খুনের ঘটনায় ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যারা গ্রেপ্তার আছে, তারা মূলত পেশাদার সন্ত্রাসী। কোনো কিছুর বিনিময়ে তারা কিলিং মিশন পরিচালনা করছে। তাদের রাজনৈতিক কোনো পরিচয় নেই।
পুরোনো গ্যাংস্টারদের হাত
গত বছরের ২৯ আগস্ট অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়কে আওয়ামী লীগ নেতাসহ জোড়া খুন, একই বছরের ২১ অক্টোবর চান্দগাঁওতে ছাত্রলীগ কর্মী তাহসিন খুন; চলতি বছর ২৯ মার্চ বাকলিয়াতে প্রাইভেট কারে গুলি করে শিবিরের সাবেক ক্যাডার সরোয়ারের দুই সহযোগী বখতিয়ার হোসেন মানিক ও আবদুল্লাহ আল রিফাতকে হত্যা এবং গত ২৩ মে পতেঙ্গা সি বিচ এলাকায় নগর পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ঢাকাইয়া আকবরকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটে।
সর্বশেষ গত বুধবার সন্ধ্যায় বায়েজিদ থানাধীন চালিতাতলী এলাকায় বিএনপির ঘোষিত এমপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনী প্রচারে সন্ত্রাসীদের হামলায় এরশাদউল্লাহসহ পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ সরোয়ার হোসেন বাবলা নামে শিবিরের সাবেক এক ক্যাডার মারা যান। মূলত সরোয়ার হোসেন বাবলাকে টার্গেট করেই সন্ত্রাসীরা গুলি চালায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, নগরের চাঞ্চল্যকর এসব হত্যাকাণ্ডে নিহতদের অনেকে বাবলার অনুসারী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে শীর্ষ সন্ত্রাসী ঢাকাইয়া আকবর ও সরোয়ার হোসেন বাবলা কয়েক বছর আগে চট্টগ্রামের আন্ডারওয়ার্ল্ডে শীর্ষ সন্ত্রাসী দুবাইয়ে পলাতক সাজ্জাদ আলী খানের অনুসারী ছিলেন। সেখান থেকে বেরিয়ে দুজন পরস্পরের প্রতিপক্ষ হিসেবে আবির্ভূত হন। এর পর থেকে এলাকার আধিপত্য নিয়ে তাঁদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়।
চট্টগ্রামে সাম্প্রতিক অনেকগুলো খুনের ঘটনায় এইট মার্ডারে আলোচিত পুরোনো গ্যাংস্টার সাজ্জাদ আলী খান ও হাবিব খানের অনুগত সহযোগীরা জড়িত রয়েছে বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে। এসব ঘটনায় তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। তাদের মধ্যে উঠতি শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদসহ অনেকেই গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। আবার অনেকেই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে একের পর এক হত্যায় অংশ নিচ্ছে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের তথ্যে, চট্টগ্রামে রাউজানে গুলি করে ১৬টি হত্যাকাণ্ডের মধ্যে ১২টিই রাজনৈতিক। ওই ১২টি হত্যাকাণ্ডের মধ্যে অধিকাংশতেই বর্তমানে বাইরে দাপিয়ে বেড়ানো শীর্ষ সন্ত্রাসী রায়হানের নাম উঠে আসার কথা জানায় রাউজান থানা-পুলিশ।
বিভিন্ন সূত্রের তথ্যে, শীর্ষ সন্ত্রাসী রায়হান এইট মার্ডারে আলোচিত সাজ্জাদ আলী খানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত এবং কারাগারে থাকা ছোট সাজ্জাদ ওরফে বুড়ির নাতির সহযোগী। ছোট সাজ্জাদ ও রায়হান মিলে একাধিক কিলিং মিশনে অংশ নিয়েছিল। ছোট সাজ্জাদ গ্রেপ্তারের পর জেলে গেলে এই গ্যাংয়ের অস্ত্রভান্ডার এখন নিয়ন্ত্রণ করছে রায়হান।
বেশির ভাগ খুনের একই ধরন
চট্টগ্রাম নগর এবং রাউজান ও হাটহাজারীতে সংঘটিত সবগুলো হত্যাকাণ্ডেই সন্ত্রাসীদের অভিন্ন ধরন ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের আগে সন্ত্রাসীরা ভুক্তভোগীকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে একটা সময় বেঁধে দিচ্ছে। এরপর সুযোগ বুঝে হত্যা করছে। অনেকগুলো হত্যার ঘটনা ঘটেছে প্রকাশ্যে। সর্বশেষ সরোয়ার হোসেন বাবলা হত্যার ঘটনাও ঘটেছে একইভাবে।
গত ২৫ অক্টোবর উপজেলা রাউজানের চারাবটতল এলাকায় গুলি করে যুবদল কর্মীকে আলমগীর হোসেনকে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর আলমগীরের একটি পুরোনো ভিডিও রেকর্ড ভাইরাল হয়, যেখানে আলমগীর নিজেই একটি সভায় বলছেন, ‘আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’
বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বুধবারের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।
রাউজান-রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘অস্ত্র উদ্ধারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা ১৫টি এলজি, ২টি রিভলবার, ২টি রাইফেল, বিদেশি পিস্তল ৩টি, একনলা বন্দুক ১টি ও ২টি দোনলা বন্দুক উদ্ধার করেছি। তবে সুনির্দিষ্টভাবে কোনটি কোন হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়েছে, তা তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বলা মুশকিল।’

সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা (আরএসটিপি) ২০২৫-এর কাজ চলছে। মেট্রোর ৬টি লাইন নিয়ে নতুন প্রস্তাব থাকছে আরএসটিপিতে। নতুন এলাকা যুক্ত করতে সব মেট্রো লাইনের এক্সটেনশনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে নতুন মেট্রো লাইন না করারও প্রস্তাব আসতে পারে আরএসটিপিতে।
২৯ এপ্রিল ২০২৫
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার কৈলাগ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কায়ছার-এ-হাবীব তিন মাস ধরে কার্যালয়ে আসছেন না। নিয়োগ দেওয়া হয়নি প্যানেল চেয়ারম্যানও। ফলে ওই ইউনিয়নের হাজারো মানুষ সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জন্ম-মৃত্যু, নাগরিক ও ওয়ারিশান সনদসহ বিভিন্ন জরুরি কাজ বন্ধ হয়ে আছে।
৩ ঘণ্টা আগে
পাবনার সাঁথিয়া ও বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাগেশ্বরী-ডি-২ ক্যানালের (কৈটলা পাম্প হাউস থেকে মুক্তার ধর পর্যন্ত খাল) প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকায় অন্তত ১০টি স্থানে অবৈধভাবে সুতি জালের বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। এতে পানিপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয়ে ক্যানাল পাড়ের জমিতে পানি জমে রয়েছে। ফলে পাকা ও আধা...
৩ ঘণ্টা আগে
ভোরের কুয়াশা কাটেনি তখনো। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার চকগোচর গ্রামের সরু পথে হাঁটলে দূর থেকে দেখা যায়—সারি সারি খেজুরগাছে ঝুলছে মাটির হাঁড়ি। গাছের মাথা থেকে ঝরছে রস। একটার পর একটা গাছে উঠে গাছিরা নামিয়ে আনছেন রসের হাঁড়ি।
৪ ঘণ্টা আগেমো. খলিলুর রহমান, বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ)

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার কৈলাগ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কায়ছার-এ-হাবীব তিন মাস ধরে কার্যালয়ে আসছেন না। নিয়োগ দেওয়া হয়নি প্যানেল চেয়ারম্যানও। ফলে ওই ইউনিয়নের হাজারো মানুষ সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জন্ম-মৃত্যু, নাগরিক ও ওয়ারিশান সনদসহ বিভিন্ন জরুরি কাজ বন্ধ হয়ে আছে। এ ছাড়া উন্নয়নমূলক কাজও থমকে গেছে। চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতির কারণে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
ইউনিয়ন পরিষদ ম্যানুয়াল অনুযায়ী, চেয়ারম্যান কোনো কারণে অনুপস্থিত থাকলে তা অবগত করতে হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। তিনি সেটিও করেননি বলে জানা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে পূর্বনির্ধারিত প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার কথা থাকলেও চেয়ারম্যানের অসহযোগিতার কারণে ১ নম্বর প্যানেল চেয়ারম্যান মো. সোহেল রানা দায়িত্ব নিতে পারছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার ১১ ইউনিয়ন পরিষদের অধিকাংশ চেয়ারম্যান আত্মগোপনে চলে যান। তাঁদের একজন হলেন কৈলাগ ইউপির মো. কায়ছার-এ-হাবীব। তিনি সাবেক এমপি আফজাল হোসেনের সমর্থনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হন।
অভিযোগ রয়েছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক মামলায় তিনি আসামি হন। সে সময় কিছুদিন অফিসে না এলেও পরবর্তী সময়ে হাইকোর্ট থেকে দুই মাসের জামিন নিয়ে স্বল্প সময়ের জন্য পরিষদে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলন তীব্র হলে তিনি আবার অফিসে আসা বন্ধ করেন দেন। গত ১০ আগস্ট রাকিব নামের এক যুবককে হত্যার পর তাঁর বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করা হয়। এরপর থেকে তিনি আর পরিষদে আসেননি। এমনকি উপজেলা মাসিক সভায়ও তাঁর উপস্থিতি দেখা যায়নি।
সরেজমিনে কৈলাগ ইউপিতে গিয়ে দেখা যায়, চেয়ারম্যানের কক্ষ তালাবদ্ধ। প্রশাসনিক কর্মকর্তা নয়ন চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমি গত ১২ আগস্ট দায়িত্ব নিয়েছি। যোগদানের পর থেকে চেয়ারম্যানকে কখনো অফিসে দেখিনি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা নিয়মিত কাজ করি; কিন্তু চেয়ারম্যান কীভাবে স্বাক্ষর দেন বা অনুমোদন দেন, তা জানি না।’
জন্মসনদ, ওয়ারিশান ও পরিচয়পত্র সংশোধনের কাজে আসা কয়েকজন সেবাপ্রার্থী জানান, চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতির কারণে তাঁরা সেবা পাচ্ছেন না। ফলে সাধারণ মানুষ হতাশ হয়ে পড়েছেন।
ইউপি সদস্য মো. সোহেল রানা বলেন, এত মামলা থাকার পরও তিনি কীভাবে এখনো চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান মো. কায়ছার-এ-হাবীব বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় আমি হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে অফিস করেছি। রাকিব হত্যা মামলায় আমাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আসামি করা হয়েছে। আত্মগোপনে থাকলেও আমি অফিসের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।’
স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ অনুযায়ী যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া পরপর তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকলে চেয়ারম্যান বা সদস্যের পদ শূন্য ঘোষণা করা যেতে পারে। অযৌক্তিক বা দায়িত্বে অবহেলা হিসেবে প্রমাণিত হয়, তবে তাঁর পদ বাতিল বা সাময়িক বরখাস্ত করা যায়। চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকলে প্যানেল চেয়ারম্যান তাঁর দায়িত্ব পালন করেন, আর অযৌক্তিকভাবে দীর্ঘ সময় অনুপস্থিত থাকলে তাঁর পদ শূন্য ঘোষণা হতে পারে।
বাজিতপুরের ইউএনও ফারশিদ বিন এনাম বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকলে প্রশাসনিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনগণের সেবায় যেন ব্যাঘাত না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি।’
কিশোরগঞ্জের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (ডিএলজি) জেবুন্নাহার শাম্মীর সঙ্গে কয়েকবার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। পাঠানো খুদে বার্তারও কোনো উত্তর দেননি।

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার কৈলাগ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কায়ছার-এ-হাবীব তিন মাস ধরে কার্যালয়ে আসছেন না। নিয়োগ দেওয়া হয়নি প্যানেল চেয়ারম্যানও। ফলে ওই ইউনিয়নের হাজারো মানুষ সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জন্ম-মৃত্যু, নাগরিক ও ওয়ারিশান সনদসহ বিভিন্ন জরুরি কাজ বন্ধ হয়ে আছে। এ ছাড়া উন্নয়নমূলক কাজও থমকে গেছে। চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতির কারণে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
ইউনিয়ন পরিষদ ম্যানুয়াল অনুযায়ী, চেয়ারম্যান কোনো কারণে অনুপস্থিত থাকলে তা অবগত করতে হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। তিনি সেটিও করেননি বলে জানা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে পূর্বনির্ধারিত প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার কথা থাকলেও চেয়ারম্যানের অসহযোগিতার কারণে ১ নম্বর প্যানেল চেয়ারম্যান মো. সোহেল রানা দায়িত্ব নিতে পারছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার ১১ ইউনিয়ন পরিষদের অধিকাংশ চেয়ারম্যান আত্মগোপনে চলে যান। তাঁদের একজন হলেন কৈলাগ ইউপির মো. কায়ছার-এ-হাবীব। তিনি সাবেক এমপি আফজাল হোসেনের সমর্থনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হন।
অভিযোগ রয়েছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক মামলায় তিনি আসামি হন। সে সময় কিছুদিন অফিসে না এলেও পরবর্তী সময়ে হাইকোর্ট থেকে দুই মাসের জামিন নিয়ে স্বল্প সময়ের জন্য পরিষদে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলন তীব্র হলে তিনি আবার অফিসে আসা বন্ধ করেন দেন। গত ১০ আগস্ট রাকিব নামের এক যুবককে হত্যার পর তাঁর বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করা হয়। এরপর থেকে তিনি আর পরিষদে আসেননি। এমনকি উপজেলা মাসিক সভায়ও তাঁর উপস্থিতি দেখা যায়নি।
সরেজমিনে কৈলাগ ইউপিতে গিয়ে দেখা যায়, চেয়ারম্যানের কক্ষ তালাবদ্ধ। প্রশাসনিক কর্মকর্তা নয়ন চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমি গত ১২ আগস্ট দায়িত্ব নিয়েছি। যোগদানের পর থেকে চেয়ারম্যানকে কখনো অফিসে দেখিনি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা নিয়মিত কাজ করি; কিন্তু চেয়ারম্যান কীভাবে স্বাক্ষর দেন বা অনুমোদন দেন, তা জানি না।’
জন্মসনদ, ওয়ারিশান ও পরিচয়পত্র সংশোধনের কাজে আসা কয়েকজন সেবাপ্রার্থী জানান, চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতির কারণে তাঁরা সেবা পাচ্ছেন না। ফলে সাধারণ মানুষ হতাশ হয়ে পড়েছেন।
ইউপি সদস্য মো. সোহেল রানা বলেন, এত মামলা থাকার পরও তিনি কীভাবে এখনো চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান মো. কায়ছার-এ-হাবীব বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় আমি হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে অফিস করেছি। রাকিব হত্যা মামলায় আমাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আসামি করা হয়েছে। আত্মগোপনে থাকলেও আমি অফিসের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।’
স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ অনুযায়ী যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া পরপর তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকলে চেয়ারম্যান বা সদস্যের পদ শূন্য ঘোষণা করা যেতে পারে। অযৌক্তিক বা দায়িত্বে অবহেলা হিসেবে প্রমাণিত হয়, তবে তাঁর পদ বাতিল বা সাময়িক বরখাস্ত করা যায়। চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকলে প্যানেল চেয়ারম্যান তাঁর দায়িত্ব পালন করেন, আর অযৌক্তিকভাবে দীর্ঘ সময় অনুপস্থিত থাকলে তাঁর পদ শূন্য ঘোষণা হতে পারে।
বাজিতপুরের ইউএনও ফারশিদ বিন এনাম বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকলে প্রশাসনিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনগণের সেবায় যেন ব্যাঘাত না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি।’
কিশোরগঞ্জের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (ডিএলজি) জেবুন্নাহার শাম্মীর সঙ্গে কয়েকবার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। পাঠানো খুদে বার্তারও কোনো উত্তর দেননি।

সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা (আরএসটিপি) ২০২৫-এর কাজ চলছে। মেট্রোর ৬টি লাইন নিয়ে নতুন প্রস্তাব থাকছে আরএসটিপিতে। নতুন এলাকা যুক্ত করতে সব মেট্রো লাইনের এক্সটেনশনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে নতুন মেট্রো লাইন না করারও প্রস্তাব আসতে পারে আরএসটিপিতে।
২৯ এপ্রিল ২০২৫
চট্টগ্রাম নগরের তিন থানা এলাকা ও রাউজানে কদিন পরপর প্রকাশ্যে গুলি করে মানুষ হত্যার ঘটনা ঘটছে। আন্ডারওয়ার্ল্ডে পুরোনো গ্যাংস্টাররা সক্রিয় হওয়া এবং দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীরা জনসমাগমপূর্ণ এলাকাতে প্রকাশ্যে এভাবে খুনোখুনিতে জড়িয়ে পড়ায় চট্টগ্রাম যেন ভয়ের জনপদে পরিণত হচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগে
পাবনার সাঁথিয়া ও বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাগেশ্বরী-ডি-২ ক্যানালের (কৈটলা পাম্প হাউস থেকে মুক্তার ধর পর্যন্ত খাল) প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকায় অন্তত ১০টি স্থানে অবৈধভাবে সুতি জালের বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। এতে পানিপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয়ে ক্যানাল পাড়ের জমিতে পানি জমে রয়েছে। ফলে পাকা ও আধা...
৩ ঘণ্টা আগে
ভোরের কুয়াশা কাটেনি তখনো। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার চকগোচর গ্রামের সরু পথে হাঁটলে দূর থেকে দেখা যায়—সারি সারি খেজুরগাছে ঝুলছে মাটির হাঁড়ি। গাছের মাথা থেকে ঝরছে রস। একটার পর একটা গাছে উঠে গাছিরা নামিয়ে আনছেন রসের হাঁড়ি।
৪ ঘণ্টা আগেআবুল কাশেম, সাঁথিয়া (পাবনা)

পাবনার সাঁথিয়া ও বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাগেশ্বরী-ডি-২ ক্যানালের (কৈটলা পাম্প হাউস থেকে মুক্তার ধর পর্যন্ত খাল) প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকায় অন্তত ১০টি স্থানে অবৈধভাবে সুতি জালের বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। এতে পানিপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয়ে ক্যানাল পাড়ের জমিতে পানি জমে রয়েছে। ফলে পাকা ও আধা পাকা আমন ধান পানির নিচে ডুবে আছে।
এ ছাড়া চলতি রবি মৌসুমে হাজার হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ, মরিচ, রসুন ও সরিষার আবাদ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এমনটি হচ্ছে অভিযোগ করে বাঁধ অপসারণের দাবিতে ইউএনও ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কৃষকেরা।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, কৈটলা পাম্প হাউস থেকে মুক্তার ধর পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ক্যানাল দিয়ে বর্ষা শেষে সাঁথিয়ার প্রায় ১৫টি বিলের পানি নিষ্কাশন হয়। কিন্তু মাছ ধরার জন্য প্রায় ১০টি স্থানে সুতি জালের বাঁধ তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫টি স্থানে ইতিমধ্যে জাল টানানো হয়েছে। ফলে মুক্তার ধর, সোনাই বিল, ঘুঘুদহ বিল, জামাইদহ, বড়গ্রাম বিল, খোলসা খালি বিল, কাটিয়াদহ বিল, গাঙভাঙা বিল ও টেংরাগাড়ী বিলের পানি বের হতে না পারায় হাজার হাজার হেক্টর জমির ধান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।
অন্যদিকে পানি না নামায় কৃষকেরা পেঁয়াজের বীজতলা তৈরি করতে পারছেন না। প্রতিবছর কাদামাটির ওপর বীজতলা তৈরি হলেও এবার জমিতে পানি থাকায় কাজ শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। বিলপাড়ে কৃষকেরা বীজতলার জন্য হাজার হাজার বস্তা ছাই মজুত করে রেখেছেন, পানি নামলেই বীজতলা তৈরি করবেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ ক্যানালের বিভিন্ন অংশে সুফলভোগী মৎস্যজীবীরা লিজ নিয়ে মাছের অভয়ারণ্য গড়ে তুলেছেন। কিন্তু মৎস্য অফিস ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের তদারকির অভাবে লিজকে পুঁজি করে প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় এসব সুফলভোগী সুতি জালের অবৈধ বাঁধ নির্মাণ করেন। প্রতিবছর যা কৃষকদের জন্য বড় বিপদ হয়ে দেখা দেয়।
কাশিনাথপুর ইউনিয়নের দোয়ারগাড়ী বিলে দেখা গেছে, কোমরসমান পানিতে আধা পাকা ধান পড়ে আছে। কোথাও কোথাও কৃষকেরা হাঁটুপানিতে জমি পরিষ্কার করে পেঁয়াজের বীজতলা তৈরির ব্যর্থ চেষ্টা করছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, শামুকজানী বাজারের দক্ষিণে, দত্তপাড়া গ্রামের পশ্চিমে, বড়গ্রাম, তালপট্টি নামক স্থানের ব্রিজের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে, সৈয়দপুর মৌজা এবং পুন্ডুরিয়া ব্রিজের পাশে অন্তত ৫টি স্থানে সুতি জালের বাঁধ দেওয়া হয়েছে। তালাই, পলিথিন ও বাঁশ দিয়ে তৈরি এসব বাঁধে কচুরিপানা জমে পানিপ্রবাহ সম্পূর্ণভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
জানতে চাইলে সৈয়দপুর গ্রামের মোস্তফা প্রামাণিক বলেন, ‘মাছের অভয়ারণ্যের জন্য লিজ নিয়ে মাছ শিকার করি। তবে সুতি জালের জন্য লিজ নেওয়া হয়নি।’
অনেক চেষ্টার পরেও অবৈধভাবে সুতি জালের বাঁধ দেওয়া ব্যক্তিদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বাঁধে মাছ শিকার করা ব্যক্তিরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর থেকে লিজ নিয়ে মাছ শিকার করছি।’
এ বিষয়ে বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ বলেন, ‘পানিপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে সুতি জালের বাঁধ দিয়ে মাছশিকারের জন্য কাউকে কোনো লিজ দেওয়া হয়নি।’ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সামসুল রহমান বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অভিযান চালাই। সুতি জাল কেটে দিয়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করি। তাঁরা তিন দিনের মধ্যে বাঁশ অপসারণের আশ্বাস দিয়েছেন। তা না করলে আবারও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সাঁথিয়া ইউএনও রিজু তামান্না বলেন, ‘বিষয়টি আমরা জানি। এসি ল্যান্ডকে পাঠানো হয়েছিল। তাঁরা সময় চেয়েছেন। দ্রুত অপসারণ না হলে মৎস্য অফিস, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও প্রশাসন একসঙ্গে অভিযান চালিয়ে বাঁধ উচ্ছেদ করা হবে।’

পাবনার সাঁথিয়া ও বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাগেশ্বরী-ডি-২ ক্যানালের (কৈটলা পাম্প হাউস থেকে মুক্তার ধর পর্যন্ত খাল) প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকায় অন্তত ১০টি স্থানে অবৈধভাবে সুতি জালের বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। এতে পানিপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয়ে ক্যানাল পাড়ের জমিতে পানি জমে রয়েছে। ফলে পাকা ও আধা পাকা আমন ধান পানির নিচে ডুবে আছে।
এ ছাড়া চলতি রবি মৌসুমে হাজার হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ, মরিচ, রসুন ও সরিষার আবাদ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এমনটি হচ্ছে অভিযোগ করে বাঁধ অপসারণের দাবিতে ইউএনও ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কৃষকেরা।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, কৈটলা পাম্প হাউস থেকে মুক্তার ধর পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ক্যানাল দিয়ে বর্ষা শেষে সাঁথিয়ার প্রায় ১৫টি বিলের পানি নিষ্কাশন হয়। কিন্তু মাছ ধরার জন্য প্রায় ১০টি স্থানে সুতি জালের বাঁধ তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫টি স্থানে ইতিমধ্যে জাল টানানো হয়েছে। ফলে মুক্তার ধর, সোনাই বিল, ঘুঘুদহ বিল, জামাইদহ, বড়গ্রাম বিল, খোলসা খালি বিল, কাটিয়াদহ বিল, গাঙভাঙা বিল ও টেংরাগাড়ী বিলের পানি বের হতে না পারায় হাজার হাজার হেক্টর জমির ধান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।
অন্যদিকে পানি না নামায় কৃষকেরা পেঁয়াজের বীজতলা তৈরি করতে পারছেন না। প্রতিবছর কাদামাটির ওপর বীজতলা তৈরি হলেও এবার জমিতে পানি থাকায় কাজ শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। বিলপাড়ে কৃষকেরা বীজতলার জন্য হাজার হাজার বস্তা ছাই মজুত করে রেখেছেন, পানি নামলেই বীজতলা তৈরি করবেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ ক্যানালের বিভিন্ন অংশে সুফলভোগী মৎস্যজীবীরা লিজ নিয়ে মাছের অভয়ারণ্য গড়ে তুলেছেন। কিন্তু মৎস্য অফিস ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের তদারকির অভাবে লিজকে পুঁজি করে প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় এসব সুফলভোগী সুতি জালের অবৈধ বাঁধ নির্মাণ করেন। প্রতিবছর যা কৃষকদের জন্য বড় বিপদ হয়ে দেখা দেয়।
কাশিনাথপুর ইউনিয়নের দোয়ারগাড়ী বিলে দেখা গেছে, কোমরসমান পানিতে আধা পাকা ধান পড়ে আছে। কোথাও কোথাও কৃষকেরা হাঁটুপানিতে জমি পরিষ্কার করে পেঁয়াজের বীজতলা তৈরির ব্যর্থ চেষ্টা করছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, শামুকজানী বাজারের দক্ষিণে, দত্তপাড়া গ্রামের পশ্চিমে, বড়গ্রাম, তালপট্টি নামক স্থানের ব্রিজের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে, সৈয়দপুর মৌজা এবং পুন্ডুরিয়া ব্রিজের পাশে অন্তত ৫টি স্থানে সুতি জালের বাঁধ দেওয়া হয়েছে। তালাই, পলিথিন ও বাঁশ দিয়ে তৈরি এসব বাঁধে কচুরিপানা জমে পানিপ্রবাহ সম্পূর্ণভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
জানতে চাইলে সৈয়দপুর গ্রামের মোস্তফা প্রামাণিক বলেন, ‘মাছের অভয়ারণ্যের জন্য লিজ নিয়ে মাছ শিকার করি। তবে সুতি জালের জন্য লিজ নেওয়া হয়নি।’
অনেক চেষ্টার পরেও অবৈধভাবে সুতি জালের বাঁধ দেওয়া ব্যক্তিদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বাঁধে মাছ শিকার করা ব্যক্তিরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর থেকে লিজ নিয়ে মাছ শিকার করছি।’
এ বিষয়ে বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ বলেন, ‘পানিপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে সুতি জালের বাঁধ দিয়ে মাছশিকারের জন্য কাউকে কোনো লিজ দেওয়া হয়নি।’ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সামসুল রহমান বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অভিযান চালাই। সুতি জাল কেটে দিয়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করি। তাঁরা তিন দিনের মধ্যে বাঁশ অপসারণের আশ্বাস দিয়েছেন। তা না করলে আবারও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সাঁথিয়া ইউএনও রিজু তামান্না বলেন, ‘বিষয়টি আমরা জানি। এসি ল্যান্ডকে পাঠানো হয়েছিল। তাঁরা সময় চেয়েছেন। দ্রুত অপসারণ না হলে মৎস্য অফিস, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও প্রশাসন একসঙ্গে অভিযান চালিয়ে বাঁধ উচ্ছেদ করা হবে।’

সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা (আরএসটিপি) ২০২৫-এর কাজ চলছে। মেট্রোর ৬টি লাইন নিয়ে নতুন প্রস্তাব থাকছে আরএসটিপিতে। নতুন এলাকা যুক্ত করতে সব মেট্রো লাইনের এক্সটেনশনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে নতুন মেট্রো লাইন না করারও প্রস্তাব আসতে পারে আরএসটিপিতে।
২৯ এপ্রিল ২০২৫
চট্টগ্রাম নগরের তিন থানা এলাকা ও রাউজানে কদিন পরপর প্রকাশ্যে গুলি করে মানুষ হত্যার ঘটনা ঘটছে। আন্ডারওয়ার্ল্ডে পুরোনো গ্যাংস্টাররা সক্রিয় হওয়া এবং দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীরা জনসমাগমপূর্ণ এলাকাতে প্রকাশ্যে এভাবে খুনোখুনিতে জড়িয়ে পড়ায় চট্টগ্রাম যেন ভয়ের জনপদে পরিণত হচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার কৈলাগ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কায়ছার-এ-হাবীব তিন মাস ধরে কার্যালয়ে আসছেন না। নিয়োগ দেওয়া হয়নি প্যানেল চেয়ারম্যানও। ফলে ওই ইউনিয়নের হাজারো মানুষ সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জন্ম-মৃত্যু, নাগরিক ও ওয়ারিশান সনদসহ বিভিন্ন জরুরি কাজ বন্ধ হয়ে আছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ভোরের কুয়াশা কাটেনি তখনো। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার চকগোচর গ্রামের সরু পথে হাঁটলে দূর থেকে দেখা যায়—সারি সারি খেজুরগাছে ঝুলছে মাটির হাঁড়ি। গাছের মাথা থেকে ঝরছে রস। একটার পর একটা গাছে উঠে গাছিরা নামিয়ে আনছেন রসের হাঁড়ি।
৪ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে খেজুর রসের মৌসুম
রিমন রহমান, রাজশাহী

ভোরের কুয়াশা কাটেনি তখনো। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার চকগোচর গ্রামের সরু পথে হাঁটলে দূর থেকে দেখা যায়—সারি সারি খেজুরগাছে ঝুলছে মাটির হাঁড়ি। গাছের মাথা থেকে ঝরছে রস। একটার পর একটা গাছে উঠে গাছিরা নামিয়ে আনছেন রসের হাঁড়ি।
প্রতিবছর অক্টোবরের শেষ দিকে রাজশাহীর বাঘা, চারঘাট ও পুঠিয়া উপজেলায় শুরু হয় খেজুরের রস আহরণ ও গুড় তৈরির মৌসুম। রস সংগ্রহের জন্য গাছ প্রস্তুত করে পাতা হয় মাটির হাঁড়ি। সারা রাত ধরে ফোঁটা ফোঁটা রস জমে হাঁড়িতে। সকালে সেই রস নিয়ে শুরু হয় গুড় তৈরির ব্যস্ততা। বড় চুলায় ফুটন্ত রসের ঘ্রাণে তখন মিষ্টি হয়ে ওঠে পুরো গ্রাম।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় খেজুরগাছের সংখ্যা ১১ লাখ ৮ হাজার ১৮টি। প্রতিটি গাছ থেকে গড়ে ২৫ লিটার রস পাওয়া যায়, যা থেকে প্রায় ১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলে রস সংগ্রহ মৌসুম। গত বছর রাজশাহীতে প্রায় ১০ হাজার টন গুড় উৎপাদিত হয়েছে। এতে প্রায় ৫০ হাজার গাছির আয় হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। চলতি মৌসুমে আরও বেশি গুড় উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
চারঘাট উপজেলার চকগোচর গ্রামের গাছি মো. ওবায়দুল বলেন, গ্রামের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। চিনির দাম কম হওয়ায় অনেকে আবার রসের সঙ্গে চিনিও মিশিয়ে দিচ্ছেন। এতে লাভ বেশি হচ্ছে। তবে যাঁরা চিনি দিয়ে গুড় তৈরি করেন না, তাঁদের গুড়ের দাম কিছুটা বেশি। এখন অনলাইনে খাঁটি গুড়ের ভালো চাহিদা আছে।
গত বুধবার ভোরে পুঠিয়ার ভুবননগর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, গাছ থেকে রস নামাচ্ছেন মো. রানা। তাঁর বাইসাইকেলে দুটি বড় বড় জার বাঁধা। গাছ থেকে নামানো রস নেওয়া হচ্ছে ওই জারে। রানা বলেন, ‘আমার ইজারা নেওয়া ৫২টি গাছ থেকে প্রতিদিন প্রায় ৬০ লিটার রস পাই। এতে ১০-১১ কেজি গুড় হয়।’ একই গ্রামের জালাল উদ্দিনের বাড়িতে দেখা গেল, তাঁর স্ত্রী রওশন আরা রস জ্বাল দিচ্ছেন। রওশন বলেন, এবার মৌসুমের শুরুতেই ১৬০ টাকা কেজি দরে গুড় বিক্রি হচ্ছে।
পুঠিয়ার জরমডাঙ্গা গ্রামের গাছি সাইফুল ইসলাম মিলু বলেন, যাঁদের গাছ আছে তাঁদের বেশির ভাগই রস নামাতে পারেন না। তাই তাঁরা এক মৌসুমের জন্য গাছ ইজারা দিয়ে দেন। গাছ দেখে ইজারার দাম হয়। কোনো গাছের জন্য দিতে হয় ৫০০ টাকা, কোনোটির ইজারামূল্য ১ হাজার। একজন গাছি সাধারণত ৩০ থেকে ১০০টি গাছ ইজারা নেন।
রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, ‘রাজশাহীর খেজুর গুড়ের সুনাম সারা দেশে। গেল মৌসুমে প্রায় ২০০ কোটি টাকার গুড় বিক্রি হয়েছে। এবার আরও বেশি উৎপাদন হবে বলে আশা করছি। তবে কিছু অসাধু গাছি গুড়ের সঙ্গে চিনি মেশাচ্ছেন, যা রাজশাহীর খাঁটি গুড়ের সুনামের জন্য হুমকি।’

ভোরের কুয়াশা কাটেনি তখনো। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার চকগোচর গ্রামের সরু পথে হাঁটলে দূর থেকে দেখা যায়—সারি সারি খেজুরগাছে ঝুলছে মাটির হাঁড়ি। গাছের মাথা থেকে ঝরছে রস। একটার পর একটা গাছে উঠে গাছিরা নামিয়ে আনছেন রসের হাঁড়ি।
প্রতিবছর অক্টোবরের শেষ দিকে রাজশাহীর বাঘা, চারঘাট ও পুঠিয়া উপজেলায় শুরু হয় খেজুরের রস আহরণ ও গুড় তৈরির মৌসুম। রস সংগ্রহের জন্য গাছ প্রস্তুত করে পাতা হয় মাটির হাঁড়ি। সারা রাত ধরে ফোঁটা ফোঁটা রস জমে হাঁড়িতে। সকালে সেই রস নিয়ে শুরু হয় গুড় তৈরির ব্যস্ততা। বড় চুলায় ফুটন্ত রসের ঘ্রাণে তখন মিষ্টি হয়ে ওঠে পুরো গ্রাম।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় খেজুরগাছের সংখ্যা ১১ লাখ ৮ হাজার ১৮টি। প্রতিটি গাছ থেকে গড়ে ২৫ লিটার রস পাওয়া যায়, যা থেকে প্রায় ১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলে রস সংগ্রহ মৌসুম। গত বছর রাজশাহীতে প্রায় ১০ হাজার টন গুড় উৎপাদিত হয়েছে। এতে প্রায় ৫০ হাজার গাছির আয় হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। চলতি মৌসুমে আরও বেশি গুড় উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
চারঘাট উপজেলার চকগোচর গ্রামের গাছি মো. ওবায়দুল বলেন, গ্রামের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। চিনির দাম কম হওয়ায় অনেকে আবার রসের সঙ্গে চিনিও মিশিয়ে দিচ্ছেন। এতে লাভ বেশি হচ্ছে। তবে যাঁরা চিনি দিয়ে গুড় তৈরি করেন না, তাঁদের গুড়ের দাম কিছুটা বেশি। এখন অনলাইনে খাঁটি গুড়ের ভালো চাহিদা আছে।
গত বুধবার ভোরে পুঠিয়ার ভুবননগর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, গাছ থেকে রস নামাচ্ছেন মো. রানা। তাঁর বাইসাইকেলে দুটি বড় বড় জার বাঁধা। গাছ থেকে নামানো রস নেওয়া হচ্ছে ওই জারে। রানা বলেন, ‘আমার ইজারা নেওয়া ৫২টি গাছ থেকে প্রতিদিন প্রায় ৬০ লিটার রস পাই। এতে ১০-১১ কেজি গুড় হয়।’ একই গ্রামের জালাল উদ্দিনের বাড়িতে দেখা গেল, তাঁর স্ত্রী রওশন আরা রস জ্বাল দিচ্ছেন। রওশন বলেন, এবার মৌসুমের শুরুতেই ১৬০ টাকা কেজি দরে গুড় বিক্রি হচ্ছে।
পুঠিয়ার জরমডাঙ্গা গ্রামের গাছি সাইফুল ইসলাম মিলু বলেন, যাঁদের গাছ আছে তাঁদের বেশির ভাগই রস নামাতে পারেন না। তাই তাঁরা এক মৌসুমের জন্য গাছ ইজারা দিয়ে দেন। গাছ দেখে ইজারার দাম হয়। কোনো গাছের জন্য দিতে হয় ৫০০ টাকা, কোনোটির ইজারামূল্য ১ হাজার। একজন গাছি সাধারণত ৩০ থেকে ১০০টি গাছ ইজারা নেন।
রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, ‘রাজশাহীর খেজুর গুড়ের সুনাম সারা দেশে। গেল মৌসুমে প্রায় ২০০ কোটি টাকার গুড় বিক্রি হয়েছে। এবার আরও বেশি উৎপাদন হবে বলে আশা করছি। তবে কিছু অসাধু গাছি গুড়ের সঙ্গে চিনি মেশাচ্ছেন, যা রাজশাহীর খাঁটি গুড়ের সুনামের জন্য হুমকি।’

সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা (আরএসটিপি) ২০২৫-এর কাজ চলছে। মেট্রোর ৬টি লাইন নিয়ে নতুন প্রস্তাব থাকছে আরএসটিপিতে। নতুন এলাকা যুক্ত করতে সব মেট্রো লাইনের এক্সটেনশনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে নতুন মেট্রো লাইন না করারও প্রস্তাব আসতে পারে আরএসটিপিতে।
২৯ এপ্রিল ২০২৫
চট্টগ্রাম নগরের তিন থানা এলাকা ও রাউজানে কদিন পরপর প্রকাশ্যে গুলি করে মানুষ হত্যার ঘটনা ঘটছে। আন্ডারওয়ার্ল্ডে পুরোনো গ্যাংস্টাররা সক্রিয় হওয়া এবং দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীরা জনসমাগমপূর্ণ এলাকাতে প্রকাশ্যে এভাবে খুনোখুনিতে জড়িয়ে পড়ায় চট্টগ্রাম যেন ভয়ের জনপদে পরিণত হচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার কৈলাগ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কায়ছার-এ-হাবীব তিন মাস ধরে কার্যালয়ে আসছেন না। নিয়োগ দেওয়া হয়নি প্যানেল চেয়ারম্যানও। ফলে ওই ইউনিয়নের হাজারো মানুষ সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জন্ম-মৃত্যু, নাগরিক ও ওয়ারিশান সনদসহ বিভিন্ন জরুরি কাজ বন্ধ হয়ে আছে।
৩ ঘণ্টা আগে
পাবনার সাঁথিয়া ও বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাগেশ্বরী-ডি-২ ক্যানালের (কৈটলা পাম্প হাউস থেকে মুক্তার ধর পর্যন্ত খাল) প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকায় অন্তত ১০টি স্থানে অবৈধভাবে সুতি জালের বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। এতে পানিপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয়ে ক্যানাল পাড়ের জমিতে পানি জমে রয়েছে। ফলে পাকা ও আধা...
৩ ঘণ্টা আগে