Ajker Patrika

শ্রীপুরে পোশাকশ্রমিকের মৃত্যু, স্ত্রী বললেন ডায়রিয়ায়, ময়নাতদন্তে পাঠাল পুলিশ

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি  
শ্রীপুরে পোশাকশ্রমিকের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা। ছবি: আজকের পত্রিকা
শ্রীপুরে পোশাকশ্রমিকের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুরের শ্রীপুরে সোহেল রানা (৪৩) নামের এক পোশাকশ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার উপজেলার মুলাইদ গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

সোহেল রানা দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার তিখুর গ্রামের মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন এবং তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের মোস্তফা কামালের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

মোবারক হোসেন নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘মৃত্যুর খবর শুনে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। দেখি স্বামীর লাশ মেঝেতে রেখে স্ত্রী কেয়া আক্তার বিছানার চাদর, কাঁথা ধোয়ামোছার কাজ করছেন, এতে আমাদের সন্দেহ হয়। পরে স্ত্রী বাড়ির মালিককে নিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স ডেকে লাশ নিয়ে চলে যেতে চান।’ এ সময় স্থানীয় লোকজন লাশ আটকে পুলিশে খবর দেয়।

মোবারক হোসেন আরও বলেন, কেয়া আক্তার জানায়, তাঁর স্বামীর পাতলা পায়খানা হয়েছে। এ জন্য সে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন।

বাড়ির মালিক মোস্তফা কামাল বলেন, ‘সোহেল রানার স্ত্রী আমাকে ফোন করে স্বামীর অসুস্থতার কথা জানান। পরে তাঁদের রুমে এসে দেখি, তাঁর স্বামী বিছানায় শুয়ে আছেন। আমি তাঁকে চিকিৎসা করানোর কথা বলে চলে আসি।

শ্রীপুরে পোশাকশ্রমিকের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা। ছবি: আজকের পত্রিকা
শ্রীপুরে পোশাকশ্রমিকের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দুপুরে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি কী করে মারা গেছেন, আমি কীভাবে বলব। বাড়ির মালিক হিসেবে লাশ অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দেওয়ার কাজ করছি। মানুষ কেন সন্দেহ করছে, আমি বলতে পারব না।’

সোহেল রানার ভাগনে মো. খাদেমুল ইসলাম বলেন, ‘দুপুরের পর মামি মোবাইল ফোনে জানান মামা মারা গেছেন। এরপর দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে দেখি লাশ অ্যাম্বুলেন্সে তোলা। স্থানীয় লোকজন লাশ নিতে বাধা দিচ্ছে। মামির আচার-আচরণে সন্দেহ মনে হচ্ছে। সামান্য পাতলা পায়খানার জন্য মারা গেল। এটা কেমন কথা।’

অভিযোগ অস্বীকার করে কেয়া আক্তার বলেন, ‘রাত ১টার পর থেকে সোহেল রানা পাতলা পায়খানা করে দুর্বল হয়ে পড়েন। দোকান থেকে ওষুধ এনে খাওয়ানো হয়েছে। দুপুরের পর মারা গেছেন। মৃত্যুতে আমার কোনো হাত নেই। কাঁথা-চাদর ধোয়ার কারণে মানুষ আমাকে সন্দেহ করছে।’

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাজাহারুল ইসলাম বলেন, জাতীয় জরুরি পরিষেবা নম্বর ৯৯৯ ফোন পেয়ে মহাসড়কের পাশে অ্যাম্বুলেন্স থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যু নিয়ে স্থানীয়দের সন্দেহ রয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত