প্রতিনিধি, শরীয়তপুর (ঢাকা)
শরীয়তপুরের পদ্মায় গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ৬১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা এই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। আগামী ৭২ ঘণ্টা পদ্মায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
গত ৩০ আগস্ট থেকে পানি কিছুটা কমতে শুরু করলেও গত ৩ দিন যাবৎ আবারও পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে শরীয়তপুরের পদ্মা, মেঘনা ও কীর্তিনাশায়। নতুন করে পানি বৃদ্ধির ফলে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলার ২৫ গ্রামের অন্তত ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ।
এদিকে কীর্তিনাশার পানি বৃদ্ধির ফলে শরীয়তপুর ও নড়িয়া পৌরসভার কিছু কিছু এলাকার নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। পদ্মার মধ্যবর্তী চরাঞ্চলের অধিকাংশ বসতবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। তলিয়ে গেছে কৃষি মাঠ ও নিচু সড়ক। এতে দুর্গত এলাকায় গো খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যার পানির সঙ্গে ভেসে আসা প্রচুর পরিমাণে কচুরিপানা ও ময়লা আবর্জনা ভোগান্তি বাড়িয়েছে।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বন্যা দুর্গতদের কোন ধরনের ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন সেখানকার মানুষেরা। অন্যদিকে নদী ভাঙন কবলিত ১৯২ পরিবারের মধ্যে নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা বিতরণের কথা জানিয়েছে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর।
আজ শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পাইনপাড়া, মাঝিকান্দি, ও হাবমাঝিকান্দিসহ পদ্মার তীরবর্তী ১০টি গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, গ্রামের প্রায় সব বাড়িতেই বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। তলিয়ে গেছে এসব এলাকার ফসলি মাঠ ও নিচু সড়ক। নদীর তীরবর্তী হাটবাজারেও উঠতে শুরু করেছে বন্যার পানি। রান্না করার চুল্লি তলিয়ে যাওয়ায় মাচা করে কিংবা নৌকায় রান্না করছেন অনেক পরিবার। বন্যার পানির সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে ময়লা আর কচুরিপানার সঙ্গে বিষাক্ত সাপের উপদ্রব বেড়েছে দুর্গত এলাকায়। কিছু কিছু এলাকার টিউবওয়েল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ খাবার পানিরও সংকট তৈরি হয়েছে। গবাদিপশুর প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎস ফসলি মাঠ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দুর্গত এলাকায় গো-খাদ্যের সংকট তৈরি হয়েছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় নৌকা কিংবা কলাগাছের ভেলায় করে চলাচল করতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
ওহাবমাঝিকান্দি গ্রামের সুফিয়া বেগম (৫৫) বলেন, ‘পানি আইয়া আবোর নাইম্মা গেছিলো। ৪ / ৫ দিন হইলো আবারও পানি বাড়তাছে। আমাগো পাহা (রান্না করার চুলা) পানিতে ডুইব্বা গেছে। অহন বড় ঘরের ভেতরে আলগা চুলা বহাইয়া রান্দোনবাড়োন করতাছি। ঘরের ভেতর ময়লার লগে সাপ কোপও আহে। নাতি নাতকুর লইয়া চিন্তায় আছি।’
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্র জানায়, এ বছর নদী ভাঙনের কবলে পড়া ১৯২ পরিবারের মধ্যে নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৪২ পরিবারকে নগদ ২ হাজার করে টাকা ও ২০ কেজি করে চাল এবং ৫০ পরিবারের মধ্যে নগদ ৫ হাজার টাকা ও আরব আমিরাত থেকে প্রাপ্ত খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। বন্যা দুর্গতদের জন্যও পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ সহায়তা মজুত রয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে নিয়মিত বন্যা পরিস্থিতি তদারকি করা হচ্ছে। দুর্গত মানুষের মধ্যে প্রয়োজন অনুযায়ী ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হবে।
জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশাফুজ্জামান ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, বন্যা মোকাবিলায় অগ্রিম প্রস্তুতি হিসেবে ৩৫টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নদী ভাঙন কবলিতদের বিভিন্ন ধরনের সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকে রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছে। বন্যা দুর্গতদের জন্য ত্রাণ সহায়তা মজুত রয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী বিতরণ করা হবে।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত চার পাঁচ দিন যাবৎ আবারও পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ সুরেশ্বর পয়েন্ট পদ্মার পানি বয়ে চলেছে বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। যা এ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। সুরেশ্বর পয়েন্টে পানি পরিমাপের স্কেলে গতকাল পানির উচ্চতা ছিল ৫.০৬ সেন্টিমিটার। আগামী ৭২ ঘণ্টা পদ্মায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। নদীর তীর উপচে বেশ কিছু এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এ ছাড়া নদীতে স্রোতের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় জাজিরা উপজেলা কুন্ডেচর ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকায় নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ডাম্পিং করা হচ্ছে।
শরীয়তপুরের পদ্মায় গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ৬১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা এই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। আগামী ৭২ ঘণ্টা পদ্মায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
গত ৩০ আগস্ট থেকে পানি কিছুটা কমতে শুরু করলেও গত ৩ দিন যাবৎ আবারও পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে শরীয়তপুরের পদ্মা, মেঘনা ও কীর্তিনাশায়। নতুন করে পানি বৃদ্ধির ফলে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলার ২৫ গ্রামের অন্তত ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ।
এদিকে কীর্তিনাশার পানি বৃদ্ধির ফলে শরীয়তপুর ও নড়িয়া পৌরসভার কিছু কিছু এলাকার নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। পদ্মার মধ্যবর্তী চরাঞ্চলের অধিকাংশ বসতবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। তলিয়ে গেছে কৃষি মাঠ ও নিচু সড়ক। এতে দুর্গত এলাকায় গো খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যার পানির সঙ্গে ভেসে আসা প্রচুর পরিমাণে কচুরিপানা ও ময়লা আবর্জনা ভোগান্তি বাড়িয়েছে।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বন্যা দুর্গতদের কোন ধরনের ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন সেখানকার মানুষেরা। অন্যদিকে নদী ভাঙন কবলিত ১৯২ পরিবারের মধ্যে নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা বিতরণের কথা জানিয়েছে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর।
আজ শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পাইনপাড়া, মাঝিকান্দি, ও হাবমাঝিকান্দিসহ পদ্মার তীরবর্তী ১০টি গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, গ্রামের প্রায় সব বাড়িতেই বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। তলিয়ে গেছে এসব এলাকার ফসলি মাঠ ও নিচু সড়ক। নদীর তীরবর্তী হাটবাজারেও উঠতে শুরু করেছে বন্যার পানি। রান্না করার চুল্লি তলিয়ে যাওয়ায় মাচা করে কিংবা নৌকায় রান্না করছেন অনেক পরিবার। বন্যার পানির সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে ময়লা আর কচুরিপানার সঙ্গে বিষাক্ত সাপের উপদ্রব বেড়েছে দুর্গত এলাকায়। কিছু কিছু এলাকার টিউবওয়েল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ খাবার পানিরও সংকট তৈরি হয়েছে। গবাদিপশুর প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎস ফসলি মাঠ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দুর্গত এলাকায় গো-খাদ্যের সংকট তৈরি হয়েছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় নৌকা কিংবা কলাগাছের ভেলায় করে চলাচল করতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
ওহাবমাঝিকান্দি গ্রামের সুফিয়া বেগম (৫৫) বলেন, ‘পানি আইয়া আবোর নাইম্মা গেছিলো। ৪ / ৫ দিন হইলো আবারও পানি বাড়তাছে। আমাগো পাহা (রান্না করার চুলা) পানিতে ডুইব্বা গেছে। অহন বড় ঘরের ভেতরে আলগা চুলা বহাইয়া রান্দোনবাড়োন করতাছি। ঘরের ভেতর ময়লার লগে সাপ কোপও আহে। নাতি নাতকুর লইয়া চিন্তায় আছি।’
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্র জানায়, এ বছর নদী ভাঙনের কবলে পড়া ১৯২ পরিবারের মধ্যে নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৪২ পরিবারকে নগদ ২ হাজার করে টাকা ও ২০ কেজি করে চাল এবং ৫০ পরিবারের মধ্যে নগদ ৫ হাজার টাকা ও আরব আমিরাত থেকে প্রাপ্ত খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। বন্যা দুর্গতদের জন্যও পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ সহায়তা মজুত রয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে নিয়মিত বন্যা পরিস্থিতি তদারকি করা হচ্ছে। দুর্গত মানুষের মধ্যে প্রয়োজন অনুযায়ী ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হবে।
জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশাফুজ্জামান ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, বন্যা মোকাবিলায় অগ্রিম প্রস্তুতি হিসেবে ৩৫টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নদী ভাঙন কবলিতদের বিভিন্ন ধরনের সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকে রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছে। বন্যা দুর্গতদের জন্য ত্রাণ সহায়তা মজুত রয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী বিতরণ করা হবে।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত চার পাঁচ দিন যাবৎ আবারও পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ সুরেশ্বর পয়েন্ট পদ্মার পানি বয়ে চলেছে বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। যা এ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। সুরেশ্বর পয়েন্টে পানি পরিমাপের স্কেলে গতকাল পানির উচ্চতা ছিল ৫.০৬ সেন্টিমিটার। আগামী ৭২ ঘণ্টা পদ্মায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। নদীর তীর উপচে বেশ কিছু এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এ ছাড়া নদীতে স্রোতের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় জাজিরা উপজেলা কুন্ডেচর ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকায় নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ডাম্পিং করা হচ্ছে।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
১ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
২ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
২ ঘণ্টা আগে