নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ডাকা ‘বাংলা ব্লকেড’ আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের রথযাত্রার কারণে আজ রোববার সকাল থেকেই তীব্র যানজটে পড়েন রাজধানীবাসী। ‘বাংলা ব্লকেড’ শুরু হয় দুপুর ২টার পর। এর আগে থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থাকার দৃশ্য দেখা গেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) গতকাল শনিবার রাতেই যানজট নিয়ে অগ্রিম বার্তা দিয়েছিল।
আজ সকালে রথযাত্রা রাজধানীর স্বামীবাগ ইসকন মন্দির থেকে শুরু হয়ে লালবাগে গিয়ে শেষ হয়। সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন মন্দির থেকে যাত্রা শুরু করেন পুণ্যার্থীরা। যা বিকেল ৩টায় শেষ হয়। সরেজমিনে দেখা গেছে, পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার, রায় সাহেব বাজার মোড়, বংশাল, গুলিস্তান, পুরানা পল্টন মোড়, এদিকে হাতিরঝিল মোড়, সাতরাস্তা, কাকরাইল, গুলিস্থান, মহাখালী, আগারগাঁও, আসাদগেট, পান্থপথ, কলাবাগান, মগবাজার, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর সড়কে তীব্র যানজট।
দুপুর ৩টায় ঢাকার সড়কগুলো প্রায় থমকে যায়। এ সময় রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে নামতে থাকে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা। এতে যানজট নিরসন ও সড়কে থাকা বিভিন্ন গাড়ি বিকল্প রাস্তায় সরিয়ে নিতে ব্যস্ত সময় পার করে ট্রাফিক পুলিশ।
দুপুরের পর সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলের কারণে শাহবাগ, সায়েন্সল্যাব, চানখাঁরপুল মোড়, আগারগাঁও, মহাখালী ও পল্টন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ মোড় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এর কারণে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, সোনারগাঁও, সাতরাস্তা, মহাখালী, বনানী, কাকলী, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, গুলশান-১, গুলশান-২, গুলশান লিংকরোড এবং প্রগতি সরণিসহ বিভিন্ন এলাকা রাস্তায় থমকে যায় সারি সারি যানবাহন।
দুপুর ২টার দিকে আন্দোলনরত ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা শুরুতে সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করে। বিকেল ৩টার কিছু পরে শিক্ষার্থীরা রাজধানীর শাহবাগ মোড়, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় অবরোধ করে। এতে আজিমপুর–নিউমার্কেট থেকে মিরপুর ও গাবতলীর পথে চলাচলের সড়কটি দিয়েও যান চলাচল ব্যাহত হয়।
অবশ্য সন্ধ্যার ৭টার পর শাহবাগ ছাড়া রাজধানীর সব মোড় ছেড়ে দেন আন্দোলনকারীরা। সায়েন্সল্যাব, নীলক্ষেত, চানখারপুল, বাংলা মোটর ও পরীবাগ মোড় থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা শিক্ষার্থীরা। পরে রাত ৮টার দিকে কর্মসূচি ঘোষণা শাহবাগ মোড়ও ছেড়ে দেন তাঁরা।
যানজটে পড়ে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারও। চানখাঁরপুল মোড়ে হানিফ ফ্লাইওভারের উঠানামার রাস্তা অবরুদ্ধ করে ফেলে শিক্ষার্থীরা। এতে ফ্লাইওভার থেকে মূল সড়কে নামার মুখে গাড়িগুলোকে দীর্ঘ সময় আটকে থাকতে হয়। বেলা ২টা থেকে থেমে থেমে গাড়ি চললেও বিকেল ৪টার পর থেকে উড়ালসড়ক হয়ে রাজধানীর ভেতরে গাড়ি প্রবেশ করতে পারছিল না। অনেককে বাস থেকে নেমে গন্তব্যে হেঁটে রওনা দিতেও দেখা যায়। এ ছাড়া ফ্লাইওভার থেকে নেমে যাত্রাবাড়ীর জনপথ মোড়ে দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা বাসগুলো সড়কের একই স্থানে থেমে যায়। যাত্রীরা বাস থেকে নেমে হেঁটেই রওনা হন। আর বাসগুলো বন্ধ করে চালক ও সহকারীরা ভেতরে অবস্থান করতে দেখা যায়।
এদিকে আজ সকাল থেকেই মেট্রোরেলেও যাত্রীর বেশ চাপ দেখা গেছে। এর মধ্যে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে দুপুর আড়াইটা থেকে প্রায় ৩৭ মিনিট মেট্রো ট্রেন বন্ধ থাকায় মিরপুর–আগারগাঁও–মতিঝিল রুটের যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বিকেলের পর মেট্রোরেলের প্রতিটি স্টেশনে দেখা যায় যাত্রীদের তীব্র ভিড়।
একটি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সকালে গাড়িতে করে আগারগাঁও থেকে সচিবালয় এলাকায় অফিসে আসতে প্রায় ২ ঘণ্টা সময় লেগেছে। বিকেলে তাই অফিসে গাড়ি রেখেই মেট্রোরেলে বাসায় ফিরেছেন।
বিকেলের দিকে তুহিন শেখ নামে এক মোটরসাইকেল চালক আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুনেছিলাম দুপুরের পর ঢাকা বন্ধ হবে। কিন্তু সকাল থেকেই তীব্র যানজট। মোটরসাইকেলে মহাখালী থেকে গুলিস্তান আসতে ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে। মিরপুর বাসায় কীভাবে যাব জানি না!
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মো. আরিফুজ্জামান বলেন, গত দুই দিন থেকেই সকালে অফিসে যাওয়ার পথে যানজটে পড়তে হচ্ছে। এখন অফিস শেষ করে বাসায় ফেরার পথে বাসে বসে থাকতে হচ্ছে। কোনো আন্দোলন হলেই এভাবে রাস্তা বন্ধ করে ভোগান্তি যেন নিয়মিত দৃশ্য হয়েছে ঢাকার।
সামাজিক যোগাযোগ অনেকেই যানজটের ভোগান্তি নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে পোস্টদাতারা পরামর্শ দিচ্ছেন কোন রাস্তা এড়িয়ে চলতে হবে।
কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ডাকা ‘বাংলা ব্লকেড’ আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের রথযাত্রার কারণে আজ রোববার সকাল থেকেই তীব্র যানজটে পড়েন রাজধানীবাসী। ‘বাংলা ব্লকেড’ শুরু হয় দুপুর ২টার পর। এর আগে থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থাকার দৃশ্য দেখা গেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) গতকাল শনিবার রাতেই যানজট নিয়ে অগ্রিম বার্তা দিয়েছিল।
আজ সকালে রথযাত্রা রাজধানীর স্বামীবাগ ইসকন মন্দির থেকে শুরু হয়ে লালবাগে গিয়ে শেষ হয়। সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন মন্দির থেকে যাত্রা শুরু করেন পুণ্যার্থীরা। যা বিকেল ৩টায় শেষ হয়। সরেজমিনে দেখা গেছে, পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার, রায় সাহেব বাজার মোড়, বংশাল, গুলিস্তান, পুরানা পল্টন মোড়, এদিকে হাতিরঝিল মোড়, সাতরাস্তা, কাকরাইল, গুলিস্থান, মহাখালী, আগারগাঁও, আসাদগেট, পান্থপথ, কলাবাগান, মগবাজার, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর সড়কে তীব্র যানজট।
দুপুর ৩টায় ঢাকার সড়কগুলো প্রায় থমকে যায়। এ সময় রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে নামতে থাকে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা। এতে যানজট নিরসন ও সড়কে থাকা বিভিন্ন গাড়ি বিকল্প রাস্তায় সরিয়ে নিতে ব্যস্ত সময় পার করে ট্রাফিক পুলিশ।
দুপুরের পর সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলের কারণে শাহবাগ, সায়েন্সল্যাব, চানখাঁরপুল মোড়, আগারগাঁও, মহাখালী ও পল্টন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ মোড় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এর কারণে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, সোনারগাঁও, সাতরাস্তা, মহাখালী, বনানী, কাকলী, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, গুলশান-১, গুলশান-২, গুলশান লিংকরোড এবং প্রগতি সরণিসহ বিভিন্ন এলাকা রাস্তায় থমকে যায় সারি সারি যানবাহন।
দুপুর ২টার দিকে আন্দোলনরত ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা শুরুতে সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করে। বিকেল ৩টার কিছু পরে শিক্ষার্থীরা রাজধানীর শাহবাগ মোড়, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় অবরোধ করে। এতে আজিমপুর–নিউমার্কেট থেকে মিরপুর ও গাবতলীর পথে চলাচলের সড়কটি দিয়েও যান চলাচল ব্যাহত হয়।
অবশ্য সন্ধ্যার ৭টার পর শাহবাগ ছাড়া রাজধানীর সব মোড় ছেড়ে দেন আন্দোলনকারীরা। সায়েন্সল্যাব, নীলক্ষেত, চানখারপুল, বাংলা মোটর ও পরীবাগ মোড় থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা শিক্ষার্থীরা। পরে রাত ৮টার দিকে কর্মসূচি ঘোষণা শাহবাগ মোড়ও ছেড়ে দেন তাঁরা।
যানজটে পড়ে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারও। চানখাঁরপুল মোড়ে হানিফ ফ্লাইওভারের উঠানামার রাস্তা অবরুদ্ধ করে ফেলে শিক্ষার্থীরা। এতে ফ্লাইওভার থেকে মূল সড়কে নামার মুখে গাড়িগুলোকে দীর্ঘ সময় আটকে থাকতে হয়। বেলা ২টা থেকে থেমে থেমে গাড়ি চললেও বিকেল ৪টার পর থেকে উড়ালসড়ক হয়ে রাজধানীর ভেতরে গাড়ি প্রবেশ করতে পারছিল না। অনেককে বাস থেকে নেমে গন্তব্যে হেঁটে রওনা দিতেও দেখা যায়। এ ছাড়া ফ্লাইওভার থেকে নেমে যাত্রাবাড়ীর জনপথ মোড়ে দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা বাসগুলো সড়কের একই স্থানে থেমে যায়। যাত্রীরা বাস থেকে নেমে হেঁটেই রওনা হন। আর বাসগুলো বন্ধ করে চালক ও সহকারীরা ভেতরে অবস্থান করতে দেখা যায়।
এদিকে আজ সকাল থেকেই মেট্রোরেলেও যাত্রীর বেশ চাপ দেখা গেছে। এর মধ্যে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে দুপুর আড়াইটা থেকে প্রায় ৩৭ মিনিট মেট্রো ট্রেন বন্ধ থাকায় মিরপুর–আগারগাঁও–মতিঝিল রুটের যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বিকেলের পর মেট্রোরেলের প্রতিটি স্টেশনে দেখা যায় যাত্রীদের তীব্র ভিড়।
একটি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সকালে গাড়িতে করে আগারগাঁও থেকে সচিবালয় এলাকায় অফিসে আসতে প্রায় ২ ঘণ্টা সময় লেগেছে। বিকেলে তাই অফিসে গাড়ি রেখেই মেট্রোরেলে বাসায় ফিরেছেন।
বিকেলের দিকে তুহিন শেখ নামে এক মোটরসাইকেল চালক আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুনেছিলাম দুপুরের পর ঢাকা বন্ধ হবে। কিন্তু সকাল থেকেই তীব্র যানজট। মোটরসাইকেলে মহাখালী থেকে গুলিস্তান আসতে ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে। মিরপুর বাসায় কীভাবে যাব জানি না!
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মো. আরিফুজ্জামান বলেন, গত দুই দিন থেকেই সকালে অফিসে যাওয়ার পথে যানজটে পড়তে হচ্ছে। এখন অফিস শেষ করে বাসায় ফেরার পথে বাসে বসে থাকতে হচ্ছে। কোনো আন্দোলন হলেই এভাবে রাস্তা বন্ধ করে ভোগান্তি যেন নিয়মিত দৃশ্য হয়েছে ঢাকার।
সামাজিক যোগাযোগ অনেকেই যানজটের ভোগান্তি নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে পোস্টদাতারা পরামর্শ দিচ্ছেন কোন রাস্তা এড়িয়ে চলতে হবে।
রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশন এলাকার নারীসহ সাত মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— মো. জয় (২০), খাদিজা (২১), আম্বিয়া (৪০), ফাতেমা (২১), পরিমনি (১৯), নাছরিন (২১) এবং সুমাইয়া (১৯)।
৪ ঘণ্টা আগেরিফাতের বাবা দুলাল শরীফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। আমার ছেলেকে যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে, জীবিত থাকতে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দেখে যেতে চাই। এত দিন হয়ে গেল, প্রধান আসামির ফাঁসির রায় এখনো কার্যকর করা হয়নি। আমি সরকারের কাছে প্রার্থনা জানাই, দ্রুত ফাঁসির রায় কার্যকর করার
৪ ঘণ্টা আগেপাহাড় ভ্রমণে পর্যটকদের মানতে হয় নানা নির্দেশনা। সঙ্গে জীবনরক্ষাকারী সামগ্রীর পাশাপাশি রাখতে হয় অভিজ্ঞ গাইড। আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে ঘর থেকে বের হওয়ার দায়িত্ব সত্ত্বেও অনেকে তা না মেনেই পরিবার নিয়ে বের হন। এতে তাঁরা নিজেদের বিপদই ডেকে আনছেন, অনেক সময় হারাচ্ছেন প্রাণ। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, নিয়ম ন
৪ ঘণ্টা আগেজানা গেছে, মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতের জন্য মিয়ানমারে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর অস্ত্র কেনার জন্য টাকা দরকার। সেই টাকা জোগাড় করতে এপারে বাংলাদেশ সীমান্তে থাকা রোহিঙ্গা ও দেশি মাদক কারবারিদের কাছে অল্প দামে বিভিন্ন ধরনের মাদক বিক্রি করছে তারা। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা বাড়ার সঙ্গে...
৪ ঘণ্টা আগে