Ajker Patrika

সম্মেলনের দাবি নিয়ে ঢাবিতে আসা সিলেটের নেতার মাথা ফাটাল ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা

ঢাবি প্রতিনিধি
সম্মেলনের দাবি নিয়ে ঢাবিতে আসা সিলেটের নেতার মাথা ফাটাল ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা

সম্মেলন করে কমিটি দেওয়ার দাবি নিয়ে সংগঠনের সভাপতি-সেক্রেটারির সঙ্গে দেখা করতে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মার খেলেন সিলেটের এক ছাত্রলীগ নেতা। 

গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় স্ন্যাকসের (ডাস) সামনে এমএম আব্দুল্লাহ আল হাদী ওরফে মুন্না (২৫) নামের এক যুবক মারধরের শিকার হন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর মাথায় জখম রয়েছে।

জানা গেছে, মুন্না সিলেটের কানাইঘাট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট। জেলা ছাত্রলীগে পদপ্রত্যাশী ছিলেন। সিলেটের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলতে ঢাকায় আসেন তিনি। এর আগে তিনি ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে দিয়ে সম্মেলন চেয়ে ফেসবুকে লেখালেখি এবং বিভিন্ন জায়গায় প্রেস রিলিজ দিয়ে সরব ছিলেন। 

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ১০টার দিকে ডাসের সামনে সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী রুদ্রিক রাব্বী ও জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের কর্মী পলাশের নেতৃত্বে ১০-১৫ জনের একটি দল এ হামলা করেন। 

আহত মুন্না বলেন, আমাকে মারধর করার পর আমার পকেটে থাকা ৫ হাজার ৬০০ টাকা নিয়ে গেছে তারা। আমার মোবাইল আছাড় মেরে ভেঙে ফেলেছে। দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তারা আমাকে মারতে থাকে এবং বলে তুই এখানে আসছিস কেন? তুর এখানে কাজ কী? তুরে মেরে ফেলবো! ইত্যাদি বলে কিল ঘুষি মারতে থাকে আমির হামজা। 

এ বিষয়ে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করা হয়েছে বলে জানান মুন্না। 

অভিযুক্ত আমির হামজার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার ব্যাপারে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এবং ইমেজ ক্ষুণ্ন করার লক্ষ্যে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমি সেদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত টিএসসিতে ছিলাম। ৯টার পর থেকে জয় ভাইয়ের (ছাত্রলীগ সভাপতি) জন্মদিন উপলক্ষে কেক আনা ও অন্যান্য কাজে ব্যস্ত ছিলাম। 

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মেশকাত হোসেন বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। একজন তৃণমূল কর্মী আদর্শিক জায়গা থেকে সম্মেলনে চাইতে পারে। ঢাকায় এসে ছাত্রলীগ সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। এটা তার অধিকার। তাই বলে কি গুন্ডা বাহিনী দিয়ে মারধর করতে হবে? আদর্শিক ছাত্রলীগের এটা কোনো কাজ হতে পারে না। ছাত্রলীগের মধ্যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। 

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সোহান খান বলেন, বর্তমান সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ছাত্রলীগকে পকেট কমিটি বানিয়ে ফেলছে। কারও যেন কথা বলার অধিকার নেই। শোভন-রাব্বানী থেকে কোনো ধরনের শিক্ষা জয়-লেখক নেয়নি। 

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। 

মামলার আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ওসি মওদুত হাওলাদার বলেন, এ রকম একটি অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। বিষয়টি যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতরে তাই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি আমরা তদন্ত করবো এবং আইন অনুযায়ী যথাযথ পদক্ষেপ নেব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‎ডিভোর্সের পরও জোর করে রাতযাপন, বর্তমান স্বামীকে নিয়ে প্রাক্তন স্বামীকে হত্যা ‎

৯ পুলিশ পরিদর্শক বাধ্যতামূলক অবসরে

গণবিক্ষোভ আতঙ্কে মোদি সরকার, ১৯৭৪-পরবর্তী সব আন্দোলন নিয়ে গবেষণার নির্দেশ

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের ‘সন্ত্রাসী খেল’ ফাঁস করে দিলেন জঙ্গিগোষ্ঠী জইশের সদস্য

বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে আসিফ নজরুলের পুরোনো ফেসবুক পোস্ট নতুন করে ভাইরাল করলেন হাসনাত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত