নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি তানভীর রহমানের সঙ্গে নিহত রুনির ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। বুধবার (২১ মে) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই আবেদন করা হয়।
এদিকে, আলোচিত এই হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আবারও পিছিয়েছে। এই নিয়ে ১১৮ বারের মতো তারিখ পিছিয়ে নতুন তারিখ ধার্য করা হয়েছে আগামী ৮ জুলাই। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম এই তারিখ ধার্য করেন। বুধবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য থাকলেও তদন্ত সংস্থা পিবিআই প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত নতুন তারিখ ধার্য করেন।
গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট তদন্তের দায়িত্ব থেকে র্যাবকে সরিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দায়িত্ব দেন। এরপর নতুন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয় এই মামলায়। নতুন তদন্ত সংস্থা বুধবার কোনো প্রতিবেদন দাখিল করেনি। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজিজুল হক, মামলার সন্দেহভাজন আসামি তানভীর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন। আদালত আগামী ৮ জুলাই তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের শেরেবাংলা নগরের সাধারণ নিবন্ধন কার্যালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তদন্ত কর্মকর্তা তানভীরকে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদনে উল্লেখ করেন, তানভীরকে এই মামলায় গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছিল ২০১২ সালের ১০ অক্টোবর। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত আছেন। মামলাটি তদন্তের বৃহত্তর স্বার্থে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা বিশেষ প্রয়োজন।
আবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই মামলার ঘটনায় নিহত মেহেরুন রুনির সঙ্গে তানভীরের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। রুনির বাসায় তাঁর যাতায়াত ছিল। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলাপ হতো। ২০১২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাতটায় পান্থপথের স্কয়ার হাসপাতালের সামনে তাঁরা দেখা করেন। গাড়িতে করে তাঁরা ঘোরাফেরা করেন এবং একান্তে সময় কাটান। ওই দিন দিবাগত রাত দুইটা থেকে ভোর পর্যন্ত যেকোনো সময় সাগর-রুনি খুন হন। এ ঘটনার পরে তানভীর রুনির বাসায় যাননি, জানাজায় শরিক হননি বা রুনির স্বজনদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি। তানভীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসহ মামলার রহস্য উদ্ঘাটনের সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারওয়ার ওরফে সাগর সারওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার ওরফে মেহেরুন রুনি দম্পতি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজ বাসায় খুন হন।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের পর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। শেরেবাংলা নগর থানা-পুলিশ প্রথমে মামলাটি তদন্ত করে। চার দিনে কোনো রহস্য উদ্ঘাটন করতে না পারায় মামলার তদন্ত পরে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসের বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি পুলিশও রহস্য উদ্ঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল র্যাব তদন্তভার গ্রহণ করে। গত ৯ বছরের বেশি সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি কোনো সংস্থা, এমনকি এই হত্যাকাণ্ডের কোনো রহস্যই উদ্ঘাটন করতে পারেনি।
হত্যাকাণ্ডস্থল থেকে উদ্ধার করা আলামত ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য অর্থ ব্যয় করে যুক্তরাষ্ট্রের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। কিন্তু রহস্য উদ্ঘাটনের ফলাফল শূন্যই থাকে। তদন্ত সংস্থা মাঝে মাঝে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে জানায়, রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ চলছে। তদন্ত সংস্থার ওই ধরনের প্রতিবেদনের ভেতরেই মামলার তদন্ত সীমাবদ্ধ রয়েছে।
সরকার পরিবর্তনের পর তদন্ত সংস্থা পরিবর্তন করে পিবিআইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ ছাড়া মামলার বাদী ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগ করেন। তদন্ত সংস্থা পরিবর্তনের পরে সংশ্লিষ্ট অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পিবিআই।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি তানভীর রহমানের সঙ্গে নিহত রুনির ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। বুধবার (২১ মে) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই আবেদন করা হয়।
এদিকে, আলোচিত এই হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আবারও পিছিয়েছে। এই নিয়ে ১১৮ বারের মতো তারিখ পিছিয়ে নতুন তারিখ ধার্য করা হয়েছে আগামী ৮ জুলাই। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম এই তারিখ ধার্য করেন। বুধবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য থাকলেও তদন্ত সংস্থা পিবিআই প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত নতুন তারিখ ধার্য করেন।
গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট তদন্তের দায়িত্ব থেকে র্যাবকে সরিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দায়িত্ব দেন। এরপর নতুন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয় এই মামলায়। নতুন তদন্ত সংস্থা বুধবার কোনো প্রতিবেদন দাখিল করেনি। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজিজুল হক, মামলার সন্দেহভাজন আসামি তানভীর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন। আদালত আগামী ৮ জুলাই তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের শেরেবাংলা নগরের সাধারণ নিবন্ধন কার্যালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তদন্ত কর্মকর্তা তানভীরকে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদনে উল্লেখ করেন, তানভীরকে এই মামলায় গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছিল ২০১২ সালের ১০ অক্টোবর। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত আছেন। মামলাটি তদন্তের বৃহত্তর স্বার্থে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা বিশেষ প্রয়োজন।
আবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই মামলার ঘটনায় নিহত মেহেরুন রুনির সঙ্গে তানভীরের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। রুনির বাসায় তাঁর যাতায়াত ছিল। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলাপ হতো। ২০১২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাতটায় পান্থপথের স্কয়ার হাসপাতালের সামনে তাঁরা দেখা করেন। গাড়িতে করে তাঁরা ঘোরাফেরা করেন এবং একান্তে সময় কাটান। ওই দিন দিবাগত রাত দুইটা থেকে ভোর পর্যন্ত যেকোনো সময় সাগর-রুনি খুন হন। এ ঘটনার পরে তানভীর রুনির বাসায় যাননি, জানাজায় শরিক হননি বা রুনির স্বজনদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি। তানভীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসহ মামলার রহস্য উদ্ঘাটনের সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারওয়ার ওরফে সাগর সারওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার ওরফে মেহেরুন রুনি দম্পতি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজ বাসায় খুন হন।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের পর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। শেরেবাংলা নগর থানা-পুলিশ প্রথমে মামলাটি তদন্ত করে। চার দিনে কোনো রহস্য উদ্ঘাটন করতে না পারায় মামলার তদন্ত পরে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসের বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি পুলিশও রহস্য উদ্ঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল র্যাব তদন্তভার গ্রহণ করে। গত ৯ বছরের বেশি সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি কোনো সংস্থা, এমনকি এই হত্যাকাণ্ডের কোনো রহস্যই উদ্ঘাটন করতে পারেনি।
হত্যাকাণ্ডস্থল থেকে উদ্ধার করা আলামত ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য অর্থ ব্যয় করে যুক্তরাষ্ট্রের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। কিন্তু রহস্য উদ্ঘাটনের ফলাফল শূন্যই থাকে। তদন্ত সংস্থা মাঝে মাঝে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে জানায়, রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ চলছে। তদন্ত সংস্থার ওই ধরনের প্রতিবেদনের ভেতরেই মামলার তদন্ত সীমাবদ্ধ রয়েছে।
সরকার পরিবর্তনের পর তদন্ত সংস্থা পরিবর্তন করে পিবিআইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ ছাড়া মামলার বাদী ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগ করেন। তদন্ত সংস্থা পরিবর্তনের পরে সংশ্লিষ্ট অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পিবিআই।
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার মজলিশপুর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ট্রাকের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। বুধবার (২১ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিবিয়ানা পাওয়ার প্লান্ট সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৮ মিনিট আগেরাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) নকশা অনুমোদনের অনলাইন প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করে জালিয়াত চক্র বিতর্কিত নকশার অনুমোদন নিয়েছে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও নিরাপদ সাইট থেকে ১৭ মিনিটে তারা তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন করিয়ে নেয়। বিষয়টি বুঝতে পেরে মঙ্গলবার দুপুর থেকে অনলাইনে নকশা
৩ ঘণ্টা আগে২০২২ সালের ১০ অক্টোবর উদ্বোধন করা হয় সৌদি আরবের সহায়তায় নির্মিত তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু। কিন্তু উদ্বোধনের আড়াই বছরের মাথায় ৬০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই সেতুর সংযোগ সড়কের পশ্চিম অংশে ধসে যায়। গত শুক্রবার রাতে ভারী বর্ষণের পর এই ঘটনা ঘটে।
৬ ঘণ্টা আগেদিনাজপুরের খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও বাড়েনি প্রয়োজনীয় জনবল ও বাজেট বরাদ্দ। ৩১ শয্যার অনুমোদিত জনবল দিয়েই চলছে ৫০ শয্যার কার্যক্রম। অথচ ৩১ শয্যার পূর্ণাঙ্গ জনবলও এখানে নেই। ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে উপজেলার প্রায় আড়াই লাখ মানুষ।
৬ ঘণ্টা আগে