জাহীদ রেজা নূর, ঢাকা
জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে এখন অনেক মানুষ আসা-যাওয়া করছে। এরই ফাঁকে অনেকেই নিয়ে বসেছেন ব্যবসার পসরা। দেখেই বোঝা যাচ্ছে, জীবনযুদ্ধ যথেষ্ট সংকটে ফেলে দিয়েছে তাঁদের। এমনই একজনের কাছে অনুরোধ করলাম কিছু বলার জন্য। তিনি কানের কাছে এসে বললেন, একটা ছোটখাটো চাকরি করেন, পাশাপাশি এই ব্যবসাটা যে করেন, সে কথা কেউ জানে না। পত্রিকায় ছাপা হলে লোকজন জেনে যাবে, তাতে একটা সংকটে পড়ে যেতে পারেন।
কারও জীবনে সংকট আসুক, সেটা কেউই চায় না। তাই নিরীহ এই মানুষের কাছ থেকে সরে আরেকটু সামনে যেতে হয়। সেখানেই দাঁড়িয়ে ছিলেন আতাউর রহমান, একটা ওজন মাপার যন্ত্র নিয়ে তাঁর কারবার। তিনি এটাকে বলেন ওয়েলকাম মেশিন। ওজন, উচ্চতা মাপা যায়। লকডাউনের সময় বের হননি। এখন আবার কাজ করছেন পুরোদমে। বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কাজ করলে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা থাকে। চোখের সামনে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়, এরপর রাত নামে। চাঁদনি রাত হলে এখানে বেশি মানুষ আসে। প্রেমিক-প্রেমিকারা আসে। আড়ালে দাঁড়িয়ে বা বসে গল্প করে। একদল ছেলে গিটার বাজিয়ে গান করতে থাকে। কেউ কেউ কেডস পায়ে হাঁটে। আতাউর রহমানের খারাপ লাগে না।
‘লকডাউনের সময় সংসার চলেছে কীভাবে?’
‘আমার ছেলেমেয়ে আছে না, তারাই চালাইছে।’
‘কয়জনের সংসার?’
‘আমরা দুইজন আর এক ছেলে চার মেয়ে! ওরা তো কাজকাম করে। ছেলেটার নতুন চাকরি হইছে। মাস্টার। বিয়াও করছে। বাড়িতে ট্যাকাটুকা দেয়।’
‘মেয়েরাও ট্যাকাটুকা দেয়?’
‘দেয়!’
‘তাহলে আপনি কাজ করেন কেন? বাড়িতে আরামসে বসে থাকলেই তো পারেন।’
‘বাড়িতে বইসা থাকলে সময় কাটব কেমনে? আপনি কি বাড়িতে বইসা আছেন? আপনি রাস্তায় নামছেন ক্যা? ভাল্লাগে না বইলাই তো!’
আতাউর রহমান সাহেব নিজে প্রশ্ন করে নিজেই উত্তর দিয়ে দিলেন বলে কেন আমি রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছি, সেটা আর পরিষ্কার করলাম না।
‘কবে থেকে ঢাকায় আপনি?’
‘পাঁচ বছর। পাঁচ বছর আগে নেত্রকোনা থেকে ঢাকায় আসলাম।’
‘নেত্রকোনায় থাকতে পারলেন না?’
‘সেখানে তো কাজ করতে পারতাম না। আমার তো বড় অসুখ হইল। একবার পইড়া গিয়া ব্যথা পাইলাম। তারপর সেই ব্যথা উঠতে লাগল পা থিকা বুক থিকা একেবারে ঘাড় পর্যন্ত। আর তো হালচাষ করতে পারি না। লাঙ্গল হাতে নিলেই সারা শরীর ব্যথা করে। ডাক্তার কইল, ব্যায়াম করতে হইব। দৌড়াইতে হইব। দৌড়াইলে ব্যথা কমব। পোয়া মাইল, আধা মাইল, পৌনে এক মাইল, এক মাইল, এইরকম প্রতিদিন বেশি বেশি দৌড়াইতে কইল। পারি নাই। তাই ঢাকায় চলে আসলাম।’
‘একা একা বসে থাকতে খারাপ লাগে না এখানে?’
‘একা কই? কত মানুষ! অনেকে ঝাঁকে ঝাঁকে আইসা ওজন করায়া লয়। মজা কইরাও মানুষ ওজন করায়।’
‘নেত্রকোনায় যাইতে ইচ্ছা হয় না?’
‘এইখানে তো ভালোই আছি। সবাই কাম করি। বাড়িভাড়া দিই। ভাত খাই। আনন্দ করি। এইখানেই তো ভালো আছি!’
‘আচ্ছা জীবন মানে কী, বলবেন একটু?’
‘জীবন মানে অনেক কষ্ট, আর কষ্টের পর আনন্দ...’
জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে এখন অনেক মানুষ আসা-যাওয়া করছে। এরই ফাঁকে অনেকেই নিয়ে বসেছেন ব্যবসার পসরা। দেখেই বোঝা যাচ্ছে, জীবনযুদ্ধ যথেষ্ট সংকটে ফেলে দিয়েছে তাঁদের। এমনই একজনের কাছে অনুরোধ করলাম কিছু বলার জন্য। তিনি কানের কাছে এসে বললেন, একটা ছোটখাটো চাকরি করেন, পাশাপাশি এই ব্যবসাটা যে করেন, সে কথা কেউ জানে না। পত্রিকায় ছাপা হলে লোকজন জেনে যাবে, তাতে একটা সংকটে পড়ে যেতে পারেন।
কারও জীবনে সংকট আসুক, সেটা কেউই চায় না। তাই নিরীহ এই মানুষের কাছ থেকে সরে আরেকটু সামনে যেতে হয়। সেখানেই দাঁড়িয়ে ছিলেন আতাউর রহমান, একটা ওজন মাপার যন্ত্র নিয়ে তাঁর কারবার। তিনি এটাকে বলেন ওয়েলকাম মেশিন। ওজন, উচ্চতা মাপা যায়। লকডাউনের সময় বের হননি। এখন আবার কাজ করছেন পুরোদমে। বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কাজ করলে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা থাকে। চোখের সামনে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়, এরপর রাত নামে। চাঁদনি রাত হলে এখানে বেশি মানুষ আসে। প্রেমিক-প্রেমিকারা আসে। আড়ালে দাঁড়িয়ে বা বসে গল্প করে। একদল ছেলে গিটার বাজিয়ে গান করতে থাকে। কেউ কেউ কেডস পায়ে হাঁটে। আতাউর রহমানের খারাপ লাগে না।
‘লকডাউনের সময় সংসার চলেছে কীভাবে?’
‘আমার ছেলেমেয়ে আছে না, তারাই চালাইছে।’
‘কয়জনের সংসার?’
‘আমরা দুইজন আর এক ছেলে চার মেয়ে! ওরা তো কাজকাম করে। ছেলেটার নতুন চাকরি হইছে। মাস্টার। বিয়াও করছে। বাড়িতে ট্যাকাটুকা দেয়।’
‘মেয়েরাও ট্যাকাটুকা দেয়?’
‘দেয়!’
‘তাহলে আপনি কাজ করেন কেন? বাড়িতে আরামসে বসে থাকলেই তো পারেন।’
‘বাড়িতে বইসা থাকলে সময় কাটব কেমনে? আপনি কি বাড়িতে বইসা আছেন? আপনি রাস্তায় নামছেন ক্যা? ভাল্লাগে না বইলাই তো!’
আতাউর রহমান সাহেব নিজে প্রশ্ন করে নিজেই উত্তর দিয়ে দিলেন বলে কেন আমি রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছি, সেটা আর পরিষ্কার করলাম না।
‘কবে থেকে ঢাকায় আপনি?’
‘পাঁচ বছর। পাঁচ বছর আগে নেত্রকোনা থেকে ঢাকায় আসলাম।’
‘নেত্রকোনায় থাকতে পারলেন না?’
‘সেখানে তো কাজ করতে পারতাম না। আমার তো বড় অসুখ হইল। একবার পইড়া গিয়া ব্যথা পাইলাম। তারপর সেই ব্যথা উঠতে লাগল পা থিকা বুক থিকা একেবারে ঘাড় পর্যন্ত। আর তো হালচাষ করতে পারি না। লাঙ্গল হাতে নিলেই সারা শরীর ব্যথা করে। ডাক্তার কইল, ব্যায়াম করতে হইব। দৌড়াইতে হইব। দৌড়াইলে ব্যথা কমব। পোয়া মাইল, আধা মাইল, পৌনে এক মাইল, এক মাইল, এইরকম প্রতিদিন বেশি বেশি দৌড়াইতে কইল। পারি নাই। তাই ঢাকায় চলে আসলাম।’
‘একা একা বসে থাকতে খারাপ লাগে না এখানে?’
‘একা কই? কত মানুষ! অনেকে ঝাঁকে ঝাঁকে আইসা ওজন করায়া লয়। মজা কইরাও মানুষ ওজন করায়।’
‘নেত্রকোনায় যাইতে ইচ্ছা হয় না?’
‘এইখানে তো ভালোই আছি। সবাই কাম করি। বাড়িভাড়া দিই। ভাত খাই। আনন্দ করি। এইখানেই তো ভালো আছি!’
‘আচ্ছা জীবন মানে কী, বলবেন একটু?’
‘জীবন মানে অনেক কষ্ট, আর কষ্টের পর আনন্দ...’
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত মওলানা ভাসানী সেতুতে পাঁচ লাখ টাকা মূল্যের ৩১০ মিটার বৈদ্যুতিক তার চুরির পর এবার বেশ কিছু রিফ্লেক্টর লাইট চুরি হয়েছে। তবে কতগুলো লাইট চুরি হয়েছে, তা নির্দিষ্ট করে কেউ বলতে পারেনি।
৬ মিনিট আগেপ্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার পর প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে আনন্দবাজার, কীর্তনখোলা নদীর পাড়, নবনির্মিত নভোথিয়েটার ভবনসহ আশপাশের এলাকায় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা মঞ্জুকে খুঁজে বেড়ালেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। রাত দেড়টার দিকে মঞ্জুর মোটরসাইকেলটি ব্রিজে নিয়ে গিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা।
১০ মিনিট আগেগাজীপুরের টঙ্গীতে তুরাগ নদের ওপর বেইলি ব্রিজ নির্মাণের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন টঙ্গী বাজারের ব্যবসায়ীরা। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় তাঁরা এ মানববন্ধন করেন। এ সময় বিআরটি প্রকল্পের উড়ালসেতুর টঙ্গী বাজার অংশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগেপ্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাতজন যাত্রী নিয়ে ডুমুরিয়া বাজার থেকে খুলনা নগরীর গল্লামারীর উদ্দেশে যাত্রা করছিল একটি ইজিবাইক। খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের জিলেরডাঙ্গা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী একটি পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে ইজিবাইকটির সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ইজিবাইকটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগে