Ajker Patrika

ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঢাবিতে প্রতিবাদ-গণবিক্ষোভ

ঢাবি প্রতিনিধি
ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঢাবিতে প্রতিবাদ-গণবিক্ষোভ

সীমান্তে বিএসএফের নির্বিচার হত্যাকাণ্ড ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও গণবিক্ষোভ করেছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ফোরাম। 

আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। 

বক্তারা সীমান্তে ঘটে যাওয়া স্বর্ণা দাস হত্যার প্রতিবাদ করেন। এছাড়াও সীমান্তে বিএসএফের সকল হত্যার বিচারের দাবি জানান এবং পাশাপাশি বক্তারা সাম্রাজ্যবাদী ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দিল্লি ও ঢাকার জনতাকে একত্রে প্রতিরোধ গড়ে তোলার কথা বলেন। 

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ফোরামের সংগঠক তুহিন খান বলেন, ‘গত দেড় দশকের নিপীড়নের পর নতুন স্বপ্ন দেখানো দেশের স্বাধীনতা যাতে সর্বস্তরের মানুষের হয়। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন বর্ডারে যত না খুন হয়েছে তার চেয়ে বেশি ভারত-বাংলাদেশ বর্ডারে খুন হয়েছে।’ 

তুহিন খান ভারতীয় নাগরিকদের প্রতি আহ্বান রাখেন, তাঁরা যেন খুনি হাসিনাকে তাদের ট্যাক্সের টাকায় না পোষে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সমতাভিত্তিক টেকসই পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়নের দাবি উত্থাপন করার পাশাপাশি সার্ক সক্রিয় করার আহ্বানও জানান তুহিন। 

ঢাবি শিক্ষার্থী নুসরাত তাবাসসুম বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ভেঙে প্রতিবেশীর মতো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। ভারত সরকার যাতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা নিয়ে নাক না গলায়, তাঁরা যেন তাঁদের দেশের আন্দোলন সামলায়। বাংলাদেশ আর ভারতীয় আধিপত্য মানবে না।’ 

প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি রাজু ভাস্কর্য থেকে শহীদ মিনার ও দোয়েল চত্বর হয়ে আবার রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়। 

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন—ফয়সাল আহমেদ, আশরেফা খাতুন, মাইন আহমেদ, ইসরাত জাহান ইমু প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হেফাজতসহ ধর্ম ব্যবসায়ীরা নারীবিদ্বেষী প্রচারণা চালাচ্ছে: ৬৮ মানবাধিকার সংগঠন

মানিকগঞ্জে সালিসে বিএনপি নেতার নির্দেশে পাঁচ ভাইকে জুতাপেটা

রাখাইনে মানবিক করিডর: জান্তার আপত্তিতে সরকারে দ্বিধা

ভারতের ব্ল্যাকআউট মহড়া, সীমান্তে আটার মজুত বাড়াচ্ছে পাকিস্তান, যুদ্ধ কি লেগে যাচ্ছে

মানবিক করিডরে বাংলাদেশের ফায়দা কী

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত