Ajker Patrika

‘যেসব বাড়ির লাইনে কলাগাছ দিয়েছি, তারা পাগল হয়ে গেছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩, ১৭: ১০
‘যেসব বাড়ির লাইনে কলাগাছ দিয়েছি, তারা পাগল হয়ে গেছে’

রাজধানী যেসব বাড়ির সুয়ারেজ লাইনে কলাগাছ ঢোকানো হয়েছে, সেসব বাড়ির মালিকেরা পাগল হয়ে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘যে কয়েকটা বাড়ির সুয়ারেজ লাইনে কলাগাছ ঢুকিয়েছি, তারা এখন পাগল হয়ে গেছে।’

আজ বুধবার পয়োবর্জ্যের লাইন ড্রেনে, খালে বা লেকে দেওয়া বন্ধ করতে অভিযান পরিচালনার সময় ডিএনসিসি মেয়র এসব কথা জানান। অভিযানের অংশ হিসেবে গুলশান ২-এর একটি বাসার সুয়ারেজ পাইপলাইনে কলাগাছ ঢুকিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়।

রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান-বনানী-বারিধারা ও নিকেতনের প্রায় ৮৫ শতাংশ বাড়ির পয়োবর্জ্য সরাসরি লেকে পড়ছে বলে জানিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘অভিজাত চারটি এলাকার ৩ হাজার ৮৩০টি বাড়িতে আমরা জরিপ করেছি। এই বাড়িগুলোর মধ্যে ৩ হাজার ২৬৫টি বাড়ির পয়োবর্জ্য সরাসরি পড়ছে লেকে অথবা ড্রেনে।’ 

অভিযান পরিচালনার আগে অনেক সময় দেওয়া হয়েছে জানিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘বারিধারায় ৫৫০টি বাড়ির মধ্যে ৫ বাড়িতে সঠিক স্যানিটেশন ব্যবস্থা রয়েছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। লেকে মাছ চাষ করা যাচ্ছে না। গুলশান সোসাইটির নবনির্বাচিত কমিটি আমার কাছে এসেছে, তারা সময় চেয়েছে তিন মাস। আমি তাদের ছয় মাস সময় দিয়েছি।’

ওয়াসা বিল নিচ্ছে, সেবা দিচ্ছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ওয়াসাকে বলছি, আপনারা যাচাই করুন, যে বিল নিচ্ছেন সেবা দিচ্ছেন তো? জরিপের ফলাফল আমি অফিশিয়ালি ওয়াসাকে জানাব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

লালমনিরহাটে তুলার গুদামে আগুন

লালমনিরহাট প্রতিনিধি 
তুলার গুদামে আগুন।  ছবি: সংগৃহীত
তুলার গুদামে আগুন। ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় একটি তুলার গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কাকিনা খাদ্যগুদাম এলাকার সালেমা অটোরাইস মিলের ভেতরে থাকা তুলার গোডাউনে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কাকিনা খাদ্যগুদাম এলাকার সালেমা অটোরাইস মিলের ভেতরে থাকা তুলার গুদামে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী শেখ আলী আকবর ও আলমগীর হোসেন বলেন, চোখের সামনে সব পুড়ে ছাই হয়েছে। প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

কালীগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের লিডার সাইফুল ইসলাম জানান, তুলার গুদাম হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। যে কারণে তুলাগুলো রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের ১টি ইউনিট নিরলস চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনায় আশপাশের এলাকাসহ পাশে থাকা মূল খাদ্যগুদামটি রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসিবুজ্জামানের আদালতে জাহাঙ্গীর আলম নামের এক ব্যক্তি নিজে বাদী হয়ে মামলা করেন। তিনি নিজেকে জুলাই যোদ্ধা দাবি করেছেন।

আদালত বাদীর অভিযোগ গ্রহণ করে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীর আইনজীবী ইলতুৎমিশ সওদাগর এ্যানি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে তাঁরা হলেন ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ভেরিফিকেশন কর্মকর্তার ইফতেখার হোসেন, কর্মকর্তা সাইদুর রহমান শাহিদ, সাগর, আফজালুর রহমান সায়েম, ফাতেমা আফরিন পায়েল, আলিফ, জাহিদ, মেহেদী হাসান প্রিন্স, এক্সিকিউটিভ মেম্বার সাবরিনা আফরোজ শ্রাবন্তী ও সোনিয়া আক্তার লুবনা।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। তিনি গত বছরের ১৮ জুলাই কাঁচপুর ব্রিজ এলাকায় পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আক্রমণে গুলিবিদ্ধ হন। জুলাই ফাউন্ডেশন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ও শহীদ পরিবারের সাহায্যে এগিয়ে আসে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ২৭ মে দুপুর ১২টার দিকে বাদী জাহাঙ্গীর আলম জুলাই ফাউন্ডেশনের অফিসে যান। সেখানে গিয়ে তিনি জুলাই ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। অনুদান চেয়ে তিনি কিছু দালিলিক প্রমাণ জমা দেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, পরে আসামিরা জুলাই ফাউন্ডেশনে একটি আলোবিহীন কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে তাঁকে মারধর শুরু করেন। এ সময় এলোপাতাড়িভাবে জিআই পাইপ দিয়ে সজোরে তাঁর মাথা বরাবর আঘাত করা হয়। এতে ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর অজ্ঞান হয়ে যান। দীর্ঘ সময় পর জ্ঞান ফিরে এলে আসামিরা ফের তাঁকে মারধর শুরু করেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, জাহাঙ্গীরকে ভুয়া জুলাই যোদ্ধা—একথা বলার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন তাঁরা। এ সময় তাঁর মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। তাঁর ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট ও ছবি দেখে আবার এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারা হয়। তাঁরা জানতে চান, বিএনপি নেতার সঙ্গে তাঁর ছবি কেন। পরে আসামিরা জোরপূর্বক তাঁর ডান হাতে একটি ইনজেকশন পুশ করেন। এ ছাড়া আসামিরা তাঁকে রাস্তায় অচেতন অবস্থা ফেলে দেন। পরে তিনি নারায়ণগঞ্জ খানপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

উল্লেখ্য, জুলাই যোদ্ধা দাবি করা বুলবুল শিকদার নামের আরেক ব্যক্তিকে নির্যাতনের অভিযোগে তাঁর স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বাদী হয়ে গত ১৪ অক্টোবর জুলাই ফাউন্ডেশনের ১০ কর্মকর্তাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। উক্ত মামলাটি সিআইডিকে তদন্তের দায়িত্ব দেন ঢাকার আরেকটি আদালত। আজকের মামলার আসামিদের মধ্যে অধিকাংশদের ১৪ অক্টোবরের মামলায়ও আসামি করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঝালকাঠিতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৮

ঝালকাঠি, প্রতিনিধি
ঝালকাঠিতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৮

ঝালকাঠিতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক আকার ধারণ করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে জেলায় দুজন মারা গেছে। নতুন আরও সাতজনসহ বর্তমানে জেলা সদর হাসপাতাল ও তিনটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে ২৮ জন রোগী।

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিরা হলেন কাঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের ফরিদ হোসেন (৩০) ও তোকাব আলী (৬২)।

বুধবার রাতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন এবং হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই একজন মারা যান।

ঝালকাঠি জেলার সিভিল সার্জন মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজন মারা গেছেন। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে রাজাপুর উপজেলায়।

তিনি আরও বলেন, এ বছর বর্ষার স্থায়িত্ব বেশি হওয়ায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। শুধু শহর নয়, গ্রামাঞ্চলেও দ্রুত হারে রোগী বাড়ছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের (সিভিল সার্জন কার্যালয়ের) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পাঁচজন, নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন, রাজাপুরে ১৬ জন এবং কাঠালিয়ায় ছয়জনসহ মোট ২৮ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন।

চলতি বছরে এখন পর্যন্ত জেলায় ৬৪৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৬১৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্ত্রী-ছেলেসহ সাবেক মন্ত্রী মায়ার ৮১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। ফাইল ছবি
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, তাঁর স্ত্রী পারভীন চৌধুরী এবং ছেলে রাশেদুল ইসলামের ৮১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এ নির্দেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।

দুদকের আবেদন সূত্রে জানা গেছে, অবরুদ্ধ হওয়া ব্যাংক হিসাবগুলোর মধ্যে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার ১৬টি, তাঁর স্ত্রী পারভীন চৌধুরীর ৩৬টি ও ছেলে রাশেদুল ইসলামের ২৯টি রয়েছে।

দুদকের উপপরিচালক মোজাম্মিল হোসেন তাঁদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, তাঁর স্ত্রী পারভীন চৌধুরী ও ছেলে রাশেদুল ইসলাম বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে নিজেরা ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দখল করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ অনুসন্ধানকালে মায়া, তাঁর স্ত্রী ও ছেলের নামে ৮১ ব্যাংক হিসাবের তথ্য পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের এই সম্পদ হস্তান্তর অথবা স্থানান্তর বা অন্য কোনো পন্থায় মালিকানা পরিবর্তন করে বা হস্তান্তর করে দেশের বাইরে গিয়ে আত্মগোপনের সম্ভাবনা রয়েছে।

তাঁদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলমান অবস্থায় যাতে অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত না হতে পারে, তার পরিপ্রেক্ষিতে উল্লিখিত ব্যাংক হিসাবগুলো অবরুদ্ধ করা একান্ত আবশ্যক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত