ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার তিন ইউনিয়নের অন্তত ২০ গ্রামে ঝড়ে ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেছে অন্তত ১৪টি গ্রামে।
গতকাল বুধবার রাত ১টার দিকে উপজেলার পাচুড়িয়া, বানা ও বুড়াইচ ইউনিয়নে ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়। এতে ঘর-বাড়ি বিধ্বস্তের পাশাপাশি অসংখ্য গাছপালা ভেঙে এবং উপড়ে পড়ে। অনেক জায়গায় সড়কের ওপরে গাছ পড়ে যানবাহন চলাচলে ব্যাহত হয়।
সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০ গ্রামের ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়েছে ঝড়। এর মধ্যে বানা ইউনিয়নের টোনাপাড়া ও কোনাগ্রামসহ পাঁচটি গ্রাম সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ইউনিয়নে প্রায় অর্ধশতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে টোনাপাড়া গ্রামেই ২৫টি বসত ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে বলে ৩ নম্বর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য জাহিদুর রহমান জানিয়েছেন। এ ছাড়া আউশির হাট, গড়ানিয়া, টাবনী, উত্থলী ও শিরগ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বুড়াইচ ইউনিয়নের ৬টি গ্রামে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সোহেল ফকির জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়নে ঘর-বাড়ির তেমন ক্ষতি না হলেও শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে, বিলপুটিয়া, পাকুড়িয়া, বাংলাবাড়িয়া, শিয়ালদি ও জয়দেবপুর।’
অপরদিকে পাচুড়িয়া ইউনিয়নে যুগীবরাট, ভাটপাড়া, চাদড়া, পাচুড়িয়া, দেউলি, চরনারানদিয়া, ধুলজুড়ি, চরভাটপাড়াসহ ৮ গ্রামে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আমিনুর রহমান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ঝড়ে আমার ঘরবাড়ি, ফসলি খেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়াও তিনটি ইউনিয়নে পেঁয়াজ, রসুন, মসুরি, ধনিয়া, ধান, গমসহ চলতি মৌসুমের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।’
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান জাহিদ বলেন, বুধবার রাত ১টার দিকে ঘূর্ণিঝড়ে অন্তত ২০ গ্রামের প্রায় শতাধিক কাচা পাকা বাড়িঘর ও কয়ে কশো গাছপালা উপড়ে যায়। বিস্তীর্ণ জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। অনেকেই ঘর-বাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করা হয়েছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আলফাডাঙ্গা সাব জোনাল অফিসের এ জি এম ফাহিম হাসান বলেন, ঝড়ের ফলে কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুতের তাঁর ছিঁড়ে গেছে। কয়েকটি খুঁটি ভেঙে গেছে, অনেকগুলো আঁকা-বাঁকা হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে কাজ চলছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমীন ইয়াছমীন বলেন, রাতে তিনটি ইউনিয়নে ঝড় হয়েছে। কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এখনো জানা যায়নি।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বাত্মক সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার তিন ইউনিয়নের অন্তত ২০ গ্রামে ঝড়ে ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেছে অন্তত ১৪টি গ্রামে।
গতকাল বুধবার রাত ১টার দিকে উপজেলার পাচুড়িয়া, বানা ও বুড়াইচ ইউনিয়নে ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়। এতে ঘর-বাড়ি বিধ্বস্তের পাশাপাশি অসংখ্য গাছপালা ভেঙে এবং উপড়ে পড়ে। অনেক জায়গায় সড়কের ওপরে গাছ পড়ে যানবাহন চলাচলে ব্যাহত হয়।
সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০ গ্রামের ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়েছে ঝড়। এর মধ্যে বানা ইউনিয়নের টোনাপাড়া ও কোনাগ্রামসহ পাঁচটি গ্রাম সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ইউনিয়নে প্রায় অর্ধশতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে টোনাপাড়া গ্রামেই ২৫টি বসত ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে বলে ৩ নম্বর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য জাহিদুর রহমান জানিয়েছেন। এ ছাড়া আউশির হাট, গড়ানিয়া, টাবনী, উত্থলী ও শিরগ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বুড়াইচ ইউনিয়নের ৬টি গ্রামে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সোহেল ফকির জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়নে ঘর-বাড়ির তেমন ক্ষতি না হলেও শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে, বিলপুটিয়া, পাকুড়িয়া, বাংলাবাড়িয়া, শিয়ালদি ও জয়দেবপুর।’
অপরদিকে পাচুড়িয়া ইউনিয়নে যুগীবরাট, ভাটপাড়া, চাদড়া, পাচুড়িয়া, দেউলি, চরনারানদিয়া, ধুলজুড়ি, চরভাটপাড়াসহ ৮ গ্রামে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আমিনুর রহমান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ঝড়ে আমার ঘরবাড়ি, ফসলি খেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়াও তিনটি ইউনিয়নে পেঁয়াজ, রসুন, মসুরি, ধনিয়া, ধান, গমসহ চলতি মৌসুমের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।’
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান জাহিদ বলেন, বুধবার রাত ১টার দিকে ঘূর্ণিঝড়ে অন্তত ২০ গ্রামের প্রায় শতাধিক কাচা পাকা বাড়িঘর ও কয়ে কশো গাছপালা উপড়ে যায়। বিস্তীর্ণ জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। অনেকেই ঘর-বাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করা হয়েছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আলফাডাঙ্গা সাব জোনাল অফিসের এ জি এম ফাহিম হাসান বলেন, ঝড়ের ফলে কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুতের তাঁর ছিঁড়ে গেছে। কয়েকটি খুঁটি ভেঙে গেছে, অনেকগুলো আঁকা-বাঁকা হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে কাজ চলছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমীন ইয়াছমীন বলেন, রাতে তিনটি ইউনিয়নে ঝড় হয়েছে। কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এখনো জানা যায়নি।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বাত্মক সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।
চুয়াডাঙ্গায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় মো. ইস্রাফিল (৩৯) নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
১২ মিনিট আগেজামালপুরের বকশীগঞ্জে জাতীয় নাগরিক কমিটিতে (এনসিপি) আওয়ামী লীগের দোসরদের পুনর্বাসনের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। আজ ...
১৪ মিনিট আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে গৃহবধূ ফাতেমা আক্তারকে (২৬) পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে শাশুড়ি সাজেদা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
৩৩ মিনিট আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে একটি কমিউনিটি ক্লিনিকে চুরির ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার গভীর রাত থেকে ভোররাতের কোনো একসময় উপজেলার মাওনা দক্ষিণপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে।
৩৪ মিনিট আগে