Ajker Patrika

চীনে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভনে ছাত্রীকে ধর্ষণ, নারীসহ চীনা নাগরিক কারাগারে

উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ আগস্ট ২০২৩, ১০: ২০
চীনে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভনে ছাত্রীকে ধর্ষণ, নারীসহ চীনা নাগরিক কারাগারে

চীনে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে রাজধানীর উত্তরায় এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে নারীসহ এক চীনা নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন চীনা নাগরিক জি সেন ওরফে ড. সেন (৫৮) ও তাঁর সহযোগী হিরা চাকমা (২৫)। 

উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের ১৬ নম্বর সড়কের ৯০ নম্বর বাসা থেকে গতকাল রোববার (২৭ আগস্ট) রাতে মামলার পর তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

গ্রেপ্তারের পর আজ সোমবার (২৮ আগস্ট) তাঁদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পাঠায় উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন চীনের ইয়ানজি সিটির জিলিন প্রদেশের বাসিন্দা জি সেন ওরফে ড. সেন। তিনি উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের ১৬ নম্বর সড়কের ৯০ নম্বর বাসায় থাকতেন। তাঁর সহযোগী হলেন রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সি ব্লকের বিরলাল চাকমার মেয়ে হিরা চাকমা। তিনি তুরাগের ১৮ নম্বর সেক্টরের রূপসা বিল্ডিংয়ে থাকেন। 

ভুক্তভোগীর মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, তিনি একটি সরকারি ডিগ্রি কলেজে ইন্টার প্রথম বর্ষের ছাত্রী। লেখাপড়ার পাশাপাশি একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। ১৫ দিন আগে হিরা চাকমার সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। 

ফেসবুকে কথাবার্তার একপর্যায়ে হিরা চাকমা জানান, চীনা নাগরিক জি সেনের সঙ্গে তাঁর বিষয়ে কথা হয়েছে। সে চাকমা মেয়ে বিয়ে করতে চায়। তখন ভুক্তভোগী ছাত্রীও জানায়, তিনিও চীন যেতে চান। পরে হিরা চাকমার প্রলোভনে গত শুক্রবার (২৫ আগস্ট) চীনা নাগরিকের বাসায় আসেন ভুক্তভোগী। তখন চীনা নাগরিক তাঁকে ধর্ষণ করেন। পরে ভুক্তভোগী ছাত্রী চলে যেতে চাইলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে হিরা চাকমার সঙ্গে থাকতে বলেন জি সেন। পরদিন শনিবার রাতে হিরা চাকমার সহযোগিতায় চীনা নাগরিক ফের ধর্ষণ করেন। 

ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ঘটনার পর আমাকে তারা রোববার (২৭ আগস্ট) উত্তরার একটি কফি শপে নিয়ে যায়। তখন সেখানকার এক নারীকে বিষয়টি জানিয়ে সহযোগিতা চাই। পরে সেখান থেকে পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে এবং তাঁদের আটক করে।’ 

এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নুরুল হক সোমবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চাকমা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলার পরপরই চীনা নাগরিক ও তাঁর সহযোগী চাকমা মেয়েকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে আজ (সোমবার) ভুক্তভোগী ছাত্রীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অপরদিকে আজ সোমবার (২৮ আগস্ট) সকালে গ্রেপ্তারকৃতদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পাঠায় উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত