নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কৃষকদের অধিকার আদায়, সংকট নিরসন ও ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে ঐকমত্য গড়ে তোলার প্রত্যয়সহ ৯ দাবিতে আত্মপ্রকাশ করেছে গণতন্ত্র মঞ্চের ৬ দলের কৃষক-খেতমজুর সংগঠনের জোট ‘কৃষক খেতমজুর গণমঞ্চ’।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আত্মপ্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে মঞ্চের প্রধান সমন্বয়কারী দেওয়ান আব্দুর রশীদ বলেন, ‘বাংলাদেশ তার ইতিহাসের সবচেয়ে সংকটকালীন মুহূর্ত পার করছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের ভোটারবিহীন নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে দেশে প্রায় একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বর্তমান ফ্যাসিবাদী-কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সমস্ত গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়ে একদলীয় শাসনকে ক্রমশ শক্তিশালী করছে। আর একদলীয় ফ্যাসিবাদী শাসনকে দীর্ঘায়িত করতে বর্তমান সরকার দেশের সমস্ত সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে।’
আব্দুর রশীদ আরও বলেন, ‘দেশের সার্বিক এই পরিস্থিতিতে কৃষকদের অবস্থা হয়েছে সবচেয়ে আবহ। বর্তমান সরকারের আমলে কৃষকেরা রাষ্ট্রীয় ও ব্যবস্থাগত শোষণ ও লাঞ্ছনার শিকার। এমনকি চাষের জন্য প্রয়োজনীয় পানি না পেয়ে আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ঘটেছে। দফায় দফায় সারসহ কৃষি উপকরণের দাম বৃদ্ধি, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি ও বাজারে সিন্ডিকেটের দখলদারিত্বের ফলে কৃষক হয়েছেন দিশেহারা।’
মঞ্চের এই সমন্বয়ক বলেন, নানান শিল্পকারখানা, ‘আবাসন প্রকল্পের ভূমি দস্যুতায় কৃষক তার শেষ অবলম্বন ভূমিটুকুও হারিয়ে পরিণত হয়েছেন ভূমিহীন খেতমজুরে। যারা শহরে পাড়ি জমাতে পারেননি তারা ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে হয়েছেন অটো ভ্যান কিংবা অটোরিকশা চালক। করোনা, হাওর অঞ্চল এবং উত্তরবঙ্গের প্লাবনভূমিতে বন্যায় ফসল ভেসে গেলেও রাষ্ট্র কৃষকের পাশে দাঁড়ায়নি।’
খেতমজুরদের প্রসঙ্গে আব্দুর রশীদ বলেন, ‘খেতমজুরদের এখনো সারা বছর কাজের ব্যবস্থা নেই । সরকারের কর্মসৃজন প্রকল্পসমূহের বিশেষ কোনো কার্যকারিতা নেই। ভূমিহীনেরা এখনো খাসজমির অধিকার থেকে বঞ্চিত। গ্রামের গরিবদের জন্য নেওয়া প্রকল্পসমূহে রয়েছে সীমাহীন দুর্নীতি আর দলবাজি। আর গ্রামীণ মজুরদের এখনো শ্রমিক হিসাবে কোনো স্বীকৃতি নেই, গ্রামের গরিবদের জন্য রেশনেরও কোনো ব্যবস্থা নেই।’
ফ্যাসিবাদী-কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতন, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের লক্ষ্যে দেশের কৃষক খেতমজুরের মধ্যে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলা প্রয়োজনীয় উল্লেখ করে ৯ দফা দাবি তুলে ধরেন আব্দুর রশীদ।
আব্দুর রশীদ বলেন, ‘ফসলের লাভজনক দাম দিতে হবে, কৃষি উপকরণের দাম কমাতে হবে; কৃষিবান্ধব কৃষিপণ্য মূল্য কমিশন প্রতিষ্ঠা করতে হবে; কৃষকদের জন্য নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কৃষি কার্ড দিতে হবে; কৃষিঋণ নিয়ে হয়রানি বন্ধ করতে হবে; বন্ধ করা পাটকল ও চিনিকল আধুনিকায়নের মাধ্যমে সরকারিভাবে চালু করাতে হবে।’
আব্দুর রশীদ আরও জানান, জাতীয় কমিশন গঠন করে আমুল ভূমিসংস্কার করতে হবে; নদী-হাওর-বিল-খালের ইজারা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে; খেতমজুর ও গ্রামীণ মজুরদের ১৫০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্প চালু করাতে হবে; কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিদায় করে মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে জবাবদিহিতামূলক স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী কৃষক সংহতির আনসার আলী দুলাল, ভাসানী কৃষক পরিষদের সভাপতি খোরশেদ আলম প্রমুখ।
কৃষকদের অধিকার আদায়, সংকট নিরসন ও ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে ঐকমত্য গড়ে তোলার প্রত্যয়সহ ৯ দাবিতে আত্মপ্রকাশ করেছে গণতন্ত্র মঞ্চের ৬ দলের কৃষক-খেতমজুর সংগঠনের জোট ‘কৃষক খেতমজুর গণমঞ্চ’।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আত্মপ্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে মঞ্চের প্রধান সমন্বয়কারী দেওয়ান আব্দুর রশীদ বলেন, ‘বাংলাদেশ তার ইতিহাসের সবচেয়ে সংকটকালীন মুহূর্ত পার করছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের ভোটারবিহীন নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে দেশে প্রায় একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বর্তমান ফ্যাসিবাদী-কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সমস্ত গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়ে একদলীয় শাসনকে ক্রমশ শক্তিশালী করছে। আর একদলীয় ফ্যাসিবাদী শাসনকে দীর্ঘায়িত করতে বর্তমান সরকার দেশের সমস্ত সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে।’
আব্দুর রশীদ আরও বলেন, ‘দেশের সার্বিক এই পরিস্থিতিতে কৃষকদের অবস্থা হয়েছে সবচেয়ে আবহ। বর্তমান সরকারের আমলে কৃষকেরা রাষ্ট্রীয় ও ব্যবস্থাগত শোষণ ও লাঞ্ছনার শিকার। এমনকি চাষের জন্য প্রয়োজনীয় পানি না পেয়ে আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ঘটেছে। দফায় দফায় সারসহ কৃষি উপকরণের দাম বৃদ্ধি, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি ও বাজারে সিন্ডিকেটের দখলদারিত্বের ফলে কৃষক হয়েছেন দিশেহারা।’
মঞ্চের এই সমন্বয়ক বলেন, নানান শিল্পকারখানা, ‘আবাসন প্রকল্পের ভূমি দস্যুতায় কৃষক তার শেষ অবলম্বন ভূমিটুকুও হারিয়ে পরিণত হয়েছেন ভূমিহীন খেতমজুরে। যারা শহরে পাড়ি জমাতে পারেননি তারা ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে হয়েছেন অটো ভ্যান কিংবা অটোরিকশা চালক। করোনা, হাওর অঞ্চল এবং উত্তরবঙ্গের প্লাবনভূমিতে বন্যায় ফসল ভেসে গেলেও রাষ্ট্র কৃষকের পাশে দাঁড়ায়নি।’
খেতমজুরদের প্রসঙ্গে আব্দুর রশীদ বলেন, ‘খেতমজুরদের এখনো সারা বছর কাজের ব্যবস্থা নেই । সরকারের কর্মসৃজন প্রকল্পসমূহের বিশেষ কোনো কার্যকারিতা নেই। ভূমিহীনেরা এখনো খাসজমির অধিকার থেকে বঞ্চিত। গ্রামের গরিবদের জন্য নেওয়া প্রকল্পসমূহে রয়েছে সীমাহীন দুর্নীতি আর দলবাজি। আর গ্রামীণ মজুরদের এখনো শ্রমিক হিসাবে কোনো স্বীকৃতি নেই, গ্রামের গরিবদের জন্য রেশনেরও কোনো ব্যবস্থা নেই।’
ফ্যাসিবাদী-কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতন, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের লক্ষ্যে দেশের কৃষক খেতমজুরের মধ্যে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলা প্রয়োজনীয় উল্লেখ করে ৯ দফা দাবি তুলে ধরেন আব্দুর রশীদ।
আব্দুর রশীদ বলেন, ‘ফসলের লাভজনক দাম দিতে হবে, কৃষি উপকরণের দাম কমাতে হবে; কৃষিবান্ধব কৃষিপণ্য মূল্য কমিশন প্রতিষ্ঠা করতে হবে; কৃষকদের জন্য নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কৃষি কার্ড দিতে হবে; কৃষিঋণ নিয়ে হয়রানি বন্ধ করতে হবে; বন্ধ করা পাটকল ও চিনিকল আধুনিকায়নের মাধ্যমে সরকারিভাবে চালু করাতে হবে।’
আব্দুর রশীদ আরও জানান, জাতীয় কমিশন গঠন করে আমুল ভূমিসংস্কার করতে হবে; নদী-হাওর-বিল-খালের ইজারা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে; খেতমজুর ও গ্রামীণ মজুরদের ১৫০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্প চালু করাতে হবে; কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিদায় করে মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে জবাবদিহিতামূলক স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী কৃষক সংহতির আনসার আলী দুলাল, ভাসানী কৃষক পরিষদের সভাপতি খোরশেদ আলম প্রমুখ।
দুর্ভাগ্য পিছু ছাড়ছে না এই শিক্ষার্থীর। দুই বছর আগে বাবা মারা যান। শিক্ষকদের সহযোগিতায় কোনোরকমে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বিপত্তি বাধে এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন। গত বৃহস্পতিবার তিনি যখন পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখনই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁর মা। এ অবস্থায় মাকে নিয়ে ছুটতে হয়
৫ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজার শহর থেকে ৬৫ কিলোমিটার এবং কমলগঞ্জের ঘনবসতি এলাকা থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে ভারতের সীমান্ত এলাকায় সুনছড়া চা-বাগান। এর একটি টিলার ওপর টিনের জীর্ণ ঘর। বাইরে হেলে পড়া বাঁশে ঝুলে আছে জাতীয় পতাকা। ছোট্ট কক্ষে বাঁশের বেড়া দিয়ে দুটি কক্ষ তৈরি হয়েছে। ছোট ছোট খুপরি ঘরে চলছে পাঠদান। জীর্ণ ঘরের মত
৫ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাবেক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের নাম ভাঙিয়ে দুটি খাবারের দোকান বসান তাঁর চাচাতো ভাই মোসাদ্দেক হোসেন নয়ন। ২০০৮ সাল থেকে দোকান দুটির ভাড়া বকেয়া ২ কোটি ১১ লাখ টাকা।
৬ ঘণ্টা আগেরংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ১৩ বছর আগে ১০ শয্যার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) চালু করা হয়। এর মধ্যে একটি শয্যা দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট। এখন ৯ শয্যার ইউনিটই পুরো রংপুর বিভাগের দুই কোটির বেশি মানুষের একমাত্র সরকারি আশ্রয়স্থল।
৬ ঘণ্টা আগে