আজকের পত্রিকা ডেস্ক

জনপ্রশাসনে সৃষ্ট উত্তেজনার বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক তাহমিদ আল-মুদাসসির বলেছেন, ‘জনপ্রশাসনের আমলাদের বা সচিবদের মনস্তত্ত্ব হলো দালালির, ছোটলোকির। তারা সারা জীবন ক্ষমতার দালালি করে গেছে। এই দালালি মানসিকতা যদি না ভাঙা যায়, তাহলে কখনোই বাংলাদেশের উন্নতি সম্ভব নয়।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের (সিজিএস) উদ্যোগে ‘জনপ্রশাসন’বিষয়ক আলোচনায় এ মন্তব্য করেছেন তিনি।
তাহমিদ আল মুদাসসির বলেন, ‘ডিসি-সচিবদের ফ্যাসিবাদের দোসর বললে তাঁরা প্রতিউত্তরে বলেন, সরকারের নির্দেশের বাইরে তাঁদের কিছু বলার সুযোগ থাকে না। কিন্তু যখন তাঁদের পদোন্নতি নিয়ে সরকার গঠিত কমিশন কথা বলল, তখন তাঁরা সবাই একজোট হয়ে গেলেন।’
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের সহযোগী আমলাদের শাস্তি নিশ্চিত করে উদাহরণ রাখতে হবে যে, ফ্যাসিবাদকে সহযোগিতা করলে শাস্তি পেতে হয়।’
অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাকাঠামোর ওপরের দিকে যাওয়া-আসার অভিজ্ঞতা থেকে এই ছাত্র সমন্বয়ক বলেন, ‘যাঁরা ফ্যাসিবাদকে সহযোগিতা করেছেন, তাঁদের ভূমিকা নিয়ে এখনো প্রশ্ন আছে। এই সরকারকে এঁরা সাহায্য করছেন না। আমার মনে হয়, এঁরা নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনো সরকারকে সহযোগিতা করবেন না। কারণ তাঁরা জানেন, তাঁদের (আমলাদের) ইনডেমনিটি দেওয়ার ক্ষমতা এই সরকারের নাই। এ জন্য এঁরা নির্বাচিত যে সরকার আসবে তাদের দালালি করবে, দাসত্ব করবে। এই প্রবৃত্তি থেকে আমাদের বের হতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও একহাত নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘পেনশন নিয়ে টান পড়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দলের (আওয়ামী সমর্থক) শিক্ষকেরাও সরকারের বিরুদ্ধে চলে যান। অর্থাৎ, যখন তাঁদের নিজেদের স্বার্থে আঘাত আসে, তখন সরকারের আদেশ মানেন না। কিন্তু নিজেদের স্বার্থ পেলে সরকারের লেজুড়বৃত্তি করতে দ্বিধা করেন না।’
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেছেন, ‘আমাদের জনপ্রশাসনে ঘাটতি আছে। সার্বিকভাবে পুরো সিস্টেম ব্রোকার সিস্টেমে (দালালপ্রথা) আটকে আছে। জুলাই-আগস্টের পর প্রকাশ্য দুর্নীতি কমে গেছে, সেই সঙ্গে কমেছে কাজের গতিও। তিনি বলেন, একটি পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষার ওপর বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে আছে। এর জন্য বড় আঙ্গিকে সংস্কার প্রয়োজন।’
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘ব্রিটিশদের আমলাতন্ত্র সৃষ্টির উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশদের রাজত্ব এখানে স্থায়ী করা। তাদের শাসন-শোষণ পরিচালনার হাতিয়ার হিসেবে প্রশাসনকে ব্যবহার করেছিল। তাদের উত্তরাধিকার এখনো আমরা দেখতে পাই। আমাদের দেশে যে উদ্দেশ্য নিয়ে জনপ্রশাসন তৈরি করা হয়েছে, তা এখনো পূরণ করতে পারেনি। জনপ্রশাসন জনগণের জন্য কাজ করবে। ২০০৭-০৮-এ যদি সংস্কার করা হতো, তাহলে আজকে আমাদের এই অবস্থা হতো না।’
সচিবালয়ে কর্মকর্তারা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে যে সোচ্চার হচ্ছেন, এগুলো কি জনগণের স্বার্থে, নাকি তাঁদের ব্যক্তিস্বার্থে—এমন প্রশ্ন তুলে বদিউল আলম বলেন, ‘মনে হচ্ছে ২০০৭-০৮ সালের সিনড্রোমে ফিরে যাচ্ছি। তখন সংস্কারের অনেক মুলো আমাদের সামনে উপস্থাপন হয়েছিল। পরে ‘সংস্কার’ ইস্যুটা গালি হিসেবে অবিহিত হয়েছে।’
সাবেক সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ বলেন, ‘জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণ করা যাবে না। প্রশাসনে এখনো দালালির স্বভাব আছে। সংস্কারগুলো রাজনৈতিক দলগুলোকে জানাতে, এসব বিষয় তাদের নির্বাচন ইশতেহারে থাকতে হবে, যাতে জনগণ জানতে পারে।
সাবেক সচিব এ কে এম আব্দুল আওয়াল মজুমদার বলেন, স্বাধীনতার পরপরই প্রশাসনে পচন শুরু হয়। ‘তোফায়েল’ ক্যাডারের মাধ্যমে প্রশাসনের কবর রচিত হয়, সেখান থেকে এখনো বের হওয়া যায়নি। জিয়াউর রহমানের সময় একটু ভালো চেষ্টা ছিল, কিন্তু এরশাদের সময় তা আবার নষ্ট করে দেয়।
সাবেক সচিব ও অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খান বলেন, প্রশাসনে এখনো ভালো মানুষ আছে, সবাই খারাপ না। এই দেশের আমলারাও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে।’
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন বলেন, ‘প্রশাসনে কাজ করতে গিয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সমন্বয়হীনতার চিত্র দেখি। এ ক্ষেত্রে কার্যকর উদ্যোগ দেখতে চাই। দুর্নীতিগ্রস্ত লোকদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে এবং সরকারকে ব্যবসা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন সিজিএসের চেয়ার মনিরা খান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এবং সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, সাবেক বাংলাদেশ রাইফেলসের মহাপরিদর্শক মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান, নৈতিক সমাজ বাংলাদেশের সংগঠক মেজর জেনারেল (অব.) আমসা আমিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র সহকারী সম্পাদক মাহবুব কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ইফফাহ আসসারিরাহ।

জনপ্রশাসনে সৃষ্ট উত্তেজনার বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক তাহমিদ আল-মুদাসসির বলেছেন, ‘জনপ্রশাসনের আমলাদের বা সচিবদের মনস্তত্ত্ব হলো দালালির, ছোটলোকির। তারা সারা জীবন ক্ষমতার দালালি করে গেছে। এই দালালি মানসিকতা যদি না ভাঙা যায়, তাহলে কখনোই বাংলাদেশের উন্নতি সম্ভব নয়।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের (সিজিএস) উদ্যোগে ‘জনপ্রশাসন’বিষয়ক আলোচনায় এ মন্তব্য করেছেন তিনি।
তাহমিদ আল মুদাসসির বলেন, ‘ডিসি-সচিবদের ফ্যাসিবাদের দোসর বললে তাঁরা প্রতিউত্তরে বলেন, সরকারের নির্দেশের বাইরে তাঁদের কিছু বলার সুযোগ থাকে না। কিন্তু যখন তাঁদের পদোন্নতি নিয়ে সরকার গঠিত কমিশন কথা বলল, তখন তাঁরা সবাই একজোট হয়ে গেলেন।’
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের সহযোগী আমলাদের শাস্তি নিশ্চিত করে উদাহরণ রাখতে হবে যে, ফ্যাসিবাদকে সহযোগিতা করলে শাস্তি পেতে হয়।’
অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাকাঠামোর ওপরের দিকে যাওয়া-আসার অভিজ্ঞতা থেকে এই ছাত্র সমন্বয়ক বলেন, ‘যাঁরা ফ্যাসিবাদকে সহযোগিতা করেছেন, তাঁদের ভূমিকা নিয়ে এখনো প্রশ্ন আছে। এই সরকারকে এঁরা সাহায্য করছেন না। আমার মনে হয়, এঁরা নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনো সরকারকে সহযোগিতা করবেন না। কারণ তাঁরা জানেন, তাঁদের (আমলাদের) ইনডেমনিটি দেওয়ার ক্ষমতা এই সরকারের নাই। এ জন্য এঁরা নির্বাচিত যে সরকার আসবে তাদের দালালি করবে, দাসত্ব করবে। এই প্রবৃত্তি থেকে আমাদের বের হতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও একহাত নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘পেনশন নিয়ে টান পড়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দলের (আওয়ামী সমর্থক) শিক্ষকেরাও সরকারের বিরুদ্ধে চলে যান। অর্থাৎ, যখন তাঁদের নিজেদের স্বার্থে আঘাত আসে, তখন সরকারের আদেশ মানেন না। কিন্তু নিজেদের স্বার্থ পেলে সরকারের লেজুড়বৃত্তি করতে দ্বিধা করেন না।’
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেছেন, ‘আমাদের জনপ্রশাসনে ঘাটতি আছে। সার্বিকভাবে পুরো সিস্টেম ব্রোকার সিস্টেমে (দালালপ্রথা) আটকে আছে। জুলাই-আগস্টের পর প্রকাশ্য দুর্নীতি কমে গেছে, সেই সঙ্গে কমেছে কাজের গতিও। তিনি বলেন, একটি পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষার ওপর বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে আছে। এর জন্য বড় আঙ্গিকে সংস্কার প্রয়োজন।’
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘ব্রিটিশদের আমলাতন্ত্র সৃষ্টির উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশদের রাজত্ব এখানে স্থায়ী করা। তাদের শাসন-শোষণ পরিচালনার হাতিয়ার হিসেবে প্রশাসনকে ব্যবহার করেছিল। তাদের উত্তরাধিকার এখনো আমরা দেখতে পাই। আমাদের দেশে যে উদ্দেশ্য নিয়ে জনপ্রশাসন তৈরি করা হয়েছে, তা এখনো পূরণ করতে পারেনি। জনপ্রশাসন জনগণের জন্য কাজ করবে। ২০০৭-০৮-এ যদি সংস্কার করা হতো, তাহলে আজকে আমাদের এই অবস্থা হতো না।’
সচিবালয়ে কর্মকর্তারা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে যে সোচ্চার হচ্ছেন, এগুলো কি জনগণের স্বার্থে, নাকি তাঁদের ব্যক্তিস্বার্থে—এমন প্রশ্ন তুলে বদিউল আলম বলেন, ‘মনে হচ্ছে ২০০৭-০৮ সালের সিনড্রোমে ফিরে যাচ্ছি। তখন সংস্কারের অনেক মুলো আমাদের সামনে উপস্থাপন হয়েছিল। পরে ‘সংস্কার’ ইস্যুটা গালি হিসেবে অবিহিত হয়েছে।’
সাবেক সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ বলেন, ‘জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণ করা যাবে না। প্রশাসনে এখনো দালালির স্বভাব আছে। সংস্কারগুলো রাজনৈতিক দলগুলোকে জানাতে, এসব বিষয় তাদের নির্বাচন ইশতেহারে থাকতে হবে, যাতে জনগণ জানতে পারে।
সাবেক সচিব এ কে এম আব্দুল আওয়াল মজুমদার বলেন, স্বাধীনতার পরপরই প্রশাসনে পচন শুরু হয়। ‘তোফায়েল’ ক্যাডারের মাধ্যমে প্রশাসনের কবর রচিত হয়, সেখান থেকে এখনো বের হওয়া যায়নি। জিয়াউর রহমানের সময় একটু ভালো চেষ্টা ছিল, কিন্তু এরশাদের সময় তা আবার নষ্ট করে দেয়।
সাবেক সচিব ও অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খান বলেন, প্রশাসনে এখনো ভালো মানুষ আছে, সবাই খারাপ না। এই দেশের আমলারাও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে।’
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন বলেন, ‘প্রশাসনে কাজ করতে গিয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সমন্বয়হীনতার চিত্র দেখি। এ ক্ষেত্রে কার্যকর উদ্যোগ দেখতে চাই। দুর্নীতিগ্রস্ত লোকদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে এবং সরকারকে ব্যবসা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন সিজিএসের চেয়ার মনিরা খান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এবং সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, সাবেক বাংলাদেশ রাইফেলসের মহাপরিদর্শক মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান, নৈতিক সমাজ বাংলাদেশের সংগঠক মেজর জেনারেল (অব.) আমসা আমিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র সহকারী সম্পাদক মাহবুব কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ইফফাহ আসসারিরাহ।

রাজধানীতে সারা দিন ধরে একের পর এক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত সাত এলাকায় ১২টি ককটেল বিস্ফোরণ ও বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। যদিও এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ হতাহত হয়নি।
৩০ মিনিট আগে
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর বড় ছেলে ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে থানায় দুটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। সোমবার (১০) দুপুরে অভিযোগ দুটি করেন গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহনশ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও গাজীপুর জেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মিনার উদ্দিন ও কালিয়াকৈর
৩৫ মিনিট আগে
ফটিকছড়ি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ কাটতে বাধা দেওয়ায় বন বিভাগের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
৩৯ মিনিট আগে
বাগেরহাট জেলার সংসদীয় আসন চারটি বহাল রাখার আদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। আসন ফিরে পাওয়ায় সোমবার বাগেরহাটের বিভিন্ন স্থানে মিছিল করেছে বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীতে সারা দিন ধরে একের পর এক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত সাত এলাকায় ১২টি ককটেল বিস্ফোরণ ও বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। যদিও এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ হতাহত হয়নি।
আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরের পাশে শাহ আলী মার্কেটের সামনে পরপর তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। একই সময়ে খিলগাঁও ফ্লাইওভারের ওপরও একটি ককটেল বিস্ফোরণের খবর দিয়েছে পুলিশ।
মিরপুর মডেল থানার কর্মকর্তারা জানান, ফুটওভার ব্রিজের ওপর থেকে কেউ ককটেল নিক্ষেপ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
এর এক ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার শিহাব সরকার বলেন, খবর পেয়ে মোহাম্মদপুর স্টেশন থেকে একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ধানমন্ডি বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান জানান, আগুন লাগার সময় বাসে কয়েকজন শিক্ষার্থী ছিলেন, তবে তাঁরা সবাই নিরাপদে নেমে আসতে সক্ষম হন। কেউ হতাহত হননি।
এর আগে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর চারটি স্থানে সাতটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে মিরপুরের গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে একটি, মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডে ‘প্রবর্তনা’র সামনে ও ভেতরে দুটি, ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারের সামনে দুটি এবং ধানমন্ডি ৯/এ এলাকার ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনে আরও দুটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়।
মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংক ভবনের অভ্যর্থনা কেন্দ্রের সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। প্রথমটি গতকাল রোববার দিবাগত রাত ২টা ২৬ মিনিটে এবং অপরটি ভোররাত ৩টা ৫৫ মিনিটে বিস্ফোরিত হয়। দুটি ককটেল অভ্যর্থনা কেন্দ্রের সামনে বিস্ফোরিত হয়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ভবনেরও কোনো ক্ষতি হয়।

আজ সরেজমিনে দেখা যায়, ককটেল বিস্ফোরণের পর গ্রামীণ ব্যাংক ভবনের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ভবনের সামনের ফুটপাতে ও প্রধান ফটকের সামনে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকতেই দেখা যায় তিনজন নিরাপত্তাকর্মী ও একজন কর্মকর্তা বসে আছেন। সামনেই অভ্যর্থনাকক্ষ। কাচের দরজার অভ্যর্থনাকক্ষের প্রবেশের মুখে লালচে ককটেল বিস্ফোরণের দাগ ও বিস্ফোরিত অংশ পড়ে ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সেসব নিয়ে গেছে।
ঘটনার বিষয়ে গ্রামীণ ভবনের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা আল হেলাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাত ২টা ২৬ মিনিটে প্রথম বিস্ফোরণ হয়। এরপর ভোররাত ৩টা ৫৫ মিনিটে দ্বিতীয় ককটেল হামলার ঘটনা হয়।

সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, হামলাকারীরা দুটি মোটরসাইকেলে করে মিরপুর ১০ নম্বরের দিক থেকে আসে, এরপর ভবনের সামনে মোটরবাইক থামিয়ে পেছনে বসা হেলমেট পরা ব্যক্তি সীমানাপ্রাচীরের ভেতরে ককটেল ছুড়ে মেরে মিরপুর-১ নম্বরের দিকে পালিয়ে যান। এরপর আরও একটি মোটরসাইকেলে করে প্রায় এক ঘণ্টা পর আরও দুজন একই কায়দায় এসে ককটেল ছুড়ে চলে যান। তবে তাঁদের মুখ দেখা যায়নি। ঘটনার পর আলামত ও সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ নিয়েছে পুলিশ।
মিরপুর মডেল থানার ফটক থেকে আনুমানিক এক শ গজ দূরে গ্রামীণ ভবনের ফটক। থানা ফটকে ও গ্রামীণ ব্যাংক ভবনের সামনে সব সময় পুলিশের পাহারা থাকে। এর মধ্যেই এই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিরাপদে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
একটি হামলার দেড় ঘণ্টা পর আরেকটি হামলার ঘটনা ঘটলেও পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীরা কাউকে আটকাতে পারেনি। এ বিষয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার সারোয়ার হোসেন বলেন, মোটরবাইকে করে এসে হামলা চালিয়ে তারা দ্রুত চলে যায়। তখন গভীর রাত ছিল, কত মোটরবাইক যায়, কোনগুলোকে আটকাবে।
ঘটনাস্থলে দেখা গেছে, বিস্ফোরিত ককটেলের ভেতরের পেরেক, কাচের টুকরা, জর্দার কৌটা ও স্কচটেপ পড়ে রয়েছে।
পুলিশের মিরপুর বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, মোটরসাইকেলে এসে দুজন ব্যক্তি এই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে গেছেন। তাঁদের মাথায় হেলমেট ছিল। চেহারা বোঝা যায়নি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দুজনকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
গ্রামীণ ব্যাংক ভবনে হামলার পর সকাল ৭টার দিকে মোহাম্মদপুরের সৈয়দ স্যার সড়কের ৬/৮ ভবনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবং কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহারের খাদ্যপণ্যের প্রতিষ্ঠান প্রবর্তনা ও বীজবিস্তার ফাউন্ডেশনের সামনের সড়কে ও সীমানার ভেতরে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়।

দুজন হেলমেট পরে মোটরসাইকেলে এসে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান বলে জানিয়েছেন প্রবর্তনার নিরাপত্তাকর্মী মো. মোস্তফা।
নিরাপত্তাকর্মী মোস্তফা বলেন, ভোর সাড়ে ৬টার দিকে বান্দরবান থেকে তাঁদের দুটি বস্তায় জিনিসপত্র আসে। সেগুলো তিনি ভেতরে ঢোকানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় একটি মোটরবাইকে দুজন এসে ভবনের সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়ান। পরে তাঁরা পশ্চিম দিকে চলে যান। কিছুক্ষণ পর আবার ঘুরে আসেন। একজন বাইক থেকে নামেন, প্রথমে একটি ককটেল মারেন, সেটি সীমানাপ্রাচীর থেকে উড়ে একটি পিকআপ ভ্যানের ওপর পড়ে। এরপর আরও একটি নিক্ষেপ করলে সেটি ফুটপাতে বিস্ফোরিত হয়। এ সময় ওই ভবনে থাকা চারজন পুলিশ সদস্য বাইরে বের হন। তাঁরা বের হওয়ার আগেই বাইক নিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তাদের মোটরবাইকের নম্বরপ্লেট কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। সিসি ক্যামেরা থাকলেও তাদের হেলমেটের কারণে চেহারা দেখা যায়নি।
প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, এর আগেও একবার পেট্রলবোমা হামলা হয়েছিল। তখন আগুন ধরে যায় ভবনের উত্তর পাশে। এরপর ভবনের নিরাপত্তা জোরদার করতে সব সময় পুলিশ রাখা হয়। এর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইবনে মিজান বলেন, প্রবর্তনার সামনের সড়ক ও ভবনের ভেতরে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে কেউ আহত হয়নি।
এ ছাড়া ভোরে শাহজাদপুরে ভিক্টর পরিবহনের একটি বাস এবং সকাল সোয়া ৬টার দিকে মেরুল বাড্ডায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কাছে আকাশ পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনাও ঘটে।

রাজধানীতে সারা দিন ধরে একের পর এক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত সাত এলাকায় ১২টি ককটেল বিস্ফোরণ ও বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। যদিও এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ হতাহত হয়নি।
আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরের পাশে শাহ আলী মার্কেটের সামনে পরপর তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। একই সময়ে খিলগাঁও ফ্লাইওভারের ওপরও একটি ককটেল বিস্ফোরণের খবর দিয়েছে পুলিশ।
মিরপুর মডেল থানার কর্মকর্তারা জানান, ফুটওভার ব্রিজের ওপর থেকে কেউ ককটেল নিক্ষেপ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
এর এক ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার শিহাব সরকার বলেন, খবর পেয়ে মোহাম্মদপুর স্টেশন থেকে একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ধানমন্ডি বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান জানান, আগুন লাগার সময় বাসে কয়েকজন শিক্ষার্থী ছিলেন, তবে তাঁরা সবাই নিরাপদে নেমে আসতে সক্ষম হন। কেউ হতাহত হননি।
এর আগে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর চারটি স্থানে সাতটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে মিরপুরের গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে একটি, মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডে ‘প্রবর্তনা’র সামনে ও ভেতরে দুটি, ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারের সামনে দুটি এবং ধানমন্ডি ৯/এ এলাকার ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনে আরও দুটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়।
মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংক ভবনের অভ্যর্থনা কেন্দ্রের সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। প্রথমটি গতকাল রোববার দিবাগত রাত ২টা ২৬ মিনিটে এবং অপরটি ভোররাত ৩টা ৫৫ মিনিটে বিস্ফোরিত হয়। দুটি ককটেল অভ্যর্থনা কেন্দ্রের সামনে বিস্ফোরিত হয়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ভবনেরও কোনো ক্ষতি হয়।

আজ সরেজমিনে দেখা যায়, ককটেল বিস্ফোরণের পর গ্রামীণ ব্যাংক ভবনের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ভবনের সামনের ফুটপাতে ও প্রধান ফটকের সামনে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকতেই দেখা যায় তিনজন নিরাপত্তাকর্মী ও একজন কর্মকর্তা বসে আছেন। সামনেই অভ্যর্থনাকক্ষ। কাচের দরজার অভ্যর্থনাকক্ষের প্রবেশের মুখে লালচে ককটেল বিস্ফোরণের দাগ ও বিস্ফোরিত অংশ পড়ে ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সেসব নিয়ে গেছে।
ঘটনার বিষয়ে গ্রামীণ ভবনের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা আল হেলাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাত ২টা ২৬ মিনিটে প্রথম বিস্ফোরণ হয়। এরপর ভোররাত ৩টা ৫৫ মিনিটে দ্বিতীয় ককটেল হামলার ঘটনা হয়।

সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, হামলাকারীরা দুটি মোটরসাইকেলে করে মিরপুর ১০ নম্বরের দিক থেকে আসে, এরপর ভবনের সামনে মোটরবাইক থামিয়ে পেছনে বসা হেলমেট পরা ব্যক্তি সীমানাপ্রাচীরের ভেতরে ককটেল ছুড়ে মেরে মিরপুর-১ নম্বরের দিকে পালিয়ে যান। এরপর আরও একটি মোটরসাইকেলে করে প্রায় এক ঘণ্টা পর আরও দুজন একই কায়দায় এসে ককটেল ছুড়ে চলে যান। তবে তাঁদের মুখ দেখা যায়নি। ঘটনার পর আলামত ও সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ নিয়েছে পুলিশ।
মিরপুর মডেল থানার ফটক থেকে আনুমানিক এক শ গজ দূরে গ্রামীণ ভবনের ফটক। থানা ফটকে ও গ্রামীণ ব্যাংক ভবনের সামনে সব সময় পুলিশের পাহারা থাকে। এর মধ্যেই এই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিরাপদে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
একটি হামলার দেড় ঘণ্টা পর আরেকটি হামলার ঘটনা ঘটলেও পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীরা কাউকে আটকাতে পারেনি। এ বিষয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার সারোয়ার হোসেন বলেন, মোটরবাইকে করে এসে হামলা চালিয়ে তারা দ্রুত চলে যায়। তখন গভীর রাত ছিল, কত মোটরবাইক যায়, কোনগুলোকে আটকাবে।
ঘটনাস্থলে দেখা গেছে, বিস্ফোরিত ককটেলের ভেতরের পেরেক, কাচের টুকরা, জর্দার কৌটা ও স্কচটেপ পড়ে রয়েছে।
পুলিশের মিরপুর বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, মোটরসাইকেলে এসে দুজন ব্যক্তি এই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে গেছেন। তাঁদের মাথায় হেলমেট ছিল। চেহারা বোঝা যায়নি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দুজনকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
গ্রামীণ ব্যাংক ভবনে হামলার পর সকাল ৭টার দিকে মোহাম্মদপুরের সৈয়দ স্যার সড়কের ৬/৮ ভবনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবং কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহারের খাদ্যপণ্যের প্রতিষ্ঠান প্রবর্তনা ও বীজবিস্তার ফাউন্ডেশনের সামনের সড়কে ও সীমানার ভেতরে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়।

দুজন হেলমেট পরে মোটরসাইকেলে এসে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান বলে জানিয়েছেন প্রবর্তনার নিরাপত্তাকর্মী মো. মোস্তফা।
নিরাপত্তাকর্মী মোস্তফা বলেন, ভোর সাড়ে ৬টার দিকে বান্দরবান থেকে তাঁদের দুটি বস্তায় জিনিসপত্র আসে। সেগুলো তিনি ভেতরে ঢোকানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় একটি মোটরবাইকে দুজন এসে ভবনের সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়ান। পরে তাঁরা পশ্চিম দিকে চলে যান। কিছুক্ষণ পর আবার ঘুরে আসেন। একজন বাইক থেকে নামেন, প্রথমে একটি ককটেল মারেন, সেটি সীমানাপ্রাচীর থেকে উড়ে একটি পিকআপ ভ্যানের ওপর পড়ে। এরপর আরও একটি নিক্ষেপ করলে সেটি ফুটপাতে বিস্ফোরিত হয়। এ সময় ওই ভবনে থাকা চারজন পুলিশ সদস্য বাইরে বের হন। তাঁরা বের হওয়ার আগেই বাইক নিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তাদের মোটরবাইকের নম্বরপ্লেট কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। সিসি ক্যামেরা থাকলেও তাদের হেলমেটের কারণে চেহারা দেখা যায়নি।
প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, এর আগেও একবার পেট্রলবোমা হামলা হয়েছিল। তখন আগুন ধরে যায় ভবনের উত্তর পাশে। এরপর ভবনের নিরাপত্তা জোরদার করতে সব সময় পুলিশ রাখা হয়। এর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইবনে মিজান বলেন, প্রবর্তনার সামনের সড়ক ও ভবনের ভেতরে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে কেউ আহত হয়নি।
এ ছাড়া ভোরে শাহজাদপুরে ভিক্টর পরিবহনের একটি বাস এবং সকাল সোয়া ৬টার দিকে মেরুল বাড্ডায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কাছে আকাশ পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনাও ঘটে।

জনপ্রশাসনে সৃষ্ট উত্তেজনার বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক তাহমিদ আল-মুদাসসির বলেছেন, ‘জনপ্রশাসনের আমলাদের বা সচিবদের মনস্তত্ত্ব হলো দালালির, ছোটলোকির। তারা সারা জীবন ক্ষমতার দালালি করে গেছে, এই দালালি মানসিকতা যদি না ভাঙা যায় তাহলে কখনোই বাংলাদেশের উন্নতি সম্ভব নয়।’
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর বড় ছেলে ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে থানায় দুটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। সোমবার (১০) দুপুরে অভিযোগ দুটি করেন গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহনশ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও গাজীপুর জেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মিনার উদ্দিন ও কালিয়াকৈর
৩৫ মিনিট আগে
ফটিকছড়ি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ কাটতে বাধা দেওয়ায় বন বিভাগের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
৩৯ মিনিট আগে
বাগেরহাট জেলার সংসদীয় আসন চারটি বহাল রাখার আদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। আসন ফিরে পাওয়ায় সোমবার বাগেরহাটের বিভিন্ন স্থানে মিছিল করেছে বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর বড় ছেলে ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে থানায় দুটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
সোমবার (১০) দুপুরে অভিযোগ দুটি করেন গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহনশ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও গাজীপুর জেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মিনার উদ্দিন ও কালিয়াকৈর পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি এ কে আজাদ।
অভিযোগে বলা হয়েছে, চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকী দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে অশালীন, কুরুচিপূর্ণ, বিভ্রান্তিমূলক ও রাষ্ট্রবিরোধী মন্তব্য প্রচার করে আসছেন। এসব বক্তব্য তিনি নিজের ফেসবুক আইডি ও বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এর আগেও তাঁর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় একাধিক মামলা করা হয়েছে এবং সেসব মামলায় তিনি কারাবরণ করেছেন। ৭ নভেম্বর তিনি তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে প্রকাশিত এক বক্তব্যে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহনশ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির শ্রমবিষয়ক সহসম্পাদক হুমায়ুন কবির খান বলেন, ‘চৌধুরী ইরাদ সিদ্দিকী দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে নানা আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। তিনি নির্বাচনী প্রক্রিয়া বানচাল করার চেষ্টা করছেন।’
গাজীপুর-১ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা তাঁর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই। তিন বছর ধরে তাঁর সঙ্গে আমাদের কোনো পারিবারিক যোগাযোগ নেই। তিনি কিছুটা মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন, যা এলাকাবাসী জানেন। প্রতিপক্ষরা পরিকল্পিতভাবে তাঁকে উসকানি দিচ্ছে।’
কালিয়াকৈর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওয়ালিদুর রহমান বলেন, ‘চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে দুটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়গুলো তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর বড় ছেলে ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে থানায় দুটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
সোমবার (১০) দুপুরে অভিযোগ দুটি করেন গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহনশ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও গাজীপুর জেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মিনার উদ্দিন ও কালিয়াকৈর পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি এ কে আজাদ।
অভিযোগে বলা হয়েছে, চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকী দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে অশালীন, কুরুচিপূর্ণ, বিভ্রান্তিমূলক ও রাষ্ট্রবিরোধী মন্তব্য প্রচার করে আসছেন। এসব বক্তব্য তিনি নিজের ফেসবুক আইডি ও বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এর আগেও তাঁর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় একাধিক মামলা করা হয়েছে এবং সেসব মামলায় তিনি কারাবরণ করেছেন। ৭ নভেম্বর তিনি তাঁর ফেসবুক আইডি থেকে প্রকাশিত এক বক্তব্যে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহনশ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির শ্রমবিষয়ক সহসম্পাদক হুমায়ুন কবির খান বলেন, ‘চৌধুরী ইরাদ সিদ্দিকী দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে নানা আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। তিনি নির্বাচনী প্রক্রিয়া বানচাল করার চেষ্টা করছেন।’
গাজীপুর-১ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা তাঁর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই। তিন বছর ধরে তাঁর সঙ্গে আমাদের কোনো পারিবারিক যোগাযোগ নেই। তিনি কিছুটা মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন, যা এলাকাবাসী জানেন। প্রতিপক্ষরা পরিকল্পিতভাবে তাঁকে উসকানি দিচ্ছে।’
কালিয়াকৈর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওয়ালিদুর রহমান বলেন, ‘চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে দুটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়গুলো তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জনপ্রশাসনে সৃষ্ট উত্তেজনার বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক তাহমিদ আল-মুদাসসির বলেছেন, ‘জনপ্রশাসনের আমলাদের বা সচিবদের মনস্তত্ত্ব হলো দালালির, ছোটলোকির। তারা সারা জীবন ক্ষমতার দালালি করে গেছে, এই দালালি মানসিকতা যদি না ভাঙা যায় তাহলে কখনোই বাংলাদেশের উন্নতি সম্ভব নয়।’
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
রাজধানীতে সারা দিন ধরে একের পর এক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত সাত এলাকায় ১২টি ককটেল বিস্ফোরণ ও বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। যদিও এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ হতাহত হয়নি।
৩০ মিনিট আগে
ফটিকছড়ি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ কাটতে বাধা দেওয়ায় বন বিভাগের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
৩৯ মিনিট আগে
বাগেরহাট জেলার সংসদীয় আসন চারটি বহাল রাখার আদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। আসন ফিরে পাওয়ায় সোমবার বাগেরহাটের বিভিন্ন স্থানে মিছিল করেছে বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।
১ ঘণ্টা আগেফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ কাটতে বাধা দেওয়ায় বন বিভাগের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ সোমবার ভোরে উপজেলার হাসনাবাদ বিটের করলিয়া বড়টিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা শিফাত আল রাব্বানী, বাগানমালি মো. সোহেল, স্থানীয় যুবক এমদাদ প্রমুখ।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সৃজিত সংরক্ষিত আকাশমণিগাছ কেটে পাচারের চেষ্টা করছিল সংঘবদ্ধ গাছ চোরদের একটি দল। খবর পেয়ে শিফাতের নেতৃত্বে বনপ্রহরীরা ঘটনাস্থলে গেলে গাছ চোরেরা পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় করিম নামের একজনকে আটক করা হলে পথে তাঁর সহযোগীরা হামলা চালিয়ে তাঁকে ছিনিয়ে নেন।
বন বিভাগ জানিয়েছে, হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁরা হলেন পেলারখিল এলাকার আলমগীর, শাহজাহান ও আবছার; করালিয়া এলাকার আবিদ আলী, শাহাব উদ্দিন ও করিম; খিল্লাপাড়ার বাসিন্দা আলমগীর।
এ বিষয়ে শিফাত আল রাব্বানী বলেন, এটি পরিকল্পিত হামলা। হামলাকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে, দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বনাঞ্চল রক্ষায় নিয়মিত টহল জোরদার করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারি বনে হামলার ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ কাটতে বাধা দেওয়ায় বন বিভাগের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ সোমবার ভোরে উপজেলার হাসনাবাদ বিটের করলিয়া বড়টিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা শিফাত আল রাব্বানী, বাগানমালি মো. সোহেল, স্থানীয় যুবক এমদাদ প্রমুখ।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সৃজিত সংরক্ষিত আকাশমণিগাছ কেটে পাচারের চেষ্টা করছিল সংঘবদ্ধ গাছ চোরদের একটি দল। খবর পেয়ে শিফাতের নেতৃত্বে বনপ্রহরীরা ঘটনাস্থলে গেলে গাছ চোরেরা পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় করিম নামের একজনকে আটক করা হলে পথে তাঁর সহযোগীরা হামলা চালিয়ে তাঁকে ছিনিয়ে নেন।
বন বিভাগ জানিয়েছে, হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁরা হলেন পেলারখিল এলাকার আলমগীর, শাহজাহান ও আবছার; করালিয়া এলাকার আবিদ আলী, শাহাব উদ্দিন ও করিম; খিল্লাপাড়ার বাসিন্দা আলমগীর।
এ বিষয়ে শিফাত আল রাব্বানী বলেন, এটি পরিকল্পিত হামলা। হামলাকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে, দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বনাঞ্চল রক্ষায় নিয়মিত টহল জোরদার করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারি বনে হামলার ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনপ্রশাসনে সৃষ্ট উত্তেজনার বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক তাহমিদ আল-মুদাসসির বলেছেন, ‘জনপ্রশাসনের আমলাদের বা সচিবদের মনস্তত্ত্ব হলো দালালির, ছোটলোকির। তারা সারা জীবন ক্ষমতার দালালি করে গেছে, এই দালালি মানসিকতা যদি না ভাঙা যায় তাহলে কখনোই বাংলাদেশের উন্নতি সম্ভব নয়।’
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
রাজধানীতে সারা দিন ধরে একের পর এক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত সাত এলাকায় ১২টি ককটেল বিস্ফোরণ ও বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। যদিও এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ হতাহত হয়নি।
৩০ মিনিট আগে
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর বড় ছেলে ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে থানায় দুটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। সোমবার (১০) দুপুরে অভিযোগ দুটি করেন গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহনশ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও গাজীপুর জেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মিনার উদ্দিন ও কালিয়াকৈর
৩৫ মিনিট আগে
বাগেরহাট জেলার সংসদীয় আসন চারটি বহাল রাখার আদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। আসন ফিরে পাওয়ায় সোমবার বাগেরহাটের বিভিন্ন স্থানে মিছিল করেছে বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।
১ ঘণ্টা আগেবাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাট জেলার সংসদীয় আসন চারটি বহাল রাখার আদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। আসন ফিরে পাওয়ায় সোমবার বাগেরহাটের বিভিন্ন স্থানে মিছিল করেছে বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।
সন্ধ্যা ৭টায় বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা একটি মিছিল বের করেন। শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার প্রেসক্লাবের সামনে এসে মিছিলটি শেষ হয়। পরে নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেন বিএনপির নেতারা।
এদিকে আসন ফিরে পাওয়ায় মাগরিবের নামাজের পর বাগেরহাট পুরাতন কোর্ট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত হয়েছে। দোয়া মোনাজাতে জেলা বিএনপি ও সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির আহ্বায়ক এ টি এম আকরাম হোসেন তালিম অংশগ্রহণ করেন।
াগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির আহ্বায়ক বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমাদের চারটি আসন ছিল। হঠাৎ একটি আসন কমিয়ে দেওয়ায় আমরা বিক্ষোভ করেছি, হরতাল করেছি। আমরা আইনের আশ্রয়ও নিয়েছিলাম। আজ উচ্চ আদালত আমাদের আসন ফিরিয়ে দিয়েছেন। এতে পুরো বাগেরহাটবাসী খুশি। আল্লাহর রহমতে আর কোনো শক্তি আমাদের আসন ফিরিয়ে নিতে পারবে না।’
নির্বাচন কমিশন গত ৩০ জুলাই আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি কমিয়ে জেলায় তিনটি করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকেই বাগেরহাটবাসী আন্দোলন শুরু করেন। চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন নেতা-কর্মীরা। এরপরও গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন জারি রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে।
পরে ৭ সেপ্টেম্বর বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে বাগেরহাটের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে দুটি রিট করা হয়। বাগেরহাট প্রেসক্লাব, জেলা আইনজীবী সমিতি, জেলা বিএনপি, জেলা জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জেলা ট্রাক-মালিক সমিত একটি রিট করে। অন্যটি করেন চিতলমারী উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবর রহমান শামীম। রিটে বাংলাদেশ সরকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব ও অ্যার্টনি জেনারেলকে বিবাদী করা হয়।

বাগেরহাট জেলার সংসদীয় আসন চারটি বহাল রাখার আদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। আসন ফিরে পাওয়ায় সোমবার বাগেরহাটের বিভিন্ন স্থানে মিছিল করেছে বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।
সন্ধ্যা ৭টায় বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা একটি মিছিল বের করেন। শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার প্রেসক্লাবের সামনে এসে মিছিলটি শেষ হয়। পরে নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেন বিএনপির নেতারা।
এদিকে আসন ফিরে পাওয়ায় মাগরিবের নামাজের পর বাগেরহাট পুরাতন কোর্ট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত হয়েছে। দোয়া মোনাজাতে জেলা বিএনপি ও সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির আহ্বায়ক এ টি এম আকরাম হোসেন তালিম অংশগ্রহণ করেন।
াগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির আহ্বায়ক বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমাদের চারটি আসন ছিল। হঠাৎ একটি আসন কমিয়ে দেওয়ায় আমরা বিক্ষোভ করেছি, হরতাল করেছি। আমরা আইনের আশ্রয়ও নিয়েছিলাম। আজ উচ্চ আদালত আমাদের আসন ফিরিয়ে দিয়েছেন। এতে পুরো বাগেরহাটবাসী খুশি। আল্লাহর রহমতে আর কোনো শক্তি আমাদের আসন ফিরিয়ে নিতে পারবে না।’
নির্বাচন কমিশন গত ৩০ জুলাই আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি কমিয়ে জেলায় তিনটি করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকেই বাগেরহাটবাসী আন্দোলন শুরু করেন। চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন নেতা-কর্মীরা। এরপরও গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসন জারি রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে।
পরে ৭ সেপ্টেম্বর বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে বাগেরহাটের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে দুটি রিট করা হয়। বাগেরহাট প্রেসক্লাব, জেলা আইনজীবী সমিতি, জেলা বিএনপি, জেলা জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জেলা ট্রাক-মালিক সমিত একটি রিট করে। অন্যটি করেন চিতলমারী উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবর রহমান শামীম। রিটে বাংলাদেশ সরকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব ও অ্যার্টনি জেনারেলকে বিবাদী করা হয়।

জনপ্রশাসনে সৃষ্ট উত্তেজনার বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক তাহমিদ আল-মুদাসসির বলেছেন, ‘জনপ্রশাসনের আমলাদের বা সচিবদের মনস্তত্ত্ব হলো দালালির, ছোটলোকির। তারা সারা জীবন ক্ষমতার দালালি করে গেছে, এই দালালি মানসিকতা যদি না ভাঙা যায় তাহলে কখনোই বাংলাদেশের উন্নতি সম্ভব নয়।’
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
রাজধানীতে সারা দিন ধরে একের পর এক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত সাত এলাকায় ১২টি ককটেল বিস্ফোরণ ও বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। যদিও এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ হতাহত হয়নি।
৩০ মিনিট আগে
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর বড় ছেলে ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে থানায় দুটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। সোমবার (১০) দুপুরে অভিযোগ দুটি করেন গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহনশ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও গাজীপুর জেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মিনার উদ্দিন ও কালিয়াকৈর
৩৫ মিনিট আগে
ফটিকছড়ি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ কাটতে বাধা দেওয়ায় বন বিভাগের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
৩৯ মিনিট আগে