নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘প্রধানমন্ত্রীকে কবরস্থানে পাঠানোর’ হুমকি দিয়ে বক্তব্যের জেরে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় মামলা হয়েছে। এভাবে মামলা করাকে সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না কেন, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সেই সঙ্গে সারা দেশে করা মামলার বিচার একসঙ্গে করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। চাঁদের মেয়ে শিরিন আক্তারের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মো. শওকত আলী চৌধুরীর বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান।
শুনানির সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান বলেন, ‘চাঁদ তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, “আর ২৭ দফা, ১০ দফার মধ্যে আমরা নাই। এক দফা, শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে। শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করার জন্য যা যা করণীয়, আমার করব ইনশা আল্লাহ।” তাঁর ওই বক্তব্যের কারণে এতগুলো মামলা হচ্ছে। তাঁরা চাইলে ৫৬১ এ–তে মামলা কোয়াশমেন্টের জন্য আবেদন করতে পারেন। অথচ তাঁরা প্রসিডিংস চ্যালেঞ্জ করেছেন।’
আদালত বলেন, ‘অফেনস্ তো একটা। অনেক জায়গায় মামলা হয়েছে। অনেক জায়গায় মামলা হলে তো হয়রানি হয়।’ তখন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘মানুষ মামলা করলে কী করার আছে?’ আদালত বলেন, ‘আমাদের সামনে ১৫ ও ২১ আগস্ট আছে। মানুষ আবেগে মামলা করেছে। একটা অফেন্সের জন্য প্রত্যেক জায়গায় মামলা করছেন, রিমান্ডে নিচ্ছেন। এই যে রাস্তা দেখাচ্ছেন এটা আপনাদের জন্যই কাল হতে পারে। এক জায়গায় নিয়ে এসে বিচার করেন।’
আদালতের আদেশের পর ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সমর্থনে গত ১৯ মে রাজশাহীর জেলা বিএনপির জনসমাবেশে আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ একটি বক্তব্য রাখেন। যাকে রাজনৈতিক ভাষায় বলা হয় মেঠো বক্তব্য। সেই বক্তব্যের কারণে ১৭টি জেলায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৫ দিন তাঁকে বিভিন্ন জায়গায় রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আমরা রিট করেছিলাম। আদালত শুনানি শেষে রুল ও নির্দেশনা দিয়েছেন। এখন যেসব জেলায় মামলা করা হয়েছে সবগুলো একসঙ্গে বিচার করার জন্য আদালত নির্দেশ দিয়েছেন। অর্থাৎ যেখানে ঘটনার সূত্রপাত সেখানে যাতে বিচার করা হয়।’
কায়সার কামাল আরও বলেন, ‘যেহেতু তাঁকে বারবার রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে, তার প্রাণ রক্ষার জন্য আমরা এটা স্থগিত করার জন্য আবেদন জানিয়েছিলাম। তাঁকে যাতে আর রিমান্ডে নেওয়া না হয়, আদালত সে মর্মে নির্দেশ দিয়েছেন।’
তবে রিমান্ড নিয়ে আদালত কোনো আদেশ দেননি বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির অভিযোগে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় মামলা ও সেসব মামলায় বারবার রিমান্ডে নেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এই রিট করা হয়। চাঁদের মেয়ে শিরিন আক্তার গত ১০ জুন রিটটি করেন।
‘প্রধানমন্ত্রীকে কবরস্থানে পাঠানোর’ হুমকি দিয়ে বক্তব্যের জেরে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় মামলা হয়েছে। এভাবে মামলা করাকে সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না কেন, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সেই সঙ্গে সারা দেশে করা মামলার বিচার একসঙ্গে করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। চাঁদের মেয়ে শিরিন আক্তারের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মো. শওকত আলী চৌধুরীর বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান।
শুনানির সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান বলেন, ‘চাঁদ তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, “আর ২৭ দফা, ১০ দফার মধ্যে আমরা নাই। এক দফা, শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে। শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করার জন্য যা যা করণীয়, আমার করব ইনশা আল্লাহ।” তাঁর ওই বক্তব্যের কারণে এতগুলো মামলা হচ্ছে। তাঁরা চাইলে ৫৬১ এ–তে মামলা কোয়াশমেন্টের জন্য আবেদন করতে পারেন। অথচ তাঁরা প্রসিডিংস চ্যালেঞ্জ করেছেন।’
আদালত বলেন, ‘অফেনস্ তো একটা। অনেক জায়গায় মামলা হয়েছে। অনেক জায়গায় মামলা হলে তো হয়রানি হয়।’ তখন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘মানুষ মামলা করলে কী করার আছে?’ আদালত বলেন, ‘আমাদের সামনে ১৫ ও ২১ আগস্ট আছে। মানুষ আবেগে মামলা করেছে। একটা অফেন্সের জন্য প্রত্যেক জায়গায় মামলা করছেন, রিমান্ডে নিচ্ছেন। এই যে রাস্তা দেখাচ্ছেন এটা আপনাদের জন্যই কাল হতে পারে। এক জায়গায় নিয়ে এসে বিচার করেন।’
আদালতের আদেশের পর ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সমর্থনে গত ১৯ মে রাজশাহীর জেলা বিএনপির জনসমাবেশে আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ একটি বক্তব্য রাখেন। যাকে রাজনৈতিক ভাষায় বলা হয় মেঠো বক্তব্য। সেই বক্তব্যের কারণে ১৭টি জেলায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৫ দিন তাঁকে বিভিন্ন জায়গায় রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আমরা রিট করেছিলাম। আদালত শুনানি শেষে রুল ও নির্দেশনা দিয়েছেন। এখন যেসব জেলায় মামলা করা হয়েছে সবগুলো একসঙ্গে বিচার করার জন্য আদালত নির্দেশ দিয়েছেন। অর্থাৎ যেখানে ঘটনার সূত্রপাত সেখানে যাতে বিচার করা হয়।’
কায়সার কামাল আরও বলেন, ‘যেহেতু তাঁকে বারবার রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে, তার প্রাণ রক্ষার জন্য আমরা এটা স্থগিত করার জন্য আবেদন জানিয়েছিলাম। তাঁকে যাতে আর রিমান্ডে নেওয়া না হয়, আদালত সে মর্মে নির্দেশ দিয়েছেন।’
তবে রিমান্ড নিয়ে আদালত কোনো আদেশ দেননি বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির অভিযোগে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় মামলা ও সেসব মামলায় বারবার রিমান্ডে নেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এই রিট করা হয়। চাঁদের মেয়ে শিরিন আক্তার গত ১০ জুন রিটটি করেন।
রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশন এলাকার নারীসহ সাত মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— মো. জয় (২০), খাদিজা (২১), আম্বিয়া (৪০), ফাতেমা (২১), পরিমনি (১৯), নাছরিন (২১) এবং সুমাইয়া (১৯)।
৪ ঘণ্টা আগেরিফাতের বাবা দুলাল শরীফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। আমার ছেলেকে যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে, জীবিত থাকতে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দেখে যেতে চাই। এত দিন হয়ে গেল, প্রধান আসামির ফাঁসির রায় এখনো কার্যকর করা হয়নি। আমি সরকারের কাছে প্রার্থনা জানাই, দ্রুত ফাঁসির রায় কার্যকর করার
৪ ঘণ্টা আগেপাহাড় ভ্রমণে পর্যটকদের মানতে হয় নানা নির্দেশনা। সঙ্গে জীবনরক্ষাকারী সামগ্রীর পাশাপাশি রাখতে হয় অভিজ্ঞ গাইড। আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে ঘর থেকে বের হওয়ার দায়িত্ব সত্ত্বেও অনেকে তা না মেনেই পরিবার নিয়ে বের হন। এতে তাঁরা নিজেদের বিপদই ডেকে আনছেন, অনেক সময় হারাচ্ছেন প্রাণ। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, নিয়ম ন
৫ ঘণ্টা আগেজানা গেছে, মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতের জন্য মিয়ানমারে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর অস্ত্র কেনার জন্য টাকা দরকার। সেই টাকা জোগাড় করতে এপারে বাংলাদেশ সীমান্তে থাকা রোহিঙ্গা ও দেশি মাদক কারবারিদের কাছে অল্প দামে বিভিন্ন ধরনের মাদক বিক্রি করছে তারা। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা বাড়ার সঙ্গে...
৫ ঘণ্টা আগে