নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কয়েক দিন ধরে তীব্র গরমে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। এর মধ্যে লোডশেডিং ও তীব্র পানির সংকট দেখা দিয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়। ঢাকা ওয়াসার লাইনে পানি না থাকায় অনেকে রান্না, গোসলসহ গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় কাজ সারতে পারছেন না। ফলে কেউ কেউ বালতি, কলস নিয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকায় ছুটছেন পানির খোঁজে।
ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তারা বলছেন, বিদ্যুৎ সংকটের প্রভাব পড়ছে পানিতে। বিদ্যুতের অভাবে ঠিকমতো পানির পাম্প চালানো যাচ্ছে না। এতে ঢাকা ওয়াসার সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও পানি সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে না।
রাজধানীর মধ্যবাড্ডা এলাকার পোস্ট গলির বাসিন্দা রওশনারা বেগম বলেন, ‘ওয়াসার লাইনে পানি নেই। দুই দিন ধরে একবারের জন্যও পানি আসেনি। রান্না তো পরে, ওয়াশরুমে যাওয়ার জন্য পর্যন্ত পানি নেই। যেখানে পানি সন্ধান পাচ্ছেন, সেখানে যাচ্ছেন সবাই।’
মিরপুরের পূর্ব মণিপুর এলাকার বাসিন্দা নাজমুস সাকিব বলেন, দিনের মধ্যে পানি থাকে দুই ঘণ্টার মতো। অনেকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পানি উঠিয়ে ব্যবহার করেন। স্বাভাবিকভাবে পানি থাকে না। পানির জন্য মানুষ হাহাকার করতে থাকেন।
ডিএনসিসির ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইসমাইল মোল্লা বলেন, ‘মিরপুরের মণিপুর, বড়বাগ, পীরেরবাগ এলাকার জন্য আলাদা করে পাম্প বসানো হয়েছে। ওই পাম্পে এখনো বিদ্যুতের লাইন দেওয়া হয়নি। তবে জেনারেটরে দুই ঘণ্টা পানি ওঠানো হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টার কাজ তো আর দুই ঘণ্টায় হবে না।’
একই রকম সমস্যার কথা জানালেন মগবাজার পেয়ারাবাগ এলাকার বাসিন্দা শিরিন আক্তার। তাঁর বক্তব্য হচ্ছে, দিনে খুব সামান্য সময়ের জন্য লাইনে পানি থাকে। এই পানি দুর্গন্ধযুক্ত ব্যবহার উপযোগী না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ) এ কে এম সহিদ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, পাঁচ দিন আগেও সব ঠিক ছিল। এখন পানির সংকট। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় এই সমস্যা রয়েছে। বিদ্যুতের ব্যবস্থা হলে সব সমাধান হয়ে যাবে। গরম কমলে আর কোনো সমস্যা থাকবে না। সাত দিন আরও থাকলে, আরও বেশি সমস্যা হবে। বিদ্যুৎ থাকলে পাম্প চলবে, পানি উঠবে। না থাকলে পাম্প চলবে না।
এ কে এম সহিদ উদ্দিন আরও বলেন, ‘ঢাকায় যে পানির চাহিদা আছে, তার চেয়ে বেশি আমাদের সক্ষমতা আছে। তবে লাভ কী যদি বিদ্যুৎ না থাকে। আমাদের সব পাম্প পড়ে আছে। পানির প্রেশার ওঠে না। তিন-চার দিন ধরে এক ঘণ্টা পরপর যেভাবে লোডশেডিং শুরু হয়েছে, তাতে পাম্প চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে।’
ঢাকা ওয়াসার তথ্য অনুসারে, ঢাকায় দৈনিক পানির চাহিদা রয়েছে ২২০ থেকে ২৪০ কোটি লিটার। তবে সংস্থাটির দৈনিক উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে ২৭০ কোটি লিটার। ওয়াসা ভূগর্ভস্থ উৎস থেকে উৎপাদনের ৬৬ ভাগ পানি আহরণ করে। বাকি ৩৪ ভাগ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট থেকে সংগ্রহ করে তা নগরবাসীর জন্য সরবরাহ করে।
কয়েক দিন ধরে তীব্র গরমে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। এর মধ্যে লোডশেডিং ও তীব্র পানির সংকট দেখা দিয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়। ঢাকা ওয়াসার লাইনে পানি না থাকায় অনেকে রান্না, গোসলসহ গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় কাজ সারতে পারছেন না। ফলে কেউ কেউ বালতি, কলস নিয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকায় ছুটছেন পানির খোঁজে।
ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তারা বলছেন, বিদ্যুৎ সংকটের প্রভাব পড়ছে পানিতে। বিদ্যুতের অভাবে ঠিকমতো পানির পাম্প চালানো যাচ্ছে না। এতে ঢাকা ওয়াসার সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও পানি সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে না।
রাজধানীর মধ্যবাড্ডা এলাকার পোস্ট গলির বাসিন্দা রওশনারা বেগম বলেন, ‘ওয়াসার লাইনে পানি নেই। দুই দিন ধরে একবারের জন্যও পানি আসেনি। রান্না তো পরে, ওয়াশরুমে যাওয়ার জন্য পর্যন্ত পানি নেই। যেখানে পানি সন্ধান পাচ্ছেন, সেখানে যাচ্ছেন সবাই।’
মিরপুরের পূর্ব মণিপুর এলাকার বাসিন্দা নাজমুস সাকিব বলেন, দিনের মধ্যে পানি থাকে দুই ঘণ্টার মতো। অনেকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পানি উঠিয়ে ব্যবহার করেন। স্বাভাবিকভাবে পানি থাকে না। পানির জন্য মানুষ হাহাকার করতে থাকেন।
ডিএনসিসির ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইসমাইল মোল্লা বলেন, ‘মিরপুরের মণিপুর, বড়বাগ, পীরেরবাগ এলাকার জন্য আলাদা করে পাম্প বসানো হয়েছে। ওই পাম্পে এখনো বিদ্যুতের লাইন দেওয়া হয়নি। তবে জেনারেটরে দুই ঘণ্টা পানি ওঠানো হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টার কাজ তো আর দুই ঘণ্টায় হবে না।’
একই রকম সমস্যার কথা জানালেন মগবাজার পেয়ারাবাগ এলাকার বাসিন্দা শিরিন আক্তার। তাঁর বক্তব্য হচ্ছে, দিনে খুব সামান্য সময়ের জন্য লাইনে পানি থাকে। এই পানি দুর্গন্ধযুক্ত ব্যবহার উপযোগী না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ) এ কে এম সহিদ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, পাঁচ দিন আগেও সব ঠিক ছিল। এখন পানির সংকট। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় এই সমস্যা রয়েছে। বিদ্যুতের ব্যবস্থা হলে সব সমাধান হয়ে যাবে। গরম কমলে আর কোনো সমস্যা থাকবে না। সাত দিন আরও থাকলে, আরও বেশি সমস্যা হবে। বিদ্যুৎ থাকলে পাম্প চলবে, পানি উঠবে। না থাকলে পাম্প চলবে না।
এ কে এম সহিদ উদ্দিন আরও বলেন, ‘ঢাকায় যে পানির চাহিদা আছে, তার চেয়ে বেশি আমাদের সক্ষমতা আছে। তবে লাভ কী যদি বিদ্যুৎ না থাকে। আমাদের সব পাম্প পড়ে আছে। পানির প্রেশার ওঠে না। তিন-চার দিন ধরে এক ঘণ্টা পরপর যেভাবে লোডশেডিং শুরু হয়েছে, তাতে পাম্প চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে।’
ঢাকা ওয়াসার তথ্য অনুসারে, ঢাকায় দৈনিক পানির চাহিদা রয়েছে ২২০ থেকে ২৪০ কোটি লিটার। তবে সংস্থাটির দৈনিক উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে ২৭০ কোটি লিটার। ওয়াসা ভূগর্ভস্থ উৎস থেকে উৎপাদনের ৬৬ ভাগ পানি আহরণ করে। বাকি ৩৪ ভাগ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট থেকে সংগ্রহ করে তা নগরবাসীর জন্য সরবরাহ করে।
সড়কের গর্তে আটকে গেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা। পেছনে তৈরি হয়েছে যানজট। পেছন থেকে কেউ জোরে হর্ন দিচ্ছে, আবার কেউ করছে গালাগাল। শেষমেশ কয়েকজন মিলে ধাক্কা দিয়ে ওঠাতে হয়েছে রিকশাটিকে। গত রোববার সকালে এমনটাই দেখা যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে হাতিরঝিল যাওয়ার সড়কে। সড়কটি পান্থপথ-তেজগাঁও লিংক রোড নামেও...
৬ ঘণ্টা আগেগাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে মাসব্যাপী শুরু হয়েছে কুটিরশিল্প মেলা। ১৮ এপ্রিল শুরু হওয়া এ মেলায় হস্ত ও কুটিরশিল্পের কোনো পণ্য নেই। রয়েছে দুটি মিষ্টির দোকান, কয়েকটি ফুচকার স্টল, ভূতের বাড়ি জাদু প্রদর্শনী, সার্কাস, নাগরদোলা, স্লিপার, ওয়াটার বোট, লটারির টিকিট বিক্রির ১০-১২টি কাউন্টার ও লটারির ড্র...
৬ ঘণ্টা আগেরাজধানীর একটি আবাসিক এলাকা থেকে গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) নিখোঁজ হন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তাহিয়া। নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে তাঁকে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিকেল তাঁকে উদ্ধারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন ভাটারা থানার...
৯ ঘণ্টা আগেমালিকদের সব রকম অপকৌশল ও চাতুরতা সম্পর্কে শ্রমিকেরা সজাগ, সতর্ক ও সচেতন। মহান মে দিবসের বিপ্লবী চেতনাকে ধারণ করে দাবি ও অধিকার বাস্তবায়নের আন্দোলন বেগবান করতে হবে।
১০ ঘণ্টা আগে