নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
হাটভর্তি গরু-ছাগল। দুপুরের পর থেকে বাড়ছে ক্রেতা। ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে জমে উঠছে পশুর হাট। গত দুই দিন বেচাকেনায় ভাটা থাকলেও আজ শনিবার (১৫ জুন) দুপুরের পর থেকে বিক্রি বাড়ার কথা জানিয়েছেন ব্যাপারীরা।
তবে ক্রেতারা বলছেন, ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি থাকায় প্রতিটি গরুতে অন্তত ১০ হাজার টাকা বেশি দিতে হচ্ছে। আজ রাজধানীর খিলগাঁও রেলগেট বাজার মৈত্রী সংঘ ক্লাবসংলগ্ন আশপাশের ফাঁকা জায়গায় গড়ে ওঠা অস্থায়ী এই পশুর হাট ঘুরে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে।
ক্রেতারা গোবর-কাদা মাড়িয়ে পছন্দের গরু-ছাগল কিনতে হন্য হয়ে ঘুরছেন এক খাটাল থেকে আরেক খাটালে। গরু পছন্দ হলে দামে মিলছে না। আবার দামে মিললে গরু পছন্দ হচ্ছে না। তবে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুগুলো বিক্রি হচ্ছে সহজেই। ছোট একটি গরু দরদাম করছিলেন বাসাবো বৌদ্ধমন্দির এলাকার বাসিন্দা সুলেমান আলী। ব্যাপারী গরুর দাম হাঁকিয়েছেন ৯০ হাজার টাকা। কিন্তু সুলেমান আলী প্রথমে ৬৫ হাজার, পরে ৭০ হাজার পর্যন্ত দাম বলেছেন। এই গরু বিক্রি করতে রাজি নন ব্যাপারী। শেষ পর্যন্ত আর এই গরু কেনা হয়নি তাঁর।
তিনি বলেন, ‘ছোট আর মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি হওয়ায়, ব্যাপারীরা অন্তত ৩০ হাজার টাকা বেশি চাইছে গরুপ্রতি। দামাদামি করে অন্তত ১০ হাজার টাকা বেশি দিয়ে গরু কিনছে অনেকেই। আমি আমার বাজেট অনুযায়ী দাম বলেছি। কিন্তু ব্যাপারী দাম কমাল না। এই গরু বড়জোর ষাইট হাজার টাকা হইব।’
রাজশাহী থেকে ১৬টি গরু নিয়ে এই হাটে এসেছেন সেলিম ব্যাপারী। তিনি বলেন, ‘গত তিন দিনে সাতটি গরু বেচছি। এর মধ্যে পাঁচটি ছোট ও মাঝারি গরু। দাম কম হওয়ায় এই সাইজের গরুগুলা মানুষ কিনছে বেশি।’
দাম বেশি রাখার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘সবকিছুরই দাম বাড়তি ভাই। শুধু গরুর দাম নিয়ে সবাই বলছে। গতবার গরুর খাবার, পরিবহন আর আমাদের অন্যান্য খরচ যা ছিল— এবার সবই ডাবল হয়েছে। আমরা কী করতে পারি বলেন।’
মাঝারি ও ছোট গরুর দাম নিয়ে ক্রেতাদের অনুযোগ থাকলেও আকারে বড় গরুগুলোর দাম স্বাভাবিক মনে করছেন ক্রেতারা। দুই, আড়াই বা তিন লাখ টাকার গরুগুলো যারা কিনছেন, তাঁরা দাম নিয়ে কোনো অনুযোগ করছেন না। এমন একজন ক্রেতা এমদাদুল হক। বেসরকারি এই চাকরিজীবী ও তাঁর দুই ভাই একসঙ্গে একটি গরু কিনে কোরবানি দেবেন। পছন্দসই একটি গরু কিনেছেন ২ লাখ ৬০ হাজার টাকায়। তিনি বলেন, ‘এই টাকায় আমরা যে গরু কিনেছি তাতে আমরা সন্তুষ্ট। দাম স্বাভাবিকই মনে হয়েছে।’
কথা হয় এই হাটের আমতলা মোড়ের হাসিল কাউন্টারে আদায়কারী রিয়ানের সঙ্গে। তিনিও ছোট ও মাঝারি আকারের গরু বেশি বিক্রির কথা জানান। তিনি বলেন, ‘দুপুরের পর থেকে বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। সন্ধ্যার পর থেকে আরও বাড়বে। বড় গরু খুব একটা বেশি বিক্রি হচ্ছে না। তবে ছোট ও মাঝারি আকারের বেশি বিক্রি হচ্ছে।’
এই হাটে ছাগল ও ভেড়াও উঠেছে অনেক। আমতলা মসজিদ হয়ে হাটে ঢোকার সময় ডানে পাশেই ছাগলের হাট। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই হাটে ১০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকার মধ্যে ছাগলগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে। এই হাটে অল্পসংখ্যক মহিষও উঠেছে। তবে মহিষের ক্রেতা খুব কম। মানুষ মহিষের দাম শুনে চলে যায়।
হাটভর্তি গরু-ছাগল। দুপুরের পর থেকে বাড়ছে ক্রেতা। ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে জমে উঠছে পশুর হাট। গত দুই দিন বেচাকেনায় ভাটা থাকলেও আজ শনিবার (১৫ জুন) দুপুরের পর থেকে বিক্রি বাড়ার কথা জানিয়েছেন ব্যাপারীরা।
তবে ক্রেতারা বলছেন, ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি থাকায় প্রতিটি গরুতে অন্তত ১০ হাজার টাকা বেশি দিতে হচ্ছে। আজ রাজধানীর খিলগাঁও রেলগেট বাজার মৈত্রী সংঘ ক্লাবসংলগ্ন আশপাশের ফাঁকা জায়গায় গড়ে ওঠা অস্থায়ী এই পশুর হাট ঘুরে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে।
ক্রেতারা গোবর-কাদা মাড়িয়ে পছন্দের গরু-ছাগল কিনতে হন্য হয়ে ঘুরছেন এক খাটাল থেকে আরেক খাটালে। গরু পছন্দ হলে দামে মিলছে না। আবার দামে মিললে গরু পছন্দ হচ্ছে না। তবে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুগুলো বিক্রি হচ্ছে সহজেই। ছোট একটি গরু দরদাম করছিলেন বাসাবো বৌদ্ধমন্দির এলাকার বাসিন্দা সুলেমান আলী। ব্যাপারী গরুর দাম হাঁকিয়েছেন ৯০ হাজার টাকা। কিন্তু সুলেমান আলী প্রথমে ৬৫ হাজার, পরে ৭০ হাজার পর্যন্ত দাম বলেছেন। এই গরু বিক্রি করতে রাজি নন ব্যাপারী। শেষ পর্যন্ত আর এই গরু কেনা হয়নি তাঁর।
তিনি বলেন, ‘ছোট আর মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি হওয়ায়, ব্যাপারীরা অন্তত ৩০ হাজার টাকা বেশি চাইছে গরুপ্রতি। দামাদামি করে অন্তত ১০ হাজার টাকা বেশি দিয়ে গরু কিনছে অনেকেই। আমি আমার বাজেট অনুযায়ী দাম বলেছি। কিন্তু ব্যাপারী দাম কমাল না। এই গরু বড়জোর ষাইট হাজার টাকা হইব।’
রাজশাহী থেকে ১৬টি গরু নিয়ে এই হাটে এসেছেন সেলিম ব্যাপারী। তিনি বলেন, ‘গত তিন দিনে সাতটি গরু বেচছি। এর মধ্যে পাঁচটি ছোট ও মাঝারি গরু। দাম কম হওয়ায় এই সাইজের গরুগুলা মানুষ কিনছে বেশি।’
দাম বেশি রাখার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘সবকিছুরই দাম বাড়তি ভাই। শুধু গরুর দাম নিয়ে সবাই বলছে। গতবার গরুর খাবার, পরিবহন আর আমাদের অন্যান্য খরচ যা ছিল— এবার সবই ডাবল হয়েছে। আমরা কী করতে পারি বলেন।’
মাঝারি ও ছোট গরুর দাম নিয়ে ক্রেতাদের অনুযোগ থাকলেও আকারে বড় গরুগুলোর দাম স্বাভাবিক মনে করছেন ক্রেতারা। দুই, আড়াই বা তিন লাখ টাকার গরুগুলো যারা কিনছেন, তাঁরা দাম নিয়ে কোনো অনুযোগ করছেন না। এমন একজন ক্রেতা এমদাদুল হক। বেসরকারি এই চাকরিজীবী ও তাঁর দুই ভাই একসঙ্গে একটি গরু কিনে কোরবানি দেবেন। পছন্দসই একটি গরু কিনেছেন ২ লাখ ৬০ হাজার টাকায়। তিনি বলেন, ‘এই টাকায় আমরা যে গরু কিনেছি তাতে আমরা সন্তুষ্ট। দাম স্বাভাবিকই মনে হয়েছে।’
কথা হয় এই হাটের আমতলা মোড়ের হাসিল কাউন্টারে আদায়কারী রিয়ানের সঙ্গে। তিনিও ছোট ও মাঝারি আকারের গরু বেশি বিক্রির কথা জানান। তিনি বলেন, ‘দুপুরের পর থেকে বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। সন্ধ্যার পর থেকে আরও বাড়বে। বড় গরু খুব একটা বেশি বিক্রি হচ্ছে না। তবে ছোট ও মাঝারি আকারের বেশি বিক্রি হচ্ছে।’
এই হাটে ছাগল ও ভেড়াও উঠেছে অনেক। আমতলা মসজিদ হয়ে হাটে ঢোকার সময় ডানে পাশেই ছাগলের হাট। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই হাটে ১০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকার মধ্যে ছাগলগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে। এই হাটে অল্পসংখ্যক মহিষও উঠেছে। তবে মহিষের ক্রেতা খুব কম। মানুষ মহিষের দাম শুনে চলে যায়।
নাটোর-বগুড়া মহাসড়কে সিংড়ার শেরকোল এলাকায় ধানের ট্রাক থেকে চাঁদাবাজির সময় বিএনপি নেতাসহ তিনজনকে আটক করেছেন সেনাবাহিনী সদস্যরা। আটককৃতরা হলেন শেরকোল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক পলাশ আহমেদ ও জয়নাল আবেদীনের অনুসারী মিলন হোসেন। আটকের পর তাদেরকে...
৩৯ মিনিট আগেনোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর হাউজিং এলাকা থেকে মিরাজ হোসেন শান্ত নামে এক যুবলীগ নেতাকে অবরুদ্ধ করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে হাউজিং সরকারি আবাসিক এলাকার সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট বাজারে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার এক মাস যেতে না যেতেই উঠে যাচ্ছে সড়কের আরসিসি ঢালাই। এ ছাড়া সড়কটির সম্প্রসারণ জয়েন্টগুলোতে আঁকাবাঁকা ফাটল দেখা দিয়েছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে সংশ্লিষ্টরা তাড়াহুড়া করে বিটুমিন দিয়ে ফাটল বন্ধের চেষ্টা চালিয়েছেন বলে জানা গেছে।
৮ ঘণ্টা আগেতিন পার্বত্য জেলার মধ্যে আগে থেকেই চিকিৎসাসেবায় পিছিয়ে খাগড়াছড়ি। তার ওপর বছরের পর বছর চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারী ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকট থাকায় খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা।
৮ ঘণ্টা আগে