Ajker Patrika

‘তিস্তার পানি বণ্টনে সহযোগিতার ক্ষেত্র এখনো রয়েছে’

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২২ জানুয়ারি ২০২২, ১৮: ১৯
‘তিস্তার পানি বণ্টনে সহযোগিতার ক্ষেত্র এখনো রয়েছে’

তিস্তা নদীর পানি বণ্টনের বিষয়ে সহযোগিতার ক্ষেত্র এখনো রয়েছে। এটি কেবল এক পক্ষের লাভের বিষয় হতে পারে না। ৭ম আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলন ২০২২ এ এমন মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ।  

আজ শনিবার অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ আয়োজিত ‘৭ম আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলন ২০২২’ শেষ দিনে ‘তিস্তা নদী অববাহিকাঃ সংকট উত্তরণ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনের শেষ দিনে আলোচক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ, দা গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অফ ওয়াটার মিউজিয়াম এর নির্বাহী পরিচালক এরিবার্তো ইউলিস, সাবেক পররাষ্ট্রসচিব ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো শহিদুল হক, অ্যাসোসিয়েশন অফ ভলান্টারি অ্যাকশন ফর সোসাইটি (আভাস) এর নির্বাহী পরিচালক এবং অ্যাকশনএইড ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সোসাইটি এর সাধারণ পরিষদের সদস্য রহিমা সুলতানা কাজল, কাউনিয়া কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান শ্বাশ্বত ভট্টাচার্য, নেপাল আইএসইটি এর উপদেষ্টা অজয় দীক্ষিত, লিভিং ওয়াটারস মিউজিয়াম এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট ফর সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ এর অ্যাডজান্ট প্রফেসর সারা আহমেদ এবং এওএসইডিও এর নির্বাহী পরিচালক শামীম আরফিন, অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির উপস্থিত ছিলেন।

ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, মানুষ ও প্রকৃতি ভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি মাথায় রেখে সমাধানের পথ বের করতে হবে। নদীর পানি শাসনের ক্ষেত্রে প্রকৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে বেরিয়ে আসার সময় এসেছে বলেও জানান তিনি।

এরিবার্তো ইউলিস বলেন, তিস্তা নদী অন্যান্য নদীর মতোই পরিবর্তনের প্রতীক। পানি সংক্রান্ত যে কোনো ধরনের বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য সহযোগিতা ও ভালো অনুশীলন প্রয়োজন। যেকোনো পানি জাদুঘর তৈরি করার সময়, আমাদের কেবল অবকাঠামোগত উন্নয়নের কথাই নয়, সাংস্কৃতিক ল্যান্ডস্কেপের কথাও মাথায় রাখা উচিত বলে যোগ করেন তিনি। 

এম শহিদুল হক বলেন, আলোচনার ক্ষেত্রে আমরা তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে আরও ভালো সহযোগিতার পথ খুঁজে পেতে পারি। আন্তর্জাতিক স্টেকহোল্ডার, জনগণ এবং রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে আরও মিথস্ক্রিয়া হওয়া দরকার। জলবায়ু পরিবর্তন বিবেচনা করেও ভিন্ন ন্যারেটিভে এগিয়ে যাওয়া উচিত। শহিদুল হক সরকার কেন্দ্রিক কাঠামোর পরিবর্তে বৃহত্তর জনগণ কেন্দ্রিক কাঠামোকে বেছে নিয়ে নীতিনির্ধারকদের মানসিকতার পরিবর্তন ও কাঠামো পরিবর্তনের আহ্বান জানান। 

রহিমা সুলতানা কাজল তার বক্তব্যে তুলে ধরেন কিভাবে অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত পটুয়াখালীর কালাপাড়ায় অবস্থিত পানি জাদুঘর প্রান্তিক মানুষের অধিকার রক্ষার মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘নদীর প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করার ফলে নদী কেন্দ্রিক সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তথাকথিত উন্নয়নের করতে গিয়ে নদীর পানির সুষম বণ্টন হচ্ছে না যার ফলে ব্যবহারযোগ্য পানির অভাব দেখা দিয়েছে। নদীর পানি ব্যবহার নিয়ে যে সকল আইন রয়েছে সেই আইনগুলোর যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে না।’ 

শ্বাশ্বত ভট্টাচার্য বলেন, ‘নদী মরে গেলে নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা জনজীবনও মরে যায়। সেই জনজীবন যদি নদী কেন্দ্রিক জীবিকা ও শ্রম থেকে বিচ্যুত হয় ও স্বাভাবিক কার্যক্রমের মধ্যে না থাকে তাহলে হাজার বছরের লালিত সংস্কৃতিও নষ্ট হয়ে যায়।’ 

ফারাহ্ কবির বলেন, ‘মানুষ নদীর সঙ্গে বসবাস করে। কিন্তু সাধারণত নদী সংক্রান্ত আলোচনায় তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পানি জাদুঘর প্রতিষ্ঠার ধারণাট স্থানীয় সম্প্রদায়ের লোকদের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে এসেছে এবং দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম সম্প্রদায় ভিত্তিক পানি জাদুঘরটি ২০১৪ সালে অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই পানি জাদুঘর এখন আইডিয়া জেনারেশন, নদী-ভিত্তিক তৃণমূল মানুষের কণ্ঠস্বর, শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম এবং গ্লোবাল ওয়াটার মিউজিয়ামের সঙ্গে নেটওয়ার্কিং এর একটি কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই-আগস্টে ‘ম্যাস কিলিং’ হয়েছে, ‘জেনোসাইড’ নয়: চিফ প্রসিকিউটর

আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রীকে বিদেশ যেতে বাধা

‘মেয়েরা যেন আমার মরা মুখ না দেখে’, চিরকুট লিখে ঠিকাদারের ‘আত্মহত্যা’

মধ্যরাতে বিলুপ্ত এনবিআর, জন্ম নিল দুই বিভাগ

আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন যেসব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না, জানাল অন্তর্বর্তী সরকার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত