নুরুল আমীন রবীন, শরীয়তপুর
শরীয়তপুরের নরসিংহপুর ফেরিঘাট থেকে খায়েরপট্টি পর্যন্ত সড়কের চার কিলোমিটারজুড়ে যানবাহনের সারি ক্রমেই বড় হচ্ছে। আটকা পড়েছে কোরবানির পশুবাহী তিন শতাধিক যানবাহনসহ অন্তত দেড় হাজার যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন। দু–তিন দিন অপেক্ষায় থেকেও ফেরিতে উঠতে পারছে না পশুবাহী ট্রাক। এর মধ্যে তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে গরু। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত দুই দিনে অসুস্থ হয়ে মারা গেছে সাত ব্যবসায়ীর ১৮টি গরু। অসুস্থ রয়েছে আরও অন্তত ৩২টি। ঘাটে দীর্ঘ সময় আটকা থাকায় গোখাদ্যও শেষ হয়ে গেছে অনেক বেপারির।
ঘাট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূলত ফেরি স্বল্পতার কারণেই ঘাটে পারাপারের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। দিনরাত আটকা থাকায় নারী–শিশুসহ সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে ঈদে ঘরমুখী মানুষ। হঠাৎ বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় ও পশুবাহী যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের কারণে এমন পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি।
আজ শুক্রবার সরেজমিনে কথা হয় পারাপারের অপেক্ষায় থাকা গরুর বেপারি ও সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে। ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে একটি ট্রাকে ১৪টি গরু নিয়ে নোয়াখালী হাটে যাচ্ছেন নুর হোসেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নরসিংহপুর ফেরিঘাটে পৌঁছেছেন। আজ দুপুর ৩টা পর্যন্ত ফেরিতে উঠতে পারেনি তাঁর ট্রাক। গরমে অসুস্থ হয়ে গতকাল দুপুরে একটি গরু মারা গেছে। আরও তিনটি অসুস্থ। নুর হোসেন বলেন, ‘গতকাল থেকে ফেরিঘাটে আটকা আছি। রোদের তাপে একটি গরু মারা গেছে। বাকিগুলোর অবস্থাও ভালো না। সঙ্গে আনা গোখাদ্য ফুরিয়ে যাচ্ছে। আজ নদী পার হতে না পারলে হাটে গরু তুলতে সমস্যা হবে। অন্তত দেড় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে আমার।’
নুর হোসেনের মতো আরও চার শতাধিক বেপারি সময়মতো হাটে পৌঁছা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন। তাঁরা জানান, তীব্র দাবদাহে ঘাটে অপেক্ষমাণ রুহুল আমিনের দুটি, আনু ফকিরের দুটি, আসলাম মিয়ার একটিসহ ১৮টি গরু মারা গেছে। অসুস্থ হয়ে পড়েছে আরও ৩২টি। গরু ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, মাত্র ছয়টি ধীরগতির ফেরিতে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।
এদিকে এ পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন পচনশীল পণ্যের ব্যবসায়ীরাও। পশুবাহী ট্রাকের চাপ বেড়ে যাওয়ায় ফেরিতে জায়গা পাচ্ছে না পচনশীল পণ্যবাহী যান। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ফেরিতে অগ্ৰাধিকার ভিত্তিতে পচনশীল পণ্য পারাপারের কথা থাকলেও একটির বেশি কাঁচামালের ট্রাক ওঠানো হচ্ছে না। ফলে ঘাটেই পচে নষ্ট হচ্ছে পেঁয়াজ, শসা, মাছসহ পচনশীল পণ্য।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ী হারুন খলিফা বলেন, ‘যশোর থেকে পেঁয়াজ নিয়ে চট্টগ্রামে যাচ্ছিলাম। তিন দিন যাবৎ ঘাটে আটকা পড়ে আছি। রোদের তাপে পেঁয়াজে পচন ধরেছে। পেঁয়াজ থেকে পানি বেরিয়ে যাচ্ছে।’
ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরাও। খুলনা থেকে চট্টগ্রামগামী বাসের যাত্রী ইসমতারা বলেন, ‘বুধবার রাতে গাড়িতে উঠেছি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঘাটে আটকা পড়ে আছি। চার বছরের শিশুকে নিয়ে খুবই কষ্ট হচ্ছে। গরমে বাচ্চা অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। এখানে খাওয়া-দাওয়া, বিশ্রাম ও বাথরুমের ব্যবস্থা না থাকায় খুবই ভোগান্তিতে রয়েছি।’
নরসিংহপুর ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুল মোমেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, লকডাউন উঠে যাওয়ায় যাত্রীবাহী যানবাহনের চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। তার ওপর প্রতিদিন কোরবানির পশু বোঝাই তিন থেকে সাড়ে তিনশ ট্রাকের চাপে ঘাটে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মাত্র ছয়টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার চলছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এরই মধ্যে ফেরি কুসুম কলি এই ঘাটে সংযুক্ত করা হয়েছে। আগামীকাল সকাল থেকে যানবাহনের চাপ কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শরীয়তপুরের নরসিংহপুর ফেরিঘাট থেকে খায়েরপট্টি পর্যন্ত সড়কের চার কিলোমিটারজুড়ে যানবাহনের সারি ক্রমেই বড় হচ্ছে। আটকা পড়েছে কোরবানির পশুবাহী তিন শতাধিক যানবাহনসহ অন্তত দেড় হাজার যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন। দু–তিন দিন অপেক্ষায় থেকেও ফেরিতে উঠতে পারছে না পশুবাহী ট্রাক। এর মধ্যে তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে গরু। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত দুই দিনে অসুস্থ হয়ে মারা গেছে সাত ব্যবসায়ীর ১৮টি গরু। অসুস্থ রয়েছে আরও অন্তত ৩২টি। ঘাটে দীর্ঘ সময় আটকা থাকায় গোখাদ্যও শেষ হয়ে গেছে অনেক বেপারির।
ঘাট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূলত ফেরি স্বল্পতার কারণেই ঘাটে পারাপারের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। দিনরাত আটকা থাকায় নারী–শিশুসহ সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে ঈদে ঘরমুখী মানুষ। হঠাৎ বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় ও পশুবাহী যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের কারণে এমন পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি।
আজ শুক্রবার সরেজমিনে কথা হয় পারাপারের অপেক্ষায় থাকা গরুর বেপারি ও সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে। ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে একটি ট্রাকে ১৪টি গরু নিয়ে নোয়াখালী হাটে যাচ্ছেন নুর হোসেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নরসিংহপুর ফেরিঘাটে পৌঁছেছেন। আজ দুপুর ৩টা পর্যন্ত ফেরিতে উঠতে পারেনি তাঁর ট্রাক। গরমে অসুস্থ হয়ে গতকাল দুপুরে একটি গরু মারা গেছে। আরও তিনটি অসুস্থ। নুর হোসেন বলেন, ‘গতকাল থেকে ফেরিঘাটে আটকা আছি। রোদের তাপে একটি গরু মারা গেছে। বাকিগুলোর অবস্থাও ভালো না। সঙ্গে আনা গোখাদ্য ফুরিয়ে যাচ্ছে। আজ নদী পার হতে না পারলে হাটে গরু তুলতে সমস্যা হবে। অন্তত দেড় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে আমার।’
নুর হোসেনের মতো আরও চার শতাধিক বেপারি সময়মতো হাটে পৌঁছা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন। তাঁরা জানান, তীব্র দাবদাহে ঘাটে অপেক্ষমাণ রুহুল আমিনের দুটি, আনু ফকিরের দুটি, আসলাম মিয়ার একটিসহ ১৮টি গরু মারা গেছে। অসুস্থ হয়ে পড়েছে আরও ৩২টি। গরু ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, মাত্র ছয়টি ধীরগতির ফেরিতে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।
এদিকে এ পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন পচনশীল পণ্যের ব্যবসায়ীরাও। পশুবাহী ট্রাকের চাপ বেড়ে যাওয়ায় ফেরিতে জায়গা পাচ্ছে না পচনশীল পণ্যবাহী যান। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ফেরিতে অগ্ৰাধিকার ভিত্তিতে পচনশীল পণ্য পারাপারের কথা থাকলেও একটির বেশি কাঁচামালের ট্রাক ওঠানো হচ্ছে না। ফলে ঘাটেই পচে নষ্ট হচ্ছে পেঁয়াজ, শসা, মাছসহ পচনশীল পণ্য।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ী হারুন খলিফা বলেন, ‘যশোর থেকে পেঁয়াজ নিয়ে চট্টগ্রামে যাচ্ছিলাম। তিন দিন যাবৎ ঘাটে আটকা পড়ে আছি। রোদের তাপে পেঁয়াজে পচন ধরেছে। পেঁয়াজ থেকে পানি বেরিয়ে যাচ্ছে।’
ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরাও। খুলনা থেকে চট্টগ্রামগামী বাসের যাত্রী ইসমতারা বলেন, ‘বুধবার রাতে গাড়িতে উঠেছি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঘাটে আটকা পড়ে আছি। চার বছরের শিশুকে নিয়ে খুবই কষ্ট হচ্ছে। গরমে বাচ্চা অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। এখানে খাওয়া-দাওয়া, বিশ্রাম ও বাথরুমের ব্যবস্থা না থাকায় খুবই ভোগান্তিতে রয়েছি।’
নরসিংহপুর ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুল মোমেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, লকডাউন উঠে যাওয়ায় যাত্রীবাহী যানবাহনের চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। তার ওপর প্রতিদিন কোরবানির পশু বোঝাই তিন থেকে সাড়ে তিনশ ট্রাকের চাপে ঘাটে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মাত্র ছয়টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার চলছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এরই মধ্যে ফেরি কুসুম কলি এই ঘাটে সংযুক্ত করা হয়েছে। আগামীকাল সকাল থেকে যানবাহনের চাপ কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৪ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
৫ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
৫ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৫ ঘণ্টা আগে