রাজবাড়ী প্রতিনিধি
অন্য ফসলের তুলনায় বেশি দাম পাওয়ায় রাজবাড়ীতে পেঁয়াজ বীজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের। জেলায় উৎপাদিত পেঁয়াজ বীজ গুণে ও মানে উৎকৃষ্ট। ফলন ও বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় পেঁয়াজের বীজ চাষে লাভের স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা। আর কৃষি বিভাগ বলছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৮০ কোটি টাকার পেঁয়াজ বীজ বিক্রি করতে পারবেন চাষিরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলার পাঁচ উপজেলার মাঠে মাঠে এখন শোভা পাচ্ছে পেঁয়াজ বীজের সাদা ফুল। কৃষকদের কাছে এটি ‘কালো সোনা’ হিসেবে পরিচিত। আর কয়েক সপ্তাহ পরেই মাঠ থেকে ঘরে আসবে এই পেঁয়াজ বীজ। যে কারণে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।
চাষিরা বলছেন, এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ বীজের আবাদ করতে খরচ পড়ে ৫০-৬০ হাজার টাকা। আর বিঘা প্রতি পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন হয় ২ মণের বেশি যা ২ লাখ টাকা বিক্রি হয়। খরচ বাদে লাভ থাকে দ্বিগুণ। এ বছর লালতীর, হাইব্রিড, সুলতানা জাতের পেঁয়াজ বীজের আবাদ করেছেন চাষিরা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে পেঁয়াজ বীজ বিক্রি করে এ বছর লাভের মুখ দেখবেন তাঁরা।
কালুখালী উপজেলার মদাপুর ইউনিয়নের গরিয়ানা গ্রামের পেঁয়াজ বীজ চাষি জয়নাল মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি গত চার দশক ধরে পেঁয়াজ আবাদ করি। এ বছর ৫০ শতাংশ জমিতে পেঁয়াজ বীজের আবাদ করেছি। ভালো ফুল আসায় লাভের আশা করছি।’
একই এলাকার আরেক চাষি নব কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘আট থেকে দশ বছর ধরে আমি পেঁয়াজ বীজের আবাদ করে থাকি। খরচ বাদে প্রতি বছরই লাভ থাকে। এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ বীজ আবাদে খরচ হয় ৪০-৫০ হাজার টাকা। বিঘায় ফলন হয় ২ মণ যা বিক্রি হয় দেড় থেকে দুই লাখ টাকা। এই ফসল চাষে আমরা লাভবান হচ্ছি।’
মো. জালাল শেখ বলেন, ‘অন্য ফসল থেকে এই ফসলে একটু লাভ থাকে। মৌমাছি কম থাকায় এখন ফুল থেকে মধু ফেলানোর কাজ করছি। গত বছর বৃষ্টিতে ফলন ভালো না হওয়ায় লাভ কমছিল। এ বছর ফুলতো ভালোই হয়েছে শেষ পর্যন্ত দেখি কি হয়। আশা করতেছি এবার লাভবান হব।’
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এ বছর ১৭২ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। গত বছর ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে সময় মতো চাষিরা পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের জন্য পেঁয়াজ বীজ রোপণ করতে পারেননি। যার ফলে চলতি মৌসুমে জেলায় ১৪৩ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ বীজের আবাদ করা হয়েছে।
রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা গোলাম রাসুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজবাড়ী জেলা পেঁয়াজ চাষের জন্য উপযোগী একটি জেলা। এই জেলার কৃষকেরা পেঁয়াজের পাশাপাশি পেঁয়াজ বীজ আবাদ করে থাকে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পেঁয়াজ বীজের ফলন ভালো হবে। পেঁয়াজ বীজ চাষিদের কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ বছর ৭৫-৮০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন হতে পারে। ১ হাজার টাকা কেজি ধরলেও ৮০ কোটি টাকার পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন হবে।’
অন্য ফসলের তুলনায় বেশি দাম পাওয়ায় রাজবাড়ীতে পেঁয়াজ বীজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের। জেলায় উৎপাদিত পেঁয়াজ বীজ গুণে ও মানে উৎকৃষ্ট। ফলন ও বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় পেঁয়াজের বীজ চাষে লাভের স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা। আর কৃষি বিভাগ বলছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৮০ কোটি টাকার পেঁয়াজ বীজ বিক্রি করতে পারবেন চাষিরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলার পাঁচ উপজেলার মাঠে মাঠে এখন শোভা পাচ্ছে পেঁয়াজ বীজের সাদা ফুল। কৃষকদের কাছে এটি ‘কালো সোনা’ হিসেবে পরিচিত। আর কয়েক সপ্তাহ পরেই মাঠ থেকে ঘরে আসবে এই পেঁয়াজ বীজ। যে কারণে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।
চাষিরা বলছেন, এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ বীজের আবাদ করতে খরচ পড়ে ৫০-৬০ হাজার টাকা। আর বিঘা প্রতি পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন হয় ২ মণের বেশি যা ২ লাখ টাকা বিক্রি হয়। খরচ বাদে লাভ থাকে দ্বিগুণ। এ বছর লালতীর, হাইব্রিড, সুলতানা জাতের পেঁয়াজ বীজের আবাদ করেছেন চাষিরা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে পেঁয়াজ বীজ বিক্রি করে এ বছর লাভের মুখ দেখবেন তাঁরা।
কালুখালী উপজেলার মদাপুর ইউনিয়নের গরিয়ানা গ্রামের পেঁয়াজ বীজ চাষি জয়নাল মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি গত চার দশক ধরে পেঁয়াজ আবাদ করি। এ বছর ৫০ শতাংশ জমিতে পেঁয়াজ বীজের আবাদ করেছি। ভালো ফুল আসায় লাভের আশা করছি।’
একই এলাকার আরেক চাষি নব কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘আট থেকে দশ বছর ধরে আমি পেঁয়াজ বীজের আবাদ করে থাকি। খরচ বাদে প্রতি বছরই লাভ থাকে। এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ বীজ আবাদে খরচ হয় ৪০-৫০ হাজার টাকা। বিঘায় ফলন হয় ২ মণ যা বিক্রি হয় দেড় থেকে দুই লাখ টাকা। এই ফসল চাষে আমরা লাভবান হচ্ছি।’
মো. জালাল শেখ বলেন, ‘অন্য ফসল থেকে এই ফসলে একটু লাভ থাকে। মৌমাছি কম থাকায় এখন ফুল থেকে মধু ফেলানোর কাজ করছি। গত বছর বৃষ্টিতে ফলন ভালো না হওয়ায় লাভ কমছিল। এ বছর ফুলতো ভালোই হয়েছে শেষ পর্যন্ত দেখি কি হয়। আশা করতেছি এবার লাভবান হব।’
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এ বছর ১৭২ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। গত বছর ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে সময় মতো চাষিরা পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের জন্য পেঁয়াজ বীজ রোপণ করতে পারেননি। যার ফলে চলতি মৌসুমে জেলায় ১৪৩ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ বীজের আবাদ করা হয়েছে।
রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা গোলাম রাসুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজবাড়ী জেলা পেঁয়াজ চাষের জন্য উপযোগী একটি জেলা। এই জেলার কৃষকেরা পেঁয়াজের পাশাপাশি পেঁয়াজ বীজ আবাদ করে থাকে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পেঁয়াজ বীজের ফলন ভালো হবে। পেঁয়াজ বীজ চাষিদের কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ বছর ৭৫-৮০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন হতে পারে। ১ হাজার টাকা কেজি ধরলেও ৮০ কোটি টাকার পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন হবে।’
মৌলভীবাজারের সৌন্দর্য বাড়িয়েছে নদী আর ছড়া। এ জেলায় রয়েছে কয়েক শ ছড়া। কিন্তু সিলিকা বালু লুটের কারণে এসব ছড়া শ্রীহীন হয়ে পড়ছে। বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। এখানকার অর্ধশতাধিক ছড়া থেকে রাতের আঁধারে একটি মহল বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে; কিন্তু তা ঠেকানোর দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই। প্রশাস
১ ঘণ্টা আগেসন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক বিএনপি নেতা আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ-সংক্রান্ত তিনজনের একটি ফোনকল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে। এ ফোনকল রেকর্ড নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় চলছে।
১ ঘণ্টা আগেটাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বছরে জমির নামজারি বা খারিজ হয় ৭ হাজারের অধিক। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা এসি ল্যান্ড কার্যালয়ের এলআর (লোকাল রিলেশনস) ফান্ডের নামে নেওয়া হয় ২ হাজার টাকা। সেই সঙ্গে পৌর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলোর কন্টিনজেন্সি বিলের (খাতা, কলমসহ আনুষঙ্গিক খরচ) জন্য বরাদ্দ আসে বছরে সাড়ে ৩ থেকে ৫
২ ঘণ্টা আগেকৃষি ব্যাংকের খুলনার পূর্ব রূপসা শাখা থেকে লকার ভেঙে কয়েক লাখ টাকা নিয়ে গেছে সংঘবদ্ধ চোরেরা। শুক্রবার রাতে বিষয়টি ধরা পড়ে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে কোনো এক সময়ে এ চুরির ঘটনা ঘটতে পারে বলে পুলিশের ধারণা। ব্যাংক এবং আশপাশের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে চোরদের শনাক্ত করার চেষ্টা
৩ ঘণ্টা আগে