Ajker Patrika

সালমান-আনিসুল-কামরুলসহ ৬ জন নতুন মামলায় গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মামলায় আনিসুল হক ৪, সালমান এফ রহমান ৬, ও কামরুল ইসলাম ৮ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি। ফাইল ছবি
মামলায় আনিসুল হক ৪, সালমান এফ রহমান ৬, ও কামরুল ইসলাম ৮ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি। ফাইল ছবি

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর কাফরুল এলাকায় আতিকুল ইসলাম নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসামরিক, শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ সোমবার তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র।

গ্রেপ্তার বাকিরা হলেন— সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক দুই আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও এ কে এম শহীদুল হক।

আজ সকালে আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কাফরুল থানার উপপরিদর্শক মো. জুয়েল ইসলাম। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই বিকেলে রাজধানীর কাফরুল থানাধীন বিআরটিএ অফিসের পেছনের রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হন আতিকুল ইসলাম। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত ২৩ ডিসেম্বর ব্যবসায়ী আহসান হাবীব রাজধানীর কাফরুল থানায় একটা হত্যা মামলা করেন। মামলায় আনিসুল হক ৪, সালমান এফ রহমান ৬, কামরুল ৮, কামাল ১০, মামুন ১১ ও শহীদুল ২৭ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে সাবেক মন্ত্রী সংসদ সদস্য ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে পুলিশ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীদের গুলিতে মারা যান আতিকুল ইসলাম।

গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সালমান- আনিসুলসহ এই ৬ জনকে বিভিন্ন সময়ে আটক করে পুলিশ। পরে তাঁদের বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দফায় দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কার্গো ভিলেজে আগুন

বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা 
গ্রাফিক্স: আজকের পত্রিকা
গ্রাফিক্স: আজকের পত্রিকা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান- বন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ আগুনেও অক্ষত স্ট্রং রুমের ভল্ট থেকে চুরি হয়েছে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র। ওই কমপ্লেক্সের স্ট্রং রুম গত রোববার দুপুরে নিয়মিত পরিদর্শনের সময় ভল্ট থেকে অস্ত্রগুলো খোয়া যাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।

চুরি হওয়া অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এম ৪ কারবাইন ও ব্রাজিলের তৈরি টরাস পিস্তল। তবে কোন অস্ত্র কতটি চুরি হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সুরক্ষিত ওই ভল্ট ভেঙে অস্ত্র চুরির ঘটনা জানাজানির পর বিমানবন্দরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ নিয়ে বিমানবন্দর থানার পুলিশ একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে এবং পুলিশ সদর দপ্তরকেও জানানো হয়েছে।

ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভল্ট ভাঙা নিয়ে বিমানবন্দর থানায় একটি জিডি হয়েছে। সেখানে কয়টি অস্ত্রের কথা উল্লেখ আছে, তিনি নিশ্চিত নন।

বিমানবন্দরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শাহজালাল বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে গত ১৮ অক্টোবর দুপুরে ভয়াবহ আগুন লাগে। প্রায় ১৭ ঘণ্টা ধরে জ্বলা আগুনে পুড়ে যায় আমদানি করা মালপত্রের বড় অংশ। ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, এই আগুনে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১২ হাজার কোটি টাকা। তবে ভয়াবহ ওই আগুনে কিছুটা তাপ লাগলেও প্রায় পুরোই অক্ষত ছিল কমপ্লেক্সের স্ট্রং রুমের ভল্টে রাখা জিনিসপত্র। আগুন নেভানোর পর বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে ওই স্ট্রং রুম সিলগালা করা হয়।

কর্মকর্তারা জানান, ওই স্ট্রং রুমের ভল্টে মূল্যবান জিনিস, আমদানির কাগজপত্র, শুল্কসংক্রান্ত নথি, গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক দলিল, সোনা, হীরা ও আগ্নেয়াস্ত্র রাখা হয়। কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকা স্ট্রং রুম থেকে পণ্য-নথি বের করতে হলে একাধিক সংস্থার কর্মকর্তার স্বাক্ষর প্রয়োজন হয়।

বিমানবন্দর নিরাপত্তা বিভাগের একটি সূত্র জানায়, গত ২৪ অক্টোবর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নিরাপত্তা বিভাগ, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এবং একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সের স্ট্রং রুম পরিদর্শন করেন। তাঁরা স্ট্রং রুমের আগ্নেয়াস্ত্র থাকা ভল্টের লক খোলা অবস্থায় এবং ট্রাংক ভাঙা দেখেন। ওই ভল্টে তাঁরা ২১টি আগ্নেয়াস্ত্র পান। এগুলোর মধ্যে তিনটি অস্ত্রের পেছনে আংশিক পোড়া ছিল, ১৮টি অস্ত্র ছিল বাক্সবন্দী। পরে ওই ভল্ট এবং ট্রাংক মেরামত করে স্ট্রং রুম আবার সিলগালা করা হয়।

এই অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এম ৪ কারবাইন রাইফেল ও ব্রাজিলের টরাস কোম্পানির তৈরি সেমি-অটোমেটিক পিস্তল। এম ৪ কারবাইন রাইফেল সাধারণত পুলিশের স্পেশাল উইপনস অ্যান্ড ট্যাকটিকস (সোয়াট) ইউনিট ব্যবহার করে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এম ৪ কারবাইন একটি ৫.৫৬ মিলিমিটার ক্যালিবারের গ্যাসচালিত কারবাইন, যা এম ১৬ এ ২ অ্যাসল্ট রাইফেলের হালকা সংস্করণ। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে ভল্টের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। ভল্ট ভাঙার ঘটনায় ২৮ অক্টোবর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সহকারী ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) মো. জামাল হোসেন বিমানবন্দর থানায় একটি জিডি করেন। ঘটনাস্থল থেকে তালা কাটার সরঞ্জামসহ আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক দল।

বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিভাগের সূত্র জানায়, স্ট্রং রুমের ওই ভল্টে মূলত বাংলাদেশ পুলিশের জন্য এবং বৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ীদের আমদানি করা অস্ত্র সংরক্ষিত ছিল। তবে আগুনে সংশ্লিষ্ট সব নথি পুড়ে যাওয়ায় সেখানে ২১টি নাকি আরও বেশি অস্ত্র ছিল, তা নিশ্চিত করা যাচ্ছিল না। এরপর গত রোববার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, বেবিচক এবং একটি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা দ্বিতীয় দফায় পরিদর্শনে গিয়ে দেখেন, ওই ভল্টের লক খোলা এবং ট্রাংকও ভাঙা। মিলিয়ে দেখা যায়, ২১টি থেকে দুই রকমের ৭টি অস্ত্র নেই। নতুন করে অস্ত্র চুরি ঠেকাতে গতকাল সোমবার ওই ভল্টের অবশিষ্ট ১৪টি অস্ত্রসহ অন্যান্য ভল্টে থাকা অস্ত্রগুলো থানায় রাখা হয়েছে।

পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, স্ট্রং রুমে সোনা, হীরাও আছে। সেগুলো বাদ দিয়ে শুধু আগ্নেয়াস্ত্র চুরি রহস্যজনক।

এদিকে ২৪ অক্টোবর প্রথম দফায় ভল্ট ভাঙা পাওয়ার বিষয়ে করা জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক মাইনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। আমদানি কার্গো হাউসের আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরা আগুনে পুড়ে গেছে। কোনো ফুটেজ পাওয়া যায়নি। সন্দেহভাজন দু-একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত জানা যাবে।

আমদানি কার্গো কমপ্লেক্স এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোর স্থলে এখনো নতুন ক্যামেরা স্থাপন করা হয়নি। অচলগুলো করা হয়নি সচল। ফলে ফুটেজ দেখে চোর শনাক্তের সুযোগ কম। ঘটনা তদন্তে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেহেরপুরের গাংনী: বাড়ছে অ্যানথ্রাক্স রোগী, ১০ মাসে শনাক্ত ৫২৭

  • মাংস খেয়ে কিংবা নাড়াচাড়া করে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকে।
  • ২০১৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আক্রান্ত ৫ হাজার ৬৩।
  • সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকদের।
  • অসুস্থ পশু জবাই করে মাংস বিক্রি করলে ব্যবস্থা: ইউএনও
রাকিবুল ইসলাম (গাংনী) মেহেরপুর
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

মেহেরপুরের গাংনীতে দিন দিন বাড়ছে অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্তের সংখ্যা। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে বাসিন্দারা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৫২৭ জনের অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত হয়েছে। গত ২০১৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত (১২ বছর) আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৬৩ জনে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য মতে, আক্রান্তদের অনেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে এবং অনেকে এখনো চিকিৎসা নিচ্ছে। অ্যানথ্রাক্স থেকে নিজেকে রক্ষা করতে চিকিৎসকেরা সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সূত্র জানায়, অ্যানথ্রাক্স রোগীর সংখ্যা ২০১৩ সালে ১৯৯; ২০১৪ সালে ২০৩; ২০১৫ সালে ১৫৪; ২০১৬ সালে ২৪০; ২০১৭ সালে ২৮১; ২০১৮ সালে ৪০৮; ২০১৯ সালে ৬৬০; ২০২০ সালে ৩৭৮; ২০২১ সালে ৪১৭; ২০২২ সালে ৬৪৪; ২০২৩ সালে ৭৯৩; ২০২৪ সালে ৬৮৬ এবং ২০২৫ সালের প্রথম ১০ মাসে ৫২৭ জন।

সূত্র আরও জানায়, এটা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ব্যক্তিদের হিসাব। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অ্যানথ্রাক্সের রোগী রয়েছে, যারা বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়ে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এলাকায় অসুস্থ গবাদিপশু জবাই করে বিক্রয় করা হয়। এ ছাড়া অনেকে আবার গোপনে মাংস ব্যবসায়ীদের কাছে জবাই করে কম দামে বিক্রি করে দেয়। অসুস্থ গবাদিপশুর মাংস খেয়ে অনেকে আক্রান্ত হচ্ছে। প্রশাসন আরও কঠোর পদক্ষেপ নিলে কেউ অসুস্থ গবাদিপশু বিক্রি করতে পারত না।

উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের ছমিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার স্ত্রী অসুস্থ পশুর মাংস নাড়াচাড়া করেছিল। এরপর তার হাত চুলকাতে থাকে। পরে সেখানে ঘা হয়ে যায়। এ ছাড়া আমার স্ত্রীর ডায়াবেটিস আছে। আমি তাৎক্ষণিক গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। ডাক্তার পরীক্ষা করে বলে, অ্যানথ্রাক্স হয়েছে। গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়ে এখন আল্লাহর রহমতে অনেকটাই ভালো আছে।’

দেবীপুর গ্রামের ফুলঝুরি খাতুন বলেন, ‘আমি এক মাস আগে অসুস্থ ছাগলের মাংস হাত দিয়ে নাড়াচাড়া করেছিলাম। পরে আমার শরীরে একটি ছোট্ট ফোড়ার মতো হয় এবং সেখানে চুলকাতে থাকে। পরে সেই জায়গায় ধীরে ধীরে ফুলতে থাকে। তারপর অবস্থা বেগতিক দেখে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে জানতে পারি, অ্যানথ্রাক্স হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনেকের কাছে শুনেছি, অসুস্থ গবাদিপশুর মাংস নাড়াচাড়া করলে অ্যানথ্রাক্স হয়। শেষ পর্যন্ত আমারও হয়ে গেল। এর যে কী যন্ত্রণা, তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। তাই সবার এ ব্যাপারে সচেতন থাকা উচিত। আর কেউ আক্রান্ত হলে অবহেলা না করে দ্রুত ডাক্তারি পরামর্শ নেওয়া দরকার।’

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মুত্তালেব আলী বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে এই রোগ বেশি দেখা যায়। পানি জমে থাকা মাঠের ঘাস খেয়ে গবাদিপশু এ রোগে আক্রান্ত হয়। আর এ রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। উপজেলায় অ্যানথ্রাক্স রোগ কমানোর জন্য টিকা দেওয়া হচ্ছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৫০ হাজার ভ্যাকসিন বরাদ্দ রয়েছে। আশা করি আরও পাওয়া যাবে। এই রোগ এপ্রিল থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে হয়ে থাকে।’

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, ‘অসুস্থ গবাদিপশুর মাংস খেলে এবং তার রক্ত লাগলে আক্রান্ত বেশি হয়। তাই অসুস্থ গবাদিপশুর মাংস খেতে সবাইকে নিষেধ করা হচ্ছে। মৃত পশুকে উঁচু স্থানে মাটির ৬ ফুট নিচে পুঁতে রাখারও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সবাই সচেতন হলে এই রোগ কমে যাবে।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল আজিজ বলেন, ‘বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা অ্যানথ্রাক্স রোগীরা আমাদের এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছে। চিকিৎসা নিয়ে অনেকে সুস্থ হয়েছে। এখনো অনেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। মাঠকর্মীদের রোগী শনাক্ত করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’ সবাইকে অসুস্থ পশুর মাংস না খাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন এই চিকিৎসক।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘যারা অসুস্থ পশু জবাই করে বিক্রি করে, আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর এ জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। অসুস্থ পশুর মাংস বিক্রি না করার জন্য পশুর মালিকদেরও সচেতন হতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পিএইচপি কোরআনের আলো চট্টগ্রাম বিভাগের অডিশন অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ০১: ২৬
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

পিএইচপি ফ্যামিলির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিন বলেছেন, পিএইচপি কোরআনের আলো বিশ্বজুড়ে আলো ছড়াচ্ছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে দিনব্যাপী পিএইচপি কোরআনের আলো চট্টগ্রাম বিভাগের অডিশন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি প্রতিযোগীদের হাতে ইয়েস কার্ড, ক্রেস্ট ও উপহার তুলে দেন। এ সময় মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ‘পিএইচপির আয়োজনে ‘‘পিএইচপি কোরআনের আলো প্রতিভার সন্ধানে’’ প্রতিযোগিতা। বিশ্বজুড়ে কোরআনের আলো ছড়াতে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। রমজান মাস ধরে আমাদের আয়োজকেরা হাফেজে কোরআনদের নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। গত ১৭ বছর ধরে চলে আসা এই অনুষ্ঠান দেশে ধারাবাহিকভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং দেশে জনপ্রিয়তা অর্জন করে বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।’

কোরআনের আলো অনুষ্ঠানকে চলমান রাখার ঘোষণা দিয়ে মোহাম্মদ মহসিন বলেন, পিএইচপি কেয়ামত পর্যন্ত এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে থাকবে। তিনি বলেন, যারা কুফরি করে এবং মানুষকে সত্যের পথ থেকে ফিরিয়ে রাখে, আল্লাহ তাদের দুনিয়ায় শাস্তি দেবেন এবং আখিরাতে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন—এটিই হচ্ছে মহান আল্লাহর ঘোষণা। প্রত্যেকের জীবনকে পবিত্র কোরআনের আলোয় জীবন গঠন করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির অনুষ্ঠান পরিচালক সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, ‘সারা দেশের হাজার হাজার প্রতিযোগীর মধ্য থেকে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে বাছাই করে টিভি অনুষ্ঠানের জন্য চূড়ান্ত করা হয়। সেখান থেকে মাত্র চারজনকে বাছাই করা অনেক কঠিন কাজ। এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে চূড়ান্ত পর্যায়ে আমরা পৌঁছাই।’ অডিশনে উপস্থিত ছিলেন কোরআনের আলো ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি মুফতি মোহম্মদ মহিউদ্দিন, অর্থ সচিব হাফেজ মোহাম্মদ জাকারিয়া, ক্বারী মাওলানা জহিরুল ইসলাম, হাফেজ আবদুল্লাহ আল জায়েদ, পিএইচপি পরিবারের মিডিয়া অ্যাডভাইজার দিলশাদ আহমেদসহ পিএইচপি পরিবার ও আয়োজকেরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাদারীপুরে আড়াই ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক

মাদারীপুর প্রতিনিধি
ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণার পর ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন মাদারীপুর-১ (শিবচর উপজেলা) আসনের মনোনয়নবঞ্চিত সাজ্জাদ হোসেন ওরফে লাভলু সিদ্দিকীর অনুসারীরা।

লাভলু জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক। সোমবার (৩ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের পাঁচ্চর গোলচত্বরে তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবরোধের কারণে এক্সপ্রেসওয়ের উভয় পাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।

মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন লাভলু সিদ্দিকীর সমর্থকেরা ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শিবচর অংশে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ সময় পর সড়ক অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল এখন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত