Ajker Patrika

সিরাজদিখানে আলুখেতে বৃষ্টির পানি, বীজ আলু নষ্টের আশঙ্কা

সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১: ১৫
সিরাজদিখানে আলুখেতে বৃষ্টির পানি, বীজ আলু নষ্টের আশঙ্কা

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে চলছে বীজ আলু বোনার মৌসুম। কৃষকদের ব্যস্ততার মধ্যেই গতকাল বুধবার রাত থেকে আজ বৃহস্পতিবার দিনভর টানা বৃষ্টিতে উপজেলার অনেক কৃষকের আলুখেত তলিয়ে গেছে। এতে বোনা বীজ আলু নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

আজ বেলা ১টার দিকে উপজেলার বয়রাগাদী ইউনিয়নের গোবরদী গ্রামে বীজ আলু বোনা বেশির ভাগ খেত বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যেতে দেখা গেছে। এতে অনেক কৃষক জমি থেকে পানি সরানোর জন্য ড্রেন করে দিচ্ছেন। তবে টানা বৃষ্টির কারণে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের। এতে লোকসানের দুশ্চিন্তা বাড়ছে কৃষকদের। উপজেলার অন্য ইউনিয়নেও একই দৃশ্য দেখা গেছে।

উপজেলার কৃষি কার্যালয় থেকে জানা গেছে, বীজ আলু বোনার আদর্শ সময় নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ২৫ দিন পর্যন্ত। গত বছর উপজেলায় আলু চাষ হয়েছে ৮ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে। এ বছর ৯ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হতে পারে। এই উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে এখন চলছে কৃষিজমি প্রস্তুত ও বীজ আলু বোনার কাজ। আগামী ১০-১৫ দিন চলবে বীজ আলু বোনার কাজ। এরই মধ্যে এই উপজেলায় তিন ভাগের দুই ভাগ আলু বোনা হয়ে গেছে। এক ভাগ বীজ বোনা বাকি রয়েছে।

গোবরদী গ্রামের কৃষক ইব্রাহিম শেখ বলেন, ‘আমি ১০ কানি জমিতে বীজ আলু বুনেছি। গতকাল থেকে আজ বৃষ্টির কারণে আমার অনেক খেতে পানি জমে গেছে। সেই খেতগুলো থেকে শ্রমিক দিয়ে পানি সরানোর কাজ করছি। এই বৃষ্টির কারণে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হবে তা এখনো বলা যাচ্ছে না।’

গোবরদী গ্রামের আরেক কৃষক রুহুল আমিন বলেন, ‘আমি এবার ৫৬০ শতাংশ জমিতে আলুর বীজ বুনেছি। এখন যেহেতু বৃষ্টি শুরু হয়েছে এই আলুর বীজ আর রক্ষা করা যাবে না। অনেক জমি পানিতে ভরে গেছে। জমি থেকে পানি সরানোর কাজ করছি। কিন্তু এত বৃষ্টি হচ্ছে পানি সরানো যাচ্ছে না। তাই এবার মৌসুমের শুরুতেই অনেক টাকা লোকসান গুনতে হবে।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু সাঈদ শুভ্র বলেন, ‘এখন আলু রোপণ করার মৌসুম। কয়েক দিন ধরেই আবহাওয়া অধিদপ্তর বৃষ্টির কথা জানিয়ে আসছে। আমরাও কৃষকদের নিষেধ করে যাচ্ছি। যারা ইতিমধ্যে আলুর বীজ বুনে ফেলেছেন। তাঁদের অনেকের জমি ক্ষতি হতে পারে। এখন পর্যন্ত এই উপজেলায় ২ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আলুর বীজ বপন হয়েছে। এখনো অনেক জমিতে বীজ আলু বপন করা বাকি আছে। আর বৃষ্টিতে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেটা পরে বলা যাবে।’

কৃষি কর্মকর্তা আবু সাঈদ আরও বলেন, ‘আমরা আলুর খেতগুলো ঘুরে দেখে একটাই পরামর্শ দিচ্ছি, সেটা হলো যত দ্রুত সম্ভব জমি থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। এতে আলু কিছুটা হলেও রক্ষা করা যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

মানবিক করিডর না ভূরাজনৈতিক কৌশল? সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতায় উদ্বেগ

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা–ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

ভারত–বাংলাদেশ বাণিজ্য বিধিনিষেধের মূল্য গুনছেন ব্যবসায়ীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত