গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে হাই সিকিউরিটি কারাগারের কিছু বন্দী আজ শনিবার সকালে বেশ কয়েকটি দাবিতে অনশন ও বিক্ষোভ করেছেন। কারাগার কর্তৃপক্ষ বলছে, বিভিন্ন দাবিতে কিছু বন্দী সকালে খাবার খেতে অস্বীকৃতি জানান। তাঁদের জেলকোড মেনে চলার জন্য পরামর্শ দিয়ে বোঝানো হলে খাবার গ্রহণ করেন। অল্প সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তবে এতে শুধু সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বন্দীরা অংশ নেন।
কারা সূত্র জানায়, নিরাপত্তার প্রয়োজনে জঙ্গি, জেএমবি ও হুজি সদস্য, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সাজাপ্রাপ্ত বন্দীদের হাই সিকিরিউটি কারাগারের একটি ভবনে রাখা হয়েছে। তাদের সব সময় লকআপে রাখার কথা। আজ সকাল ১০টার দিকে জেএমবিসহ জঙ্গি সংগঠনের ৫-৬ জন বন্দী সেলের বাইরে কারাভ্যন্তরে খোলামেলা চলাফেরা করতে ও অন্য বন্দীদের সঙ্গে মেলামেশা করার দাবি জানিয়ে নাশতা খেতে অস্বীকৃতি জানান। তাঁরা স্বজনদের সরবরাহ করা বিদেশি কম্বল, প্রতি সপ্তাহে স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ, ফোনে কথা বলাসহ নানা দাবি করেন। এ সময় কতিপয় জঙ্গি বন্দী, জেএমবি বন্দী ও সন্ত্রাসী বন্দী অল্প কিছু সময় বিক্ষোভ করেন। তবে সাধারণ কোনো বন্দী এতে অংশ নেননি।
এদিকে, কারাগারের অভ্যন্তরে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটার সময় একটি নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠানো হয়। বার্তায় অভিযোগ করা হয়, হাই সিকিউরিটি কারাগার (পার্ট ৪), গাজীপুরের বন্দীরা অনশন করছে। কারণ, এই প্রচণ্ড শীতেও কম্বল, কাপড়, মশারি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। অসুস্থ হলেও সঠিক চিকিৎসাও পাচ্ছেন না। হাঁটাহাঁটির অনুমতিও দেয় না। ফলে শরীরে রোগ বাসা বাঁধছে। স্বজনদের সঙ্গে ঠিকমতো দেখা করতে দিচ্ছে না।
পরে বিস্তারিত জানার জন্য ওই নম্বরে একাধিকবার কল করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। হোয়াটসঅ্যাপেও সাড়া মেলেনি। ওই নম্বরের সর্বশেষ কল ট্রেস করে দেখা গেছে, সেটি গাজীপুরের কাশিমপুরের গোবিন্দপুর (কারাগার) এলাকায় সচল ছিল।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে হাই সিকিউরিটি কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বলেন, ‘কারাগারে বন্দীদের অনশন ও বিক্ষোভের কোনো ঘটনা ঘটেনি। হাই সিকিউরিটি কারাগারে বিভিন্ন মামলায় দণ্ডিত ও দুর্ধর্ষ আসামি, বিভিন্ন জঙ্গি অপরাধে জড়িত অনেক আসামি এখানে বন্দী রয়েছে। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত অনেক আসামিও এখানে রয়েছে। এসব কারণে এখানে কারাবিধি অনুযায়ী বন্দীদের কড়া নজরদারির মধ্যে রাখা হয়।
সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে কয়েকজন জঙ্গি আদালত চত্বর থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এসব নষ্ট করার জন্য হয়তো একটি মহল এসব প্রচারণা চালাচ্ছে। তা ছাড়া ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা মাসে একবার করেই সাক্ষাতের সুযোগ পেয়ে থাকেন। তাঁদের কারাবিধি অনুযায়ী আলাদা রাখা হয়। তাঁরা অন্য বন্দীদের মতো কারাগারের ভেতর ইচ্ছামতো হাঁটাহাঁটির সুযোগ পান না। সকালে তাঁরা খাবার খেতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁদের জেলকোড মেনে চলার জন্য পরামর্শ দিয়ে বোঝানো হলে তাঁরা খাবার গ্রহণ করেন। অল্প সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তবে এ সময় অন্য বন্দীরা স্বাভাবিক ছিলেন।’
আজ রাতে এ বিষয়ে কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘কারাগারের ভেতরে কোনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতির খবর আমরা পাইনি। কারাগারের সকল বন্দী যথাসময়ে রাতের খাবার খেয়েছেন।’
কিছু বন্দীর কম্বলের অভাবে শীতে কষ্ট পাওয়ার অভিযোগের বিষয়ে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান বলেন, ‘কারাগারের ভেতরের কোনো অব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ কেউ আমার কাছে করেনি। এ ধরনের কোনো সমস্যার কথাও আমার জানা নেই। আমাদের কাছে প্রচুর কম্বল রয়েছে। শীতবস্ত্রের জন্য যদি বন্দীরা কষ্ট পেয়ে থাকেন, তাহলে আমি খোঁজ নিয়ে আগামীকালই সেখানে কম্বল বিতরণের ব্যবস্থা করব।’
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে হাই সিকিউরিটি কারাগারের কিছু বন্দী আজ শনিবার সকালে বেশ কয়েকটি দাবিতে অনশন ও বিক্ষোভ করেছেন। কারাগার কর্তৃপক্ষ বলছে, বিভিন্ন দাবিতে কিছু বন্দী সকালে খাবার খেতে অস্বীকৃতি জানান। তাঁদের জেলকোড মেনে চলার জন্য পরামর্শ দিয়ে বোঝানো হলে খাবার গ্রহণ করেন। অল্প সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তবে এতে শুধু সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বন্দীরা অংশ নেন।
কারা সূত্র জানায়, নিরাপত্তার প্রয়োজনে জঙ্গি, জেএমবি ও হুজি সদস্য, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সাজাপ্রাপ্ত বন্দীদের হাই সিকিরিউটি কারাগারের একটি ভবনে রাখা হয়েছে। তাদের সব সময় লকআপে রাখার কথা। আজ সকাল ১০টার দিকে জেএমবিসহ জঙ্গি সংগঠনের ৫-৬ জন বন্দী সেলের বাইরে কারাভ্যন্তরে খোলামেলা চলাফেরা করতে ও অন্য বন্দীদের সঙ্গে মেলামেশা করার দাবি জানিয়ে নাশতা খেতে অস্বীকৃতি জানান। তাঁরা স্বজনদের সরবরাহ করা বিদেশি কম্বল, প্রতি সপ্তাহে স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ, ফোনে কথা বলাসহ নানা দাবি করেন। এ সময় কতিপয় জঙ্গি বন্দী, জেএমবি বন্দী ও সন্ত্রাসী বন্দী অল্প কিছু সময় বিক্ষোভ করেন। তবে সাধারণ কোনো বন্দী এতে অংশ নেননি।
এদিকে, কারাগারের অভ্যন্তরে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটার সময় একটি নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠানো হয়। বার্তায় অভিযোগ করা হয়, হাই সিকিউরিটি কারাগার (পার্ট ৪), গাজীপুরের বন্দীরা অনশন করছে। কারণ, এই প্রচণ্ড শীতেও কম্বল, কাপড়, মশারি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। অসুস্থ হলেও সঠিক চিকিৎসাও পাচ্ছেন না। হাঁটাহাঁটির অনুমতিও দেয় না। ফলে শরীরে রোগ বাসা বাঁধছে। স্বজনদের সঙ্গে ঠিকমতো দেখা করতে দিচ্ছে না।
পরে বিস্তারিত জানার জন্য ওই নম্বরে একাধিকবার কল করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। হোয়াটসঅ্যাপেও সাড়া মেলেনি। ওই নম্বরের সর্বশেষ কল ট্রেস করে দেখা গেছে, সেটি গাজীপুরের কাশিমপুরের গোবিন্দপুর (কারাগার) এলাকায় সচল ছিল।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে হাই সিকিউরিটি কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বলেন, ‘কারাগারে বন্দীদের অনশন ও বিক্ষোভের কোনো ঘটনা ঘটেনি। হাই সিকিউরিটি কারাগারে বিভিন্ন মামলায় দণ্ডিত ও দুর্ধর্ষ আসামি, বিভিন্ন জঙ্গি অপরাধে জড়িত অনেক আসামি এখানে বন্দী রয়েছে। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত অনেক আসামিও এখানে রয়েছে। এসব কারণে এখানে কারাবিধি অনুযায়ী বন্দীদের কড়া নজরদারির মধ্যে রাখা হয়।
সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে কয়েকজন জঙ্গি আদালত চত্বর থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এসব নষ্ট করার জন্য হয়তো একটি মহল এসব প্রচারণা চালাচ্ছে। তা ছাড়া ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা মাসে একবার করেই সাক্ষাতের সুযোগ পেয়ে থাকেন। তাঁদের কারাবিধি অনুযায়ী আলাদা রাখা হয়। তাঁরা অন্য বন্দীদের মতো কারাগারের ভেতর ইচ্ছামতো হাঁটাহাঁটির সুযোগ পান না। সকালে তাঁরা খাবার খেতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁদের জেলকোড মেনে চলার জন্য পরামর্শ দিয়ে বোঝানো হলে তাঁরা খাবার গ্রহণ করেন। অল্প সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তবে এ সময় অন্য বন্দীরা স্বাভাবিক ছিলেন।’
আজ রাতে এ বিষয়ে কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘কারাগারের ভেতরে কোনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতির খবর আমরা পাইনি। কারাগারের সকল বন্দী যথাসময়ে রাতের খাবার খেয়েছেন।’
কিছু বন্দীর কম্বলের অভাবে শীতে কষ্ট পাওয়ার অভিযোগের বিষয়ে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান বলেন, ‘কারাগারের ভেতরের কোনো অব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ কেউ আমার কাছে করেনি। এ ধরনের কোনো সমস্যার কথাও আমার জানা নেই। আমাদের কাছে প্রচুর কম্বল রয়েছে। শীতবস্ত্রের জন্য যদি বন্দীরা কষ্ট পেয়ে থাকেন, তাহলে আমি খোঁজ নিয়ে আগামীকালই সেখানে কম্বল বিতরণের ব্যবস্থা করব।’
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
২ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
২ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
২ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
২ ঘণ্টা আগে